সাহিদা পারভীন শিখা
আজ, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বব্যাপী এই দিনটি নারীদের অধিকার, সম্মান ও সমতার দাবিতে উদ্যাপিত হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এ দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় নারী দিবস পালনের গুরুত্ব শুধু প্রতীকী উদ্যাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বরং এটি হওয়া উচিত নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে আরও শাণিত করার শপথ গ্রহণের দিন। আমাদের দেশে নারীর অবস্থান, অর্জন এবং প্রতিবন্ধকতাগুলো বিবেচনায় নিলে ৮ মার্চ উদ্যাপনের যৌক্তিকতা নতুন মাত্রা পায়।
নারীর ক্ষমতায়ন একটি বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া, যেখানে শুধু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বা রাজনৈতিক অংশগ্রহণই নয়, বরং সহিংসতামুক্ত জীবন, সম-অধিকার, সমমর্যাদা এবং সমসুযোগ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। নারীর ক্ষমতায়ন প্রকৃত অর্থে তখনই সম্ভব, যখন একটি সমাজ নারীকে তার মৌলিক অধিকার এবং মর্যাদা দিতে প্রস্তুত হবে এবং সে সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীকে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান সুযোগ দেওয়া হবে।
সহিংসতা নারীর ক্ষমতায়নের পথে অন্যতম প্রধান বাধা। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সহিংসতা নারীকে শুধু দুর্বল করে না, বরং তার আত্মবিশ্বাস এবং সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করে দেয়। ঘরে-বাইরে নারী নির্যাতনের ভয়, যৌন হয়রানি, বৈবাহিক ধর্ষণ, কর্মস্থলে প্রতিকূলতা এবং পারিবারিক ও সামাজিক নিপীড়ন—এ সবকিছুই নারীর সামনে এক কঠিন দেয়াল তৈরি করে, যা তাকে তার স্বপ্ন, লক্ষ্য ও সম্ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তাই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে প্রথমেই এই সহিংসতামূলক পরিবেশ নির্মূল করতে হবে। একটি সমাজ যদি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে না পারে, তবে সেই সমাজের নারীরা কখনোই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামনের দিকে এগোতে পারবে না।
সম-অধিকারের প্রশ্নটি নারীর ক্ষমতায়নের কেন্দ্রে রয়েছে। একজন নারী যদি পুরুষের মতো সমান অধিকার না পায়, তবে সে কখনোই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। শিক্ষার অধিকার, কাজের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার—এ সবকিছুই নারীর ক্ষমতায়নের ভিত্তি গড়ে তোলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বহু সমাজে নারীরা এখনো পুরুষের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না, তাদের প্রমোশন বা নেতৃত্বে আসার সুযোগ কম থাকে, অনেক ক্ষেত্রে তাদের পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। ফলে নারীকে সামাজিক, পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয় স্তরে সমান অধিকার দিতে হবে, যাতে সে নিজের জীবন নিয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নিজের দক্ষতা ও প্রতিভাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে।
সমমর্যাদা নারীর আত্মপরিচয়ের ভিত্তি। একজন নারী যদি তার পরিবার, কর্মক্ষেত্র বা সমাজে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে না পারে, তবে সে কখনোই মনেপ্রাণে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবে না। অনেক সমাজে এখনো নারীদের ছোট করে দেখা হয়, তাদের মতামতকে তুচ্ছ করা হয় এবং তাদের সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এসব প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি নারীকে পিছিয়ে রাখে এবং তার সম্ভাবনাকে দমিয়ে দেয়। তাই নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজন তার প্রতি সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা, যাতে সে পুরুষের মতোই সমান মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
