এস এম হাসানুজ্জামান
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী লীগের পরেই বড় দল হলো বিএনপি। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনের পর এখন বিএনপিই বড় দল। এই দল স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জুলাই আন্দোলনের পটপরিবর্তনের পর জামায়াতে ইসলামী এখন বিএনপির বড় প্রতিপক্ষ। একসময় এ দুটি দল জোটবদ্ধ থেকে আন্দোলন করে সরকার গঠন করেছিল। বাস্তব পরিস্থিতি হলো, জামায়াত বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে। এই বাস্তবতায় জামায়াতকে মোকাবিলা করার জন্য এখন বিএনপিকে এগিয়ে যেতে হলে নতুনভাবে পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস ছাড়া উপায় নেই।
বিএনপি এখন অভ্যন্তরীণ সংকটে নিমজ্জিত। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব, সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং দলের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের প্রবণতা—সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই দলের অস্তিত্বকে সংকটে ফেলেছে।
বর্তমানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি নিজেকে বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন, কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। যাঁরা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কারাবরণ করছেন, জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রাখছেন, তাঁদের কাছে দূরবর্তী নির্দেশনা কার্যকর নয়। কেন্দ্রীয় নেতারা নির্দেশ মেনে চললেও তা প্রকৃত আন্তরিকতার সঙ্গে নয়, বরং সুবিধা ও সুযোগের হিসাব কষে। ফলে নেতৃত্বের প্রতি আস্থা কমেছে এবং শীর্ষ নেতৃত্ব ও মাঠপর্যায়ের মধ্যে যোগসূত্র দুর্বল হয়ে পড়েছে। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি, হতাশা এবং অনাস্থা বেড়েছে।
আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ, ত্যাগ স্বীকার, জনগণের আস্থা অর্জন—এসব উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় নেতাদের খুশি করার প্রতিযোগিতা চলছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন না করে, রাজধানীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। ফলে মেধাবী ও ত্যাগী নেতারা উপেক্ষিত হচ্ছেন, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে এবং দলের নৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা কার্যত অসহায়। তাঁদের হাতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই, কেন্দ্রীয় নির্দেশের বাইরে কিছুই তাঁরা করতে পারছেন না। অনেক সময় এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
বিএনপির আরও গভীর সংকট হলো, দলের নাম ব্যবহার করে অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। মাঠপর্যায়ের কিছু নেতা কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দলকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিল করছেন। তাঁরা চাঁদাবাজি, দখলদারি এবং অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দলীয় বা আইনি যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা প্রায়ই পদচ্যুতি অথবা সাময়িক শাস্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিংবা বাদ পড়া নেতারা এই সুযোগকে ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিশ্চিত করছেন।
বাস্তবতা হলো, সাধারণ মানুষের চোখে এসব কর্মকাণ্ড কখনো গোপন থাকে না। বাস্তবিকভাবে এসব নেতাকে আইনগতভাবে কঠোরভাবে দায়বদ্ধ করা হয় না। অপরাধ প্রমাণিত হলেও রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক জটিলতার কারণে তাঁদের দলের বাইরে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয় না। এই পরিস্থিতি শুধু দলের নৈতিক অবনতি ঘটায় না;
বরং সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা কমিয়ে দেয়। শীর্ষ নেতৃত্বও কখনো কখনো এই জটিলতায় আপসমূলক ভূমিকা রাখে। পদচ্যুত বা বাদ পড়া নেতাদের সুবিধা দানের মাধ্যমে কিছু শীর্ষ নেতা নিজেদের অবস্থান রক্ষার চেষ্টা করেন। এটি সংগঠনকে আরও বিভ্রান্ত করে, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
দলের পুনর্গঠন ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে এসবের সমাধান সম্ভব নয়। শীর্ষ নেতৃত্বকে অবশ্যই সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। যোগ্যতা, ত্যাগ এবং জনগণের আস্থা অর্জনকারী নেতাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ক্ষমতায়িত করতে হবে, যাতে তৃণমূল শক্তিশালী হয়। আইনের প্রয়োগে রাজনৈতিক প্রভাবকে ছাড়িয়ে সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিএনপির এই সংকট শুধু দলের মধ্যে নয়, দেশের গণতন্ত্রের জন্যও উদ্বেগজনক। বিএনপি যদি জনগণের আস্থা হারায়, তবে তারা ইতিহাসের পাতায় শুধুই একটি নাম হয়ে থাকবে। তাই শীর্ষ নেতৃত্বকে এখনই সতর্ক হতে হবে।
