সম্পাদকীয়
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে/সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে/মনে সাধ কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়/একেবারে উড়ে যায়/কোথা পাবে পাখা সে?—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই শিশুতোষ কবিতা অনেকেই পড়েছেন। এ ছাড়াও তালগাছ নিয়ে আরও অনেক ছড়া-কবিতা আছে, যেমন: ওই দেখা যায় তালগাছ ওই আমাদের গাঁ/ওইখানেতে বাস করে কানা বগির ছা।
এসব কবিতার কথা মনে পড়ল, আজকের পত্রিকায় ‘৩ হাজার তালবীজ রোপণ করেছেন শিক্ষক’ শিরোনামের একটি খবর পড়ে। কেরানীগঞ্জের স্কুলশিক্ষক তাজউল ইসলাম চৌধুরী তাঁর মায়ের অনুপ্রেরণায় ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় তালবীজ রোপণ করছেন। চলতি বছর পর্যন্ত তাঁর রোপণ করা তালগাছের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন হাজার।
এ কাজে তাঁকে তাঁর ছাত্র, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সহযোগিতা করেছেন। কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দুই পাশে এখন প্রচুর তালগাছ। এর সবই রোপণ করেছেন শিক্ষক তাজউল ইসলাম চৌধুরী। তাঁকে দেখে এখন অনেকেই তালগাছ লাগানোয় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তাজউল ইসলাম বলেছেন, সব ধরনের গাছের প্রতিই তাঁর দুর্বলতা রয়েছে। তবে তালগাছের বিলুপ্তপ্রায় অবস্থা দেখে তিনি তালের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বজ্রপাতের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। তালগাছকে বজ্রপাতনিরোধক বৃক্ষ হিসেবে মনে করা হয়। সে জন্য সরকারও তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। একটি উপাদেয় খাদ্য ছাড়াও তাল ও তালগাছ নানা কারণেইআমাদের উপকারে লাগে। তালের রস, রস থেকে গুড়, তালমিছরি, পাকা তালের পিঠা, তালশাঁস দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু মোরব্বা। গ্রীষ্মে তালের শাঁস অনেকের কাছেই প্রিয়। তালের পাখার বাতাস একসময় কারও পছন্দের বাইরে ছিল না। আগে তো পাঠশালায় লেখার জন্যও তালপাতার ব্যবহার ছিল। গ্রামীণ আবাসন তৈরিতেও তালের কাঠের ব্যবহার ছিল। এ ছাড়াও তালের রয়েছে ঔষধি গুণ। অন্য ফলের তুলনায় তালে ক্যালসিয়াম, লৌহ, আঁশ ও ক্যালরির উপস্থিতি অনেক বেশি।
দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষের কাছে তালের রয়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্ব। তাল বিক্রি করে অনেকের সংসার চলে। এক হিসাবে জানা যায়, মৌসুমে তালশাঁস বিক্রি থেকে দৈনিক ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয় ঢাকায়। ২৫-৩০ বছর বয়সের একটি তালগাছের মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। মৌসুমে একটি তালগাছ থেকে ৭০০-১৫০০ লিটার রস সংগ্রহ করা সম্ভব।
তালগাছ দেড়-দুই শ বছর বেঁচে থাকে। টেকসই, ভূমিক্ষয়, ঝড়বাদল এবং বজ্রপাত প্রতিরোধক হিসেবে অবদানের জন্য তালগাছ আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেরানীগঞ্জের স্কুলশিক্ষক তাজউল ইসলাম চৌধুরী তালগাছ লাগানোর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সবার কাছে নন্দিত হবেন। এমন শিক্ষকই তো আমরা চাই, যাঁরা শুধু শ্রেণিকক্ষে নয়; প্রকৃতি ও জীবনের প্রয়োজন পূরণের সক্ষমতার পাঠ দিয়ে বিকশিত ও আলোকিত মানুষ গড়ে তুলবেন।
