সম্পাদকীয়
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা বাংলাদেশের জন্য একটি চিরাচরিত চ্যালেঞ্জ। প্রতিবছরই এ মাস ঘিরে চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, খেজুর, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ডিম, দুধ ও মুরগির মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এই বাড়তি চাহিদার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে সাধারণ ভোক্তা, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ অর্থনৈতিক চাপে পড়ে যান। বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও বাজার বিশ্লেষক ও সাধারণ মানুষের মনের শঙ্কা কাটছে না।
২১ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘রোজা ঘিরে সরকারের নানা উদ্যোগেও কাটছে না শঙ্কা’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়েছে। চলতি বছর সরকার নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিরতা বজায় রাখতে শুল্কছাড়, বাজার মনিটরিং ও টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রিসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও রমজান সামনে রেখে তিনটি বিশেষ তদারকি দল গঠন করেছে, যা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিয়মিত ছয়টি তদারকি দলের সঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ অব্যাহত থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ও ৫০ লাখ পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল বিতরণ এবং ঈদের সময় ১ কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিদিন ডিম, দুধ, ব্রয়লার ও গরুর মাংস নির্দিষ্ট দামে বিক্রির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তবে এই উদ্যোগগুলো কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের পদক্ষেপগুলো মূলত গতানুগতিক এবং আগের বছরের পুনরাবৃত্তি। নতুন কোনো কৌশল বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দৃশ্যমান নয়। বিশেষত, টিসিবির পণ্য বিতরণের আওতা কমানোয় প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে, যা বাজারে অস্থিরতার শঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো কার্যকর মনিটরিংয়ের ঘাটতি। তদারকির অভাবে ব্যবসায়ীরা সহজেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নেন। এই প্রবণতা রোধে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
এ বছর ভোজ্যতেলের বাজারেও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিয়েছে, রমজানে ভোজ্যতেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি থাকবে না। বাস্তবে বাজারে মূল্য স্থিতিশীল হয়নি। ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছাচারিতায় বাজার স্থিতিশীলতা হারানোর শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভোজ্যতেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের সরবরাহ ও মূল্যের ক্ষেত্রে সরকারি তদারকি এবং কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শহরকেন্দ্রিক পদক্ষেপের সীমাবদ্ধতা। দেশের পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। এই অঞ্চলগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা জরুরি। তা ছাড়া, শুধু ঘোষণায় সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকর মনিটরিং ও তদারকি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। রমজান মাসে মানুষের অস্বস্তি যেন কোনোভাবেই না বাড়ে।
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা বাংলাদেশের জন্য একটি চিরাচরিত চ্যালেঞ্জ। প্রতিবছরই এ মাস ঘিরে চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, খেজুর, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ডিম, দুধ ও মুরগির মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এই বাড়তি চাহিদার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে সাধারণ ভোক্তা, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ অর্থনৈতিক চাপে পড়ে যান। বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও বাজার বিশ্লেষক ও সাধারণ মানুষের মনের শঙ্কা কাটছে না।
২১ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘রোজা ঘিরে সরকারের নানা উদ্যোগেও কাটছে না শঙ্কা’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়েছে। চলতি বছর সরকার নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিরতা বজায় রাখতে শুল্কছাড়, বাজার মনিটরিং ও টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রিসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও রমজান সামনে রেখে তিনটি বিশেষ তদারকি দল গঠন করেছে, যা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিয়মিত ছয়টি তদারকি দলের সঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ অব্যাহত থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ও ৫০ লাখ পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল বিতরণ এবং ঈদের সময় ১ কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিদিন ডিম, দুধ, ব্রয়লার ও গরুর মাংস নির্দিষ্ট দামে বিক্রির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তবে এই উদ্যোগগুলো কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের পদক্ষেপগুলো মূলত গতানুগতিক এবং আগের বছরের পুনরাবৃত্তি। নতুন কোনো কৌশল বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দৃশ্যমান নয়। বিশেষত, টিসিবির পণ্য বিতরণের আওতা কমানোয় প্রায় ৪৩ লাখ পরিবার সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে, যা বাজারে অস্থিরতার শঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো কার্যকর মনিটরিংয়ের ঘাটতি। তদারকির অভাবে ব্যবসায়ীরা সহজেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নেন। এই প্রবণতা রোধে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
এ বছর ভোজ্যতেলের বাজারেও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিয়েছে, রমজানে ভোজ্যতেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি থাকবে না। বাস্তবে বাজারে মূল্য স্থিতিশীল হয়নি। ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছাচারিতায় বাজার স্থিতিশীলতা হারানোর শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভোজ্যতেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের সরবরাহ ও মূল্যের ক্ষেত্রে সরকারি তদারকি এবং কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শহরকেন্দ্রিক পদক্ষেপের সীমাবদ্ধতা। দেশের পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। এই অঞ্চলগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা জরুরি। তা ছাড়া, শুধু ঘোষণায় সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকর মনিটরিং ও তদারকি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। রমজান মাসে মানুষের অস্বস্তি যেন কোনোভাবেই না বাড়ে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দল নিষিদ্ধ করার দাবি যেন এক পুনরাবৃত্ত ইতিহাস। যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা প্রায়ই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিষিদ্ধ করার পথ খোঁজে, আর একটি পক্ষ ‘ফাঁকা মাঠে গোল করার মওকা’ মিলবে ভেবে তাতে সমর্থন জোগায়—যেন নিষিদ্ধ করাই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়।
২৪ মিনিট আগেপারিপার্শ্বিক অবস্থা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, লোকমুখের প্রচার ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা বিশ্লেষণ করলে এক বাক্যে উপনীত হওয়া যায় যে নির্বাচন আসন্ন। কিছুটা দ্বিমত ও সন্দেহ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। তবে নির্বাচন হলে কারা জনপ্রতিনিধি হবেন, তা নিয়ে কথা বলা দরকার।
৩০ মিনিট আগেআমাদের চিকিৎসাব্যবস্থায় বড় ক্ষত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি রোগ। দেশের প্রায় ৫৩ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য কোনো না কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত। ‘পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার’ (পিপিআরসি)-এর সম্প্রতি এক গবেষণায় এ ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।
৩৫ মিনিট আগেআগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যতই জোর দেওয়া হচ্ছে, চারপাশে ততই বইছে আশঙ্কার গুমোট হাওয়া। আশঙ্কা দানা বাঁধছে সরকারেরই কিছু কথায়। সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জোর দেওয়ার পাশাপাশি বলা হচ্ছে নির্বাচন ভন্ডুল করার ষড়যন্
১ দিন আগে