সম্পাদকীয়
কারও ঘরে চাল নেই। কেউ এক বেলা খেতে পারলেও আরেক বেলার সংস্থান নেই। কেউ হয়তো দিনরাত অক্লান্ত খেটে, জীবন বিপন্ন করে বেঁচেবর্তে আছেন। কৃষক, মজুর, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা–এমন অসংখ্য মানুষ যখন জীবনের কঠিন কশাঘাতে পিষ্ট, তখন এ দেশেরই এক দলের কাছে উপচে পড়ছে টাকা! তাঁরা টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছেন না! তাঁরা বিপুল অঙ্কের অর্থ হয় ঘুষ, দুর্নীতি, দালালির মাধ্যমে পকেটে ঢুকিয়েছেন, না হয় বেশি দামে জমি, ফ্ল্যাট বিক্রি করে কম দাম দেখিয়ে বালিশে, ব্যাংকে নগদে জমিয়েছেন। মোটকথা, কখনোই এসবের কর দেননি। তাঁদের টাকার পাহাড় দেখে মনে হতেই পারে, তাঁদের কাছে টাকা আসছে উড়ে উড়ে। এনবিআরের কালোটাকা সাদা করার তথ্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এমন টাকা কী হারে জন্ম হচ্ছে আশপাশে।
খবর বলছে, বিদায়ী অর্থবছরে ১২ হাজার ব্যক্তি ২০ হাজার কোটি কালোটাকা বৈধ করেছেন। এর মধ্যে ১৭ হাজার কোটি টাকাই নগদ। অন্তত ৭ হাজার কালোটাকার মালিক নগদ টাকা সাদা করেছেন। তার মানে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা মানুষ হয় ঘরে ব্যাগে, বালিশের নিচে, ব্যাংকে বা যেকোনো উপায়ে হাতে ধরে রেখেছেন। মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে তা বৈধ করার সুযোগ পেয়ে এখন দলবেঁধে ঘোষণা করেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই কালোটাকা সাদা করা মানুষের বেশির ভাগই চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী।
তাঁরা এত বিপুল টাকা জমিয়েছেন যে, এখন তা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ প্রশ্ন করবে না–এ নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই ঘোষণা দিয়েছেন। নাগরিকের সমান অধিকার খর্ব করে, অনৈতিকভাবে দেওয়া সুযোগ নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা হচ্ছে।
দেশের বেশির ভাগ মানুষই সৎভাবে আয় করে তার একটি অংশ কর দেন। কারও বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা সরকারের কোষাগারে জমা হয়ে যায়। স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টার্জিত টাকার ওপর দেওয়া একটু একটু করই দেশের বিশাল রাজস্ব হিসেবে জমা হয়। ওই টাকায় পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, সড়ক-মহাসড়ক হয়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলে। আবার একদল ঠিকমতো আয় করেও উপযুক্ত কর না দিয়ে ফাঁকি দেন। শুধু তা–ই নয়; তাঁদেরই কেউ আবার অসৎ উপায়ে, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ওই টাকার একটি বিরাট অংশ নিজেদের পকেটে পোরেন। এগুলো অবৈধ বা কালোটাকা বলে গোপন রাখেন। সুযোগ পেয়ে নামমাত্র কর দিয়ে বৈধ করেন।
এ অবস্থার শেষ হওয়া উচিত। সক্ষম সবাইকে করের আওতায় এনে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কর বিভাগের নাকের ডগায় অবৈধ টাকায় একেকজন টাকার কুমির বনে যাচ্ছে–এটা হতে পারে না। বিশেষ সুযোগ দিয়ে টাকা বৈধ করার চেয়ে অবৈধ টাকাওয়ালাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ কর আদায় কর বিভাগের দায়িত্ব। কঠোর শাস্তি ও কর আদায় সমানভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
কারও ঘরে চাল নেই। কেউ এক বেলা খেতে পারলেও আরেক বেলার সংস্থান নেই। কেউ হয়তো দিনরাত অক্লান্ত খেটে, জীবন বিপন্ন করে বেঁচেবর্তে আছেন। কৃষক, মজুর, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা–এমন অসংখ্য মানুষ যখন জীবনের কঠিন কশাঘাতে পিষ্ট, তখন এ দেশেরই এক দলের কাছে উপচে পড়ছে টাকা! তাঁরা টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছেন না! তাঁরা বিপুল অঙ্কের অর্থ হয় ঘুষ, দুর্নীতি, দালালির মাধ্যমে পকেটে ঢুকিয়েছেন, না হয় বেশি দামে জমি, ফ্ল্যাট বিক্রি করে কম দাম দেখিয়ে বালিশে, ব্যাংকে নগদে জমিয়েছেন। মোটকথা, কখনোই এসবের কর দেননি। তাঁদের টাকার পাহাড় দেখে মনে হতেই পারে, তাঁদের কাছে টাকা আসছে উড়ে উড়ে। এনবিআরের কালোটাকা সাদা করার তথ্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এমন টাকা কী হারে জন্ম হচ্ছে আশপাশে।