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে/সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে/মনে সাধ কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়/একেবারে উড়ে যায়/কোথা পাবে পাখা সে?—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই শিশুতোষ কবিতা অনেকেই পড়েছেন। এ ছাড়াও তালগাছ নিয়ে আরও অনেক ছড়া-কবিতা আছে, যেমন: ওই দেখা যায় তালগাছ ওই আমাদের গাঁ/ওইখানেতে বাস করে কানা বগির ছা।
এসব কবিতার কথা মনে পড়ল, আজকের পত্রিকায় ‘৩ হাজার তালবীজ রোপণ করেছেন শিক্ষক’ শিরোনামের একটি খবর পড়ে। কেরানীগঞ্জের স্কুলশিক্ষক তাজউল ইসলাম চৌধুরী তাঁর মায়ের অনুপ্রেরণায় ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় তালবীজ রোপণ করছেন। চলতি বছর পর্যন্ত তাঁর রোপণ করা তালগাছের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন হাজার।
এ কাজে তাঁকে তাঁর ছাত্র, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সহযোগিতা করেছেন। কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দুই পাশে এখন প্রচুর তালগাছ। এর সবই রোপণ করেছেন শিক্ষক তাজউল ইসলাম চৌধুরী। তাঁকে দেখে এখন অনেকেই তালগাছ লাগানোয় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তাজউল ইসলাম বলেছেন, সব ধরনের গাছের প্রতিই তাঁর দুর্বলতা রয়েছে। তবে তালগাছের বিলুপ্তপ্রায় অবস্থা দেখে তিনি তালের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বজ্রপাতের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। তালগাছকে বজ্রপাতনিরোধক বৃক্ষ হিসেবে মনে করা হয়। সে জন্য সরকারও তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। একটি উপাদেয় খাদ্য ছাড়াও তাল ও তালগাছ নানা কারণেইআমাদের উপকারে লাগে। তালের রস, রস থেকে গুড়, তালমিছরি, পাকা তালের পিঠা, তালশাঁস দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু মোরব্বা। গ্রীষ্মে তালের শাঁস অনেকের কাছেই প্রিয়। তালের পাখার বাতাস একসময় কারও পছন্দের বাইরে ছিল না। আগে তো পাঠশালায় লেখার জন্যও তালপাতার ব্যবহার ছিল। গ্রামীণ আবাসন তৈরিতেও তালের কাঠের ব্যবহার ছিল। এ ছাড়াও তালের রয়েছে ঔষধি গুণ। অন্য ফলের তুলনায় তালে ক্যালসিয়াম, লৌহ, আঁশ ও ক্যালরির উপস্থিতি অনেক বেশি।
দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষের কাছে তালের রয়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্ব। তাল বিক্রি করে অনেকের সংসার চলে। এক হিসাবে জানা যায়, মৌসুমে তালশাঁস বিক্রি থেকে দৈনিক ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয় ঢাকায়। ২৫-৩০ বছর বয়সের একটি তালগাছের মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। মৌসুমে একটি তালগাছ থেকে ৭০০-১৫০০ লিটার রস সংগ্রহ করা সম্ভব।
তালগাছ দেড়-দুই শ বছর বেঁচে থাকে। টেকসই, ভূমিক্ষয়, ঝড়বাদল এবং বজ্রপাত প্রতিরোধক হিসেবে অবদানের জন্য তালগাছ আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেরানীগঞ্জের স্কুলশিক্ষক তাজউল ইসলাম চৌধুরী তালগাছ লাগানোর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সবার কাছে নন্দিত হবেন। এমন শিক্ষকই তো আমরা চাই, যাঁরা শুধু শ্রেণিকক্ষে নয়; প্রকৃতি ও জীবনের প্রয়োজন পূরণের সক্ষমতার পাঠ দিয়ে বিকশিত ও আলোকিত মানুষ গড়ে তুলবেন।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
৫ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
৫ ঘণ্টা আগে