সম্পাদকীয়
এ রকম একটা কথা প্রচলিত আছে যে ‘দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে।’ এখন হয়তো নতুন করে বলতে হবে ‘চুল না কাটলে আর জুতা না পরলে হবে না ভালো ছেলে!’ ভালো ছেলে হওয়ার জন্য কি চুল কাটতেই হবে কিংবা জুতা পরতেই হবে? এ রকমই ভিন্ন দুটি খবর প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকা।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থী শিক্ষকের কথামতো চুল না কেটে ক্লাসে আসায় তাঁদের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন এক শিক্ষক। অপমান সহ্য করতে না পেরে এক ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ফলে সেই শিক্ষক প্রশাসনিক দায়িত্ব ছেড়েছেন। কিন্তু একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমন কাজ করবেন কেন যে কারণে দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়? বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আমরা তো একটু বিবেচনা বোধ আশা করতেই পারি।
এদিকে স্কুলড্রেসের সঙ্গে নির্দিষ্ট জুতা (কেড্স) পরে না আসায় বাগেরহাটের মোংলার সেন্ট পলস্ স্কুলের ক্লাস থেকে শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে বের করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। করোনায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর স্কুল খুললে ড্রেসকোডে ব্যত্যয় ঘটে। কিছু শিক্ষার্থী কেডসের বদলে স্যান্ডেল পরে স্কুলে আসে।
মূলত আগের কেড্স ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার পর অনেক অভিভাবকই করোনাকালে অসচ্ছলতার কারণে নতুন কেড্স কিনে দিতে পারেননি।
দুটি খবরই হতাশার। শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীদের মন জয় করবেন তাঁর ব্যক্তিত্ব, মানবীয় সুন্দর আচরণ ও মূল্যবোধ জাগিয়ে। শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্ক হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস ও স্নেহের। বড় চুল দেখতে অসুন্দর হলে এটা তাঁদের বোঝাতে হবে। অথচ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা শিক্ষকসুলভ তো নয়ই; বরং তা ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা জাগাবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে বৈরিতা তৈরি হবে। শিক্ষার্থীরা ভালো কিছু শেখার বদলে, শিক্ষককে বন্ধু না ভেবে মানসপটে তাঁর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব জাগিয়ে রাখবেন।
এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে। এ ধরনের মধ্যযুগীয় পদ্ধতিতে শিষ্টাচার শেখানোর সংস্কৃতি কোনো স্কুলেও চলতে পারে না। শিক্ষার্থীরা ভুল করতে পারে, তাদের আদর-স্নেহে কিংবা এর খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে সংশোধন করে দিতে হবে। আবার যে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জুতা নেই বলে স্কুল থেকে বের
করে দেওয়া হয়েছে, সেটাও সুন্দর হয়নি। ঠিক আছে, স্কুলে নিয়মমতো ড্রেসকোড মেনে আসতে হবে; এটা সব শিক্ষার্থীরই মানা উচিত। কিন্তু করোনাকালে মানুষের আয় কমেছে। অনেকে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এসব কারণে অনেকে হয়তো সময়মতো ড্রেসকোডের কিছু ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। তাদের পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। এ সংকটে সবার সমস্যাগুলো বুঝতে হবে। সব সময় সব আচরণ করা যায় না। এমন সমস্যা নিশ্চয়ই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটছে। সবারই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মনোজগতে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়—এমন কিছু করা উচিত নয়। সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে গড়ে উঠুক সুন্দর সম্পর্ক।
এ রকম একটা কথা প্রচলিত আছে যে ‘দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে।’ এখন হয়তো নতুন করে বলতে হবে ‘চুল না কাটলে আর জুতা না পরলে হবে না ভালো ছেলে!’ ভালো ছেলে হওয়ার জন্য কি চুল কাটতেই হবে কিংবা জুতা পরতেই হবে? এ রকমই ভিন্ন দুটি খবর প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকা।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থী শিক্ষকের কথামতো চুল না কেটে ক্লাসে আসায় তাঁদের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন এক শিক্ষক। অপমান সহ্য করতে না পেরে এক ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ফলে সেই শিক্ষক প্রশাসনিক দায়িত্ব ছেড়েছেন। কিন্তু একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমন কাজ করবেন কেন যে কারণে দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়? বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আমরা তো একটু বিবেচনা বোধ আশা করতেই পারি।