নারীর ক্ষমতায়নের আরেকটি প্রধান দিক হলো সমসুযোগ। যদি নারীকে পুরুষের সমানভাবে শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা বা নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়া না হয়, তাহলে সে কীভাবে এগিয়ে যাবে? বহু সমাজে নারীরা এখনো উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত, কারণ তাদের পরিবার মনে করে, নারী শিক্ষিত হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে গৃহস্থালির কাজেই ব্যস্ত থাকতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য যথাযথ সুযোগ এবং নিরাপদ পরিবেশ না থাকায় অনেক নারী বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। তাই নারীদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ পাবে এবং পুরুষের মতোই স্বাধীনভাবে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে।
নারীর ক্ষমতায়ন কেবল নারীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি গোটা সমাজের জন্য অপরিহার্য। কারণ একটি সমাজ তখনই টেকসই উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে, যখন তার অর্ধেক জনগোষ্ঠী পিছিয়ে থাকবে না। নারী যখন আত্মনির্ভরশীল হবে, তখন পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে। তাই সহিংসতামুক্ত, সম-অধিকারভিত্তিক, মর্যাদাপূর্ণ এবং সমান সুযোগের একটি সমাজ গড়ে তোলাই নারীর ক্ষমতায়নের প্রধান শর্ত। এই লক্ষ্যে আমাদের পরিবার, শিক্ষাব্যবস্থা, কর্মক্ষেত্র এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে নারীরা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে পারে এবং একটি ন্যায়সংগত সমাজ গড়ে তুলতে পারে।
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র
আজ, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বব্যাপী এই দিনটি নারীদের অধিকার, সম্মান ও সমতার দাবিতে উদ্যাপিত হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এ দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় নারী দিবস পালনের গুরুত্ব শুধু প্রতীকী উদ্যাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বরং এটি হওয়া উচিত নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে আরও শাণিত করার শপথ গ্রহণের দিন। আমাদের দেশে নারীর অবস্থান, অর্জন এবং প্রতিবন্ধকতাগুলো বিবেচনায় নিলে ৮ মার্চ উদ্যাপনের যৌক্তিকতা নতুন মাত্রা পায়।
নারীর ক্ষমতায়ন একটি বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া, যেখানে শুধু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বা রাজনৈতিক অংশগ্রহণই নয়, বরং সহিংসতামুক্ত জীবন, সম-অধিকার, সমমর্যাদা এবং সমসুযোগ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। নারীর ক্ষমতায়ন প্রকৃত অর্থে তখনই সম্ভব, যখন একটি সমাজ নারীকে তার মৌলিক অধিকার এবং মর্যাদা দিতে প্রস্তুত হবে এবং সে সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীকে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান সুযোগ দেওয়া হবে।
সহিংসতা নারীর ক্ষমতায়নের পথে অন্যতম প্রধান বাধা। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সহিংসতা নারীকে শুধু দুর্বল করে না, বরং তার আত্মবিশ্বাস এবং সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করে দেয়। ঘরে-বাইরে নারী নির্যাতনের ভয়, যৌন হয়রানি, বৈবাহিক ধর্ষণ, কর্মস্থলে প্রতিকূলতা এবং পারিবারিক ও সামাজিক নিপীড়ন—এ সবকিছুই নারীর সামনে এক কঠিন দেয়াল তৈরি করে, যা তাকে তার স্বপ্ন, লক্ষ্য ও সম্ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তাই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে প্রথমেই এই সহিংসতামূলক পরিবেশ নির্মূল করতে হবে। একটি সমাজ যদি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে না পারে, তবে সেই সমাজের নারীরা কখনোই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামনের দিকে এগোতে পারবে না।
সম-অধিকারের প্রশ্নটি নারীর ক্ষমতায়নের কেন্দ্রে রয়েছে। একজন নারী যদি পুরুষের মতো সমান অধিকার না পায়, তবে সে কখনোই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। শিক্ষার অধিকার, কাজের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার—এ সবকিছুই নারীর ক্ষমতায়নের ভিত্তি গড়ে তোলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বহু সমাজে নারীরা এখনো পুরুষের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না, তাদের প্রমোশন বা নেতৃত্বে আসার সুযোগ কম থাকে, অনেক ক্ষেত্রে তাদের পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। ফলে নারীকে সামাজিক, পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয় স্তরে সমান অধিকার দিতে হবে, যাতে সে নিজের জীবন নিয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নিজের দক্ষতা ও প্রতিভাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে।
