নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, ‘২০১৮ সাল থেকে আমি রাজনীতিতে যুক্ত। রাজনীতিতে আছে এমন কারও নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত নয়। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকার থেকে সরে যাব।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা সংবাদমাধ্যম ঠিকানার প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, তা অবশ্য সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেননি গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। একই সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নিয়ে গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার বিষয়েও খোলাসা করেননি তিনি।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মব সৃষ্টি করে হত্যাকাণ্ড, শিক্ষক নিপীড়ন, চাঁদাবাজি—এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘অপপ্রচার’ বলে সাক্ষাৎকারে উড়িয়ে দেন এই উপদেষ্টা।
এই ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও ঠিকানাকে জানান তিনি।
আসিফ মাহমুদ কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে যে কানাঘুষা চলছে, তা-ও উড়িয়ে দেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করতে চাই। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে গিয়ে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা সুবিধাজনক হবে না। জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা শহরই আমার জন্য সুবিধাজনক স্থান।’
‘পতাকাবাহী গাড়ি নয়, ক্ষমতার মোহ নয়, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে’ সোচ্চার থাকা নিশ্চিত করতেই সরকারে রয়েছেন, খালেদ মুহিউদ্দীনের কাছে এমন দাবিও করেন আসিফ মাহমুদ।
এই উপদেষ্টা বলেন, এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। এর মধ্যে বড় মাইলফলক জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া সম্ভব হলো। এখনো জুলাই সনদ বাকি আছে। স্থানীয় সরকারের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয় আছে। এসব দায়িত্ব শেষ করে যেতে না পারলে ঐতিহাসিক দায় থেকে যাবে।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রথমে মানতে চাননি, মাস কয়েক আগে এমন এক ভিডিও বক্তব্য দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আসিফ মাহমুদ বলেন, এটা সরকার গঠনের আগের ঘটনা। তখন বঙ্গভবনে একটা বৈঠক হয়েছিল, যেখানে সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের নাম প্রস্তাব করা হলে সেনাপ্রধান এর বিরুদ্ধে মত দেন। তাঁর যুক্তি ছিল, আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা তাঁকে পছন্দ করেন না। একপর্যায়ে তিনি মেনে নিলেও ‘বুকে পাথরচাপা দেওয়া’ শব্দ ব্যবহার করেন। ভিডিওর বক্তব্য সেখানে থেকে কোট করা হয়।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের বা আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। ৫ আগস্টের পর বা গণ-অভ্যুত্থানের আগে সেনাবাহিনীর যে অবদান, তা আমরা স্বীকার করি। তবে সেনাপ্রধানের সঙ্গে দ্বিমত শুধু আওয়ামী লীগ প্রশ্নে।’
এ মুহূর্তে নানা দিক থেকে নানা শক্তি ‘সক্রিয়’ ইঙ্গিত করে আসিফ মাহমুদ বলেন, একটি মহল জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনার তোড়জোড় করছে। এই দলকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আনতে চায় তারা। আওয়ামী লীগের যেসব নেতার ইমেজ ভালো, তাঁদেরও জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসার পাঁয়তারা চলছে।
ড. ইউনূসের সরকারের ভেতরও সরকার রয়েছে, এই অভিযোগ মেনে নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পর সামরিক বাহিনী ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে। একেকজন উপদেষ্টা একেক জায়গা থেকে এসেছেন। এসব কারণে ক্ষমতার একক কোনো কেন্দ্র নেই।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘এর দায়টা পড়ছে আমার ওপর। অথচ শুধু আমি না, আমাদের সরকারের ইচ্ছা থাকলেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারছি না। সব দল রাজি থাকলেও বিএনপি ও তাদের সহযোগী কিছু দল মূলত এই নির্বাচনে রাজি হচ্ছে না।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, ‘২০১৮ সাল থেকে আমি রাজনীতিতে যুক্ত। রাজনীতিতে আছে এমন কারও নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত নয়। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকার থেকে সরে যাব।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা সংবাদমাধ্যম ঠিকানার প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, তা অবশ্য সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেননি গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। একই সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নিয়ে গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার বিষয়েও খোলাসা করেননি তিনি।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মব সৃষ্টি করে হত্যাকাণ্ড, শিক্ষক নিপীড়ন, চাঁদাবাজি—এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘অপপ্রচার’ বলে সাক্ষাৎকারে উড়িয়ে দেন এই উপদেষ্টা।
