সম্পাদকীয়
প্যাটার্নটা লক্ষ করা দরকার। নারীর পোশাক নিয়ে অশালীন কথা বলছে বখাটের দল। প্রতিবাদ করলে হামলে পড়ছে প্রতিবাদকারীর ওপর। এরা ‘বখাটে’—মনে-মননে-বিশ্বাসে। এরা হতে পারে কোনো বয়ানের অন্ধ সমর্থক। এই অন্ধ দুরাচারদেরই একটা অংশ ধর্ষণবিরোধী মিছিলে হামলা চালাচ্ছে। অর্থাৎ নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকাশ্য রূপ দেখা যাচ্ছে পথে-ঘাটে।
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে এই অন্ধ মানুষদের আস্ফালন বাড়ছে। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে প্রত্যেকের যে সমান অধিকার, সেটার প্রতিই যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে কিছু অন্ধ মানুষ। এদের কেউ কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে, কেউ কেউ পুরুষতান্ত্রিক ভাবধারায় বলীয়ান হয়ে নারীকে অবজ্ঞা করছে। এখনই এই অরাজকতার রাশ টেনে না ধরা হলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে। নারীকে পণ্য হিসেবে বা পুরুষের সম্পত্তি হিসেবে দেখার প্রবণতা বাড়বে। আর তাতে প্রকাশ্যে নারীর সঙ্গে অশোভন ব্যবহার, ধর্ষণ বাড়তে থাকবে।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় সমাজের সচেতন মানুষ ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। একই সময়ে আরও অনেক জেলা থেকে নৃশংস ধর্ষণের সংবাদ আসছে, যা উদ্বেগজনক। কোন কোন মূল্যবোধ সমাজ থেকে অপসৃত হয়েছে, তা নিয়ে ভাবা দরকার।
স্কৃতিক জাগরণ একটি সমাজকে ঋদ্ধ করতে পারে, তার রুচিবোধকে সংহত করতে পারে। সত্যিকার বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানার্জন মানুষকে দিতে পারে যৌক্তিকভাবে মনগঠনের সাহস। সংস্কৃতি ও শিক্ষা যদি কোনো কারণে সময়োপযোগী না হয়, তাহলে সমাজে নেমে আসে কুরুচির রাজত্ব। সেই কুরুচিরই প্রকাশ ঘটতে থাকে সমাজের আনাচকানাচে। এর সবচেয়ে বড় শিকার হয় নারীরা।
আমাদের দেশে সুকৌশলে সাংস্কৃতিক জাগরণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। লোকজ ঐতিহ্যকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। মানুষের বিনোদনের জায়গা সংকুচিত হয়ে গেছে। সমাজে কট্টরপন্থীরা সহজিয়া ধারার ওপর ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে। সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার পথও রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই পটভূমিকায় নারীর পোশাক নিয়ে কটূক্তি কিংবা সুযোগ পেলেই নারীর শ্লীলতাহানি, নারীকে ধর্ষণ করার সাহস বাড়ছে।
কেউ কি খেয়াল করে দেখেছেন, শ্লীলতাহানি কিংবা ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হলে অনলাইন পত্রিকার মন্তব্যের ঘরে কিংবা ফেসবুকের মন্তব্যের ঘরে নারীকে দোষারোপ করে যে লেখাগুলো দেখা যায়, তার বেশির ভাগেই থাকে নারীর প্রতি বিষোদ্গার। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা জনমনে এতটাই বিকশিত হয়েছে যে প্রত্যেকেই যেন পরিণত হয়েছে নারীর বিচারকে। মানুষ হিসেবে নারীর চাওয়া-পাওয়াকে আমলেই নেওয়া হচ্ছে না। এ এক ভীতিকর পরিবেশ।
এই সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আদৌ কি সরকার এই বিষয়টিতে মনোযোগী? নাকি দায়সারাভাবে এই অভিশাপকে দেখা হবে?
