সম্পাদকীয়
সম্ভবত সাধারণ ভোক্তাই সবচেয়ে বেশি অসহায়! তার পক্ষে কথা বলার যেন কেউ নেই! বিক্রেতা, আমদানিকারক, ব্যবসায়ী সবারই দল আছে, সিন্ডিকেট আছে; শুধু দলছুট ভোক্তা! ফলে নানান অজুহাত, বাহানায় পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাকে চুষে নেওয়া খুব সহজ। বৃষ্টিতে সব পচে গেছে, উৎপাদন কম হয়েছে, জোগান কম, ঈদ ও পয়লা বৈশাখ তাই একটু বেশি, পাইকারিতে দাম বেড়েছে, বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে, ওমুক এই করেছে, তমুক ওই করেছে—এসব হলো তাদের চিরাচরিত যুক্তি আর বাহানা। ভোক্তা তো আর না খেয়ে মরে যেতে পারে না! তাই নিরুপায় হয়ে মেনে নিতে হয়। সততা আর সংযম বলে যে কিছু মূল্যবোধ রয়েছে, সেটা যেন ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীর অভিধানে নেই!
খবর হয়েছে, দু-তিন দিনের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম মণে ২৭৫ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রভাব পড়েছে খুচরায়ও। কেন বাড়ল? সহজ জবাব, ভারত মজুত করছে তাই আমাদের এখানে বেড়েছে। আর কী? বিশ্ববাজারে বেড়েছে, করোনায় উৎপাদন কম হয়েছে, তাই আমাদের ব্যবসায়ীরাও বাড়িয়েছেন।
তো ভারত নিশ্চয় দু-তিন দিন আগে এসব তেলের এলসি খোলেনি? আর উৎস দেশ থেকে তা দু-তিন দিনেও আসেনি। এলসি খোলা থেকে জাহাজীকরণ, সমুদ্রপথে তা দেশে আসা, বন্দরে খালাস থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগার কথা। রপ্তানিকারক দেশ দাম বাড়িয়ে দিল, তার দুই দিন পরই বাংলাদেশেও দাম বাড়ল—এখানে কি কোনো জাদুর স্পর্শ আছে?
পণ্যের কেনা দামেই তো এর দাম নির্ধারণ হওয়ার কথা। যে পণ্য ব্যবসায়ীর মজুতে, সেটির দাম রপ্তানিকারক দেশে বাড়ার দুই দিন পরই কেন বাড়বে? তাহলে কী পণ্যটি উড়ে এসে একেবারে পাইকারি বিক্রেতার মজুতখানায় ঢুকেছে? তা তো হওয়ার কথা নয়। তাহলে তাঁরা কেন বাড়ালেন পণ্যটির দাম? আর কেনই-বা বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার যুক্তি দেখিয়ে দাম বাড়ালেন?
ইনডেক্স মুন্ডি ডটকমও বলছে, মে মাসে টনপ্রতি যেখানে দাম ১ হাজার ৫৫৪ ডলার ছিল, জুনে তা কমে বিক্রি হয় ১ হাজার ৪২০ ডলারে। তাতে তো দেখা যাচ্ছে দাম বরং কমেছে! তাহলে বিশ্ববাজারের অজুহাত কেন দিচ্ছেন তাঁরা? বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে থাকেন। কারসাজি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, একটি অসাধু চক্র ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে। নানান অজুহাতে মুহূর্তের মধ্যে দেশে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। শুল্কসুবিধা নেওয়ার একটা পাঁয়তারা হতে পারে। শুল্ক কমালে এর সুবিধা ভোক্তা নয়, এরাই পায়। এটা অবিলম্বে খতিয়ে দেখা হোক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে শুধু মুখে নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে।
সম্ভবত সাধারণ ভোক্তাই সবচেয়ে বেশি অসহায়! তার পক্ষে কথা বলার যেন কেউ নেই! বিক্রেতা, আমদানিকারক, ব্যবসায়ী সবারই দল আছে, সিন্ডিকেট আছে; শুধু দলছুট ভোক্তা! ফলে নানান অজুহাত, বাহানায় পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাকে চুষে নেওয়া খুব সহজ। বৃষ্টিতে সব পচে গেছে, উৎপাদন কম হয়েছে, জোগান কম, ঈদ ও পয়লা বৈশাখ তাই একটু বেশি, পাইকারিতে দাম বেড়েছে, বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে, ওমুক এই করেছে, তমুক ওই করেছে—এসব হলো তাদের চিরাচরিত যুক্তি আর বাহানা। ভোক্তা তো আর না খেয়ে মরে যেতে পারে না! তাই নিরুপায় হয়ে মেনে নিতে হয়। সততা আর সংযম বলে যে কিছু মূল্যবোধ রয়েছে, সেটা যেন ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীর অভিধানে নেই!
