সম্পাদকীয়
এখন সময় খারাপ। মরণব্যাধি করোনা সবকিছু ভেঙেচুরে, তছনছ করে আমার-আপনার ঘরে ঢুকে পড়ছে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার সে বেশি দাপট দেখাচ্ছে। এর আক্রমণ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, তাকে যেন থামানোর সাধ্য কারও নেই! আসলে সাধ্য আছে। তাকে থামিয়ে দেওয়ার শক্তি আমাদের নিজেদের হাতেই আছে! আমরা সরকার বা অন্যকে দোষ না দিয়ে একটু নিজেরা আত্মসমালোচক হই। নিজেদের দিকে তাকাই। প্রশ্ন করি: আমরা কতটা পালন করছি স্বাস্থ্যবিধি, কতটা মেনে চলছি সরকারি বিধিনিষেধ। নিশ্চয়ই জবাব পেয়ে যাব। সবাই যদি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করি, তাহলেই নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনা।
এই নিয়ে এর আগেও অনেক কথা বলা হয়েছে। আজ একটু অন্য বিষয়ে বলব। বিষয়টি হলো, আমরা তো উৎসব, আনন্দপ্রিয় জাতি। কিছু একটা পেলেই বেশ মাতামাতি করি। কোনো উপলক্ষে এক-দুদিনের ছুটি পেলেই বাক্স–পেটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। ধনীরা বিমানে চড়ে দেশ-বিদেশে অবকাশে আর অন্যরা বাড়ির পথে। সামনে ঈদ আসছে, স্বাভাবিকভাবেই সবাই গ্রামে, মাটির টানে ছুটতে চাইবেন। তার আগে আবারও দলবেঁধে কেনাকাটা তো করবেনই। আর ঈদের পশু কিনতে হবে, হাটে যেতে হবে। এ তো মহা আনন্দের উৎসব! হ্যাঁ ঠিক, আমাদের বাঙালি মুসলমানদের কাছে এর চেয়ে আনন্দের আর কী আছে!
তবে এবার একটু ভিন্ন চিন্তা করুন আগে থেকেই। দেখছেন, কীভাবে মানুষ মরছে? ঘরে ঘরে করোনার বিধ্বংসী দাপট চলছে। এবার দলবেঁধে গ্রামে যাওয়া, হাটে গিয়ে গাদাগাদি করে পশু কেনা থেকে বিরত থাকুন। কোরবানির পশু কিনবেন–এবার ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার করুন। দেশে এখন অনেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আছে। আপনি তাদের সাইটে গিয়ে ছবি দেখে অর্ডার করবেন, কোরবানির পশু আপনার বাসায় চলে আসবে। এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারে? স্বাভাবিক সময়েও এ ধরনের সুযোগ সবার সময় সাশ্রয় করে, ভোগান্তি কমায়। আর এবারের করোনার সংক্রমণ এড়াতে এটা খুবই কার্যকরী উপায় বলেই মনে হচ্ছে। যারা ঈদে পোশাক বা অন্য কোনো টুকিটাকি জিনিসপত্র কিনতে চান, দয়া করে তারাও একই পদ্ধতি মানতে পারেন। ই-কমার্স সাইটে গিয়ে অনলাইনে অর্ডার করে সবই কেনা যাচ্ছে এখন। অযথা কেন সবার জন্য হুমকি হবেন? একটু মেনে চলুন না বিধিনিষেধগুলো।
যদি আমি-আপনি-আমরা সবাই সরকারের বিধিনিষেধগুলো একটু মেনে, নিজেকে এবং প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারি, তবে আগামী দিনে আরও কত উৎস আসবে; সেগুলো না হয় খুব ঘটা করে পালন করব। দিন তো আসবে। আজকের একটু ত্যাগ যদি সুন্দর আগামী দিন নিয়ে আসে, তাহলে ক্ষতি কী? ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রেখে, অফিস-আদালত অচল করে, স্কুল-কলেজ স্থবির করে, সবার ক্ষতি জেনেও এই সবকিছুই করা হচ্ছে সবার বেঁচে থাকার জন্য। আমরা সবাই মিলে সতর্ক হলে, সবাই বেঁচে যাই। আবারও বলি, এবার উৎসব করুন ঘরে ঘরে, একান্তে।
