সম্পাদকীয়
অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে যেন তামাশা না হয় সে কথা লিখেছেন তাঁর ফেসবুক পাতায়। ফেসবুক নিজস্ব, সুতরাং সেখানে যে কেউ তাঁর মনের কথা লিখতেই পারেন। কিন্তু এটাও স্বাধীনতার মতোই একটা ব্যাপার। স্ব-অধীনতা না থাকলে সেই স্বাধীনতা মূল্যহীন। কখনো কখনো তা যথেচ্ছাচারে পরিণত হয়। তাই গণ্যমান্য ব্যক্তির ফেসবুকে করা উক্তির মূল্য রয়েছে। সাধারণ মানুষ তাতে প্রভাবিত হতেই পারে।
১৪ ফেব্রুয়ারি নানাভাবে পালিত হয়ে থাকে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ভবনের সামনে গুলি চলেছিল এবং তাতে হতাহত হয়েছিলেন অনেকে। জাফর, জয়নাল, দিপালী, তিতাসের নাম এখনো মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। কেউ যদি এই দিনটিকে ছাত্র আন্দোলনের দিন হিসেবে পালন করেন, তাহলে সেটা তিনি করতেই পারেন। আবার কেউ যদি ভালোবাসা দিবস হিসেবে দিনটিকে দেখতে চান, তাহলে তিনি সেভাবেই দেখবেন। এখানে রঙ্গ-তামাশার প্রশ্ন তোলা ঠিক কি না, সে বিবেচনা পাঠকের।
দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নয়। কীভাবে সেই সংকট মোকাবিলা করা যাবে, সেদিকে উপদেষ্টাদের অধিক মনোযোগী হওয়া উচিত। সংস্কারের আগে নির্বাচন, নাকি নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং নির্বাচন একই সঙ্গে হবে—এই বিষয়গুলোর ফয়সালা করা দরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, ব্যাংক প্রশাসনে শৃঙ্খলা আনা দরকার। মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। আইনের শাসন নিশ্চিত করা দরকার। কাজের শেষ নেই। এ রকম এক অবস্থায় ভালোবাসা দিবস নিয়ে টানাটানি খুব সুবিবেচনাপ্রসূত বলে মনে হয় না।
বাস্তব জগৎ এবং ভার্চুয়াল জগৎ মিলেমিশে এখন এক হয়ে গেছে। এ অবস্থায় খুব দ্রুত নানা কথা ছড়ায় এবং খুব দ্রুত মানুষ সেই ছড়ানো কথাকে খাঁটি হিসেবে বিবেচনা করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়। ডিজিটাল মাধ্যমে বলা কথার শক্তিও অনেক বেশি। এ অবস্থায় সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মেপে কথা বলবেন, বুঝে কথা বলবেন, এ চাওয়া খুবই স্বাভাবিক। ডিজিটাল মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া কথায় লাগাম দেওয়া যায় না বলে হয় তাকে অগ্রাহ্য করতে হবে, অথবা মূল্য দিতে হবে। এর বাইরে কিছু করার নেই।
ধর্মীয় মৌলবাদীর একটি অংশ কখনোই চায় না এ দেশে ভালোবাসা দিবস পালিত হোক। সেদিন যদি কোনো অঘটন ঘটে, তার দায় কি মাননীয় উপদেষ্টা নেবেন? কোনো বিষয়কে তামাশা বলে মত দেওয়ার আগে কথাটা কতটা যৌক্তিক, সে ভাবনার দায়ও রয়েছে মন্তব্যকারীর। এসব ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মত চাপিয়ে দেওয়া কতটা সমীচীন, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে।
কোনো দিবস বা উৎসব পালন করায় যদি স্বচ্ছতা এবং অঙ্গীকার থাকে, তাহলে কোনো প্রসঙ্গ টেনে এনে তা বন্ধ করার বিষয়ে মতামত দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি না। সবার আগে ভেবে দেখতে হবে, কোনো দিবস বা উৎসব পালন করতে গিয়ে কাউকে যেন হেয় করা না হয়। সেটা মেনে চলা হলে যে যার মতো দিবস পালন করতেই পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে যেন তামাশা না হয় সে কথা লিখেছেন তাঁর ফেসবুক পাতায়। ফেসবুক নিজস্ব, সুতরাং সেখানে যে কেউ তাঁর মনের কথা লিখতেই পারেন। কিন্তু এটাও স্বাধীনতার মতোই একটা ব্যাপার। স্ব-অধীনতা না থাকলে সেই স্বাধীনতা মূল্যহীন। কখনো কখনো তা যথেচ্ছাচারে পরিণত হয়। তাই গণ্যমান্য ব্যক্তির ফেসবুকে করা উক্তির মূল্য রয়েছে। সাধারণ মানুষ তাতে প্রভাবিত হতেই পারে।
১৪ ফেব্রুয়ারি নানাভাবে পালিত হয়ে থাকে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ভবনের সামনে গুলি চলেছিল এবং তাতে হতাহত হয়েছিলেন অনেকে। জাফর, জয়নাল, দিপালী, তিতাসের নাম এখনো মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। কেউ যদি এই দিনটিকে ছাত্র আন্দোলনের দিন হিসেবে পালন করেন, তাহলে সেটা তিনি করতেই পারেন। আবার কেউ যদি ভালোবাসা দিবস হিসেবে দিনটিকে দেখতে চান, তাহলে তিনি সেভাবেই দেখবেন। এখানে রঙ্গ-তামাশার প্রশ্ন তোলা ঠিক কি না, সে বিবেচনা পাঠকের।
দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নয়। কীভাবে সেই সংকট মোকাবিলা করা যাবে, সেদিকে উপদেষ্টাদের অধিক মনোযোগী হওয়া উচিত। সংস্কারের আগে নির্বাচন, নাকি নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং নির্বাচন একই সঙ্গে হবে—এই বিষয়গুলোর ফয়সালা করা দরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, ব্যাংক প্রশাসনে শৃঙ্খলা আনা দরকার। মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। আইনের শাসন নিশ্চিত করা দরকার। কাজের শেষ নেই। এ রকম এক অবস্থায় ভালোবাসা দিবস নিয়ে টানাটানি খুব সুবিবেচনাপ্রসূত বলে মনে হয় না।
বাস্তব জগৎ এবং ভার্চুয়াল জগৎ মিলেমিশে এখন এক হয়ে গেছে। এ অবস্থায় খুব দ্রুত নানা কথা ছড়ায় এবং খুব দ্রুত মানুষ সেই ছড়ানো কথাকে খাঁটি হিসেবে বিবেচনা করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়। ডিজিটাল মাধ্যমে বলা কথার শক্তিও অনেক বেশি। এ অবস্থায় সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মেপে কথা বলবেন, বুঝে কথা বলবেন, এ চাওয়া খুবই স্বাভাবিক। ডিজিটাল মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া কথায় লাগাম দেওয়া যায় না বলে হয় তাকে অগ্রাহ্য করতে হবে, অথবা মূল্য দিতে হবে। এর বাইরে কিছু করার নেই।
ধর্মীয় মৌলবাদীর একটি অংশ কখনোই চায় না এ দেশে ভালোবাসা দিবস পালিত হোক। সেদিন যদি কোনো অঘটন ঘটে, তার দায় কি মাননীয় উপদেষ্টা নেবেন? কোনো বিষয়কে তামাশা বলে মত দেওয়ার আগে কথাটা কতটা যৌক্তিক, সে ভাবনার দায়ও রয়েছে মন্তব্যকারীর। এসব ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মত চাপিয়ে দেওয়া কতটা সমীচীন, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে।
কোনো দিবস বা উৎসব পালন করায় যদি স্বচ্ছতা এবং অঙ্গীকার থাকে, তাহলে কোনো প্রসঙ্গ টেনে এনে তা বন্ধ করার বিষয়ে মতামত দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি না। সবার আগে ভেবে দেখতে হবে, কোনো দিবস বা উৎসব পালন করতে গিয়ে কাউকে যেন হেয় করা না হয়। সেটা মেনে চলা হলে যে যার মতো দিবস পালন করতেই পারে।
আজকের পত্রিকায় ১৩ আগস্ট একটি সংবাদ পড়ে এবং এ বিষয়ে টিভি চ্যানেলের সংবাদ দেখে মর্মাহত হয়েছিলাম। এভাবে কেউ কোনো দেশের একটি প্রাকৃতিক সম্পদের বিনাশ ঘটাতে পারে? আজকের পত্রিকায় ‘সাদাপাথরের সৌন্দর্য হারানোর কান্না’ শিরোনামের সে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয় পাথর
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন শতাধিক। প্রতিবছর এখানে হাজারো গবেষণা হয়, যার বড় অংশের উদ্দেশ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ। নিঃসন্দেহে বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষকের মর্যাদা এবং বৈশ্বিক পরিচিতি বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম।
২ ঘণ্টা আগেখবরটি খুবই লজ্জার। বাংলাদেশ বিমানের একজন কেবিন ক্রু সোনা পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৪ আগস্ট বিকেলে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করার পর গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় এই কেবিন ক্রুর গতিবিধিতে সন্দেহ জাগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। স্ক্যানিং মেশিনের নিচে তিনি পা দিয়ে কিছু লুকানোর
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ঢাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনে জাপানি বিনিয়োগ পরামর্শক তাকাও হিরোসে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট ভাষ্য, তাঁরা দ্রুত মুনাফার খোঁজে থাকা আগ্রাসী বিনিয়োগকারী, খামখেয়ালিও।
১৩ ঘণ্টা আগে