সম্পাদকীয়
বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির হয়ে আছে মোহাম্মদপুর। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপর এই অঞ্চলে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে না থাকায় একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী বাড়িতে বাড়িতে ডাকাতি করতে উৎসাহী হয়ে উঠেছিল। এলাকাবাসী তখন রাত জেগে নিজেদের এলাকা পাহারা দিয়েছিলেন।
এরপর ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হওয়াই কাম্য ছিল। কিন্তু কার্যত দেখা গেছে, এই এলাকায় ডাকাতি-ছিনতাই বাড়ছে। র্যাব বা সামরিক বাহিনীর পোশাক পরেও ডাকাতি করা হয়েছে এই এলাকায়। ফলে মোহাম্মদপুরবাসী খুব স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন—এ কথা বলা যাবে না।
মোহাম্মদপুর অপরাধপ্রবণ এলাকা। এই অক্টোবরেই ১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ২৫ দিনে চারটি হত্যাকাণ্ড, একটি ছিনতাই ও দুটি ডাকাতির মামলা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এই থানায় খুন হয়েছিল ১৭টি। সুতরাং বলাই যায়, এই এলাকার মানুষ নিরাপদ নয়।
শুধু মোহাম্মদপুর নয়, ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই ছিনতাইকারী, ডাকাতের উপদ্রব বেড়ে গেছে। পথে রিকশা থামিয়ে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত ছিনতাইকারীরা লুটে নিচ্ছে মালামাল। মোহাম্মদপুরের একটি মিনি সুপারশপেও দেখা গেল আরামসে ডাকাতি হচ্ছে। সব ছিনতাই বা ডাকাতির খবর থানা বা মিডিয়ায় আসে না। তাই দুর্দশা যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে, এটা সত্য।
মোহাম্মদপুরের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা উদ্যানে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে কি না, তা বোঝা যাবে কয়েক দিন পর।
গত আগস্ট মাসে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ বাহিনী পূর্ণোদ্যমে কাজ করতে পারছে না। বিগত সরকারের সময় ছাত্র আন্দোলনে গুলি ছুড়ে তারা আন্দোলনকারীদের বিরাগভাজন হয়েছিল। পট পরিবর্তনের পর চার শতাধিক থানায় আক্রমণ হয়েছে এবং অনেক পুলিশ সদস্য নিহত বা আহত হয়েছেন। সে সময় চার শতাধিক থানা লুটপাট হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর নৈতিক বল ভেঙে গেছে। পুলিশের ওপরমহলে যথেচ্ছাচারের যে প্রবণতা ছিল, তাতেও এই বাহিনী দুর্নাম কুড়িয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে ঢালাওভাবে তিরস্কার করা হলে তাদের মনোবল থাকে না। সে অবস্থারই সৃষ্টি হয়েছে এখন। মোহাম্মদপুরে পুলিশ যদি তাদের নৈতিক বলে সমৃদ্ধ হয়ে পূর্ণমাত্রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সক্রিয় হতো, তাহলে হয়তো এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
সিসি ক্যামেরা দেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হলে তাতে যতটুকু স্বস্তি আসে এলাকাবাসীর মনে, তার চেয়ে বেশি স্বস্তি আসে অপরাধ না হলে। পাড়া-মহল্লায় সচেতন হয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার। ঘনবসতি বলে সব সময় এলাকায় কে কী করছে, সেটা বোঝা যায় না, কিন্তু কারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে—এ রকম একটা ধারণা হয়তো করা যায়। সে খবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হলে ছিনতাইকারী কিংবা ডাকাতদের অপতৎপরতা কমতে পারে। নিরাপদ হোক মোহাম্মদপুরবাসীর জীবন। একই প্রত্যাশা অন্য এলাকাগুলো নিয়েও।
বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির হয়ে আছে মোহাম্মদপুর। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপর এই অঞ্চলে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে না থাকায় একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী বাড়িতে বাড়িতে ডাকাতি করতে উৎসাহী হয়ে উঠেছিল। এলাকাবাসী তখন রাত জেগে নিজেদের এলাকা পাহারা দিয়েছিলেন।
