সম্পাদকীয়
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে আগামী নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে আগ্রহী ও উৎসাহী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত সোমবার বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।’ নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এক বছর আগের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি আরও বলেছেন, ‘অদৃশ্য শক্তি বিভিন্নভাবে কাজ করছে, ষড়যন্ত্র চলছে।’
কে, কীভাবে, কী ষড়যন্ত্র করছে তা আমাদের জানা নেই। তাই ওই দিকে না গিয়ে আমরা বরং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর সাম্প্রতিক জরিপের দিকে নজর দিতে পারি। গতকাল মঙ্গলবার এই বিষয়ে আজকের পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির জনপ্রিয়তা গত বছরের অক্টোবরে ১৬.৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশে। আওয়ামী লীগেরও সমর্থন ৮.৯ শতাংশ থেকে নেমে ৭.৩ শতাংশে এসেছে। জামায়াত, জাতীয় পার্টি এবং অন্যান্য ইসলামি দলের সমর্থনও একই সময়ে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে তরুণ নেতৃত্বের নতুন দল এনসিপির জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও বেড়েছে—২ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে। যদিও এটি আপাতদৃষ্টিতে ছোট সংখ্যা, তবু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন দলের জন্য এটি একটি লক্ষণীয় সূচনা।
তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হলো, ৪৮.৫ শতাংশ ভোটার এখনো বলেননি তাঁরা কাকে ভোট দেবেন। এর মানে, নির্বাচনী মাঠে এখনো অর্ধেকের বেশি ভোট নির্ধারিত হয়নি। এই অনিশ্চয়তা একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে সুযোগও বটে। দলগুলো যদি সঠিক প্রার্থী মনোনয়ন, পরিষ্কার কর্মসূচি এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, তবে এই বিশাল অনির্ধারিত ভোটার গোষ্ঠীই হতে পারে তাদের জয়ের চাবিকাঠি।
এই জরিপের আরেকটি দিক হলো নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে মানুষের ধারণা। ৩৮ শতাংশ মনে করছেন তাঁদের এলাকায় বিএনপির প্রার্থী জিতবেন, ১৩ শতাংশ জামায়াত, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং মাত্র ১ শতাংশ এনসিপির জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন। এই চিত্র দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তি ও মাঠপর্যায়ের প্রচারের প্রভাব স্পষ্ট করে। তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।
নির্বাচন সামনে রেখে এখন মূল প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক দলগুলো কি এই অনিশ্চিত ও অস্থির জনমতকে নিজেদের পক্ষে ঘুরিয়ে নিতে পারবে? ভোটারদের অনীহা ও দ্বিধা শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনে কতটুকু সহায়ক হবে?
দেশের গণতন্ত্র আজ একটি সংবেদনশীল মোড়ে দাঁড়িয়ে। সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নয়, বরং গোটা রাষ্ট্রের জন্য জরুরি। জরিপের বার্তা স্পষ্ট, মানুষ পরিবর্তন চায়, কিন্তু তারা এখনো অপেক্ষা করছে কাদের ওপর ভরসা করা যায় তা দেখার জন্য। এই আস্থা অর্জনই আগামী নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মূল চাবিকাঠি।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে আগামী নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে আগ্রহী ও উৎসাহী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত সোমবার বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।’ নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এক বছর আগের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি আরও বলেছেন, ‘অদৃশ্য শক্তি বিভিন্নভাবে কাজ করছে, ষড়যন্ত্র চলছে।’
কে, কীভাবে, কী ষড়যন্ত্র করছে তা আমাদের জানা নেই। তাই ওই দিকে না গিয়ে আমরা বরং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর সাম্প্রতিক জরিপের দিকে নজর দিতে পারি। গতকাল মঙ্গলবার এই বিষয়ে আজকের পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির জনপ্রিয়তা গত বছরের অক্টোবরে ১৬.৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশে। আওয়ামী লীগেরও সমর্থন ৮.৯ শতাংশ থেকে নেমে ৭.৩ শতাংশে এসেছে। জামায়াত, জাতীয় পার্টি এবং অন্যান্য ইসলামি দলের সমর্থনও একই সময়ে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে তরুণ নেতৃত্বের নতুন দল এনসিপির জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও বেড়েছে—২ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে। যদিও এটি আপাতদৃষ্টিতে ছোট সংখ্যা, তবু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন দলের জন্য এটি একটি লক্ষণীয় সূচনা।
তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হলো, ৪৮.৫ শতাংশ ভোটার এখনো বলেননি তাঁরা কাকে ভোট দেবেন। এর মানে, নির্বাচনী মাঠে এখনো অর্ধেকের বেশি ভোট নির্ধারিত হয়নি। এই অনিশ্চয়তা একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে সুযোগও বটে। দলগুলো যদি সঠিক প্রার্থী মনোনয়ন, পরিষ্কার কর্মসূচি এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, তবে এই বিশাল অনির্ধারিত ভোটার গোষ্ঠীই হতে পারে তাদের জয়ের চাবিকাঠি।
এই জরিপের আরেকটি দিক হলো নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে মানুষের ধারণা। ৩৮ শতাংশ মনে করছেন তাঁদের এলাকায় বিএনপির প্রার্থী জিতবেন, ১৩ শতাংশ জামায়াত, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং মাত্র ১ শতাংশ এনসিপির জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন। এই চিত্র দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তি ও মাঠপর্যায়ের প্রচারের প্রভাব স্পষ্ট করে। তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।
নির্বাচন সামনে রেখে এখন মূল প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক দলগুলো কি এই অনিশ্চিত ও অস্থির জনমতকে নিজেদের পক্ষে ঘুরিয়ে নিতে পারবে? ভোটারদের অনীহা ও দ্বিধা শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনে কতটুকু সহায়ক হবে?
দেশের গণতন্ত্র আজ একটি সংবেদনশীল মোড়ে দাঁড়িয়ে। সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নয়, বরং গোটা রাষ্ট্রের জন্য জরুরি। জরিপের বার্তা স্পষ্ট, মানুষ পরিবর্তন চায়, কিন্তু তারা এখনো অপেক্ষা করছে কাদের ওপর ভরসা করা যায় তা দেখার জন্য। এই আস্থা অর্জনই আগামী নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মূল চাবিকাঠি।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক গভীর রূপান্তরের ভেতর দিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলের পরিণতিতে যখন দেশে একধরনের দমন-পীড়ন ও এককেন্দ্রিক ক্ষমতার গঠন স্পষ্ট হয়ে উঠছিল, তখন নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ মিলে গড়ে তোলে এক অভাবিত প্রতিরোধ,
১৭ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের বছর পূর্তিতে আমাদের অর্জন কী, সে প্রশ্ন আজ সবার। জুলাই আন্দোলনের সময় কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বক্তব্য না থাকলেও শেখ হাসিনার পতনের পর মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল—রাষ্ট্রের যে পদ্ধতি শাসককে কর্তৃত্বপরায়ণ, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্টে পরিণত করে, সেই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।
১৮ ঘণ্টা আগেলুটপাটের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন শেখ হাসিনা ও তাঁর দলবল। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনি সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়েছিলেন সম্পদ লুণ্ঠনের অধিকার। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে রয়ে গেছে লুটেরা সিন্ডিকেট। গণমাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখল
১ দিন আগেশান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
২ দিন আগে