সম্পাদকীয়
কোনো দুই ব্যক্তির মধ্যে টেলিফোন আলাপচারিতা ‘পাবলিক’ করে দেওয়ার মধ্যে নৈতিকতা নেই। যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের মধ্যে কথোপকথনে কী বলল, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এ ব্যাপারে আড়ি পাতা কিংবা কোনোভাবে সে আলাপচারিতা সংগ্রহ করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার মধ্যে বীরত্ব নেই। তাতে সংশ্লিষ্ট দুজন মানুষের প্রাইভেসি নষ্ট হয়।
অবশ্য এই ব্যক্তিগত কথোপকথন ‘পাবলিক’ হয়ে যাওয়ার পর আলাপনের বিষয়বস্তু নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। যে কথোপকথন বা আলাপচারিতা নিয়ে দিনভর কথা হচ্ছে, তার মধ্যে নৈতিকতা ছিল কতখানি? ইদানীং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কি সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনে নতুন ধরনের কোনো আদর্শের আমদানি করছেন? এনসিপির একজন নেতা তাঁরই সতীর্থ এক নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় যে শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা কি তিনি তাঁর অবস্থান থেকে ব্যবহার করতে পারেন? সংগত কারণেই সেই অরুচিকর শব্দটির উল্লেখ করা হলো না, কিন্তু আলাপচারিতার সময় যদি এ রকম শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে রুচিবোধ, দায়বোধ, রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ততা—সবকিছুই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। এই বিষয়টিকে অন্তত বিগত সরকারের ফেলে যাওয়া লিগ্যাসি হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যাবে না।
রাজনীতির মাঠটি কলুষিত হয়ে উঠেছে নানা কারণে। তার একটি হচ্ছে, অন্যকে বলার সুযোগ না দিয়ে শুধু নিজের কথাটা বলে যাওয়ার প্রবণতা। তাতে নিজের ভুলগুলোর দিকে দৃষ্টি দেওয়া যায় না। প্রত্যেকেই মনে করে থাকেন, তিনি যা বলছেন, সেটাই একমাত্র সত্য। ফলে, যখন কেউ কারও সমালোচনা করে, তখন সত্যের সঙ্গে বিরোধ হয়। সত্যের কাছাকাছি পৌঁছানো তখন কঠিন হয়ে পড়ে। এই সূত্র ধরেই বলা যায়, টক শো কিংবা বিতর্কে জয়ী হওয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত-সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনেও জয়ী হওয়া যায় না। এখানেও নিজের কথাটাই শুধু বলা হয়। অন্য কারও কথা শোনা হয় না। আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, ঘটনাটি ‘পাবলিক’ করে দেওয়ার জন্য যতটা ক্ষোভ ঝাড়া হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটানোর জন্য সে রকম অনুশোচনা দেখা যাচ্ছে না। একজন বিচক্ষণ মানুষ কী করে একজন নারীকে ওই রকম একটি অভব্য শব্দ বলতে পারেন? আমাদের যে মূল্যবোধ ছিল, তা কি ক্ষয়ে গেছে, নাকি নতুন মূল্যবোধের জন্ম হচ্ছে? আমরা কি এই শব্দটিকে অরুচিকর ভেবে ভুল করছি? আমাদের ভাবনাতেই কি গলদ আছে? নাকি বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এই শব্দটি এখন মহিমান্বিত হয়ে গেছে?
তরুণদের রুচিবোধের প্রতি কটাক্ষ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। তরুণেরাই জাতির ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই তরুণেরা কোন ভাষা ব্যবহার করছে, কোন বিষয়ে কীভাবে কথা বলছে, অন্যকে সম্মান করছে কি না, নিজের আত্মবিশ্বাস দিয়ে অন্যকে অন্যায়ভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে কি না, সেটাও ওই তরুণদেরই দেখতে হবে। তারুণ্যকেই এইসব অরুচিকর প্রবণতাকে ‘নো’ বলতে হবে। রাজনীতিতে যেন নৈতিকতার পাঠ থাকে এবং সেই নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করলে তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
কোনো দুই ব্যক্তির মধ্যে টেলিফোন আলাপচারিতা ‘পাবলিক’ করে দেওয়ার মধ্যে নৈতিকতা নেই। যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের মধ্যে কথোপকথনে কী বলল, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এ ব্যাপারে আড়ি পাতা কিংবা কোনোভাবে সে আলাপচারিতা সংগ্রহ করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার মধ্যে বীরত্ব নেই। তাতে সংশ্লিষ্ট দুজন মানুষের প্রাইভেসি নষ্ট হয়।
অবশ্য এই ব্যক্তিগত কথোপকথন ‘পাবলিক’ হয়ে যাওয়ার পর আলাপনের বিষয়বস্তু নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। যে কথোপকথন বা আলাপচারিতা নিয়ে দিনভর কথা হচ্ছে, তার মধ্যে নৈতিকতা ছিল কতখানি? ইদানীং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কি সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনে নতুন ধরনের কোনো আদর্শের আমদানি করছেন? এনসিপির একজন নেতা তাঁরই সতীর্থ এক নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় যে শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা কি তিনি তাঁর অবস্থান থেকে ব্যবহার করতে পারেন? সংগত কারণেই সেই অরুচিকর শব্দটির উল্লেখ করা হলো না, কিন্তু আলাপচারিতার সময় যদি এ রকম শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে রুচিবোধ, দায়বোধ, রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ততা—সবকিছুই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। এই বিষয়টিকে অন্তত বিগত সরকারের ফেলে যাওয়া লিগ্যাসি হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যাবে না।
রাজনীতির মাঠটি কলুষিত হয়ে উঠেছে নানা কারণে। তার একটি হচ্ছে, অন্যকে বলার সুযোগ না দিয়ে শুধু নিজের কথাটা বলে যাওয়ার প্রবণতা। তাতে নিজের ভুলগুলোর দিকে দৃষ্টি দেওয়া যায় না। প্রত্যেকেই মনে করে থাকেন, তিনি যা বলছেন, সেটাই একমাত্র সত্য। ফলে, যখন কেউ কারও সমালোচনা করে, তখন সত্যের সঙ্গে বিরোধ হয়। সত্যের কাছাকাছি পৌঁছানো তখন কঠিন হয়ে পড়ে। এই সূত্র ধরেই বলা যায়, টক শো কিংবা বিতর্কে জয়ী হওয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত-সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনেও জয়ী হওয়া যায় না। এখানেও নিজের কথাটাই শুধু বলা হয়। অন্য কারও কথা শোনা হয় না। আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, ঘটনাটি ‘পাবলিক’ করে দেওয়ার জন্য যতটা ক্ষোভ ঝাড়া হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটানোর জন্য সে রকম অনুশোচনা দেখা যাচ্ছে না। একজন বিচক্ষণ মানুষ কী করে একজন নারীকে ওই রকম একটি অভব্য শব্দ বলতে পারেন? আমাদের যে মূল্যবোধ ছিল, তা কি ক্ষয়ে গেছে, নাকি নতুন মূল্যবোধের জন্ম হচ্ছে? আমরা কি এই শব্দটিকে অরুচিকর ভেবে ভুল করছি? আমাদের ভাবনাতেই কি গলদ আছে? নাকি বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এই শব্দটি এখন মহিমান্বিত হয়ে গেছে?
তরুণদের রুচিবোধের প্রতি কটাক্ষ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। তরুণেরাই জাতির ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই তরুণেরা কোন ভাষা ব্যবহার করছে, কোন বিষয়ে কীভাবে কথা বলছে, অন্যকে সম্মান করছে কি না, নিজের আত্মবিশ্বাস দিয়ে অন্যকে অন্যায়ভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে কি না, সেটাও ওই তরুণদেরই দেখতে হবে। তারুণ্যকেই এইসব অরুচিকর প্রবণতাকে ‘নো’ বলতে হবে। রাজনীতিতে যেন নৈতিকতার পাঠ থাকে এবং সেই নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করলে তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুদ্ধি অভিযান বাংলাদেশে স্পষ্টভাবে চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত অন্তত ছয়জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গণপিটুনির মাধ্যমে অসংখ্য সংবাদমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। শত শত সাংবাদিককে বিনা নোটিশে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা...
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়—শুধু গবেষণায় নয়, মানবিক দায়বদ্ধতায়ও। যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখিয়ে দিয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়; বরং তা ন্যায়, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীল...
১৫ ঘণ্টা আগেএই জীবনে মানুষ হয়ে জন্মানো আর মানুষ হয়ে ওঠা—এই দুইয়ের মাঝে যে সংযোগ, তাকে যদি ‘ম্যাজিক রিয়্যালিজম’ বলি? কথাটির সহজ কোনো মানে কি করা যায়? জীবনের শুরুতে কিংবা বেড়ে উঠতে উঠতে কতটুকুইবা বুঝতে পারা যায়? বোঝাটুকুর জন্যই যে মনের বৃদ্ধি দরকার!
১৫ ঘণ্টা আগে