খবর হয়েছে, দু-তিন দিনের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম মণে ২৭৫ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রভাব পড়েছে খুচরায়ও। কেন বাড়ল? সহজ জবাব, ভারত মজুত করছে তাই আমাদের এখানে বেড়েছে। আর কী? বিশ্ববাজারে বেড়েছে, করোনায় উৎপাদন কম হয়েছে, তাই আমাদের ব্যবসায়ীরাও বাড়িয়েছেন।
তো ভারত নিশ্চয় দু-তিন দিন আগে এসব তেলের এলসি খোলেনি? আর উৎস দেশ থেকে তা দু-তিন দিনেও আসেনি। এলসি খোলা থেকে জাহাজীকরণ, সমুদ্রপথে তা দেশে আসা, বন্দরে খালাস থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগার কথা। রপ্তানিকারক দেশ দাম বাড়িয়ে দিল, তার দুই দিন পরই বাংলাদেশেও দাম বাড়ল—এখানে কি কোনো জাদুর স্পর্শ আছে?
পণ্যের কেনা দামেই তো এর দাম নির্ধারণ হওয়ার কথা। যে পণ্য ব্যবসায়ীর মজুতে, সেটির দাম রপ্তানিকারক দেশে বাড়ার দুই দিন পরই কেন বাড়বে? তাহলে কী পণ্যটি উড়ে এসে একেবারে পাইকারি বিক্রেতার মজুতখানায় ঢুকেছে? তা তো হওয়ার কথা নয়। তাহলে তাঁরা কেন বাড়ালেন পণ্যটির দাম? আর কেনই-বা বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার যুক্তি দেখিয়ে দাম বাড়ালেন?
ইনডেক্স মুন্ডি ডটকমও বলছে, মে মাসে টনপ্রতি যেখানে দাম ১ হাজার ৫৫৪ ডলার ছিল, জুনে তা কমে বিক্রি হয় ১ হাজার ৪২০ ডলারে। তাতে তো দেখা যাচ্ছে দাম বরং কমেছে! তাহলে বিশ্ববাজারের অজুহাত কেন দিচ্ছেন তাঁরা? বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে থাকেন। কারসাজি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, একটি অসাধু চক্র ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে। নানান অজুহাতে মুহূর্তের মধ্যে দেশে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। শুল্কসুবিধা নেওয়ার একটা পাঁয়তারা হতে পারে। শুল্ক কমালে এর সুবিধা ভোক্তা নয়, এরাই পায়। এটা অবিলম্বে খতিয়ে দেখা হোক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে শুধু মুখে নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে।
নজরুলের মূল শক্তি ছিল তাঁর গতি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। কোমলে-কঠোরে গড়া ছিল তাঁর জীবন। তাই প্রেমের কবিতা, সাম্যের কবিতা, ইসলামি কবিতা কিংবা শ্যামা সংগীত, কোনোখানেই তিনি স্থির হয়ে দাঁড়াননি। যা কিছু সুন্দর, তার প্রতি আস্থা রেখেছেন আজীবন।
১৮ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসে সপ্তাহখানেক আগে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডেরিখ মার্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার...
১৮ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের তারাকান্দা এন ইসলামিয়া একাডেমি কলেজে একজন আয়াকে প্রভাষক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে অফিস সহকারী নিয়োগ এবং একই প্রভাষককে দুই বিষয়ে নিয়োগ দেখিয়ে ২২ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের...
১৮ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
২ দিন আগে