সম্পাদকীয়
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের এ রকম লেজেগোবরে অবস্থা কেন হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াতের ভূত দেখতে পেত, অন্তর্বর্তী সরকারও কি সবখানে আওয়ামী লীগের ভূত দেখছে? এত বড় একটি আন্দোলনের পর বিগত এক বছরে সরকারের অর্জন কী, সে বিষয়টিরও বিশ্লেষণ হওয়া প্রয়োজন।
মব সন্ত্রাস যখন অন্য সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছিল, তখন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছিলেন, এটা নাকি মব নয়, প্রেশার গ্রুপ। সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ থাকার পর তিনি নিশ্চয়ই মব ও প্রেশার গ্রুপের পার্থক্য বুঝতে পারছেন। গায়ের জোরে শিক্ষককে পদচ্যুত করা কিংবা কাউকে আওয়ামী-দোসর ট্যাগ দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার মতো মব সন্ত্রাস আর সরকারি কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বেদনা প্রকাশের ঘটনা নিশ্চয় এক নয়। অকুস্থলে দুই উপদেষ্টার উপস্থিতির সময় কেন ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান উঠল, সেটাও তো ভেবে দেখা দরকার। অন্যদিকে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরের কাজ কী ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আরও দুঃখজনক ব্যাপার হলো, পরীক্ষার দিন গভীর রাতে পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা এসেছে অন্য দুই মন্ত্রণালয়ের দুই তরুণ উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। তাহলে কি যে যার কাজটি ঠিকভাবে করছেন না?
শিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছেন তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন না। অন্যদিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এত বড় একটি জাতীয় বিপর্যয়ের সময় পুরো দেশ যখন শোকাহত, তখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে খুব বেশি সক্রিয় দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার স্বজনপ্রীতির নিদর্শন বলে অভিহিত করেছেন এনসিপির একজন নেতা। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে দেখা গিয়েছিল, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যারা অর্থ সাহায্য করতে চান তারা উপরোক্ত ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের উল্লেখিত নম্বরে তা জমা দিতে পারেন।’ এই পোস্টটি কিছুক্ষণ পরেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়েও জনমনে প্রশ্ন আছে।
একটি দুর্ঘটনার ফলে সরকারি প্রস্তুতি ও কার্যকলাপের দীনদশা দেখে খুব একটা সন্তুষ্ট হওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। অর্থনীতিতে মার্কিন চাপের মোকাবিলা কীভাবে হচ্ছে, সেটা এখনো রহস্যময় হয়ে রয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে মাঝে মাঝেই রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কেউ কেউ গৃহযুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে যে ছাত্র-জনতা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখার অভিপ্রায়ে লড়াই করেছিল, সেই ছাত্র ও জনতা এখন কেমন আছে, সেই প্রশ্নটি বড়ই প্রাসঙ্গিক। এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে প্রকৃত ছাত্র ও জনতা কী ভাবছে?
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের এ রকম লেজেগোবরে অবস্থা কেন হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াতের ভূত দেখতে পেত, অন্তর্বর্তী সরকারও কি সবখানে আওয়ামী লীগের ভূত দেখছে? এত বড় একটি আন্দোলনের পর বিগত এক বছরে সরকারের অর্জন কী, সে বিষয়টিরও বিশ্লেষণ হওয়া প্রয়োজন।
মব সন্ত্রাস যখন অন্য সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছিল, তখন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছিলেন, এটা নাকি মব নয়, প্রেশার গ্রুপ। সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ থাকার পর তিনি নিশ্চয়ই মব ও প্রেশার গ্রুপের পার্থক্য বুঝতে পারছেন। গায়ের জোরে শিক্ষককে পদচ্যুত করা কিংবা কাউকে আওয়ামী-দোসর ট্যাগ দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার মতো মব সন্ত্রাস আর সরকারি কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বেদনা প্রকাশের ঘটনা নিশ্চয় এক নয়। অকুস্থলে দুই উপদেষ্টার উপস্থিতির সময় কেন ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান উঠল, সেটাও তো ভেবে দেখা দরকার। অন্যদিকে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরের কাজ কী ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আরও দুঃখজনক ব্যাপার হলো, পরীক্ষার দিন গভীর রাতে পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা এসেছে অন্য দুই মন্ত্রণালয়ের দুই তরুণ উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। তাহলে কি যে যার কাজটি ঠিকভাবে করছেন না?
শিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছেন তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন না। অন্যদিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এত বড় একটি জাতীয় বিপর্যয়ের সময় পুরো দেশ যখন শোকাহত, তখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে খুব বেশি সক্রিয় দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার স্বজনপ্রীতির নিদর্শন বলে অভিহিত করেছেন এনসিপির একজন নেতা। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে দেখা গিয়েছিল, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যারা অর্থ সাহায্য করতে চান তারা উপরোক্ত ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের উল্লেখিত নম্বরে তা জমা দিতে পারেন।’ এই পোস্টটি কিছুক্ষণ পরেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়েও জনমনে প্রশ্ন আছে।
একটি দুর্ঘটনার ফলে সরকারি প্রস্তুতি ও কার্যকলাপের দীনদশা দেখে খুব একটা সন্তুষ্ট হওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। অর্থনীতিতে মার্কিন চাপের মোকাবিলা কীভাবে হচ্ছে, সেটা এখনো রহস্যময় হয়ে রয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে মাঝে মাঝেই রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কেউ কেউ গৃহযুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে যে ছাত্র-জনতা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখার অভিপ্রায়ে লড়াই করেছিল, সেই ছাত্র ও জনতা এখন কেমন আছে, সেই প্রশ্নটি বড়ই প্রাসঙ্গিক। এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে প্রকৃত ছাত্র ও জনতা কী ভাবছে?
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
৩ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
১ দিন আগে