সম্পাদকীয়
সবকিছু মিলিয়ে রাজনীতি যে জটের মধ্যে পড়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না দেশের গন্তব্য কোন দিকে।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক শীতল, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি নির্বাচন প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে একমত—এ রকম এক পরিস্থিতিতে নামসর্বস্ব বা এক নেতাকেন্দ্রিক দলগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপি ভেবেছিল, ক্ষমতায় আসা তাদের দলের জন্য সময়ের ব্যাপারমাত্র, কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নির্বাচন বিষয়ে সরকার ও বিএনপি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে না। যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততটাই ঘোরালো হয়ে উঠছে।
শুধু নির্বাচনই গণতন্ত্রকে প্রকাশ করে না, এ কথা যেমন সত্য, তেমনি নির্বাচনবিহীন দীর্ঘ সময় পার করাও গণতন্ত্রকে জখম করে, এটাও সত্য। অন্তর্বর্তী সরকার যদি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করত, তাহলে প্রতিটি দলই তাদের মতো করে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে পারত। ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত একটি সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে বলায় নির্বাচনের সময় সম্পর্কে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং সরকার-সমর্থক দলের নেতারা বলে যাচ্ছেন, জুনের পর এক দিনের জন্যও এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। কিন্তু যদি জুনের পরও অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা না ছাড়ে, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে? যেকোনো ধরনের সংঘাত পরিহার করার প্রস্তুতি প্রতিটি দলেরই থাকতে হবে।
আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেককে আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দ্রুত মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি আবার সুব্রত বাইনসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভালো কথা। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরপর কেন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, সে প্রশ্ন এড়ানো যাবে না। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কি আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার বলি ছিল, নাকি আসলেই তারা সন্ত্রাস ঘটিয়েছিল বা ঘটানোর ক্ষমতা রাখত বলেই জেলে ছিল? এই প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া যায়নি আজও। কেউ সন্ত্রাসীদের মুক্ত করার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। আওয়ামী লীগ আমলে করা মামলাগুলো হরেদরে বাতিল করে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে। বিশেষ করে গ্রেনেড হামলা মামলা নিয়ে যা হয়েছে, তা ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানেরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা প্রণিধানযোগ্য। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে অগ্রাহ্য করে যেকোনো বয়ান সৃষ্টির প্রবণতা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে—এ কথা সবাইকে বুঝতে হবে। একাত্তরে পরাজিত শক্তির দোসররা এখন নতুন করে ইতিহাস লিখতে চাইলে জনগণ সেটা কোন চোখে দেখবে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। একাত্তর নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী গবেষণা হওয়া দরকার। রাজনীতিবিদেরা এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি যেন অবহেলা না করেন।
এই সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর যে অর্জন, তা হলো মব সন্ত্রাস। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই যেকোনো মানুষকে শিকার বানিয়ে যা ইচ্ছে তাই করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তার অবসান প্রয়োজন। একটা সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে হলে সে রকম উদার মনও দরকার। উদারতার জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া এ মুহূর্তে আর কী-ইবা করার আছে?
সবকিছু মিলিয়ে রাজনীতি যে জটের মধ্যে পড়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না দেশের গন্তব্য কোন দিকে।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক শীতল, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি নির্বাচন প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে একমত—এ রকম এক পরিস্থিতিতে নামসর্বস্ব বা এক নেতাকেন্দ্রিক দলগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপি ভেবেছিল, ক্ষমতায় আসা তাদের দলের জন্য সময়ের ব্যাপারমাত্র, কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নির্বাচন বিষয়ে সরকার ও বিএনপি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে না। যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততটাই ঘোরালো হয়ে উঠছে।
শুধু নির্বাচনই গণতন্ত্রকে প্রকাশ করে না, এ কথা যেমন সত্য, তেমনি নির্বাচনবিহীন দীর্ঘ সময় পার করাও গণতন্ত্রকে জখম করে, এটাও সত্য। অন্তর্বর্তী সরকার যদি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করত, তাহলে প্রতিটি দলই তাদের মতো করে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে পারত। ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত একটি সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে বলায় নির্বাচনের সময় সম্পর্কে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং সরকার-সমর্থক দলের নেতারা বলে যাচ্ছেন, জুনের পর এক দিনের জন্যও এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। কিন্তু যদি জুনের পরও অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা না ছাড়ে, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে? যেকোনো ধরনের সংঘাত পরিহার করার প্রস্তুতি প্রতিটি দলেরই থাকতে হবে।
আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেককে আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দ্রুত মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি আবার সুব্রত বাইনসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভালো কথা। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরপর কেন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, সে প্রশ্ন এড়ানো যাবে না। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কি আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার বলি ছিল, নাকি আসলেই তারা সন্ত্রাস ঘটিয়েছিল বা ঘটানোর ক্ষমতা রাখত বলেই জেলে ছিল? এই প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া যায়নি আজও। কেউ সন্ত্রাসীদের মুক্ত করার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। আওয়ামী লীগ আমলে করা মামলাগুলো হরেদরে বাতিল করে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে। বিশেষ করে গ্রেনেড হামলা মামলা নিয়ে যা হয়েছে, তা ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানেরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা প্রণিধানযোগ্য। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে অগ্রাহ্য করে যেকোনো বয়ান সৃষ্টির প্রবণতা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে—এ কথা সবাইকে বুঝতে হবে। একাত্তরে পরাজিত শক্তির দোসররা এখন নতুন করে ইতিহাস লিখতে চাইলে জনগণ সেটা কোন চোখে দেখবে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। একাত্তর নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী গবেষণা হওয়া দরকার। রাজনীতিবিদেরা এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি যেন অবহেলা না করেন।
এই সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর যে অর্জন, তা হলো মব সন্ত্রাস। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই যেকোনো মানুষকে শিকার বানিয়ে যা ইচ্ছে তাই করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তার অবসান প্রয়োজন। একটা সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে হলে সে রকম উদার মনও দরকার। উদারতার জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া এ মুহূর্তে আর কী-ইবা করার আছে?
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
৩ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১ দিন আগে