সম্পাদকীয়
বুধবার গোপালগঞ্জে যে সংঘর্ষ হলো, তা কি এড়ানো যেত না? আবার ঝরে পড়ল চারটি তাজা প্রাণ। এনসিপির সমাবেশে হামলা হলো, সংঘর্ষ হলো, গুলি চলল, আহত হলো শতাধিক মানুষ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে, তাতে কার লাভ হবে?
গোপালগঞ্জে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা ছিল দেশব্যাপী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন সব স্ট্যাটাস দেখা যাচ্ছিল, যাতে ঘোরালো হয়ে উঠছিল পরিস্থিতি। কেউ কেউ দেশ থেকে এবং দেশের বাইরে থেকে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি গুঁড়িয়ে দেবে বলেও হুংকার দিচ্ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপির পক্ষ থেকে যদি সতর্কতামূলক পোস্ট দেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো এতটা ঘোলাটে হয়ে উঠত না। কিন্তু এনসিপির নেতাদের ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলোও কোনো সুখকর অনুভূতি দিতে পারেনি। গোপালগঞ্জে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সতর্ক প্রহরায় ছিল বলে আরও বড় সংঘাত এড়ানো গেছে।
গোপালগঞ্জের মানুষ কেন এ রকম সহিংস হয়ে উঠল, তার কারণও জানা দরকার। এনসিপি যদি তাদের সমাবেশ করে চলে যেত, তাহলে সমস্যাটা কী ছিল? এই দেশে সব দলেরই দেশের সর্বত্র সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে। এনসিপি তাদের মতো করে প্রচারণা চালাবে, বক্তব্য রাখবে, তারপর চলে যাবে। কিন্তু তাদের সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়ার আবশ্যকতা দেখা দিল কেন? গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে এনসিপি বলেছে। তদন্ত করে হামলাকারীদের পরিচয় বের করে আইনের আওতায় আনা দরকার। যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাঁদের একজনকে যুবলীগ সদস্য বলা হচ্ছে। অন্য তিনজন কোনো দলের সদস্য কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিভিন্ন প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা যাবে কি না, সে প্রশ্নটি নিয়ে আগেই ভাবা উচিত ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে সমাবেশের আগেই যদি ১৪৪ ধারা জারি করা হতো, তাহলে এ রকম সহিংস ঘটনা ঘটত না।
সব পক্ষকেই এখন শান্ত হতে হবে। প্রতিশোধস্পৃহা গণতন্ত্রকে সমুন্নত করে না, এ কথা মনে রাখতে হবে। সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা থেকে কোন পথে বেরিয়ে আসা যায়, সেটা ভাবতে হবে সবার আগে। আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, তা ক্রমেই ম্রিয়মাণ হয়ে উঠছে কেন, সেটা ভেবে দেখতে হবে। দেশের সব রাজনৈতিক দলই কেবল নয়, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিগতভাবে সব প্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের প্রশ্রয়ে কেউ যেন স্বৈরাচারে পরিণত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কিন্তু এই পথটি খুবই দুর্গম। যেকোনো বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনকারী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য শিথিল হয়ে গেলে দেশ দুর্বিপাকে পড়ে যায়। বাংলাদেশে যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে ঠান্ডা মাথায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সহিংসতা নয়, শান্তির পথ অন্বেষণ করলেই দেশ বাঁচবে।
বুধবার গোপালগঞ্জে যে সংঘর্ষ হলো, তা কি এড়ানো যেত না? আবার ঝরে পড়ল চারটি তাজা প্রাণ। এনসিপির সমাবেশে হামলা হলো, সংঘর্ষ হলো, গুলি চলল, আহত হলো শতাধিক মানুষ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে, তাতে কার লাভ হবে?
গোপালগঞ্জে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা ছিল দেশব্যাপী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন সব স্ট্যাটাস দেখা যাচ্ছিল, যাতে ঘোরালো হয়ে উঠছিল পরিস্থিতি। কেউ কেউ দেশ থেকে এবং দেশের বাইরে থেকে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি গুঁড়িয়ে দেবে বলেও হুংকার দিচ্ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপির পক্ষ থেকে যদি সতর্কতামূলক পোস্ট দেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো এতটা ঘোলাটে হয়ে উঠত না। কিন্তু এনসিপির নেতাদের ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলোও কোনো সুখকর অনুভূতি দিতে পারেনি। গোপালগঞ্জে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সতর্ক প্রহরায় ছিল বলে আরও বড় সংঘাত এড়ানো গেছে।
গোপালগঞ্জের মানুষ কেন এ রকম সহিংস হয়ে উঠল, তার কারণও জানা দরকার। এনসিপি যদি তাদের সমাবেশ করে চলে যেত, তাহলে সমস্যাটা কী ছিল? এই দেশে সব দলেরই দেশের সর্বত্র সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে। এনসিপি তাদের মতো করে প্রচারণা চালাবে, বক্তব্য রাখবে, তারপর চলে যাবে। কিন্তু তাদের সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়ার আবশ্যকতা দেখা দিল কেন? গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে এনসিপি বলেছে। তদন্ত করে হামলাকারীদের পরিচয় বের করে আইনের আওতায় আনা দরকার। যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাঁদের একজনকে যুবলীগ সদস্য বলা হচ্ছে। অন্য তিনজন কোনো দলের সদস্য কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিভিন্ন প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা যাবে কি না, সে প্রশ্নটি নিয়ে আগেই ভাবা উচিত ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে সমাবেশের আগেই যদি ১৪৪ ধারা জারি করা হতো, তাহলে এ রকম সহিংস ঘটনা ঘটত না।
সব পক্ষকেই এখন শান্ত হতে হবে। প্রতিশোধস্পৃহা গণতন্ত্রকে সমুন্নত করে না, এ কথা মনে রাখতে হবে। সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা থেকে কোন পথে বেরিয়ে আসা যায়, সেটা ভাবতে হবে সবার আগে। আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, তা ক্রমেই ম্রিয়মাণ হয়ে উঠছে কেন, সেটা ভেবে দেখতে হবে। দেশের সব রাজনৈতিক দলই কেবল নয়, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিগতভাবে সব প্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের প্রশ্রয়ে কেউ যেন স্বৈরাচারে পরিণত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কিন্তু এই পথটি খুবই দুর্গম। যেকোনো বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনকারী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য শিথিল হয়ে গেলে দেশ দুর্বিপাকে পড়ে যায়। বাংলাদেশে যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে ঠান্ডা মাথায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সহিংসতা নয়, শান্তির পথ অন্বেষণ করলেই দেশ বাঁচবে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
২১ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
২১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
২১ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
২ দিন আগে