খবর বলছে, বিদায়ী অর্থবছরে ১২ হাজার ব্যক্তি ২০ হাজার কোটি কালোটাকা বৈধ করেছেন। এর মধ্যে ১৭ হাজার কোটি টাকাই নগদ। অন্তত ৭ হাজার কালোটাকার মালিক নগদ টাকা সাদা করেছেন। তার মানে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা মানুষ হয় ঘরে ব্যাগে, বালিশের নিচে, ব্যাংকে বা যেকোনো উপায়ে হাতে ধরে রেখেছেন। মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে তা বৈধ করার সুযোগ পেয়ে এখন দলবেঁধে ঘোষণা করেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই কালোটাকা সাদা করা মানুষের বেশির ভাগই চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী।
তাঁরা এত বিপুল টাকা জমিয়েছেন যে, এখন তা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ প্রশ্ন করবে না–এ নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই ঘোষণা দিয়েছেন। নাগরিকের সমান অধিকার খর্ব করে, অনৈতিকভাবে দেওয়া সুযোগ নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা হচ্ছে।
দেশের বেশির ভাগ মানুষই সৎভাবে আয় করে তার একটি অংশ কর দেন। কারও বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা সরকারের কোষাগারে জমা হয়ে যায়। স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টার্জিত টাকার ওপর দেওয়া একটু একটু করই দেশের বিশাল রাজস্ব হিসেবে জমা হয়। ওই টাকায় পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, সড়ক-মহাসড়ক হয়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলে। আবার একদল ঠিকমতো আয় করেও উপযুক্ত কর না দিয়ে ফাঁকি দেন। শুধু তা–ই নয়; তাঁদেরই কেউ আবার অসৎ উপায়ে, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ওই টাকার একটি বিরাট অংশ নিজেদের পকেটে পোরেন। এগুলো অবৈধ বা কালোটাকা বলে গোপন রাখেন। সুযোগ পেয়ে নামমাত্র কর দিয়ে বৈধ করেন।
এ অবস্থার শেষ হওয়া উচিত। সক্ষম সবাইকে করের আওতায় এনে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কর বিভাগের নাকের ডগায় অবৈধ টাকায় একেকজন টাকার কুমির বনে যাচ্ছে–এটা হতে পারে না। বিশেষ সুযোগ দিয়ে টাকা বৈধ করার চেয়ে অবৈধ টাকাওয়ালাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ কর আদায় কর বিভাগের দায়িত্ব। কঠোর শাস্তি ও কর আদায় সমানভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
নজরুলের মূল শক্তি ছিল তাঁর গতি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। কোমলে-কঠোরে গড়া ছিল তাঁর জীবন। তাই প্রেমের কবিতা, সাম্যের কবিতা, ইসলামি কবিতা কিংবা শ্যামা সংগীত, কোনোখানেই তিনি স্থির হয়ে দাঁড়াননি। যা কিছু সুন্দর, তার প্রতি আস্থা রেখেছেন আজীবন।
২১ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসে সপ্তাহখানেক আগে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডেরিখ মার্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার...
২১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের তারাকান্দা এন ইসলামিয়া একাডেমি কলেজে একজন আয়াকে প্রভাষক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে অফিস সহকারী নিয়োগ এবং একই প্রভাষককে দুই বিষয়ে নিয়োগ দেখিয়ে ২২ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের...
২১ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
২ দিন আগে