সম্পাদকীয়
এমনিতেই ঢাকা শহরে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট খেলার মাঠ নেই। যেসব খেলার মাঠ আছে, তার অনেকগুলো বিভিন্ন অজুহাতে দখল করা হয়েছে। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন খেলার মাঠে ওয়াসার পানির পাম্পস্টেশন বসানোর কারণে মাঠগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকার শিশু-কিশোরেরা নির্বিঘ্নে খেলাধুলা করতে পারে না।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় খেলার মাঠ দখল করে মেলা, গরুর হাট বসানো নিয়ে নানা সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়নি। এসব খেলার মাঠ দখল করে বাড়তি আয় করেন মূলত সমাজের ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা। কিন্তু খোদ সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াসা’ যখন এ ধরনের কাজ করে, তখন প্রশ্ন আসে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কী করে? ঢাকা শহরের অধিকাংশ মাঠের তদারকের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তাহলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া ওয়াসা এভাবে পানির পাম্প কীভাবে বসাতে পারে?
শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ও সুস্থ বিনোদনের জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকা শহরের শিশুরা সেভাবে খেলার সুযোগ পায় না শুধু মাঠের অভাবে। একটি মাঠে যে শুধু খেলাধুলাই হয় তা-ই নয়, সেখানে বয়স্ক মানুষেরা উন্মুক্ত হাঁটাচলা করেন, বুক ভরে নিশ্বাস নেন, শরীরচর্চা করেন। কিন্তু ঢাকা শহরের আয়তনের তুলনায় মাঠের সংখ্যা অপ্রতুল।
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে পার্ক বা উদ্যান আছে মাত্র ২৭টি। এগুলোর মধ্যে ৬টি পার্ক বাণিজ্যিকভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে পার্ক রয়েছে মাত্র ২৩টি। এগুলোর বেশির ভাগেই নেই সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার। তাহলে শিশুরা খেলাধুলা করবে কীভাবে?
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠে পানির পাম্প তৈরির জন্য এক অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছে। তারা বলছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার লোকেরা পাম্প বসানোর জায়গা দেয় না বলে তারা একপ্রকার বাধ্য হয়ে খেলার মাঠে পাম্প নির্মাণ করে। ঢাকা শহরের অধিকাংশ খেলার মাঠ এমনিতেই বেশি প্রশস্ত নয়। এভাবে মাঠে পাম্প তৈরি করার কারণে মাঠের প্রশস্ততা কমে যায়।
শুধু এভাবেই মাঠ দখল করা হয় না। এখানকার অধিকাংশ মাঠ এলাকার ক্ষমতাবানরা ক্লাব গঠন করে নিজের ইচ্ছেমতো দখল করে রাখেন। তাঁদের মর্জিমতো তাঁরা মাঠ খোলা বা বন্ধ রাখেন। ফলে এলাকার শিশু-কিশোর ও লোকজন প্রয়োজনীয় সময়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারে না।
শিশু-কিশোরদের পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদনের অভাবে এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অনৈতিক কাজে। এমন অবস্থায় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদনে উন্মুক্ত খেলার মাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
খেলার মাঠ খেলার জন্যই রাখতে হবে। এ জন্য সিটি করপোরেশন দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পানির পাম্পের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে মাঠগুলো রক্ষা করার জন্য তাদেরই উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
এমনিতেই ঢাকা শহরে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট খেলার মাঠ নেই। যেসব খেলার মাঠ আছে, তার অনেকগুলো বিভিন্ন অজুহাতে দখল করা হয়েছে। এ নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন খেলার মাঠে ওয়াসার পানির পাম্পস্টেশন বসানোর কারণে মাঠগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকার শিশু-কিশোরেরা নির্বিঘ্নে খেলাধুলা করতে পারে না।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় খেলার মাঠ দখল করে মেলা, গরুর হাট বসানো নিয়ে নানা সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়নি। এসব খেলার মাঠ দখল করে বাড়তি আয় করেন মূলত সমাজের ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা। কিন্তু খোদ সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াসা’ যখন এ ধরনের কাজ করে, তখন প্রশ্ন আসে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কী করে? ঢাকা শহরের অধিকাংশ মাঠের তদারকের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তাহলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া ওয়াসা এভাবে পানির পাম্প কীভাবে বসাতে পারে?
শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ও সুস্থ বিনোদনের জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকা শহরের শিশুরা সেভাবে খেলার সুযোগ পায় না শুধু মাঠের অভাবে। একটি মাঠে যে শুধু খেলাধুলাই হয় তা-ই নয়, সেখানে বয়স্ক মানুষেরা উন্মুক্ত হাঁটাচলা করেন, বুক ভরে নিশ্বাস নেন, শরীরচর্চা করেন। কিন্তু ঢাকা শহরের আয়তনের তুলনায় মাঠের সংখ্যা অপ্রতুল।
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে পার্ক বা উদ্যান আছে মাত্র ২৭টি। এগুলোর মধ্যে ৬টি পার্ক বাণিজ্যিকভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে পার্ক রয়েছে মাত্র ২৩টি। এগুলোর বেশির ভাগেই নেই সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার। তাহলে শিশুরা খেলাধুলা করবে কীভাবে?
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠে পানির পাম্প তৈরির জন্য এক অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছে। তারা বলছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার লোকেরা পাম্প বসানোর জায়গা দেয় না বলে তারা একপ্রকার বাধ্য হয়ে খেলার মাঠে পাম্প নির্মাণ করে। ঢাকা শহরের অধিকাংশ খেলার মাঠ এমনিতেই বেশি প্রশস্ত নয়। এভাবে মাঠে পাম্প তৈরি করার কারণে মাঠের প্রশস্ততা কমে যায়।
শুধু এভাবেই মাঠ দখল করা হয় না। এখানকার অধিকাংশ মাঠ এলাকার ক্ষমতাবানরা ক্লাব গঠন করে নিজের ইচ্ছেমতো দখল করে রাখেন। তাঁদের মর্জিমতো তাঁরা মাঠ খোলা বা বন্ধ রাখেন। ফলে এলাকার শিশু-কিশোর ও লোকজন প্রয়োজনীয় সময়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারে না।
শিশু-কিশোরদের পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদনের অভাবে এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অনৈতিক কাজে। এমন অবস্থায় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদনে উন্মুক্ত খেলার মাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
খেলার মাঠ খেলার জন্যই রাখতে হবে। এ জন্য সিটি করপোরেশন দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পানির পাম্পের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে মাঠগুলো রক্ষা করার জন্য তাদেরই উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
কৈশোরে একবার পড়েছিলাম, ফাঁসির দড়ি তৈরি হয় ‘ম্যানিলা রোপ’ দিয়ে। তখন বুঝতাম না ‘ম্যানিলা’ কী! পরে জেনেছি, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকেই এই বিশেষ দড়ির নামকরণ। ‘ম্যানিলা রোপ’ তৈরি হয় অ্যাবাকা নামের কলাগাছ-জাতীয় এক উদ্ভিদ থেকে। গাছের তন্তু থেকে তৈরি হয় দড়ি, কাপড়, কারুপণ্য, এমনকি বস্তাও। কোমল অথচ টেকস
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা যেন একটি বেনারসি শাড়ির আঁচল, যার এক প্রান্তে সোনালি জরির কাজ আর অন্য প্রান্তে গলিত সুতোয় দাগ পড়া দারিদ্র্যের ছাপ। একই চাদরে ঢাকা দুটি পৃথিবী, যার একটি অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যস্ত এবং অন্যটি বিলাসিতায় গা ভাসানোর মতো। একদিকে বৈভবের বহিঃপ্রকাশ, অন্যদিকে প্রয়োজনের হাহাকার।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীর একটি বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক মহল নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও কৌতূহল জাগিয়েছে। দলের মধ্যে তৈরি করেছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তিনি দলীয় এক সমাবেশে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেছেন, বিএনপি দখল করছে লঞ্চঘাট-বাসস্ট্যান্ড আর জামায়াত দখল করছে
১ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন ধরেই সিলেটে পাথর লুটের খবর প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদপত্রে। আজকের পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি বিশদ সংবাদ ছাপা হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩৫ জন নেতা এই লুটপাটে তৎপর। এদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে আইনি বাধা দেওয়া হলে তাঁরা কি এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারতেন?
২ ঘণ্টা আগে