সম্পাদকীয়
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপের প্রত্যাশা নিয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে ১৬ এপ্রিল। বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’ আবার আইন উপদেষ্টা বলেছেন, ‘যখন আলোচনা শেষ হয়েছে, আমার কাছে ওনাদের দেখে খুশি লেগেছে। মনে হয়েছে, ওনাদের মনে যে প্রশ্ন ছিল, তার অনেকগুলোর উত্তর ওনারা পেয়েছেন। আমার কাছে এটা মনে হয়েছে। ফখরুল ভাইয়ের কাছে অন্য রকম মনে হতে পারে।’
এটা স্পষ্ট যে দুই পক্ষের ‘মনে হওয়া’টাও দুই রকম। আলোচনা শেষে দুই পক্ষ একমত না হতে পারলে তাকে সফল আলোচনা বলা যায় না। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় এবং তারা মনে করে, এর বাইরে যেকোনো সময়সূচি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে পারে।
এখানে একটি মৌলিক দ্বন্দ্ব স্পষ্ট: নির্দিষ্ট সময় না জানানোকে বিএনপি ‘অস্পষ্টতা’ হিসেবে দেখছে, যেখানে সরকারের ভাষ্য হচ্ছে, একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কেবল সময় নয়, বরং রাজনৈতিক আস্থা ফিরিয়ে আনাও একটি জরুরি বিষয়।
বিএনপির ভাষায়, নির্বাচন বিলম্বিত হলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এই বক্তব্যের পেছনে আছে একটি বাস্তব উপলব্ধি—দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন খুব স্বাভাবিক নেই। বিএনপি সম্ভবত মনে করছে, দীর্ঘসূত্রতা একদিকে প্রশাসনের অনিশ্চয়তা বাড়াবে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা এবং আগ্রহেও ছেদ পড়বে। তদুপরি, অর্থনৈতিক মন্দা, সামাজিক উত্তেজনা ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উদ্বেগ মিলিয়ে বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে দৃশ্যত একধরনের ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা আছে, যেখানে সময়কে নমনীয় রেখে সম্ভবত বিভিন্ন পক্ষকে সন্তুষ্ট করার কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু এই ভারসাম্য যদি দ্ব্যর্থবোধকতার রূপ নেয়, তবে তা আস্থাহীনতা তৈরি করতে বাধ্য। বিশেষত যখন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুস্পষ্ট দ্বন্দ্ব ও মতানৈক্য বিদ্যমান, তখন সময় নির্ধারণে দৃষ্টান্তমূলক স্বচ্ছতা ও অঙ্গীকার প্রয়োজন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্পষ্ট করেই বলেছেন, নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই জুন অতিক্রম করবে না। তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুন সময়সীমা কোনো বিলম্বের ইঙ্গিত নয় বরং এটি পরিস্থিতি ও প্রস্তুতির ওপর নির্ভরশীল একটি সময়সীমা। তিনি এটাও বলেন, বিএনপি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে, যা রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য একটি খোলামেলা পথ তৈরি করে দেয়।
সরকার তথা প্রধান উপদেষ্টার উচিত হবে একটি নির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট এবং আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী রোডম্যাপ জাতির সামনে উপস্থাপন করা, যাতে সময়সূচি, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা এবং নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি স্পষ্টভাবে উঠে আসে। আর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উচিত হবে এই প্রক্রিয়াকে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক উপায়ে এগিয়ে নেওয়া, যাতে কোনোভাবেই জেদ বা প্রচ্ছন্ন হুমকি রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও বিষিয়ে না তোলে।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপের প্রত্যাশা নিয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে ১৬ এপ্রিল। বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’ আবার আইন উপদেষ্টা বলেছেন, ‘যখন আলোচনা শেষ হয়েছে, আমার কাছে ওনাদের দেখে খুশি লেগেছে। মনে হয়েছে, ওনাদের মনে যে প্রশ্ন ছিল, তার অনেকগুলোর উত্তর ওনারা পেয়েছেন। আমার কাছে এটা মনে হয়েছে। ফখরুল ভাইয়ের কাছে অন্য রকম মনে হতে পারে।’
এটা স্পষ্ট যে দুই পক্ষের ‘মনে হওয়া’টাও দুই রকম। আলোচনা শেষে দুই পক্ষ একমত না হতে পারলে তাকে সফল আলোচনা বলা যায় না। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় এবং তারা মনে করে, এর বাইরে যেকোনো সময়সূচি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে পারে।