এই ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও ঠিকানাকে জানান তিনি।
আসিফ মাহমুদ কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে যে কানাঘুষা চলছে, তা-ও উড়িয়ে দেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করতে চাই। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে গিয়ে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা সুবিধাজনক হবে না। জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা শহরই আমার জন্য সুবিধাজনক স্থান।’
‘পতাকাবাহী গাড়ি নয়, ক্ষমতার মোহ নয়, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে’ সোচ্চার থাকা নিশ্চিত করতেই সরকারে রয়েছেন, খালেদ মুহিউদ্দীনের কাছে এমন দাবিও করেন আসিফ মাহমুদ।
এই উপদেষ্টা বলেন, এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। এর মধ্যে বড় মাইলফলক জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া সম্ভব হলো। এখনো জুলাই সনদ বাকি আছে। স্থানীয় সরকারের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয় আছে। এসব দায়িত্ব শেষ করে যেতে না পারলে ঐতিহাসিক দায় থেকে যাবে।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রথমে মানতে চাননি, মাস কয়েক আগে এমন এক ভিডিও বক্তব্য দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আসিফ মাহমুদ বলেন, এটা সরকার গঠনের আগের ঘটনা। তখন বঙ্গভবনে একটা বৈঠক হয়েছিল, যেখানে সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের নাম প্রস্তাব করা হলে সেনাপ্রধান এর বিরুদ্ধে মত দেন। তাঁর যুক্তি ছিল, আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা তাঁকে পছন্দ করেন না। একপর্যায়ে তিনি মেনে নিলেও ‘বুকে পাথরচাপা দেওয়া’ শব্দ ব্যবহার করেন। ভিডিওর বক্তব্য সেখানে থেকে কোট করা হয়।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের বা আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। ৫ আগস্টের পর বা গণ-অভ্যুত্থানের আগে সেনাবাহিনীর যে অবদান, তা আমরা স্বীকার করি। তবে সেনাপ্রধানের সঙ্গে দ্বিমত শুধু আওয়ামী লীগ প্রশ্নে।’
এ মুহূর্তে নানা দিক থেকে নানা শক্তি ‘সক্রিয়’ ইঙ্গিত করে আসিফ মাহমুদ বলেন, একটি মহল জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনার তোড়জোড় করছে। এই দলকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আনতে চায় তারা। আওয়ামী লীগের যেসব নেতার ইমেজ ভালো, তাঁদেরও জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসার পাঁয়তারা চলছে।
ড. ইউনূসের সরকারের ভেতরও সরকার রয়েছে, এই অভিযোগ মেনে নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পর সামরিক বাহিনী ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে। একেকজন উপদেষ্টা একেক জায়গা থেকে এসেছেন। এসব কারণে ক্ষমতার একক কোনো কেন্দ্র নেই।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘এর দায়টা পড়ছে আমার ওপর। অথচ শুধু আমি না, আমাদের সরকারের ইচ্ছা থাকলেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারছি না। সব দল রাজি থাকলেও বিএনপি ও তাদের সহযোগী কিছু দল মূলত এই নির্বাচনে রাজি হচ্ছে না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমি তার প্রতিবাদ করেছি। একইভাবে এখন বলছি, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
৬ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়া ছাড়া বিদেশিদের দ্বারা কোনো পাতানো নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।
৮ ঘণ্টা আগেকমরেড হারুন চৌধুরী নিজেকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সভাপতি দাবি করে বলেছেন, ‘দিলীপ বড়ুয়া দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি দলের সভাপতি।’
৯ ঘণ্টা আগেচোখের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা বেগম রয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে