সম্পাদকীয়
জনগণের সেবা করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশের অনেকেই যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তাহলে মানুষ কার ওপর আস্থা রাখবে আর কার ওপর রাখবে না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন! ঢালাওভাবে আমরা পুরো পুলিশ বাহিনীকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আখ্যা দিতে পারি না। আবার পুলিশের কোনো কোনো সদস্য যে দুর্নীতি করেন, তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। কোন পুলিশ সদস্যের কাছে ধরনা দিলে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে, সেই দ্বিধা না কাটা যেন একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাসক কিংবা উর্দি বদল এই সংস্কৃতির কোনো ব্যত্যয় ঘটাতে পারেনি।
পাঠক যদি ১৬ জুনের আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের টাকা আদায়’ শিরোনামের খবরটি পড়ে থাকেন, তাহলে ওপরের কথাগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন সহজে। শুক্রবার দিবাগত রাতে (১৪ জুন) মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের গোয়ালীমান্দ্রা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচ যুবককে আটক করে শ্রীনগর থানার এসআই আমির হামজাসহ পুলিশের একটি দল। তাঁরা শনিবার দুপুরে ছাড়াও পেয়ে যান।
ছাড়া পাওয়ার পর তাঁদের মধ্যে আকাশ শেখ নামের এক যুবক একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আকাশের অভিযোগ—তাঁদের পাঁচজনকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পুলিশ ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে দেড় লাখ টাকায় ব্যাপারটা রফা হলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার তির পুলিশের দিকে যায়। কিন্তু এসআই হামজা নিজে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি এ-ও মন্তব্য করেছেন যে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই ‘কেউ না কেউ’ এই অর্থ নিয়েছেন। তিনি নিশ্চয়ই এই বাংলা প্রবাদটিতে বিশ্বাসী—যা রটে তা কিছু তো বটে! নিজেকে শুধু ‘হুকুম পালনকারী’ দাবি করে এই টাকা কে বা কারা নিয়েছেন, তা তদন্তের অনুরোধ করেছেন হামজা নিজেই। মনে হচ্ছে, পুলিশের কাছে পুলিশই অসহায়!
এদিকে শ্রীনগর থানার ওসি শাকিল আহমেদ বলেছেন, ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গে আলাপ করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর টাকা লেনদেনের বিষয়টি মিথ্যা বলেও দাবি করেন তিনি।
দুই পুলিশ সদস্যের দুই রকম বক্তব্যে দ্বিধায় পড়ে যেতে হয়, যেন পুলিশ বনাম পুলিশ খেলা! তাই বুঝি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ প্রকৃত সত্য জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু সব সময়ই কি এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর তদন্ত করে জানতে হবে পুলিশে কে বা কারা দুর্নীতিগ্রস্ত? আর তদন্তের পর দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের কঠোর শাস্তি যদি না হয়, তাহলে কিন্তু তাঁরা মানুষকে ‘ভয়’ দেখিয়ে দুর্নীতির চর্চা চালিয়েই যাবেন।
জনগণ কবে শুধু নির্দিষ্ট পুলিশ সদস্য নয়, পুরো পুলিশ বাহিনীর ওপর ভরসা করতে পারবে? এই প্রশ্নটা মনে হয় কোথাও আলগোছে তুলে রেখে দিতে হবে—কেউ কোনো দিন সঠিক উত্তর দেবে এই আশায়।
জনগণের সেবা করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশের অনেকেই যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তাহলে মানুষ কার ওপর আস্থা রাখবে আর কার ওপর রাখবে না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন! ঢালাওভাবে আমরা পুরো পুলিশ বাহিনীকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আখ্যা দিতে পারি না। আবার পুলিশের কোনো কোনো সদস্য যে দুর্নীতি করেন, তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। কোন পুলিশ সদস্যের কাছে ধরনা দিলে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে, সেই দ্বিধা না কাটা যেন একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাসক কিংবা উর্দি বদল এই সংস্কৃতির কোনো ব্যত্যয় ঘটাতে পারেনি।
