বিরস
ক. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চলছে। রাশিয়ার নির্বাচন, আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখল, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কেমন চালাচ্ছেন, চীন কি পারবে আমেরিকাকে টেক্কা দিয়ে বিশ্ব মোড়ল হতে? এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থিত সবাই যাঁর যাঁর মত ব্যক্ত করছেন। এক কোনে চুপচাপ বসে মাথার টাকে হাত বোলাচ্ছিলেন আড্ডায় সবচেয়ে মজার কথা বলিয়ে রসিকলাল বাবু। গোলাম আলী সাহেব তাঁর দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, কী দাদা, একেবারে নীরব যে? মুখ খুলুন।
রসিকবাবু মুখ খুললেন: আর বোলো না, আজ আমার পুত্রবধূ তার শাশুড়ির সঙ্গে বেশ কটু কথা বলে গায়ে পড়ে ঝগড়া করেছে। মনটা তাই একটু বিষিয়ে আছে।
গোলাম আলীর ত্বরিত জবাব, ‘এটা আর নতুন কী? শাশুড়ি-বউমা সম্পর্ক কি আর চিনির শরবতের মতো হয়? ওটা সব সময় চিরতার পানির মতো।’
‘তা ঠিক’, আড়মোড়া ভেঙে রসিকবাবু বলেন, ‘শাশুড়ি-বউমা সম্পর্কটা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মতোই। একসঙ্গে, অর্থাৎ পাশাপাশি বসবাস অথচ মিলমিশ নেই। ভারত হচ্ছে শাশুড়ি আর পাকিস্তান হচ্ছে বউমা, ছোট কিন্তু ঝাঁজ বেশি। এই মিল- মহব্বতের আশা কম। পুত্র হলো বাংলাদেশ। শাশুড়ি-বউমার বিবাদে পুত্র নীরব দর্শক, কাউকে কিছু বলতে সাহস পায় না। আর বাবার ভূমিকায় আমেরিকা, দুজনকেই বোঝাতে চেষ্টা করে, কিন্তু কেউই কথা শুনতে চায় না। চীন হলো বউয়ের মা। শুধু উসকানি দেয়, যাতে ঝগড়াটা আরও জোরদার হয়। আর রাশিয়া হলো বউয়ের ননদ, ভারতের পক্ষেই কথা বলে। আর আরব দেশগুলো হলো পাড়া-প্রতিবেশী। একবার ভারতের পক্ষে, একবার পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে।’
রসিকবাবুর কথায় সবাই হো হো করে হেসে উঠলেন।
খ. আদালতে আসন নিয়ে বসে আসামির দিকে চোখ রেখেই কিছুটা বিরক্তির সঙ্গেই বললেন: কী ব্যাপার? বারবার কোর্টে আসতে তোমার লজ্জা করে না?
হাত কচলে বিনয়াবত হয়ে আসামির জবাব: হুজুর, আমি তো কোর্টে আসি বছরে এক-দুইবার। আপনি তো আল্লাহর রহমতে মাসের সব কর্মদিবসেই আসেন!
গ. রক্ত, মূত্রসহ অন্য পরীক্ষার পর সব রিপোর্ট যখন ভালো বা নরমাল আসে, তখন বিদেশিরা খুশি হয়ে স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যাক, সবকিছু ফাইন। আর বাঙালিরা মুখ গোমড়া করে বিলাপের মতো করে বলেন, খামোখাই এতগুলা টাকা নষ্ট করলাম!
ঘ. মিজান ও সেজান কবরস্থানে আত্মীয়ের কবর জিয়ারত করে ফিরছিল। এমন সময় তাদের কানে এল পাথরে পাথর ঘষার কর্কশ আওয়াজ। ভয়ে দুজনের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়। তাড়াহুড়া করে কবরস্থান থেকে বের হতে গিয়ে তাদের নজর পড়ল, এক বৃদ্ধ কবরের নামফলক ঘষছেন। এটা দেখে মিজান ও সেজানের ভয় একটু কমল।
তারা বৃদ্ধকে বলল, পাথর ঘষার আওয়াজ শুনে আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, ভূতটুত হয়তো।
বৃদ্ধের উত্তর: আর বোলো না। বোকার হদ্দ মিস্ত্রিগুলো কবরের নামফলকে আমার নামটা ভুল লিখেছে!
