সম্পাদকীয়
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোরবানির পশুর চামড়া নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হওয়াটা এবারের ঈদের এক হতাশাজনক ঘটনা। গরুর চামড়া যেখানে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে একটি ছাগলের চামড়ার দাম নেমে এসেছে মাত্র ১০ টাকায়, যা এক কাপ চায়ের দামের সমান! এ নিয়ে ৯ জুন আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে চামড়ার বাজারে যে ধস নেমেছিল, তার পর থেকে প্রতিবছরই পরিস্থিতি পরিবর্তনের আশা থাকলেও বাস্তবে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে।
এ বছর ঈদের আগে সরকারি কিছু উদ্যোগ, যেমন—চামড়া সংরক্ষণের জন্য বিনা মূল্যে লবণ দেওয়া এবং গরু-ছাগলের চামড়ার দাম ঠিক করে দেওয়ার পরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এ ধরনের ঘটনা শুধু ফুলবাড়ীতে ঘটেনি, সারা দেশের পরিস্থিতি প্রায় একই রকম ছিল।
চামড়াশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে কোরবানির সময়ই অধিকাংশ চামড়া সংগ্রহ করা হয়। প্রতিবছরই ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির সংখ্যা বাড়ছে। তার মানে, চামড়ার উৎপাদন বাড়ছে, অথচ দিনে দিনে কমছে রপ্তানি। একসময় বাংলাদেশ চামড়া দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র বিদেশে রপ্তানি করত, কিন্তু বর্তমানে উল্টো এসব পণ্য তৈরির জন্য চামড়া বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি জুতাসহ চামড়াজাত পণ্যের যে চাহিদা রয়েছে, তা পূরণে আমাদের দেশীয় চামড়া থাকা সত্ত্বেও আমদানি করতে হচ্ছে কেন? আমাদের ভুল পরিকল্পনার কারণেই যে বিকাশমান চামড়াশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবার এখনই সময়। একই সঙ্গে চামড়া রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ আমাদের চামড়াশিল্প এখনো সেই মান নিশ্চিত করতে পারেনি।
এ বছর চামড়ার ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই খুশি ছিলেন না। সরকার-নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সরকারিভাবে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০-৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা, খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২-২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।
স্থানীয় একজন খুচরা চামড়া ব্যবসায়ীর মতে, ট্যানারির মালিকেরা সরকারি দামে চামড়া না কেনায় তিনিও ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারছেন না। আকারভেদে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর চামড়া এবং মাত্র ১০ টাকায় ছাগলের চামড়া কিনছেন।
সরকারকে অবশ্যই চামড়ার সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু কাগজ-কলমে দাম নির্ধারণ করলেই হবে না, এর বাস্তব প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। ট্যানারি মালিকদের দায়বদ্ধতার আওতায় আনা, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া রপ্তানির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা—এসব বিষয়ে সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকা জরুরি। অন্যথায় প্রতিবছর কোরবানিদাতাদের এই হতাশাজনক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে না এবং দেশের একটি সম্ভাবনাময় শিল্প খাত মুখ থুবড়ে পড়বে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোরবানির পশুর চামড়া নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হওয়াটা এবারের ঈদের এক হতাশাজনক ঘটনা। গরুর চামড়া যেখানে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে একটি ছাগলের চামড়ার দাম নেমে এসেছে মাত্র ১০ টাকায়, যা এক কাপ চায়ের দামের সমান! এ নিয়ে ৯ জুন আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে চামড়ার বাজারে যে ধস নেমেছিল, তার পর থেকে প্রতিবছরই পরিস্থিতি পরিবর্তনের আশা থাকলেও বাস্তবে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে।
এ বছর ঈদের আগে সরকারি কিছু উদ্যোগ, যেমন—চামড়া সংরক্ষণের জন্য বিনা মূল্যে লবণ দেওয়া এবং গরু-ছাগলের চামড়ার দাম ঠিক করে দেওয়ার পরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এ ধরনের ঘটনা শুধু ফুলবাড়ীতে ঘটেনি, সারা দেশের পরিস্থিতি প্রায় একই রকম ছিল।
চামড়াশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে কোরবানির সময়ই অধিকাংশ চামড়া সংগ্রহ করা হয়। প্রতিবছরই ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির সংখ্যা বাড়ছে। তার মানে, চামড়ার উৎপাদন বাড়ছে, অথচ দিনে দিনে কমছে রপ্তানি। একসময় বাংলাদেশ চামড়া দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র বিদেশে রপ্তানি করত, কিন্তু বর্তমানে উল্টো এসব পণ্য তৈরির জন্য চামড়া বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি জুতাসহ চামড়াজাত পণ্যের যে চাহিদা রয়েছে, তা পূরণে আমাদের দেশীয় চামড়া থাকা সত্ত্বেও আমদানি করতে হচ্ছে কেন? আমাদের ভুল পরিকল্পনার কারণেই যে বিকাশমান চামড়াশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবার এখনই সময়। একই সঙ্গে চামড়া রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ আমাদের চামড়াশিল্প এখনো সেই মান নিশ্চিত করতে পারেনি।
এ বছর চামড়ার ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই খুশি ছিলেন না। সরকার-নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সরকারিভাবে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০-৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা, খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২-২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।
স্থানীয় একজন খুচরা চামড়া ব্যবসায়ীর মতে, ট্যানারির মালিকেরা সরকারি দামে চামড়া না কেনায় তিনিও ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারছেন না। আকারভেদে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর চামড়া এবং মাত্র ১০ টাকায় ছাগলের চামড়া কিনছেন।
সরকারকে অবশ্যই চামড়ার সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু কাগজ-কলমে দাম নির্ধারণ করলেই হবে না, এর বাস্তব প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। ট্যানারি মালিকদের দায়বদ্ধতার আওতায় আনা, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া রপ্তানির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা—এসব বিষয়ে সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকা জরুরি। অন্যথায় প্রতিবছর কোরবানিদাতাদের এই হতাশাজনক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে না এবং দেশের একটি সম্ভাবনাময় শিল্প খাত মুখ থুবড়ে পড়বে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়—শুধু গবেষণায় নয়, মানবিক দায়বদ্ধতায়ও। যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখিয়ে দিয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়; বরং তা ন্যায়, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীল...
১৯ ঘণ্টা আগেএই জীবনে মানুষ হয়ে জন্মানো আর মানুষ হয়ে ওঠা—এই দুইয়ের মাঝে যে সংযোগ, তাকে যদি ‘ম্যাজিক রিয়্যালিজম’ বলি? কথাটির সহজ কোনো মানে কি করা যায়? জীবনের শুরুতে কিংবা বেড়ে উঠতে উঠতে কতটুকুইবা বুঝতে পারা যায়? বোঝাটুকুর জন্যই যে মনের বৃদ্ধি দরকার!
১৯ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে ক্রমান্বয়ে নদী হারিয়ে যাচ্ছে। নদী হলো পরিবেশ, কৃষি, মৎস্য সম্পদ আহরণ, যোগাযোগব্যবস্থা ও সেচের অন্যতম মাধ্যম। সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশে নদীর ভূমিকা অনেক। কিন্তু দিন দিন বিভিন্ন কারণে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীতে বর্জ্য ফেলে যখন নদীকে দূষিত করা হয়, তখন বোঝা যায় আমরা জাতি হিসেবে কতটুকু...
১৯ ঘণ্টা আগে