সম্পাদকীয়
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল। তার নিথর দেহ আমাদের কাছে শুধু একটি হৃদয়বিদারক শোক সংবাদ নয়, বরং আমাদের সমাজের গভীর অসুখের একটি নগ্ন উদাহরণ। একটি শিশুর প্রতি এই বর্বরতা, তার যন্ত্রণা, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসকদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচাতে না পারার অসহায়ত্ব—এ সবকিছুই আমাদের ব্যর্থতাকে স্পষ্ট করে। আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ, কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, আমরা কি এই শোককে শুধুই আবেগের জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখব, নাকি বাস্তব কোনো প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা করব? নারী, শিশুকন্যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব?
ধর্ষণ এখন আর সমাজের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটি একটি ক্রমবর্ধমান ব্যাধি। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও কোনো শিশু, কোনো নারী যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। কেবল আইন দিয়ে কি এই ব্যাধি দূর করা সম্ভব? সম্ভব নয়, যদি না সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রশাসন থেকে আইন-আদালত—প্রতিটি জায়গায় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে আত্মরক্ষা ও যৌন সহিংসতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে, সামাজিকভাবে নিপীড়কদের বয়কট করতে হবে। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি, বিচারব্যবস্থার সংস্কার।
ধর্ষণ মামলাগুলোতে বিচার হয় দীর্ঘসূত্রতার শিকার, অনেক অপরাধী উপযুক্ত শাস্তি পায় না বা পেলেও এত দেরিতে যে তা দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করে না। এই বিচারহীনতাই অপরাধীদের উৎসাহিত করে। ধর্ষণের শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক না হলে, দ্রুততম সময়ে কার্যকর না হলে, এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। মাগুরার ঘটনায় পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে, তবে এতেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। এই মামলার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্যরা বুঝতে পারে, ধর্ষণ করে পার পাওয়া যাবে না।
ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে মানসিক ও শারীরিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। অভিযোগ জানাতে গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে, আর আমরা কেবল শোক প্রকাশ করে যাব। এই চক্র ভাঙতে হবে। ধর্ষণ শুধু একজন ভুক্তভোগীর জীবনে প্রভাব ফেলে না, এটি পুরো সমাজের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ভেঙে দেয়, ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়। তাই কেবল শোক প্রকাশ নয়, বরং প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়াও জরুরি। আমরা চাই, আর কোনো শিশুর মৃত্যু এমন নৃশংসতার কারণে না হোক, কোনো পরিবারকে এমন দুঃসহ শোক বয়ে বেড়াতে না হোক, আর কোনো মা-বাবার সামনে তাঁদের সন্তানকে হারানোর এই বিভীষিকা যেন না আসে। এ জন্যই বিচার চাই, প্রতিরোধ চাই।
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল। তার নিথর দেহ আমাদের কাছে শুধু একটি হৃদয়বিদারক শোক সংবাদ নয়, বরং আমাদের সমাজের গভীর অসুখের একটি নগ্ন উদাহরণ। একটি শিশুর প্রতি এই বর্বরতা, তার যন্ত্রণা, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসকদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচাতে না পারার অসহায়ত্ব—এ সবকিছুই আমাদের ব্যর্থতাকে স্পষ্ট করে। আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ, কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, আমরা কি এই শোককে শুধুই আবেগের জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখব, নাকি বাস্তব কোনো প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা করব? নারী, শিশুকন্যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব?
ধর্ষণ এখন আর সমাজের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটি একটি ক্রমবর্ধমান ব্যাধি। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও কোনো শিশু, কোনো নারী যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। কেবল আইন দিয়ে কি এই ব্যাধি দূর করা সম্ভব? সম্ভব নয়, যদি না সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রশাসন থেকে আইন-আদালত—প্রতিটি জায়গায় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে আত্মরক্ষা ও যৌন সহিংসতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে, সামাজিকভাবে নিপীড়কদের বয়কট করতে হবে। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি, বিচারব্যবস্থার সংস্কার।
ধর্ষণ মামলাগুলোতে বিচার হয় দীর্ঘসূত্রতার শিকার, অনেক অপরাধী উপযুক্ত শাস্তি পায় না বা পেলেও এত দেরিতে যে তা দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করে না। এই বিচারহীনতাই অপরাধীদের উৎসাহিত করে। ধর্ষণের শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক না হলে, দ্রুততম সময়ে কার্যকর না হলে, এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। মাগুরার ঘটনায় পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে, তবে এতেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। এই মামলার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্যরা বুঝতে পারে, ধর্ষণ করে পার পাওয়া যাবে না।
ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে মানসিক ও শারীরিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। অভিযোগ জানাতে গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে, আর আমরা কেবল শোক প্রকাশ করে যাব। এই চক্র ভাঙতে হবে। ধর্ষণ শুধু একজন ভুক্তভোগীর জীবনে প্রভাব ফেলে না, এটি পুরো সমাজের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ভেঙে দেয়, ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়। তাই কেবল শোক প্রকাশ নয়, বরং প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়াও জরুরি। আমরা চাই, আর কোনো শিশুর মৃত্যু এমন নৃশংসতার কারণে না হোক, কোনো পরিবারকে এমন দুঃসহ শোক বয়ে বেড়াতে না হোক, আর কোনো মা-বাবার সামনে তাঁদের সন্তানকে হারানোর এই বিভীষিকা যেন না আসে। এ জন্যই বিচার চাই, প্রতিরোধ চাই।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
২০ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
২ দিন আগে