ঙ. এক দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একদিন একটি হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে তাঁকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরিয়ে দেখানোর পর হাসপাতালের পরিচালক মন্ত্রী মহোদয়কে লেবার ওয়ার্ডে ঢোকার আহ্বান জানালে তিনি বলেন, ‘না না, লেবার মিনিস্ট্রি আমার আওতায় নয়!’
চ. একজন স্বৈরশাসক সম্পর্কে কৌতুক বা জোকস বানানোর অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সেই স্বৈরশাসকের সামনে উপস্থিত করা হলো। স্বৈরশাসকের খাসকামরায় উপস্থিত হয়ে দামি দামি সব আসবাব দেখে কৌতুক বানানো ব্যক্তির তো চোখ চড়ক গাছ। বিস্ময়ে মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ‘বাহ্ কী সুন্দর সব জিনিস!’
‘সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন এ দেশের সব মানুষের ঘর এমন সজ্জিত হবে’–স্বৈরশাসকের কণ্ঠে এমন কথা শুনে কৌতুক বানানোর অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া লোকটি বলে উঠল, ‘সে কী, জোকস তো বানাব আমি, আপনি কেন?’
ক. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চলছে। রাশিয়ার নির্বাচন, আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখল, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কেমন চালাচ্ছেন, চীন কি পারবে আমেরিকাকে টেক্কা দিয়ে বিশ্ব মোড়ল হতে? এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থিত সবাই যাঁর যাঁর মত ব্যক্ত করছেন। এক কোনে চুপচাপ বসে মাথার টাকে হাত বোলাচ্ছিলেন আড্ডায় সবচেয়ে মজার কথা বলিয়ে রসিকলাল বাবু। গোলাম আলী সাহেব তাঁর দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, কী দাদা, একেবারে নীরব যে? মুখ খুলুন।
রসিকবাবু মুখ খুললেন: আর বোলো না, আজ আমার পুত্রবধূ তার শাশুড়ির সঙ্গে বেশ কটু কথা বলে গায়ে পড়ে ঝগড়া করেছে। মনটা তাই একটু বিষিয়ে আছে।
গোলাম আলীর ত্বরিত জবাব, ‘এটা আর নতুন কী? শাশুড়ি-বউমা সম্পর্ক কি আর চিনির শরবতের মতো হয়? ওটা সব সময় চিরতার পানির মতো।’
‘তা ঠিক’, আড়মোড়া ভেঙে রসিকবাবু বলেন, ‘শাশুড়ি-বউমা সম্পর্কটা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মতোই। একসঙ্গে, অর্থাৎ পাশাপাশি বসবাস অথচ মিলমিশ নেই। ভারত হচ্ছে শাশুড়ি আর পাকিস্তান হচ্ছে বউমা, ছোট কিন্তু ঝাঁজ বেশি। এই মিল- মহব্বতের আশা কম। পুত্র হলো বাংলাদেশ। শাশুড়ি-বউমার বিবাদে পুত্র নীরব দর্শক, কাউকে কিছু বলতে সাহস পায় না। আর বাবার ভূমিকায় আমেরিকা, দুজনকেই বোঝাতে চেষ্টা করে, কিন্তু কেউই কথা শুনতে চায় না। চীন হলো বউয়ের মা। শুধু উসকানি দেয়, যাতে ঝগড়াটা আরও জোরদার হয়। আর রাশিয়া হলো বউয়ের ননদ, ভারতের পক্ষেই কথা বলে। আর আরব দেশগুলো হলো পাড়া-প্রতিবেশী। একবার ভারতের পক্ষে, একবার পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে।’
রসিকবাবুর কথায় সবাই হো হো করে হেসে উঠলেন।
খ. আদালতে আসন নিয়ে বসে আসামির দিকে চোখ রেখেই কিছুটা বিরক্তির সঙ্গেই বললেন: কী ব্যাপার? বারবার কোর্টে আসতে তোমার লজ্জা করে না?
হাত কচলে বিনয়াবত হয়ে আসামির জবাব: হুজুর, আমি তো কোর্টে আসি বছরে এক-দুইবার। আপনি তো আল্লাহর রহমতে মাসের সব কর্মদিবসেই আসেন!