এখানে একটি মৌলিক দ্বন্দ্ব স্পষ্ট: নির্দিষ্ট সময় না জানানোকে বিএনপি ‘অস্পষ্টতা’ হিসেবে দেখছে, যেখানে সরকারের ভাষ্য হচ্ছে, একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কেবল সময় নয়, বরং রাজনৈতিক আস্থা ফিরিয়ে আনাও একটি জরুরি বিষয়।
বিএনপির ভাষায়, নির্বাচন বিলম্বিত হলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এই বক্তব্যের পেছনে আছে একটি বাস্তব উপলব্ধি—দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন খুব স্বাভাবিক নেই। বিএনপি সম্ভবত মনে করছে, দীর্ঘসূত্রতা একদিকে প্রশাসনের অনিশ্চয়তা বাড়াবে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা এবং আগ্রহেও ছেদ পড়বে। তদুপরি, অর্থনৈতিক মন্দা, সামাজিক উত্তেজনা ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উদ্বেগ মিলিয়ে বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে দৃশ্যত একধরনের ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা আছে, যেখানে সময়কে নমনীয় রেখে সম্ভবত বিভিন্ন পক্ষকে সন্তুষ্ট করার কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু এই ভারসাম্য যদি দ্ব্যর্থবোধকতার রূপ নেয়, তবে তা আস্থাহীনতা তৈরি করতে বাধ্য। বিশেষত যখন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুস্পষ্ট দ্বন্দ্ব ও মতানৈক্য বিদ্যমান, তখন সময় নির্ধারণে দৃষ্টান্তমূলক স্বচ্ছতা ও অঙ্গীকার প্রয়োজন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্পষ্ট করেই বলেছেন, নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই জুন অতিক্রম করবে না। তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুন সময়সীমা কোনো বিলম্বের ইঙ্গিত নয় বরং এটি পরিস্থিতি ও প্রস্তুতির ওপর নির্ভরশীল একটি সময়সীমা। তিনি এটাও বলেন, বিএনপি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে, যা রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য একটি খোলামেলা পথ তৈরি করে দেয়।
সরকার তথা প্রধান উপদেষ্টার উচিত হবে একটি নির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট এবং আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী রোডম্যাপ জাতির সামনে উপস্থাপন করা, যাতে সময়সূচি, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা এবং নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি স্পষ্টভাবে উঠে আসে। আর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উচিত হবে এই প্রক্রিয়াকে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক উপায়ে এগিয়ে নেওয়া, যাতে কোনোভাবেই জেদ বা প্রচ্ছন্ন হুমকি রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও বিষিয়ে না তোলে।
গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। তাদের শাসন আমলে একটি নতুন অর্থবছরেরও সূচনা হয়েছে। আজ বছর পেরিয়ে অনেকেই পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন—অর্জন কতটুকু, ব্যর্থতা কোথায় এবং অন্তরায় কী কী? এমন একটি হিসাব-নিকাশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় দিকনির্দেশনা দি
২০ ঘণ্টা আগেআমরা যেন এক কদম সামনে বাড়লে পিছিয়ে পড়ি আরও দশ কদম। তখন সেই এক কদম এগিয়ে যাওয়াকে বড্ড ম্লান মনে হয়। গত প্রায় এক দশক ধরেই ঢাকার বায়ু ও পরিবেশ দূষণের শিকার। এখনো আমরা শীর্ষ বা এর আশপাশে অবস্থান করছি। এত সংস্কার কমিটি হলো, শুনেছি পরিবেশ উন্নয়নের জন্যও নাকি কমিটি গঠিত হয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে কোনোটিরই কি কো
২০ ঘণ্টা আগেবাসটা ধাক্কা দিয়েছে এক শিক্ষার্থীকে, শিক্ষার্থী করেছে তার প্রতিবাদ। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাসের চালক, চালকের সহকারী ও অন্য কর্মীরা শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়েছে বাসে। ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে পিটিয়েছে। বাসের যাত্রীরা প্রশ্ন করেছে, কিন্তু ‘চোর’কে পেটানো হচ্ছে বলা হলে তারা নির্বিকার বসে থেকেছে আসনে। চোর হলেও যে তাকে পু
২০ ঘণ্টা আগেযে রকম পরিস্থিতিতে দেশ চলছে, তাতে দেশের জনগণের স্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৫ আগস্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় সেই অস্বস্তি থেকে বের হয়ে আসার আপাতত একটা পথের দিশা পাওয়া গেল। জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা এই ভাষণ দেওয়ার আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে...
২ দিন আগে