সমমর্যাদা নারীর আত্মপরিচয়ের ভিত্তি। একজন নারী যদি তার পরিবার, কর্মক্ষেত্র বা সমাজে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে না পারে, তবে সে কখনোই মনেপ্রাণে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবে না। অনেক সমাজে এখনো নারীদের ছোট করে দেখা হয়, তাদের মতামতকে তুচ্ছ করা হয় এবং তাদের সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এসব প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি নারীকে পিছিয়ে রাখে এবং তার সম্ভাবনাকে দমিয়ে দেয়। তাই নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজন তার প্রতি সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা, যাতে সে পুরুষের মতোই সমান মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
নারীর ক্ষমতায়নের আরেকটি প্রধান দিক হলো সমসুযোগ। যদি নারীকে পুরুষের সমানভাবে শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা বা নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়া না হয়, তাহলে সে কীভাবে এগিয়ে যাবে? বহু সমাজে নারীরা এখনো উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত, কারণ তাদের পরিবার মনে করে, নারী শিক্ষিত হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে গৃহস্থালির কাজেই ব্যস্ত থাকতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য যথাযথ সুযোগ এবং নিরাপদ পরিবেশ না থাকায় অনেক নারী বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। তাই নারীদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ পাবে এবং পুরুষের মতোই স্বাধীনভাবে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে।
নারীর ক্ষমতায়ন কেবল নারীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি গোটা সমাজের জন্য অপরিহার্য। কারণ একটি সমাজ তখনই টেকসই উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে, যখন তার অর্ধেক জনগোষ্ঠী পিছিয়ে থাকবে না। নারী যখন আত্মনির্ভরশীল হবে, তখন পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে। তাই সহিংসতামুক্ত, সম-অধিকারভিত্তিক, মর্যাদাপূর্ণ এবং সমান সুযোগের একটি সমাজ গড়ে তোলাই নারীর ক্ষমতায়নের প্রধান শর্ত। এই লক্ষ্যে আমাদের পরিবার, শিক্ষাব্যবস্থা, কর্মক্ষেত্র এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে নারীরা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে পারে এবং একটি ন্যায়সংগত সমাজ গড়ে তুলতে পারে।
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র
নেদারল্যান্ডসের নাগরিক পিটার ভ্যান উইঙ্গারডেন ও মিনকে ভ্যান উইঙ্গারডেন। তাঁরা ২০১২ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে বিজনেস ট্রিপে গিয়েছিলেন। সেখানে হারিকেন স্যান্ডির মুখোমুখি হন। হারিকেন স্যান্ডি ম্যানহাটানকে প্লাবিত করে। সেখানকার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়। ঝড়ের কারণে
১৭ ঘণ্টা আগেআমাদের পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রে শ্রমিকশ্রেণির প্রকৃত স্বার্থরক্ষার উপায় নেই। যেহেতু বিদ্যমান ব্যবস্থাটি হচ্ছে শ্রম-শোষণের এবং শ্রমিক-নিগ্রহের উর্বর ক্ষেত্র। সে ক্ষেত্রে শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থরক্ষা কিংবা সুরক্ষার উপায় নেই। শ্রমিকমাত্রই শ্রমবাজারে শ্রম বিনিয়োগ করবেন এবং বিনিময়ে পাবেন মজুরি।
১৭ ঘণ্টা আগেদিন দিন আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। মানসিক বিড়ম্বনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ধারণাটা হয়তো এ রকম যে, মরতে যখন হবেই তখন আজই কী আর কালইবা কী! স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা যখন নেই, তখন অস্বাভাবিক মৃত্যু যেকোনো সময় হতেই পারে। তবে মৃত্যুর প্রস্তুতিটা সহজ নয়; বেশ কঠিন।
১৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদী থেকে চিংড়ির পোনা সংগ্রহের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। নদী থেকে এভাবে পোনা মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু তাদের দৈনিক আয় সামান্য হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তারা এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তারা বিকল্প জীবিকার কথা বলে
১৮ ঘণ্টা আগে