সম্পাদকীয়
আহারে! লোকটা আট কোটি টাকা নিয়ে পালাতে পারলেন না! বেরসিক পুলিশ গ্রেপ্তার করল তাকে! যেনতেন লোক তো নন তিনি। একটি ই-কমার্স সাইটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা! করপোরেট যুগে এখন পদের যে কত রমরমা, তারই একটা অহংকার এই পদটি—সিইও। এবারের প্রতারণার নায়ক শাহরিয়ার খান।
তো, কী করেছিলেন এই ভদ্রলোক, যে ‘ধরা খেতে’ হবে তাকে? ই-কমার্স তো দারুণ একটা ব্যাপার। আশপাশের কত মানুষই না করোনাকালে ই-কমার্সের মাধ্যমে দারুণভাবে টাকা-কড়ির জগতে ফিরে এলেন! তিনিও তো তাদেরই মতন একজন ই-কমার্সসেবী। তাহলে হঠাৎ পুলিশ খেপলো কেন তার ওপর?
তেমন কিছুই করেননি ভদ্রলোক। খুব সহজ একটা অফার দিয়েছেন মানবকুলকে। সহজ ভাষায় জানিয়েছেন, যেকোনো পণ্য ৫০ শতাংশ ছাড়ে (ডিসকাউন্ট বললে মানুষ বেশি বোঝে) তিনি বিক্রি করবেন। শর্তও খুব সহজ। ফেসবুককেন্দ্রিক ই-কমার্স সাইটে আপনি শুধু জানাবেন কী দরকার আপনার। যে দামে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কোনো পণ্য, তার অর্ধেক দামে সেটা আপনার দোরগোড়ায় হাজির করবে শাহরিয়ার খানের নিরাপদ ডট কম। ভাবতে পারেন? আপনার উপকার করার জন্য কতটাই না ঝুঁকি নিচ্ছেন তিনি! দেখে মন গলে যায়!
বহু ছোট-বড় ই-কমার্স মহাজনদের এহেন প্রতারণার কারণে অনেকেই এদের ফন্দি-ফিকির বুঝে গেছে। কিন্তু তারপরও এরা দিনের পর দিন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় মূলত মানুষের লোভের কারণে। ১০০ টাকার একটা জিনিস কেউ ৫০ টাকায় দিচ্ছে, এতে সন্দেহ হয় না? এই আনন্দ যেন প্রেমের মতো অন্ধ করে দেয় দুচোখ। চারপাশে আর কিছুই চোখে পড়ে না। ছোট একটি পণ্য থেকে ধীরে ধীরে লোভটা যায় বড় পণ্যের দিকে। মোবাইল ফোন থেকে তা রেফ্রিজারেটর কিংবা এসির দিকে ছুটতে থাকে। এবং নিশ্চিত করেই বলা যায়, ট্যাকে টাকার জোর থাকলে অর্ধেক মূল্যে একটা উড়োজাহাজও কিনে নেওয়ার বাসনা জাগতে পারে মনে।
একটা ছোট্ট চাল চালে এরা। প্রথমে ছোটখাটো পণ্য নিয়ে ক্রেতার দরজায় নক করে। তাঁর বিশ্বাস অর্জন করে। তারপর যখন ক্রেতা মওকা বুঝে বড় পণ্যের আশায় ঢালবেন সঞ্চয়ের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, তখন সে আশার গুড়ে বালি ঢেলে সটকে পড়বে প্রতারক। কারণ, এই ক্রেতার মতো আরও অনেক লোভী ক্রেতা এরই মধ্যে ফাঁদে পড়ে গেছেন। অনেক টাকা হাতে এসেছে। এবার সরে পড়াই যায়।
দোষটা কাকে দেব? চালিয়াৎ এই চক্রগুলোকে তো ব্যাকরণসম্মত পথেই শায়েস্তা করা যায়। এরই মধ্যে পাঠক জেনে গেছেন, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কত কোম্পানি আখের গুছিয়ে নিয়েছে। খুব কমই এসেছে আইনের আওতায়। তাই বলি, আপাতত ওদের শাস্তির ভারটা সংশ্লিষ্টদের হাতে ছেড়ে দিয়ে আমরা বরং নিজেদের লোভ সংবরণ করি। আর পুরোনোকালের মানুষের বলা ‘সস্তায় পস্তাতে হয়’ প্রবাদটির প্রতি বিশ্বস্ত থাকি।
আহারে! লোকটা আট কোটি টাকা নিয়ে পালাতে পারলেন না! বেরসিক পুলিশ গ্রেপ্তার করল তাকে! যেনতেন লোক তো নন তিনি। একটি ই-কমার্স সাইটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা! করপোরেট যুগে এখন পদের যে কত রমরমা, তারই একটা অহংকার এই পদটি—সিইও। এবারের প্রতারণার নায়ক শাহরিয়ার খান।
তো, কী করেছিলেন এই ভদ্রলোক, যে ‘ধরা খেতে’ হবে তাকে? ই-কমার্স তো দারুণ একটা ব্যাপার। আশপাশের কত মানুষই না করোনাকালে ই-কমার্সের মাধ্যমে দারুণভাবে টাকা-কড়ির জগতে ফিরে এলেন! তিনিও তো তাদেরই মতন একজন ই-কমার্সসেবী। তাহলে হঠাৎ পুলিশ খেপলো কেন তার ওপর?