বিএনপি আজ যে অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে, তা শুধু প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের ফল নয়, বরং নিজেদের ব্যর্থতা, দুর্বলতা, বিভাজন, তৃণমূলের অসহায় অবস্থা এবং নেতাদের অপরিকল্পিত পদক্ষেপের ফল। যদি এখনই তারা সঠিকভাবে পরিস্থিতি অনুধাবন না করে, তবে রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। জনগণ থেকে দূরত্ব বাড়বে, নেতারা আরও অসহায় হয়ে পড়বেন, আর দল ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। রাজনীতির নিষ্ঠুর নিয়ম হলো—যে দল জনগণের আস্থা হারায়, ইতিহাসে তার কোনো স্থান থাকে না।
বিএনপির পুনর্গঠন সম্ভব। তবে তার জন্য প্রয়োজন আত্মসমালোচনা, শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন, মনোনয়নে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের রাখা, তৃণমূলকে ক্ষমতায়িত করা, শীর্ষ নেতৃত্বের দৃঢ় পদক্ষেপ এবং জনগণের স্বার্থকে দেখা। এসব বিষয় বিবেচনা করা না হলে বাস্তব রাজনীতিতে আর কোনো কার্যকর উপস্থিতি রাখতে পারবে না।
জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা, সততা, ত্যাগ, আত্মসমালোচনা এবং সত্যিকারের রাজনীতি—এগুলো ছাড়া বিএনপির টিকে থাকা কোনোভাবেই হয়তো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী লীগের পরেই বড় দল হলো বিএনপি। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনের পর এখন বিএনপিই বড় দল। এই দল স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জুলাই আন্দোলনের পটপরিবর্তনের পর জামায়াতে ইসলামী এখন বিএনপির বড় প্রতিপক্ষ। একসময় এ দুটি দল জোটবদ্ধ থেকে আন্দোলন করে সরকার গঠন করেছিল। বাস্তব পরিস্থিতি হলো, জামায়াত বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে। এই বাস্তবতায় জামায়াতকে মোকাবিলা করার জন্য এখন বিএনপিকে এগিয়ে যেতে হলে নতুনভাবে পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস ছাড়া উপায় নেই।
বিএনপি এখন অভ্যন্তরীণ সংকটে নিমজ্জিত। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব, সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং দলের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের প্রবণতা—সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই দলের অস্তিত্বকে সংকটে ফেলেছে।
বর্তমানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি নিজেকে বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন, কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। যাঁরা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কারাবরণ করছেন, জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রাখছেন, তাঁদের কাছে দূরবর্তী নির্দেশনা কার্যকর নয়। কেন্দ্রীয় নেতারা নির্দেশ মেনে চললেও তা প্রকৃত আন্তরিকতার সঙ্গে নয়, বরং সুবিধা ও সুযোগের হিসাব কষে। ফলে নেতৃত্বের প্রতি আস্থা কমেছে এবং শীর্ষ নেতৃত্ব ও মাঠপর্যায়ের মধ্যে যোগসূত্র দুর্বল হয়ে পড়েছে। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি, হতাশা এবং অনাস্থা বেড়েছে।
আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ, ত্যাগ স্বীকার, জনগণের আস্থা অর্জন—এসব উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় নেতাদের খুশি করার প্রতিযোগিতা চলছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন না করে, রাজধানীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। ফলে মেধাবী ও ত্যাগী নেতারা উপেক্ষিত হচ্ছেন, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে এবং দলের নৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা কার্যত অসহায়। তাঁদের হাতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেই, কেন্দ্রীয় নির্দেশের বাইরে কিছুই তাঁরা করতে পারছেন না। অনেক সময় এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
বিএনপির আরও গভীর সংকট হলো, দলের নাম ব্যবহার করে অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। মাঠপর্যায়ের কিছু নেতা কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দলকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিল করছেন। তাঁরা চাঁদাবাজি, দখলদারি এবং অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দলীয় বা আইনি যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা প্রায়ই পদচ্যুতি অথবা সাময়িক শাস্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিংবা বাদ পড়া নেতারা এই সুযোগকে ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিশ্চিত করছেন।