এখন সময় খারাপ। মরণব্যাধি করোনা সবকিছু ভেঙেচুরে, তছনছ করে আমার-আপনার ঘরে ঢুকে পড়ছে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার সে বেশি দাপট দেখাচ্ছে। এর আক্রমণ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, তাকে যেন থামানোর সাধ্য কারও নেই! আসলে সাধ্য আছে। তাকে থামিয়ে দেওয়ার শক্তি আমাদের নিজেদের হাতেই আছে! আমরা সরকার বা অন্যকে দোষ না দিয়ে একটু নিজেরা আত্মসমালোচক হই। নিজেদের দিকে তাকাই। প্রশ্ন করি: আমরা কতটা পালন করছি স্বাস্থ্যবিধি, কতটা মেনে চলছি সরকারি বিধিনিষেধ। নিশ্চয়ই জবাব পেয়ে যাব। সবাই যদি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করি, তাহলেই নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনা।
এই নিয়ে এর আগেও অনেক কথা বলা হয়েছে। আজ একটু অন্য বিষয়ে বলব। বিষয়টি হলো, আমরা তো উৎসব, আনন্দপ্রিয় জাতি। কিছু একটা পেলেই বেশ মাতামাতি করি। কোনো উপলক্ষে এক-দুদিনের ছুটি পেলেই বাক্স–পেটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। ধনীরা বিমানে চড়ে দেশ-বিদেশে অবকাশে আর অন্যরা বাড়ির পথে। সামনে ঈদ আসছে, স্বাভাবিকভাবেই সবাই গ্রামে, মাটির টানে ছুটতে চাইবেন। তার আগে আবারও দলবেঁধে কেনাকাটা তো করবেনই। আর ঈদের পশু কিনতে হবে, হাটে যেতে হবে। এ তো মহা আনন্দের উৎসব! হ্যাঁ ঠিক, আমাদের বাঙালি মুসলমানদের কাছে এর চেয়ে আনন্দের আর কী আছে!
তবে এবার একটু ভিন্ন চিন্তা করুন আগে থেকেই। দেখছেন, কীভাবে মানুষ মরছে? ঘরে ঘরে করোনার বিধ্বংসী দাপট চলছে। এবার দলবেঁধে গ্রামে যাওয়া, হাটে গিয়ে গাদাগাদি করে পশু কেনা থেকে বিরত থাকুন। কোরবানির পশু কিনবেন–এবার ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার করুন। দেশে এখন অনেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আছে। আপনি তাদের সাইটে গিয়ে ছবি দেখে অর্ডার করবেন, কোরবানির পশু আপনার বাসায় চলে আসবে। এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারে? স্বাভাবিক সময়েও এ ধরনের সুযোগ সবার সময় সাশ্রয় করে, ভোগান্তি কমায়। আর এবারের করোনার সংক্রমণ এড়াতে এটা খুবই কার্যকরী উপায় বলেই মনে হচ্ছে। যারা ঈদে পোশাক বা অন্য কোনো টুকিটাকি জিনিসপত্র কিনতে চান, দয়া করে তারাও একই পদ্ধতি মানতে পারেন। ই-কমার্স সাইটে গিয়ে অনলাইনে অর্ডার করে সবই কেনা যাচ্ছে এখন। অযথা কেন সবার জন্য হুমকি হবেন? একটু মেনে চলুন না বিধিনিষেধগুলো।
যদি আমি-আপনি-আমরা সবাই সরকারের বিধিনিষেধগুলো একটু মেনে, নিজেকে এবং প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারি, তবে আগামী দিনে আরও কত উৎস আসবে; সেগুলো না হয় খুব ঘটা করে পালন করব। দিন তো আসবে। আজকের একটু ত্যাগ যদি সুন্দর আগামী দিন নিয়ে আসে, তাহলে ক্ষতি কী? ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রেখে, অফিস-আদালত অচল করে, স্কুল-কলেজ স্থবির করে, সবার ক্ষতি জেনেও এই সবকিছুই করা হচ্ছে সবার বেঁচে থাকার জন্য। আমরা সবাই মিলে সতর্ক হলে, সবাই বেঁচে যাই। আবারও বলি, এবার উৎসব করুন ঘরে ঘরে, একান্তে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম, মোবাইল অ্যাপ, ডিজিটাল কনটেন্টের প্রভাবিত জগতে। শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সব বয়সীর মধ্যে।
৭ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৩৭ নম্বর মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনমাত্র শিক্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন পড়াতে।
৭ ঘণ্টা আগেআশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১ দিন আগে