সম্পাদকীয়
খুলনা স্টেডিয়ামের অবস্থা দেখলে প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুকুমার রায় ‘হ-য-ব-র-ল’-এর মতো আরেকটি লেখা লিখতে পারতেন। শেখ আবু নাসের নামাঙ্কিত এই স্টেডিয়ামের পরতে পরতে হাসির উপাদান খুঁজে পাওয়া যাবে। চুপি চুপি বলে রাখি, আমাদের জাতীয় ক্রিকেট যে বহুদিন ধরে ধুঁকছে, তারও একটা নজির হয়ে টিকে আছে এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি।
স্মরণ করিয়ে দেওয়া ভালো, এই ভেন্যুতে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। সে বছরের এপ্রিলে যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল, তাতে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল স্টেডিয়ামটি। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি মুমূর্ষু এই মাঠ।
ওই যে শুরুতে সুকুমার রায়ের ‘হ-য-ব-র-ল’-এর কথা বললাম, সে প্রসঙ্গেই আসি। স্টেডিয়ামবিষয়ক কোনো প্রশ্ন করলে কর্তৃপক্ষ কী উত্তর দিতে পারে, তা নিয়ে কল্পনার ভেলায় উড়ে বেড়ালে দেখা যাবে, হ-য-ব-র-ল-এর উদ্ভট কাণ্ডকারখানার সঙ্গে তা হবে একেবারে মানানসই। আন্তর্জাতিক ভেন্যু পরিদর্শনে গিয়ে কেউ যদি স্টেডিয়ামের তত্ত্বাবধায়ককে প্রশ্ন করেন, ‘আচ্ছা, আপনাদের স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নিয়ে একটু কথা বলতে চাই। বোলিং মেশিনের কী অবস্থা?’ উত্তর আসবে, ‘নষ্ট।’ ‘স্কোর বোর্ড?’ ‘প্রায় নষ্ট।’ ‘প্রেসিডেন্ট বক্স?’ ‘ওখানে প্রেসিডেন্ট কেন, রাস্তার ভিক্ষুককে এনে বসালেও সে লজ্জা পাবে!’ ‘ড্রেসিং রুম?’ ‘ঠিক করতে হবে।’ ‘টিভি ক্যামেরা?’ ‘মরিচা ধরেছে।’ ‘গ্যালারির চেয়ারগুলো তো অক্ষত আছে?’ ‘না।
একটা চেয়ারও অক্ষত নেই।’ এটাকে সুকুমার রায়ের সেই ‘ছাব্বিশ ইঞ্চি’র ফিতের মতো মনে হচ্ছে না?
‘হ-য-ব-র-ল’ থাক, আবোলতাবোলে আসি। ‘সৎপাত্র’ কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি মনে আছে তো? ‘শুনতে পেলুম পোস্তা গিয়ে, তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে?/ গঙ্গারামকে পাত্র পেলে, জানতে চাও সে কেমন ছেলে?’ এরপর সেই ছেলের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে কনেপক্ষ ভুলেও সেই পাত্রের সঙ্গে তাদের মেয়ের বিয়ে দেবে না। তেমনি খুলনা স্টেডিয়ামের যে বর্ণনা পাওয়া গেল আজকের পত্রিকার খুলনা সংস্করণে, তাতেও মনে হয়, এই ভেন্যুকে ‘আদর্শ স্টেডিয়াম’ নাম দিলেও আর কোনো দিনই এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উৎসব বসতে পারবে না। খুলনা স্টেডিয়ামে ‘নেই’-এর সংখ্যা এত বেশি যে তা ‘আছে’তে পরিণত করা খুব কঠিন। আমাদের ক্রিকেট বোর্ড, জাতীয় দল, নতুন খেলোয়াড় তৈরির প্রক্রিয়া সবকিছুই যখন লেজেগোবরে হয়ে গেছে, তখন একটি মুমূর্ষু স্টেডিয়াম আর কতটা অগ্রাধিকার পাবে?