নারী ও পুরুষ মিলেই যে মানবসমাজ, সে সমাজে প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে সমানাধিকার—এই কথা সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হলে যেকোনো মানুষকেই বিভ্রান্ত করা সম্ভব। বিভ্রান্ত জাতি বেশি দূর এগোতে পারে না।
প্যাটার্নটা লক্ষ করা দরকার। নারীর পোশাক নিয়ে অশালীন কথা বলছে বখাটের দল। প্রতিবাদ করলে হামলে পড়ছে প্রতিবাদকারীর ওপর। এরা ‘বখাটে’—মনে-মননে-বিশ্বাসে। এরা হতে পারে কোনো বয়ানের অন্ধ সমর্থক। এই অন্ধ দুরাচারদেরই একটা অংশ ধর্ষণবিরোধী মিছিলে হামলা চালাচ্ছে। অর্থাৎ নারীর প্রতি সহিংসতার প্রকাশ্য রূপ দেখা যাচ্ছে পথে-ঘাটে।
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে এই অন্ধ মানুষদের আস্ফালন বাড়ছে। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে প্রত্যেকের যে সমান অধিকার, সেটার প্রতিই যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে কিছু অন্ধ মানুষ। এদের কেউ কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে, কেউ কেউ পুরুষতান্ত্রিক ভাবধারায় বলীয়ান হয়ে নারীকে অবজ্ঞা করছে। এখনই এই অরাজকতার রাশ টেনে না ধরা হলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে। নারীকে পণ্য হিসেবে বা পুরুষের সম্পত্তি হিসেবে দেখার প্রবণতা বাড়বে। আর তাতে প্রকাশ্যে নারীর সঙ্গে অশোভন ব্যবহার, ধর্ষণ বাড়তে থাকবে।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় সমাজের সচেতন মানুষ ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। একই সময়ে আরও অনেক জেলা থেকে নৃশংস ধর্ষণের সংবাদ আসছে, যা উদ্বেগজনক। কোন কোন মূল্যবোধ সমাজ থেকে অপসৃত হয়েছে, তা নিয়ে ভাবা দরকার।
স্কৃতিক জাগরণ একটি সমাজকে ঋদ্ধ করতে পারে, তার রুচিবোধকে সংহত করতে পারে। সত্যিকার বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানার্জন মানুষকে দিতে পারে যৌক্তিকভাবে মনগঠনের সাহস। সংস্কৃতি ও শিক্ষা যদি কোনো কারণে সময়োপযোগী না হয়, তাহলে সমাজে নেমে আসে কুরুচির রাজত্ব। সেই কুরুচিরই প্রকাশ ঘটতে থাকে সমাজের আনাচকানাচে। এর সবচেয়ে বড় শিকার হয় নারীরা।
আমাদের দেশে সুকৌশলে সাংস্কৃতিক জাগরণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। লোকজ ঐতিহ্যকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। মানুষের বিনোদনের জায়গা সংকুচিত হয়ে গেছে। সমাজে কট্টরপন্থীরা সহজিয়া ধারার ওপর ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে। সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার পথও রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই পটভূমিকায় নারীর পোশাক নিয়ে কটূক্তি কিংবা সুযোগ পেলেই নারীর শ্লীলতাহানি, নারীকে ধর্ষণ করার সাহস বাড়ছে।
কেউ কি খেয়াল করে দেখেছেন, শ্লীলতাহানি কিংবা ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হলে অনলাইন পত্রিকার মন্তব্যের ঘরে কিংবা ফেসবুকের মন্তব্যের ঘরে নারীকে দোষারোপ করে যে লেখাগুলো দেখা যায়, তার বেশির ভাগেই থাকে নারীর প্রতি বিষোদ্গার। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা জনমনে এতটাই বিকশিত হয়েছে যে প্রত্যেকেই যেন পরিণত হয়েছে নারীর বিচারকে। মানুষ হিসেবে নারীর চাওয়া-পাওয়াকে আমলেই নেওয়া হচ্ছে না। এ এক ভীতিকর পরিবেশ।
এই সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আদৌ কি সরকার এই বিষয়টিতে মনোযোগী? নাকি দায়সারাভাবে এই অভিশাপকে দেখা হবে?
নারী ও পুরুষ মিলেই যে মানবসমাজ, সে সমাজে প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে সমানাধিকার—এই কথা সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হলে যেকোনো মানুষকেই বিভ্রান্ত করা সম্ভব। বিভ্রান্ত জাতি বেশি দূর এগোতে পারে না।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১ দিন আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
১ দিন আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
২ দিন আগে