সম্পাদকীয়
আজ স্বাধীনতা দিবস। বাংলার সবচেয়ে বড় অর্জন এই স্বাধীনতা। ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছিল এই দেশ। ঝরেছিল ৩০ লাখ প্রাণ। চরম নির্যাতিত হয়েছিল দুই লাখ মা-বোন। এই বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সাল আমাদের জন্য নিয়ে এসেছিল মুক্তি। পাকিস্তানি অপশাসন, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
এবার এক অস্থির সময়ে স্বাধীনতা দিবস এসেছে। নানা ধরনের মতবাদের প্রতাপে হারিয়ে যেতে বসেছে ইতিহাস। যে যার মতো করে ইতিহাসের নবনির্মাণ করতে চাইছে। কিন্তু কেউ ভেবে দেখছে না, চাইলেই ইতিহাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এ জন্যই স্বাধীনতা দিবসের বিষয়টি নিয়ে সত্য ইতিহাস লেখা এখন দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। এই অস্থির সময়ে তথ্য-উপাত্তের ওপর নির্ভর করেই স্বাধীনতা দিবসকে দেখতে হবে, অন্য কোনোভাবে নয়।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তান নামক অংশটিকে যেন উপনিবেশ বানিয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানিরা। ধর্মের জুজু দেখিয়ে শোষণ-বঞ্চনাকে জায়েজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু এ দেশের সংগ্রামী মানুষ খুব অল্প দিনের মধ্যেই এই জারিজুরি ধরে ফেলেছিল এবং তার পর থেকে লাগাতার সংগ্রামের মাধ্যমে দেশবাসী পৌঁছেছে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। গণ-আন্দোলনের এই পুরো পথটায় অনেক নেতাই সাহসিকতার সঙ্গে রাজনীতির মাঠে বিচরণ করেছেন। পশ্চিম পাকিস্তানি আমলাতন্ত্র এবং সামরিক আমলাতন্ত্র যখন গ্রাস করে ফেলছিল জাতির ভবিষ্যৎ, তখন তাদের এই অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল বাংলার মানুষ। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীর মতো মনীষীদের সুযোগ্য নেতৃত্বে বাঙালি তার শিকড় সন্ধানে ব্যাপৃত হয়েছিল। তবে আন্দোলনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ দেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় দফার ভিত্তিতে স্বাধিকার আন্দোলন পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনে। কিন্তু ইয়াহিয়া-ভুট্টো বাংলার মানুষের হাতে শাসনভার ছেড়ে দিতে চাননি। ২৫ মার্চ কালরাতে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে তাঁরা বাঙালির স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসে স্বাধীনতার ডাক। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।
যে অঙ্গীকার এবং স্বপ্ন নিয়ে এই দেশের মানুষ মুক্তি ছিনিয়ে এনেছিল, তারা সে মুক্তির দিশা আজও পায়নি। বারবার হোঁচট খেয়েছে এবং বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। এ দেশের সাধারণ মানুষ বারবার ঠকেছে। যারা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব হাতে নিয়েছে, তারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই দুর্ভাগ্য যেন কাটছেই না।
এ রকম এক অবস্থায় পুরো জাতি যদি মতপার্থক্য ভুলে সবার জন্য সহনীয় একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারে, তাহলেই স্বাধীনতা দিবস তার মর্যাদা ফিরে পাবে। উগ্র রাজনীতি কখনোই মানুষকে মুক্তির দিশা দেখায় না। আমাদের ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করেই নির্মাণ করতে হবে আগামীর বাংলাদেশ। বিদেশি প্রেসক্রিপশনে নয়। নানা ধরনের উগ্র মতবাদের হাতছানিতে তরুণ প্রজন্ম দিগ্ভ্রান্ত হবে না—এই হোক আজকের স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার।
আজ স্বাধীনতা দিবস। বাংলার সবচেয়ে বড় অর্জন এই স্বাধীনতা। ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছিল এই দেশ। ঝরেছিল ৩০ লাখ প্রাণ। চরম নির্যাতিত হয়েছিল দুই লাখ মা-বোন। এই বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সাল আমাদের জন্য নিয়ে এসেছিল মুক্তি। পাকিস্তানি অপশাসন, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