বাস্তবতা হলো, সাধারণ মানুষের চোখে এসব কর্মকাণ্ড কখনো গোপন থাকে না। বাস্তবিকভাবে এসব নেতাকে আইনগতভাবে কঠোরভাবে দায়বদ্ধ করা হয় না। অপরাধ প্রমাণিত হলেও রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক জটিলতার কারণে তাঁদের দলের বাইরে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয় না। এই পরিস্থিতি শুধু দলের নৈতিক অবনতি ঘটায় না;
বরং সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা কমিয়ে দেয়। শীর্ষ নেতৃত্বও কখনো কখনো এই জটিলতায় আপসমূলক ভূমিকা রাখে। পদচ্যুত বা বাদ পড়া নেতাদের সুবিধা দানের মাধ্যমে কিছু শীর্ষ নেতা নিজেদের অবস্থান রক্ষার চেষ্টা করেন। এটি সংগঠনকে আরও বিভ্রান্ত করে, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
দলের পুনর্গঠন ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে এসবের সমাধান সম্ভব নয়। শীর্ষ নেতৃত্বকে অবশ্যই সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। যোগ্যতা, ত্যাগ এবং জনগণের আস্থা অর্জনকারী নেতাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ক্ষমতায়িত করতে হবে, যাতে তৃণমূল শক্তিশালী হয়। আইনের প্রয়োগে রাজনৈতিক প্রভাবকে ছাড়িয়ে সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিএনপির এই সংকট শুধু দলের মধ্যে নয়, দেশের গণতন্ত্রের জন্যও উদ্বেগজনক। বিএনপি যদি জনগণের আস্থা হারায়, তবে তারা ইতিহাসের পাতায় শুধুই একটি নাম হয়ে থাকবে। তাই শীর্ষ নেতৃত্বকে এখনই সতর্ক হতে হবে।
বিএনপি আজ যে অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে, তা শুধু প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের ফল নয়, বরং নিজেদের ব্যর্থতা, দুর্বলতা, বিভাজন, তৃণমূলের অসহায় অবস্থা এবং নেতাদের অপরিকল্পিত পদক্ষেপের ফল। যদি এখনই তারা সঠিকভাবে পরিস্থিতি অনুধাবন না করে, তবে রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। জনগণ থেকে দূরত্ব বাড়বে, নেতারা আরও অসহায় হয়ে পড়বেন, আর দল ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। রাজনীতির নিষ্ঠুর নিয়ম হলো—যে দল জনগণের আস্থা হারায়, ইতিহাসে তার কোনো স্থান থাকে না।
বিএনপির পুনর্গঠন সম্ভব। তবে তার জন্য প্রয়োজন আত্মসমালোচনা, শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন, মনোনয়নে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের রাখা, তৃণমূলকে ক্ষমতায়িত করা, শীর্ষ নেতৃত্বের দৃঢ় পদক্ষেপ এবং জনগণের স্বার্থকে দেখা। এসব বিষয় বিবেচনা করা না হলে বাস্তব রাজনীতিতে আর কোনো কার্যকর উপস্থিতি রাখতে পারবে না।
জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা, সততা, ত্যাগ, আত্মসমালোচনা এবং সত্যিকারের রাজনীতি—এগুলো ছাড়া বিএনপির টিকে থাকা কোনোভাবেই হয়তো সম্ভব নয়।
গাজার বোমা আর ক্ষুধার ঘায়ে জর্জরিত ফিলিস্তিনিদের ক্ষতে ক্ষণিকের হলেও স্বস্তির পরশ দিচ্ছে তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে স্বীকৃতির ‘ঘনঘটা’। ইতিহাসের পরিহাস, স্বীকৃতিদাতা কিছু দেশেরই অস্ত্রশস্ত্র, কূটনৈতিক সমর্থনে পুষ্ট হয়ে ফিলিস্তিনিদের পীড়ন করে এসেছে ক্ষমতাদর্পী ইসরায়েল। ইসরায়েল গাজার সাধারণ বাসিন্দাদ
৬ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় গণমাধ্যমকে। মানুষের সামনে সমাজের বাস্তব সত্য তুলে ধরাই হলো একজন প্রকৃত সাংবাদিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিউ-বাণিজ্যের আড়ালে সেই সাংবাদিকতা কি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে না? নাকি লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের ভিড়ে ক্রমেই ধুলা জমছে সেই চিরচেনা দর্পণে?
৬ ঘণ্টা আগেবরিশালের আগৈলঝাড়ায় খালের ওপর নির্মিত হয়েছিল একটি সেতু। কিন্তু তাতে নেই কোনো সংযোগ সড়ক। এলাকাবাসী সেই সেতুতে চলাচল করে মইয়ের মাধ্যমে। উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ওয়াপদা খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল বাশাইল কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের খাল পারাপারের সুবিধার জন্য। ২৮ লাখ টাকায় সেতু
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনীতিতে দল নিষিদ্ধ করার দাবি যেন এক পুনরাবৃত্ত ইতিহাস। যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা প্রায়ই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিষিদ্ধ করার পথ খোঁজে, আর একটি পক্ষ ‘ফাঁকা মাঠে গোল করার মওকা’ মিলবে ভেবে তাতে সমর্থন জোগায়—যেন নিষিদ্ধ করাই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়।
১ দিন আগে