সম্পাদকীয়
রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগসারা গ্রামে সাঁওতালপাড়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাবলু নামে স্থানীয় বিএনপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রাজশাহীর পবা উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বারনই নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ওপর প্রায় পাঁচ বছর আগে বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর ১২টি পরিবার বাড়ি করে। বাঁধের ওপরে তাদের বাড়ি। তার পরেই রয়েছে বাবলুর জমি। তাঁর জমির সামনের দিকে ওই সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোর বাড়ি করা নিয়ে আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন বাবলু। যদিও জায়গাগুলো পাউবোর। গত ৩১ জুলাই বাবলুর সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে সাঁওতালপাড়ার বাসিন্দাদের। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে এবং সন্ধ্যায় দুই দফা হামলা হয় এই পাড়ায়। হামলার পরে সবাই বাড়ি ছেড়ে গেছেন।
এ দেশে বিশেষ জাতিসত্তার মানুষের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। মূলত তাঁদের জমিজমা দখল করা নিয়ে এই হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। বিভিন্ন ঘটনার সূত্রে দেখা গেছে, বিশেষ জাতিসত্তার মানুষেরা এ দেশের নাগরিক হলেও তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দ্বারাই নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হন। প্রতিটি ঘটনার পর দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়, কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেখা যায়।
রাষ্ট্রকে বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে সেভাবে দাঁড়াতে দেখা যায় না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ সব সময় বৈচিত্র্যের জন্য গর্ব করে, কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। একটি দেশ নানা জাতিসত্তার মানুষ এবং নানা ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়ে গঠিত হয়। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সব সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষের একই অধিকার পাওয়ার কথা। কিন্তু সংখ্যালঘুর তকমা দিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংখ্যাগুরুর পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যায় রাষ্ট্রকে।
বলা হয়, আমাদের জাতিগত বৈচিত্র্য আমাদের বড় সম্পদ। এটি আমাদের সংস্কৃতিকে পুষ্ট করেছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সবই লোকদেখানো ব্যাপার! এই বিশেষ জাতিসত্তার মানুষেরাই কিন্তু দেশের প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা ও সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখে। কিন্তু তারাই দিন দিন ভূমিহীন হয়ে পড়ছে।
প্রায়ই বিশেষ জাতিসত্তার মানুষদের জমির জন্য জখম হতে হচ্ছে। উত্তরাধিকার, ভোগদখলীয়, খাসজমি তাঁরা নিজ অধিকারে রাখতে পারছেন না। যেকোনো একটা ছুতো তৈরি করেই তাঁদের ওপর হামলা হচ্ছে এবং এই নিপীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যখন তাঁদের নিজ বসতভিটা ছেড়ে নিরুদ্দেশ হতে হয়।
দুর্বল কি সবল, ক্ষুদ্র কি বৃহৎ—রাষ্ট্র সংবিধানে সব নাগরিকের নিরাপত্তা সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছে। ম্রো, সাঁওতাল, বাঙালি—সবার জন্যই রাষ্ট্রের অধিকার সমান। তাহলে কেন ঘটনাগুলো ঘটে? কারণ, তাদের ভূমি দখল করার বিরুদ্ধে আজও রাষ্ট্র কোনো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আমরা আশা করব, রাজশাহীর পবা উপজেলার সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। ক্ষতিগ্রস্ত সবার পাশে দাঁড়াবে দেশ।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগসারা গ্রামে সাঁওতালপাড়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাবলু নামে স্থানীয় বিএনপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রাজশাহীর পবা উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বারনই নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ওপর প্রায় পাঁচ বছর আগে বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর ১২টি পরিবার বাড়ি করে। বাঁধের ওপরে তাদের বাড়ি। তার পরেই রয়েছে বাবলুর জমি। তাঁর জমির সামনের দিকে ওই সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোর বাড়ি করা নিয়ে আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন বাবলু। যদিও জায়গাগুলো পাউবোর। গত ৩১ জুলাই বাবলুর সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে সাঁওতালপাড়ার বাসিন্দাদের। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে এবং সন্ধ্যায় দুই দফা হামলা হয় এই পাড়ায়। হামলার পরে সবাই বাড়ি ছেড়ে গেছেন।