পাঠক যদি ১৬ জুনের আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের টাকা আদায়’ শিরোনামের খবরটি পড়ে থাকেন, তাহলে ওপরের কথাগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন সহজে। শুক্রবার দিবাগত রাতে (১৪ জুন) মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের গোয়ালীমান্দ্রা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচ যুবককে আটক করে শ্রীনগর থানার এসআই আমির হামজাসহ পুলিশের একটি দল। তাঁরা শনিবার দুপুরে ছাড়াও পেয়ে যান।
ছাড়া পাওয়ার পর তাঁদের মধ্যে আকাশ শেখ নামের এক যুবক একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আকাশের অভিযোগ—তাঁদের পাঁচজনকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পুলিশ ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে দেড় লাখ টাকায় ব্যাপারটা রফা হলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার তির পুলিশের দিকে যায়। কিন্তু এসআই হামজা নিজে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি এ-ও মন্তব্য করেছেন যে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই ‘কেউ না কেউ’ এই অর্থ নিয়েছেন। তিনি নিশ্চয়ই এই বাংলা প্রবাদটিতে বিশ্বাসী—যা রটে তা কিছু তো বটে! নিজেকে শুধু ‘হুকুম পালনকারী’ দাবি করে এই টাকা কে বা কারা নিয়েছেন, তা তদন্তের অনুরোধ করেছেন হামজা নিজেই। মনে হচ্ছে, পুলিশের কাছে পুলিশই অসহায়!
এদিকে শ্রীনগর থানার ওসি শাকিল আহমেদ বলেছেন, ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গে আলাপ করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর টাকা লেনদেনের বিষয়টি মিথ্যা বলেও দাবি করেন তিনি।
দুই পুলিশ সদস্যের দুই রকম বক্তব্যে দ্বিধায় পড়ে যেতে হয়, যেন পুলিশ বনাম পুলিশ খেলা! তাই বুঝি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ প্রকৃত সত্য জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু সব সময়ই কি এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর তদন্ত করে জানতে হবে পুলিশে কে বা কারা দুর্নীতিগ্রস্ত? আর তদন্তের পর দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের কঠোর শাস্তি যদি না হয়, তাহলে কিন্তু তাঁরা মানুষকে ‘ভয়’ দেখিয়ে দুর্নীতির চর্চা চালিয়েই যাবেন।
জনগণ কবে শুধু নির্দিষ্ট পুলিশ সদস্য নয়, পুরো পুলিশ বাহিনীর ওপর ভরসা করতে পারবে? এই প্রশ্নটা মনে হয় কোথাও আলগোছে তুলে রেখে দিতে হবে—কেউ কোনো দিন সঠিক উত্তর দেবে এই আশায়।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুদ্ধি অভিযান বাংলাদেশে স্পষ্টভাবে চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত অন্তত ছয়জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গণপিটুনির মাধ্যমে অসংখ্য সংবাদমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। শত শত সাংবাদিককে বিনা নোটিশে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা...
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়—শুধু গবেষণায় নয়, মানবিক দায়বদ্ধতায়ও। যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখিয়ে দিয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়; বরং তা ন্যায়, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীল...
১৫ ঘণ্টা আগেএই জীবনে মানুষ হয়ে জন্মানো আর মানুষ হয়ে ওঠা—এই দুইয়ের মাঝে যে সংযোগ, তাকে যদি ‘ম্যাজিক রিয়্যালিজম’ বলি? কথাটির সহজ কোনো মানে কি করা যায়? জীবনের শুরুতে কিংবা বেড়ে উঠতে উঠতে কতটুকুইবা বুঝতে পারা যায়? বোঝাটুকুর জন্যই যে মনের বৃদ্ধি দরকার!
১৫ ঘণ্টা আগে