সম্পাদকীয়
ক্ষমতার পালাবদলের পর কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন কি দেখা যাচ্ছে—এ প্রশ্ন এখন অনেকের মনে। নাগরিক জীবনে যে সমস্যাগুলো ছিল, তার কতটা কেটেছে, এ রকম প্রশ্ন করা হলে ভুক্তভোগী মানুষ নীরবই থাকবেন। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে নিম্নবিত্ত মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্ত মানুষও শামিল হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অসহায় অবস্থায় সুদিনের অপেক্ষা করছেন। সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এ রকম অভিযোগ ছিল বিগত সরকারের বিরুদ্ধে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি, বরং সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষমতাবলয়ে বিএনপি ও জামায়াতের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে, এখনকার নতুন চাঁদাবাজেরা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। সম্প্রতি রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতার এক হোটেলে চাঁদাবাজির যে সংবাদ প্রকাশিত হলো, তা এই অরাজকতার ধারাবাহিকতামাত্র। যাঁরা এই হোটেলে চাঁদাবাজি করতে এসেছিলেন, তাঁদের সবাই সাবেক ছাত্রদল নেতা। মহানগর ছাত্রদল বলছে, চাঁদাবাজিতে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁরা এখন ছাত্রদলের কেউ নন।
তাহলে তাঁরা কারা? চাঁদা না পেয়ে হোটেল ভাঙচুর করছিলেন যাঁরা, তাঁদের রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্রনেতা বলে উল্লেখ করেছেন বর্তমানে হোটেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি। তিনি অবস্থার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা আরও অনেকের অভিজ্ঞতার নির্যাস বলেই আমাদের মনে হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষের যাবতীয় সম্পত্তির ওপর চোখ পড়েছে আরেক দল বুভুক্ষু রংবাজদের। যেকোনো সময় যেকোনো অঙ্কের চাঁদা চাইছে তারা অবলীলায়। এখনো ক্ষমতায় না এলে তাদের দাপট রয়েছে সর্বত্র। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শরণাপন্ন হলেও চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি মিলবে, এ রকম বিশ্বাস কম।
রাজশাহীর সাহেববাজার গণকপাড়ার গ্র্যান্ড হোটেলে এখন মাঝেমধ্যেই চাঁদাবাজেরা হানা দিচ্ছে। আগস্ট মাস থেকে বিভিন্ন সংগঠনকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। এরই মাঝে ছাত্রদলের সাবেক এই নেতারা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সে টাকা না পেয়ে দোতলায় হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে নিচতলায় ভাঙচুর চালিয়েছেন।
ছাত্রদল এই নেতাদের দায়ভার নিতে চাইছে না। কারণ, এখন তাঁরা ছাত্রদলের কেউ নন। তাহলে এই চাঁদাবাজদের ক্ষমতা বা শক্তির উৎস কোথায়? তাঁদের যদি দলীয় পরিচয় না থাকে, তাহলে তাঁদের দাপট দেখানোর ক্ষমতা-বলয়টি খুঁজে বের করা দরকার।
আরও একটা জরুরি কথা বলা দরকার। রাজনৈতিকভাবে কেউ কোনো দলের অনুসারী হলে ভিন্ন দলের লোকেরা তাদের ওপর অত্যাচার করতে পারবে, এমন কোনো আইন করা হয়নি। ফলে এ ধরনের অত্যাচার করার মানেই আইনের বরখেলাপ।
যে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে, সে স্বপ্ন যে এসব কারণে ম্রিয়মাণ হচ্ছে, সেটা কি এই সরকার বুঝতে পারছে? এসব দুর্বৃত্তকে শাস্তি না দিলে যে বার্তা এদের কাছে পৌঁছাবে, তা জনজীবনে মোটেই স্বস্তি আনবে না।
ক্ষমতার পালাবদলের পর কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন কি দেখা যাচ্ছে—এ প্রশ্ন এখন অনেকের মনে। নাগরিক জীবনে যে সমস্যাগুলো ছিল, তার কতটা কেটেছে, এ রকম প্রশ্ন করা হলে ভুক্তভোগী মানুষ নীরবই থাকবেন। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে নিম্নবিত্ত মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্ত মানুষও শামিল হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অসহায় অবস্থায় সুদিনের অপেক্ষা করছেন। সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এ রকম অভিযোগ ছিল বিগত সরকারের বিরুদ্ধে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি, বরং সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষমতাবলয়ে বিএনপি ও জামায়াতের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে, এখনকার নতুন চাঁদাবাজেরা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। সম্প্রতি রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতার এক হোটেলে চাঁদাবাজির যে সংবাদ প্রকাশিত হলো, তা এই অরাজকতার ধারাবাহিকতামাত্র। যাঁরা এই হোটেলে চাঁদাবাজি করতে এসেছিলেন, তাঁদের সবাই সাবেক ছাত্রদল নেতা। মহানগর ছাত্রদল বলছে, চাঁদাবাজিতে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁরা এখন ছাত্রদলের কেউ নন।
তাহলে তাঁরা কারা? চাঁদা না পেয়ে হোটেল ভাঙচুর করছিলেন যাঁরা, তাঁদের রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্রনেতা বলে উল্লেখ করেছেন বর্তমানে হোটেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি। তিনি অবস্থার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা আরও অনেকের অভিজ্ঞতার নির্যাস বলেই আমাদের মনে হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষের যাবতীয় সম্পত্তির ওপর চোখ পড়েছে আরেক দল বুভুক্ষু রংবাজদের। যেকোনো সময় যেকোনো অঙ্কের চাঁদা চাইছে তারা অবলীলায়। এখনো ক্ষমতায় না এলে তাদের দাপট রয়েছে সর্বত্র। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শরণাপন্ন হলেও চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি মিলবে, এ রকম বিশ্বাস কম।
রাজশাহীর সাহেববাজার গণকপাড়ার গ্র্যান্ড হোটেলে এখন মাঝেমধ্যেই চাঁদাবাজেরা হানা দিচ্ছে। আগস্ট মাস থেকে বিভিন্ন সংগঠনকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। এরই মাঝে ছাত্রদলের সাবেক এই নেতারা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সে টাকা না পেয়ে দোতলায় হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে নিচতলায় ভাঙচুর চালিয়েছেন।
ছাত্রদল এই নেতাদের দায়ভার নিতে চাইছে না। কারণ, এখন তাঁরা ছাত্রদলের কেউ নন। তাহলে এই চাঁদাবাজদের ক্ষমতা বা শক্তির উৎস কোথায়? তাঁদের যদি দলীয় পরিচয় না থাকে, তাহলে তাঁদের দাপট দেখানোর ক্ষমতা-বলয়টি খুঁজে বের করা দরকার।
আরও একটা জরুরি কথা বলা দরকার। রাজনৈতিকভাবে কেউ কোনো দলের অনুসারী হলে ভিন্ন দলের লোকেরা তাদের ওপর অত্যাচার করতে পারবে, এমন কোনো আইন করা হয়নি। ফলে এ ধরনের অত্যাচার করার মানেই আইনের বরখেলাপ।
যে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে, সে স্বপ্ন যে এসব কারণে ম্রিয়মাণ হচ্ছে, সেটা কি এই সরকার বুঝতে পারছে? এসব দুর্বৃত্তকে শাস্তি না দিলে যে বার্তা এদের কাছে পৌঁছাবে, তা জনজীবনে মোটেই স্বস্তি আনবে না।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
২ দিন আগে