সম্পাদকীয়
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিএমইউ) উপাচার্যদের একের পর এক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা বিশ্ববিদ্যালয়টির ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় উপাচার্যের বিতর্কিত নিয়োগ ও কর্মকাণ্ডের পর বর্তমান উপাচার্যও যেন সেই পথেই হাঁটছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বর্তমান ভিসিও। এ নিয়ে ৬ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় ‘নতুন ভিসিও অনিয়মের পথে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এমন লাগাতার অনিয়ম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা দেশের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্টসংখ্যক পদসংখ্যার বিপরীতে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অতিরিক্ত নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। দ্বিতীয় উপাচার্য এ এইচ এম এনায়েত হোসেন ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চক্ষু চিকিৎসক। তিনি যোগদানের পর ২৩৯ জন কর্মকর্তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন, যা ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অমানবিক। এমনকি ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের তোয়াক্কা না করে নিজের গদি রক্ষায় বিএনপিপন্থী দুই চিকিৎসককে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল।
চলতি বছরের মার্চের শুরুতে বর্তমান উপাচার্য ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। তিনি জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় উপাচার্য ও ট্রেজারার ছাড়া বৈধ কোনো কর্মকর্তা নেই। কিন্তু আগের উপাচার্যের সেই অদৃশ্য খাত থেকে বেতন-ভাতা দিয়ে কাজ করানো লোকজন পুষছেন বর্তমান উপাচার্যও। তিনিও পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হলেও নিয়োগে অনিয়ম বা বেতনহীন কর্মীদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বিধি মোতাবেক শিক্ষকদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ডিন নিয়োগ হওয়ার কথা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই ধরনের নিয়োগ হওয়ার সুযোগ নেই।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন লাগাতার অনিয়ম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধিমালা কঠোরভাবে প্রতিপালন করে এর প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাও জরুরি।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে এর প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করাও জরুরি। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের সব সেক্টরে পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা যে অনেক ক্ষেত্রে ঘটছে না, এ ঘটনাই তা স্পষ্ট। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিএমইউ) উপাচার্যদের একের পর এক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা বিশ্ববিদ্যালয়টির ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় উপাচার্যের বিতর্কিত নিয়োগ ও কর্মকাণ্ডের পর বর্তমান উপাচার্যও যেন সেই পথেই হাঁটছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বর্তমান ভিসিও। এ নিয়ে ৬ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় ‘নতুন ভিসিও অনিয়মের পথে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এমন লাগাতার অনিয়ম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা দেশের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্টসংখ্যক পদসংখ্যার বিপরীতে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অতিরিক্ত নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। দ্বিতীয় উপাচার্য এ এইচ এম এনায়েত হোসেন ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চক্ষু চিকিৎসক। তিনি যোগদানের পর ২৩৯ জন কর্মকর্তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন, যা ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অমানবিক। এমনকি ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের তোয়াক্কা না করে নিজের গদি রক্ষায় বিএনপিপন্থী দুই চিকিৎসককে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল।
চলতি বছরের মার্চের শুরুতে বর্তমান উপাচার্য ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। তিনি জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় উপাচার্য ও ট্রেজারার ছাড়া বৈধ কোনো কর্মকর্তা নেই। কিন্তু আগের উপাচার্যের সেই অদৃশ্য খাত থেকে বেতন-ভাতা দিয়ে কাজ করানো লোকজন পুষছেন বর্তমান উপাচার্যও। তিনিও পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হলেও নিয়োগে অনিয়ম বা বেতনহীন কর্মীদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বিধি মোতাবেক শিক্ষকদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ডিন নিয়োগ হওয়ার কথা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই ধরনের নিয়োগ হওয়ার সুযোগ নেই।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন লাগাতার অনিয়ম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধিমালা কঠোরভাবে প্রতিপালন করে এর প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাও জরুরি।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে এর প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করাও জরুরি। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের সব সেক্টরে পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা যে অনেক ক্ষেত্রে ঘটছে না, এ ঘটনাই তা স্পষ্ট। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
২ দিন আগে