সম্পাদকীয়
খুলনা ওয়াসার নকশাকারক পদে আছেন জি এম আব্দুল গফফার। তাঁর নিয়োগ হয়েছিল পাম্প অপারেটর পদে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি প্রভাব খাটিয়ে পাম্প থেকে প্রধান কার্যালয়ে চলে আসেন। এখন তিনি নিজের কাজ না করে আউটসোর্সিংয়ে কর্মচারী নিয়োগ, মাস্টাররোল কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, বদলি, আবাসন বরাদ্দ ও টেন্ডারবাজির মতো নানা কাজের তদবিরে ব্যস্ত থাকেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৫ জুলাই একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
গত সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হচ্ছে, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা হওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। সম্প্রতি গফফারের বিরুদ্ধে ওয়াসায় জুতামিছিল করেছেন সাধারণ কর্মচারীরা।
এ দেশে একটু চালাক-চতুর হলে নিম্ন পদে থেকেও যে অপকর্ম করে টাকা রোজগার করা যায়, তার প্রমাণ হলো গফফার। অপকর্ম করার জন্য বেশি লেখাপড়া জানারও দরকার নেই, শুধু সিস্টেম করে কাজ করার মতো ধুরন্ধর হতে হবে। তাহলে অবৈধ কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এক বক্তব্যে হাস্যোচ্ছলে বলেছিলেন, তাঁর অফিসের একজন পিয়নই ৪০০ কোটি টাকার মালিক। তাঁর এ বক্তব্য মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল।
তো, গফফার কীভাবে পাম্প অপারেটর থেকে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা হয়ে উঠলেন? ব্যাপারটি খুবই সহজ। অফিসে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ওয়াসার একজন কর্মকর্তা (অর্থ ও প্রশাসন)। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে হামলার মিথ্যা মামলা করে গফফার মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াসার কয়েকজন কর্মচারী। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশ্রয় ছাড়া নিশ্চয় গফফার এতসব অপরাধ করতে পারেননি। প্রশ্ন হলো, তাঁর প্রশ্রয়দাতা কে?
আমাদের দেশে সামাজিক ব্যাধিগুলোর মধ্যে দুর্নীতি হলো অন্যতম। একবার কোনো ব্যাধি দেখা দিলে তা সারিয়ে তোলার মতো চিকিৎসাব্যবস্থা দেশে দেখা যায় না। বরং তা গাণিতিক হারে বাড়ে। সরকার যায় সরকার আসে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যাধিগুলোর নিরাময় হয় না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক নামের একটি প্রতিষ্ঠান আছে। সরকার পরিবর্তনের পর দুদককে আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতি আর অপকর্ম কেন বন্ধ হচ্ছে না? এ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে আর আগের মতো দুর্নীতি হবে না। কিন্তু অবস্থার যে পরিবর্তন হয়নি, এ ঘটনাই তার প্রমাণ।
নজরদারির অভাব এবং জবাবদিহি না থাকার কারণে মূলত আমাদের দেশে দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা রোধ করা যায় না।
নজরদারি ও জবাবদিহি বাড়ানোর উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা কি নেওয়া হচ্ছে? শক্ত হাতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া শুধু ব্যক্তির সততা ও মূল্যবোধ দিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম রোধ করা যাবে না।
খুলনা ওয়াসার নকশাকারক পদে আছেন জি এম আব্দুল গফফার। তাঁর নিয়োগ হয়েছিল পাম্প অপারেটর পদে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি প্রভাব খাটিয়ে পাম্প থেকে প্রধান কার্যালয়ে চলে আসেন। এখন তিনি নিজের কাজ না করে আউটসোর্সিংয়ে কর্মচারী নিয়োগ, মাস্টাররোল কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, বদলি, আবাসন বরাদ্দ ও টেন্ডারবাজির মতো নানা কাজের তদবিরে ব্যস্ত থাকেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৫ জুলাই একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
গত সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হচ্ছে, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা হওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। সম্প্রতি গফফারের বিরুদ্ধে ওয়াসায় জুতামিছিল করেছেন সাধারণ কর্মচারীরা।
এ দেশে একটু চালাক-চতুর হলে নিম্ন পদে থেকেও যে অপকর্ম করে টাকা রোজগার করা যায়, তার প্রমাণ হলো গফফার। অপকর্ম করার জন্য বেশি লেখাপড়া জানারও দরকার নেই, শুধু সিস্টেম করে কাজ করার মতো ধুরন্ধর হতে হবে। তাহলে অবৈধ কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এক বক্তব্যে হাস্যোচ্ছলে বলেছিলেন, তাঁর অফিসের একজন পিয়নই ৪০০ কোটি টাকার মালিক। তাঁর এ বক্তব্য মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল।
তো, গফফার কীভাবে পাম্প অপারেটর থেকে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা হয়ে উঠলেন? ব্যাপারটি খুবই সহজ। অফিসে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ওয়াসার একজন কর্মকর্তা (অর্থ ও প্রশাসন)। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে হামলার মিথ্যা মামলা করে গফফার মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াসার কয়েকজন কর্মচারী। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশ্রয় ছাড়া নিশ্চয় গফফার এতসব অপরাধ করতে পারেননি। প্রশ্ন হলো, তাঁর প্রশ্রয়দাতা কে?
আমাদের দেশে সামাজিক ব্যাধিগুলোর মধ্যে দুর্নীতি হলো অন্যতম। একবার কোনো ব্যাধি দেখা দিলে তা সারিয়ে তোলার মতো চিকিৎসাব্যবস্থা দেশে দেখা যায় না। বরং তা গাণিতিক হারে বাড়ে। সরকার যায় সরকার আসে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যাধিগুলোর নিরাময় হয় না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক নামের একটি প্রতিষ্ঠান আছে। সরকার পরিবর্তনের পর দুদককে আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতি আর অপকর্ম কেন বন্ধ হচ্ছে না? এ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে আর আগের মতো দুর্নীতি হবে না। কিন্তু অবস্থার যে পরিবর্তন হয়নি, এ ঘটনাই তার প্রমাণ।
নজরদারির অভাব এবং জবাবদিহি না থাকার কারণে মূলত আমাদের দেশে দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা রোধ করা যায় না।
নজরদারি ও জবাবদিহি বাড়ানোর উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা কি নেওয়া হচ্ছে? শক্ত হাতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া শুধু ব্যক্তির সততা ও মূল্যবোধ দিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম রোধ করা যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
২১ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
২১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
২১ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
২ দিন আগে