তেমন কিছুই করেননি ভদ্রলোক। খুব সহজ একটা অফার দিয়েছেন মানবকুলকে। সহজ ভাষায় জানিয়েছেন, যেকোনো পণ্য ৫০ শতাংশ ছাড়ে (ডিসকাউন্ট বললে মানুষ বেশি বোঝে) তিনি বিক্রি করবেন। শর্তও খুব সহজ। ফেসবুককেন্দ্রিক ই-কমার্স সাইটে আপনি শুধু জানাবেন কী দরকার আপনার। যে দামে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কোনো পণ্য, তার অর্ধেক দামে সেটা আপনার দোরগোড়ায় হাজির করবে শাহরিয়ার খানের নিরাপদ ডট কম। ভাবতে পারেন? আপনার উপকার করার জন্য কতটাই না ঝুঁকি নিচ্ছেন তিনি! দেখে মন গলে যায়!
বহু ছোট-বড় ই-কমার্স মহাজনদের এহেন প্রতারণার কারণে অনেকেই এদের ফন্দি-ফিকির বুঝে গেছে। কিন্তু তারপরও এরা দিনের পর দিন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় মূলত মানুষের লোভের কারণে। ১০০ টাকার একটা জিনিস কেউ ৫০ টাকায় দিচ্ছে, এতে সন্দেহ হয় না? এই আনন্দ যেন প্রেমের মতো অন্ধ করে দেয় দুচোখ। চারপাশে আর কিছুই চোখে পড়ে না। ছোট একটি পণ্য থেকে ধীরে ধীরে লোভটা যায় বড় পণ্যের দিকে। মোবাইল ফোন থেকে তা রেফ্রিজারেটর কিংবা এসির দিকে ছুটতে থাকে। এবং নিশ্চিত করেই বলা যায়, ট্যাকে টাকার জোর থাকলে অর্ধেক মূল্যে একটা উড়োজাহাজও কিনে নেওয়ার বাসনা জাগতে পারে মনে।
একটা ছোট্ট চাল চালে এরা। প্রথমে ছোটখাটো পণ্য নিয়ে ক্রেতার দরজায় নক করে। তাঁর বিশ্বাস অর্জন করে। তারপর যখন ক্রেতা মওকা বুঝে বড় পণ্যের আশায় ঢালবেন সঞ্চয়ের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, তখন সে আশার গুড়ে বালি ঢেলে সটকে পড়বে প্রতারক। কারণ, এই ক্রেতার মতো আরও অনেক লোভী ক্রেতা এরই মধ্যে ফাঁদে পড়ে গেছেন। অনেক টাকা হাতে এসেছে। এবার সরে পড়াই যায়।
দোষটা কাকে দেব? চালিয়াৎ এই চক্রগুলোকে তো ব্যাকরণসম্মত পথেই শায়েস্তা করা যায়। এরই মধ্যে পাঠক জেনে গেছেন, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কত কোম্পানি আখের গুছিয়ে নিয়েছে। খুব কমই এসেছে আইনের আওতায়। তাই বলি, আপাতত ওদের শাস্তির ভারটা সংশ্লিষ্টদের হাতে ছেড়ে দিয়ে আমরা বরং নিজেদের লোভ সংবরণ করি। আর পুরোনোকালের মানুষের বলা ‘সস্তায় পস্তাতে হয়’ প্রবাদটির প্রতি বিশ্বস্ত থাকি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম, মোবাইল অ্যাপ, ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাবিত জগতে। শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সব বয়সীর মধ্যে।
৩ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩৭ নম্বর মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনমাত্র শিক্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন পড়াতে।
৩ ঘণ্টা আগেআশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১ দিন আগে