গ. রক্ত, মূত্রসহ অন্য পরীক্ষার পর সব রিপোর্ট যখন ভালো বা নরমাল আসে, তখন বিদেশিরা খুশি হয়ে স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যাক, সবকিছু ফাইন। আর বাঙালিরা মুখ গোমড়া করে বিলাপের মতো করে বলেন, খামোখাই এতগুলা টাকা নষ্ট করলাম!
ঘ. মিজান ও সেজান কবরস্থানে আত্মীয়ের কবর জিয়ারত করে ফিরছিল। এমন সময় তাদের কানে এল পাথরে পাথর ঘষার কর্কশ আওয়াজ। ভয়ে দুজনের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়। তাড়াহুড়া করে কবরস্থান থেকে বের হতে গিয়ে তাদের নজর পড়ল, এক বৃদ্ধ কবরের নামফলক ঘষছেন। এটা দেখে মিজান ও সেজানের ভয় একটু কমল।
তারা বৃদ্ধকে বলল, পাথর ঘষার আওয়াজ শুনে আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, ভূতটুত হয়তো।
বৃদ্ধের উত্তর: আর বোলো না। বোকার হদ্দ মিস্ত্রিগুলো কবরের নামফলকে আমার নামটা ভুল লিখেছে!
ঙ. এক দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একদিন একটি হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে তাঁকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরিয়ে দেখানোর পর হাসপাতালের পরিচালক মন্ত্রী মহোদয়কে লেবার ওয়ার্ডে ঢোকার আহ্বান জানালে তিনি বলেন, ‘না না, লেবার মিনিস্ট্রি আমার আওতায় নয়!’
চ. একজন স্বৈরশাসক সম্পর্কে কৌতুক বা জোকস বানানোর অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সেই স্বৈরশাসকের সামনে উপস্থিত করা হলো। স্বৈরশাসকের খাসকামরায় উপস্থিত হয়ে দামি দামি সব আসবাব দেখে কৌতুক বানানো ব্যক্তির তো চোখ চড়ক গাছ। বিস্ময়ে মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ‘বাহ্ কী সুন্দর সব জিনিস!’
‘সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন এ দেশের সব মানুষের ঘর এমন সজ্জিত হবে’–স্বৈরশাসকের কণ্ঠে এমন কথা শুনে কৌতুক বানানোর অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া লোকটি বলে উঠল, ‘সে কী, জোকস তো বানাব আমি, আপনি কেন?’
নেপাল ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কেবল ভৌগোলিক নয়, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক বন্ধনে আবদ্ধ। উন্মুক্ত সীমান্ত, অভিন্ন হিন্দু ঐতিহ্য এবং ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও নেপালে ভারতবিরোধী মনোভাব একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল বাস্তবতা।
৭ ঘণ্টা আগেআগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা-সংশয় যা-ই বলি, এত দিন সে বিষয়টির পরিসর সীমিত ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য এবং সাধারণত নির্বাক থাকা দেশের আমজনতার মনোজগতে। কিন্তু এখন যখন সরকারপ্রধান নিজেই সেই শঙ্কার কথা ব্যক্ত করছেন, তখন বিষয়টি যে মোটেই অমূলক নয়, তা স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা থাকতে পারে না
২০ ঘণ্টা আগেআজ থেকে খুব বেশি দিন না, এই ধরেন, বারো-সাড়ে বারো শ বছর আগের কথা। হীরকরাজ্যে তখনো জ্ঞান-বিজ্ঞান, বিদ্যা-শিক্ষার চর্চা হতো। রীতিমতো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ৩০০ বছর ধরে শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, বরং চীন, তিব্বত, ব্রহ্মদেশ (মিয়ানমার), শ্যামদেশ (থাইল্যান্ড), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়াসহ
২০ ঘণ্টা আগে৭ সেপ্টেম্বর বদরুদ্দীন উমরের জীবনের প্রস্থান হয়েছে। তাঁর এই প্রস্থানের মধ্য দিয়ে তিন পুরুষের রাজনৈতিক ধারারও সমাপ্তি ঘটেছে। তাঁর দাদা আবুল কাসেম ছিলেন তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেসের পার্লামেন্টারিয়ান বোর্ডের সদস্য। বাবা আবুল হাশিম ছিলেন মুসলিম লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আর তিনি ছিলেন কমিউনিস্ট ধারার নেতা।
২০ ঘণ্টা আগে