এদিকে স্কুলড্রেসের সঙ্গে নির্দিষ্ট জুতা (কেড্স) পরে না আসায় বাগেরহাটের মোংলার সেন্ট পলস্ স্কুলের ক্লাস থেকে শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে বের করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। করোনায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর স্কুল খুললে ড্রেসকোডে ব্যত্যয় ঘটে। কিছু শিক্ষার্থী কেডসের বদলে স্যান্ডেল পরে স্কুলে আসে।
মূলত আগের কেড্স ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার পর অনেক অভিভাবকই করোনাকালে অসচ্ছলতার কারণে নতুন কেড্স কিনে দিতে পারেননি।
দুটি খবরই হতাশার। শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীদের মন জয় করবেন তাঁর ব্যক্তিত্ব, মানবীয় সুন্দর আচরণ ও মূল্যবোধ জাগিয়ে। শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্ক হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস ও স্নেহের। বড় চুল দেখতে অসুন্দর হলে এটা তাঁদের বোঝাতে হবে। অথচ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা শিক্ষকসুলভ তো নয়ই; বরং তা ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা জাগাবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে বৈরিতা তৈরি হবে। শিক্ষার্থীরা ভালো কিছু শেখার বদলে, শিক্ষককে বন্ধু না ভেবে মানসপটে তাঁর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব জাগিয়ে রাখবেন।
এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে। এ ধরনের মধ্যযুগীয় পদ্ধতিতে শিষ্টাচার শেখানোর সংস্কৃতি কোনো স্কুলেও চলতে পারে না। শিক্ষার্থীরা ভুল করতে পারে, তাদের আদর-স্নেহে কিংবা এর খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে সংশোধন করে দিতে হবে। আবার যে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জুতা নেই বলে স্কুল থেকে বের
করে দেওয়া হয়েছে, সেটাও সুন্দর হয়নি। ঠিক আছে, স্কুলে নিয়মমতো ড্রেসকোড মেনে আসতে হবে; এটা সব শিক্ষার্থীরই মানা উচিত। কিন্তু করোনাকালে মানুষের আয় কমেছে। অনেকে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এসব কারণে অনেকে হয়তো সময়মতো ড্রেসকোডের কিছু ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। তাদের পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। এ সংকটে সবার সমস্যাগুলো বুঝতে হবে। সব সময় সব আচরণ করা যায় না। এমন সমস্যা নিশ্চয়ই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটছে। সবারই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মনোজগতে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়—এমন কিছু করা উচিত নয়। সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে গড়ে উঠুক সুন্দর সম্পর্ক।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
১ দিন আগেকিছুদিন আগে ভোলাগঞ্জের পাথর নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে—পাথর অপসারণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন সাদাপাথর, যেখানে পর্যটকেরা এই পাথর দেখার টানে ভ্রমণে যেতেন। পাথর সরানোর পরে সেখানে গেলে দেখতে পাবেন মাটি ও বালুর বিছানা পাতা। যা হোক, প্রশাসনের উদ্যোগ ও সচেতন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিষয়টি, পাথর আবার
১ দিন আগেরাজধানী ঢাকায় চাঁদাবাজদের রমরমা অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ২৪ আগস্টের আজকের পত্রিকায়। চাঁদাবাজেরা যে কাউকে পরোয়া করে না, তারই একটি চিত্র যেন এই প্রতিবেদনটি। এত দিন পত্রপত্রিকায় পেঁপে, লাউ, আখের বাম্পার ফলন ধরনের সংবাদ ছাপা হতো। এখন যদি বলা হয়, চাঁদাবাজিরও বাম্পার ফলন হয়েছে, তাহলে কি
১ দিন আগে‘হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন মোড়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয় গত ১৭ জানুয়ারি। আল জাজিরা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ইতিহাস দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ।
২ দিন আগে