সম্পাদকীয়
আজকের পত্রিকার ১ সেপ্টেম্বর প্রথম পাতায় চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলাদা আলাদা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে আজ শুধু আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা বলব। এখানে একজন ছাত্রীকে একজন দারোয়ানের থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনা থেকে যেভাবে শত শত শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার কারণ হয়েছে, তা অনেককে হতবিহ্বল করেছে। এই ঘটনাটির মূল কারণ ছিল একটি তুচ্ছ বিষয়—একজন শিক্ষার্থীর মেসে ফিরতে দেরি হওয়া। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শিক্ষার্থীদের ওপর গ্রামবাসীর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন প্রো-ভিসি এবং একজন প্রক্টরের আহত হওয়া—এ সবই ইঙ্গিত দেয় যে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যখন শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হচ্ছিলেন, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা ছিল অবাক করার মতো। অভিযোগ উঠেছে যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁদের কোনো উপস্থিতি ছিল না। ফলে আহতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এটি কেবল দায়িত্বে অবহেলা নয়, বরং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মৌলিক দায়িত্ব থেকে সরে আসার একটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার সময় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, যা সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং প্রক্টরের অসহায়ত্বের কথা থেকে স্পষ্ট হয় যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিতে কতটা দুর্বল ছিল।
ঘটনার গভীরে আরও কিছু অন্ধকার দিক রয়েছে। সংবাদপত্রে উঠে আসা তথ্যানুসারে, ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উসকানির অভিযোগও রয়েছে, যার কারণে বিএনপির এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। এটি আমাদের সমাজের সেই পুরোনো সমস্যাকে আবারও সামনে নিয়ে আসে, যেখানে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সাধারণ মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হয়।
উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার—আবাসন সমস্যার সমাধান করা। একই সঙ্গে বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে প্রশাসনকে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার।
দেশের যেকোনো এলাকার পাশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা এলাকাবাসীর জন্য গর্বের বিষয় হওয়ার কথা। কিন্তু এখানকার এলাকাবাসী এর আগেও সেটা দেখাতে পারেননি। নানা সময়েই এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে উভয় পক্ষের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। সে সম্পর্ক নির্মাণ করতে কী করণীয়, সেটা উভয় পক্ষকে ভাবতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি কোনো সুখকর বিষয় নয়। যদি আমরা এখনই ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হই, তবে ভবিষ্যতে এমন আরও অনেক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। একটা থাপ্পড় থেকে যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, তাহলে তা আমাদের সবার জন্যই অশনিসংকেত।
আজকের পত্রিকার ১ সেপ্টেম্বর প্রথম পাতায় চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলাদা আলাদা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে আজ শুধু আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা বলব। এখানে একজন ছাত্রীকে একজন দারোয়ানের থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনা থেকে যেভাবে শত শত শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার কারণ হয়েছে, তা অনেককে হতবিহ্বল করেছে। এই ঘটনাটির মূল কারণ ছিল একটি তুচ্ছ বিষয়—একজন শিক্ষার্থীর মেসে ফিরতে দেরি হওয়া। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শিক্ষার্থীদের ওপর গ্রামবাসীর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন প্রো-ভিসি এবং একজন প্রক্টরের আহত হওয়া—এ সবই ইঙ্গিত দেয় যে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যখন শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হচ্ছিলেন, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা ছিল অবাক করার মতো। অভিযোগ উঠেছে যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁদের কোনো উপস্থিতি ছিল না। ফলে আহতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এটি কেবল দায়িত্বে অবহেলা নয়, বরং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মৌলিক দায়িত্ব থেকে সরে আসার একটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার সময় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, যা সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং প্রক্টরের অসহায়ত্বের কথা থেকে স্পষ্ট হয় যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিতে কতটা দুর্বল ছিল।
ঘটনার গভীরে আরও কিছু অন্ধকার দিক রয়েছে। সংবাদপত্রে উঠে আসা তথ্যানুসারে, ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উসকানির অভিযোগও রয়েছে, যার কারণে বিএনপির এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। এটি আমাদের সমাজের সেই পুরোনো সমস্যাকে আবারও সামনে নিয়ে আসে, যেখানে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সাধারণ মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হয়।
উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার—আবাসন সমস্যার সমাধান করা। একই সঙ্গে বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে প্রশাসনকে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার।
দেশের যেকোনো এলাকার পাশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা এলাকাবাসীর জন্য গর্বের বিষয় হওয়ার কথা। কিন্তু এখানকার এলাকাবাসী এর আগেও সেটা দেখাতে পারেননি। নানা সময়েই এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে উভয় পক্ষের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। সে সম্পর্ক নির্মাণ করতে কী করণীয়, সেটা উভয় পক্ষকে ভাবতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি কোনো সুখকর বিষয় নয়। যদি আমরা এখনই ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হই, তবে ভবিষ্যতে এমন আরও অনেক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। একটা থাপ্পড় থেকে যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, তাহলে তা আমাদের সবার জন্যই অশনিসংকেত।
রাজনীতির মাঠে অশালীন শব্দ ব্যবহার করলে আর মিথ্যা কথা বললে জনপ্রিয়তা বাড়ে—এ রকম বক্তব্যসহ সহকর্মী জাহাঙ্গীর আলমের লেখা একটি উপসম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের আজকের পত্রিকায়। ব্যাপারটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক।
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ভাইরাল নিউজ চোখে পড়ল। একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ক্লিনার বকশিশ চেয়ে না পেয়ে অসুস্থ শিশুর মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে ফেলেন। এতে সেই শিশুর একপর্যায়ে করুণ মৃত্যু হয়। এমন অভিযোগ শিশুর মায়ের।
৩ ঘণ্টা আগেবাগছাস নেতা এসে স্কুলের ফেল করা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে যাচ্ছেন—এটাকে কি রূপকথার গল্প বলে মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে কারও অলীক কল্পনা? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ের অস্থায়ী (অ্যাডহক) কমিটির আহ্বায়ক হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মদ।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের দু’টি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ—ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের অভাবনীয় উত্থান সাম্প্রতিক ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যে সংগঠনটি অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে নিষিদ্ধ ছিল, তারাই কীভাবে এত সংখ্যক পদে জয়ী হলো—এই প্রশ্ন শিক্ষিত সমাজকে
১০ ঘণ্টা আগে