এবার এক অস্থির সময়ে স্বাধীনতা দিবস এসেছে। নানা ধরনের মতবাদের প্রতাপে হারিয়ে যেতে বসেছে ইতিহাস। যে যার মতো করে ইতিহাসের নবনির্মাণ করতে চাইছে। কিন্তু কেউ ভেবে দেখছে না, চাইলেই ইতিহাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এ জন্যই স্বাধীনতা দিবসের বিষয়টি নিয়ে সত্য ইতিহাস লেখা এখন দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। এই অস্থির সময়ে তথ্য-উপাত্তের ওপর নির্ভর করেই স্বাধীনতা দিবসকে দেখতে হবে, অন্য কোনোভাবে নয়।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তান নামক অংশটিকে যেন উপনিবেশ বানিয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানিরা। ধর্মের জুজু দেখিয়ে শোষণ-বঞ্চনাকে জায়েজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু এ দেশের সংগ্রামী মানুষ খুব অল্প দিনের মধ্যেই এই জারিজুরি ধরে ফেলেছিল এবং তার পর থেকে লাগাতার সংগ্রামের মাধ্যমে দেশবাসী পৌঁছেছে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। গণ-আন্দোলনের এই পুরো পথটায় অনেক নেতাই সাহসিকতার সঙ্গে রাজনীতির মাঠে বিচরণ করেছেন। পশ্চিম পাকিস্তানি আমলাতন্ত্র এবং সামরিক আমলাতন্ত্র যখন গ্রাস করে ফেলছিল জাতির ভবিষ্যৎ, তখন তাদের এই অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল বাংলার মানুষ। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীর মতো মনীষীদের সুযোগ্য নেতৃত্বে বাঙালি তার শিকড় সন্ধানে ব্যাপৃত হয়েছিল। তবে আন্দোলনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ দেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় দফার ভিত্তিতে স্বাধিকার আন্দোলন পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনে। কিন্তু ইয়াহিয়া-ভুট্টো বাংলার মানুষের হাতে শাসনভার ছেড়ে দিতে চাননি। ২৫ মার্চ কালরাতে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে তাঁরা বাঙালির স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসে স্বাধীনতার ডাক। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।
যে অঙ্গীকার এবং স্বপ্ন নিয়ে এই দেশের মানুষ মুক্তি ছিনিয়ে এনেছিল, তারা সে মুক্তির দিশা আজও পায়নি। বারবার হোঁচট খেয়েছে এবং বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। এ দেশের সাধারণ মানুষ বারবার ঠকেছে। যারা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব হাতে নিয়েছে, তারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই দুর্ভাগ্য যেন কাটছেই না।
এ রকম এক অবস্থায় পুরো জাতি যদি মতপার্থক্য ভুলে সবার জন্য সহনীয় একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারে, তাহলেই স্বাধীনতা দিবস তার মর্যাদা ফিরে পাবে। উগ্র রাজনীতি কখনোই মানুষকে মুক্তির দিশা দেখায় না। আমাদের ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করেই নির্মাণ করতে হবে আগামীর বাংলাদেশ। বিদেশি প্রেসক্রিপশনে নয়। নানা ধরনের উগ্র মতবাদের হাতছানিতে তরুণ প্রজন্ম দিগ্ভ্রান্ত হবে না—এই হোক আজকের স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক গভীর রূপান্তরের ভেতর দিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলের পরিণতিতে যখন দেশে একধরনের দমন-পীড়ন ও এককেন্দ্রিক ক্ষমতার গঠন স্পষ্ট হয়ে উঠছিল, তখন নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ মিলে গড়ে তোলে এক অভাবিত প্রতিরোধ,
১৭ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের বছর পূর্তিতে আমাদের অর্জন কী, সে প্রশ্ন আজ সবার। জুলাই আন্দোলনের সময় কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বক্তব্য না থাকলেও শেখ হাসিনার পতনের পর মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল—রাষ্ট্রের যে পদ্ধতি শাসককে কর্তৃত্বপরায়ণ, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্টে পরিণত করে, সেই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে আগামী নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে আগ্রহী ও উৎসাহী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত সোমবার বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে
১৮ ঘণ্টা আগেলুটপাটের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন শেখ হাসিনা ও তাঁর দলবল। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনি সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়েছিলেন সম্পদ লুণ্ঠনের অধিকার। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে রয়ে গেছে লুটেরা সিন্ডিকেট। গণমাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখল
১ দিন আগে