ক্রিকেটেই পৃথিবীর সেরা দলগুলোকে কোনো না কোনো সময় হারিয়েছি আমরা। এর মূল কারণ ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, ক্রিকেট বোর্ডের দক্ষতা, সুদক্ষ হাতে খেলোয়াড় তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, খেলোয়াড়দের টিম স্পিরিট। এখন এই সবকিছুতেই মন্দা। আত্মশক্তি যেখানে খাবি খাচ্ছে, হাবুডুবু খাচ্ছে, সেখানে খুলনার একটি স্টেডিয়াম আবার ‘ফুলে-ফলে-সুশোভিত’ হয়ে উঠবে—এ রকম আশা করতেও ভয় লাগে।
খুলনা স্টেডিয়ামের অবস্থা দেখলে প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুকুমার রায় ‘হ-য-ব-র-ল’-এর মতো আরেকটি লেখা লিখতে পারতেন। শেখ আবু নাসের নামাঙ্কিত এই স্টেডিয়ামের পরতে পরতে হাসির উপাদান খুঁজে পাওয়া যাবে। চুপি চুপি বলে রাখি, আমাদের জাতীয় ক্রিকেট যে বহুদিন ধরে ধুঁকছে, তারও একটা নজির হয়ে টিকে আছে এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি।
স্মরণ করিয়ে দেওয়া ভালো, এই ভেন্যুতে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। সে বছরের এপ্রিলে যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল, তাতে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল স্টেডিয়ামটি। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি মুমূর্ষু এই মাঠ।
ওই যে শুরুতে সুকুমার রায়ের ‘হ-য-ব-র-ল’-এর কথা বললাম, সে প্রসঙ্গেই আসি। স্টেডিয়ামবিষয়ক কোনো প্রশ্ন করলে কর্তৃপক্ষ কী উত্তর দিতে পারে, তা নিয়ে কল্পনার ভেলায় উড়ে বেড়ালে দেখা যাবে, হ-য-ব-র-ল-এর উদ্ভট কাণ্ডকারখানার সঙ্গে তা হবে একেবারে মানানসই। আন্তর্জাতিক ভেন্যু পরিদর্শনে গিয়ে কেউ যদি স্টেডিয়ামের তত্ত্বাবধায়ককে প্রশ্ন করেন, ‘আচ্ছা, আপনাদের স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নিয়ে একটু কথা বলতে চাই। বোলিং মেশিনের কী অবস্থা?’ উত্তর আসবে, ‘নষ্ট।’ ‘স্কোর বোর্ড?’ ‘প্রায় নষ্ট।’ ‘প্রেসিডেন্ট বক্স?’ ‘ওখানে প্রেসিডেন্ট কেন, রাস্তার ভিক্ষুককে এনে বসালেও সে লজ্জা পাবে!’ ‘ড্রেসিং রুম?’ ‘ঠিক করতে হবে।’ ‘টিভি ক্যামেরা?’ ‘মরিচা ধরেছে।’ ‘গ্যালারির চেয়ারগুলো তো অক্ষত আছে?’ ‘না।
একটা চেয়ারও অক্ষত নেই।’ এটাকে সুকুমার রায়ের সেই ‘ছাব্বিশ ইঞ্চি’র ফিতের মতো মনে হচ্ছে না?
‘হ-য-ব-র-ল’ থাক, আবোলতাবোলে আসি। ‘সৎপাত্র’ কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি মনে আছে তো? ‘শুনতে পেলুম পোস্তা গিয়ে, তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে?/ গঙ্গারামকে পাত্র পেলে, জানতে চাও সে কেমন ছেলে?’ এরপর সেই ছেলের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে কনেপক্ষ ভুলেও সেই পাত্রের সঙ্গে তাদের মেয়ের বিয়ে দেবে না। তেমনি খুলনা স্টেডিয়ামের যে বর্ণনা পাওয়া গেল আজকের পত্রিকার খুলনা সংস্করণে, তাতেও মনে হয়, এই ভেন্যুকে ‘আদর্শ স্টেডিয়াম’ নাম দিলেও আর কোনো দিনই এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উৎসব বসতে পারবে না। খুলনা স্টেডিয়ামে ‘নেই’-এর সংখ্যা এত বেশি যে তা ‘আছে’তে পরিণত করা খুব কঠিন। আমাদের ক্রিকেট বোর্ড, জাতীয় দল, নতুন খেলোয়াড় তৈরির প্রক্রিয়া সবকিছুই যখন লেজেগোবরে হয়ে গেছে, তখন একটি মুমূর্ষু স্টেডিয়াম আর কতটা অগ্রাধিকার পাবে?
ক্রিকেটেই পৃথিবীর সেরা দলগুলোকে কোনো না কোনো সময় হারিয়েছি আমরা। এর মূল কারণ ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, ক্রিকেট বোর্ডের দক্ষতা, সুদক্ষ হাতে খেলোয়াড় তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, খেলোয়াড়দের টিম স্পিরিট। এখন এই সবকিছুতেই মন্দা। আত্মশক্তি যেখানে খাবি খাচ্ছে, হাবুডুবু খাচ্ছে, সেখানে খুলনার একটি স্টেডিয়াম আবার ‘ফুলে-ফলে-সুশোভিত’ হয়ে উঠবে—এ রকম আশা করতেও ভয় লাগে।
রাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বাস্তবায়নের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ এবং চীন-ভারতের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশকে জটিল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে ফেলতে পারে। এটি শুধু সীমান্ত নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি পাঠাগারে আক্রমণ চালিয়ে কিছু ব্যক্তি সব বইপুস্তক নিয়ে যায়। তাদের ইচ্ছে ছিল আগুন দিয়ে লাইব্রেরিটি ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের হস্তক্ষেপে লাইব্রেরিটি ভস্মীভূত হওয়া থেকে মুক্তি পায়।
১ দিন আগেমে দিবস আসে প্রতিবছর, আসে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিতে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট আন্দোলনের আগুন আজও নিভে যায়নি, বরং সময়ের পরম্পরায় সেই আগুনই আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্নে।
১ দিন আগেজার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়।
১ দিন আগে