এরপর ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হওয়াই কাম্য ছিল। কিন্তু কার্যত দেখা গেছে, এই এলাকায় ডাকাতি-ছিনতাই বাড়ছে। র্যাব বা সামরিক বাহিনীর পোশাক পরেও ডাকাতি করা হয়েছে এই এলাকায়। ফলে মোহাম্মদপুরবাসী খুব স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন—এ কথা বলা যাবে না।
মোহাম্মদপুর অপরাধপ্রবণ এলাকা। এই অক্টোবরেই ১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ২৫ দিনে চারটি হত্যাকাণ্ড, একটি ছিনতাই ও দুটি ডাকাতির মামলা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এই থানায় খুন হয়েছিল ১৭টি। সুতরাং বলাই যায়, এই এলাকার মানুষ নিরাপদ নয়।
শুধু মোহাম্মদপুর নয়, ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই ছিনতাইকারী, ডাকাতের উপদ্রব বেড়ে গেছে। পথে রিকশা থামিয়ে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত ছিনতাইকারীরা লুটে নিচ্ছে মালামাল। মোহাম্মদপুরের একটি মিনি সুপারশপেও দেখা গেল আরামসে ডাকাতি হচ্ছে। সব ছিনতাই বা ডাকাতির খবর থানা বা মিডিয়ায় আসে না। তাই দুর্দশা যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে, এটা সত্য।
মোহাম্মদপুরের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা উদ্যানে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে কি না, তা বোঝা যাবে কয়েক দিন পর।
গত আগস্ট মাসে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ বাহিনী পূর্ণোদ্যমে কাজ করতে পারছে না। বিগত সরকারের সময় ছাত্র আন্দোলনে গুলি ছুড়ে তারা আন্দোলনকারীদের বিরাগভাজন হয়েছিল। পট পরিবর্তনের পর চার শতাধিক থানায় আক্রমণ হয়েছে এবং অনেক পুলিশ সদস্য নিহত বা আহত হয়েছেন। সে সময় চার শতাধিক থানা লুটপাট হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর নৈতিক বল ভেঙে গেছে। পুলিশের ওপরমহলে যথেচ্ছাচারের যে প্রবণতা ছিল, তাতেও এই বাহিনী দুর্নাম কুড়িয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে ঢালাওভাবে তিরস্কার করা হলে তাদের মনোবল থাকে না। সে অবস্থারই সৃষ্টি হয়েছে এখন। মোহাম্মদপুরে পুলিশ যদি তাদের নৈতিক বলে সমৃদ্ধ হয়ে পূর্ণমাত্রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সক্রিয় হতো, তাহলে হয়তো এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
সিসি ক্যামেরা দেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হলে তাতে যতটুকু স্বস্তি আসে এলাকাবাসীর মনে, তার চেয়ে বেশি স্বস্তি আসে অপরাধ না হলে। পাড়া-মহল্লায় সচেতন হয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার। ঘনবসতি বলে সব সময় এলাকায় কে কী করছে, সেটা বোঝা যায় না, কিন্তু কারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে—এ রকম একটা ধারণা হয়তো করা যায়। সে খবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হলে ছিনতাইকারী কিংবা ডাকাতদের অপতৎপরতা কমতে পারে। নিরাপদ হোক মোহাম্মদপুরবাসীর জীবন। একই প্রত্যাশা অন্য এলাকাগুলো নিয়েও।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্ক্সবাদী চিন্তাচেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
১ দিন আগেরাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে শুরু হওয়া ‘জাতীয় ঐকমত্য’ প্রক্রিয়া তার শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু এখনো দেখা যাচ্ছে, প্রক্রিয়ার শুরুর জায়গাটিই ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। একদিকে রয়েছে ১৬৬টি প্রস্তাব, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমতের পাহাড়।
১ দিন আগেলেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
২ দিন আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
২ দিন আগে