এ দেশে বিশেষ জাতিসত্তার মানুষের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। মূলত তাঁদের জমিজমা দখল করা নিয়ে এই হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। বিভিন্ন ঘটনার সূত্রে দেখা গেছে, বিশেষ জাতিসত্তার মানুষেরা এ দেশের নাগরিক হলেও তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দ্বারাই নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হন। প্রতিটি ঘটনার পর দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়, কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেখা যায়।
রাষ্ট্রকে বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে সেভাবে দাঁড়াতে দেখা যায় না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ সব সময় বৈচিত্র্যের জন্য গর্ব করে, কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। একটি দেশ নানা জাতিসত্তার মানুষ এবং নানা ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়ে গঠিত হয়। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সব সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষের একই অধিকার পাওয়ার কথা। কিন্তু সংখ্যালঘুর তকমা দিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংখ্যাগুরুর পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যায় রাষ্ট্রকে।
বলা হয়, আমাদের জাতিগত বৈচিত্র্য আমাদের বড় সম্পদ। এটি আমাদের সংস্কৃতিকে পুষ্ট করেছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সবই লোকদেখানো ব্যাপার! এই বিশেষ জাতিসত্তার মানুষেরাই কিন্তু দেশের প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা ও সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখে। কিন্তু তারাই দিন দিন ভূমিহীন হয়ে পড়ছে।
প্রায়ই বিশেষ জাতিসত্তার মানুষদের জমির জন্য জখম হতে হচ্ছে। উত্তরাধিকার, ভোগদখলীয়, খাসজমি তাঁরা নিজ অধিকারে রাখতে পারছেন না। যেকোনো একটা ছুতো তৈরি করেই তাঁদের ওপর হামলা হচ্ছে এবং এই নিপীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যখন তাঁদের নিজ বসতভিটা ছেড়ে নিরুদ্দেশ হতে হয়।
দুর্বল কি সবল, ক্ষুদ্র কি বৃহৎ—রাষ্ট্র সংবিধানে সব নাগরিকের নিরাপত্তা সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছে। ম্রো, সাঁওতাল, বাঙালি—সবার জন্যই রাষ্ট্রের অধিকার সমান। তাহলে কেন ঘটনাগুলো ঘটে? কারণ, তাদের ভূমি দখল করার বিরুদ্ধে আজও রাষ্ট্র কোনো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আমরা আশা করব, রাজশাহীর পবা উপজেলার সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। ক্ষতিগ্রস্ত সবার পাশে দাঁড়াবে দেশ।
গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। তাদের শাসন আমলে একটি নতুন অর্থবছরেরও সূচনা হয়েছে। আজ বছর পেরিয়ে অনেকেই পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন—অর্জন কতটুকু, ব্যর্থতা কোথায় এবং অন্তরায় কী কী? এমন একটি হিসাব-নিকাশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় দিকনির্দেশনা দি
২ ঘণ্টা আগেআমরা যেন এক কদম সামনে বাড়লে পিছিয়ে পড়ি আরও দশ কদম। তখন সেই এক কদম এগিয়ে যাওয়াকে বড্ড ম্লান মনে হয়। গত প্রায় এক দশক ধরেই ঢাকার বায়ু ও পরিবেশ দূষণের শিকার। এখনো আমরা শীর্ষ বা এর আশপাশে অবস্থান করছি। এত সংস্কার কমিটি হলো, শুনেছি পরিবেশ উন্নয়নের জন্যও নাকি কমিটি গঠিত হয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে কোনোটিরই কি কো
২ ঘণ্টা আগেবাসটা ধাক্কা দিয়েছে এক শিক্ষার্থীকে, শিক্ষার্থী করেছে তার প্রতিবাদ। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাসের চালক, চালকের সহকারী ও অন্য কর্মীরা শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়েছে বাসে। ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে পিটিয়েছে। বাসের যাত্রীরা প্রশ্ন করেছে, কিন্তু ‘চোর’কে পেটানো হচ্ছে বলা হলে তারা নির্বিকার বসে থেকেছে আসনে। চোর হলেও যে তাকে পু
২ ঘণ্টা আগেযে রকম পরিস্থিতিতে দেশ চলছে, তাতে দেশের জনগণের স্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৫ আগস্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় সেই অস্বস্তি থেকে বের হয়ে আসার আপাতত একটা পথের দিশা পাওয়া গেল। জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা এই ভাষণ দেওয়ার আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে...
১ দিন আগে