ফজলুল কবির
লাশটা পাওয়া গেছে। এ বড় সুসংবাদ। কতজন তো উধাও হওয়ার পর বছরের পর বছর লাপাত্তা থাকে। তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর হারিয়ে যাওয়ার দিনটিতে আহাজারি করে। কখনো কখনো কোনো দিবস ধরে রাস্তায় সমবেত হয়ে কাঁদে। কান্নাও এ দেশে এক অনুষ্ঠানের নাম।
লাশটা পাওয়া গেছে। এ বড় সুসংবাদ। কতজন তো লাশই হতে পারল না ঠিকঠাক। কতজন তো অহেতুক হলো উধাও। কতজন প্রশ্ন করলেন, হারিয়ে যাওয়া মানুষেরা কোথায় যান? এ এক অব্যয় প্রশ্ন যেন, যার কোনো ক্ষয় নেই, নেই কোনো উত্তরও। কিন্তু মরিয়ম ঠিক বললে, তাঁর মা রহিমা তবু লাশ অন্তত হতে পারলেন। এ বড় সৌভাগ্য। এই সৌভাগ্যেই কি কাঁদছেন মরিয়ম? এ কি তবে আনন্দ অশ্রু!
এই প্রেম-অপ্রেমের নগরে ও চরাচরে মানুষেরা থাকে আজও। কিন্তু বাঁচে কি? বাঁচা মানে তো ইচ্ছাদের বেঁচে থাকা, সাধের বেঁচে থাকা, ক্ষোভ ও অভিমানের বিদ্যমানতা। বেঁচে থাকা মানে তো শুধু শ্বাসের নিশ্চয়তা নয়। ফুসফুসে বাতাসের যাতায়াতমাত্রই কি বেঁচে থাকা শুধু? মরিয়মের কান্না-মুখ ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর প্রোফাইলে অন্য অনেকের সমবেদনার বার্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে এই বার্তার তালিকা। তাঁর হারিয়ে যাওয়া মায়ের মতোই তাতে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছেন মরিয়ম।
মরিয়মের জন্য, মরিয়মের মায়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাদা পেজ খোলা হয়েছে—উই স্ট্যান্ড বিসাইড মরিয়ম মান্নান। সেখানে ফলোয়ারের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেখানে একের পর এক দাবিনামা পোস্ট হবে। নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু মরিয়ম আর আশাবাদী হবেন কি? মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি তো মনে মনে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি তো সেই মৃত্যু নিয়ে কেঁদেও ফেলেছেন। তাঁর অন্য তিন বোন কানিজ ফাতেমা, মাহফুজা আক্তার ও আদুরী আক্তারও কেঁদেছেন নিশ্চয়। কিন্তু মরিয়মকেই দেখা গেল ছবিতে ও খবরে। তিনি বলছেন, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা-পুলিশ বস্তাবন্দী যে নারীর লাশ উদ্ধার করেছিল এবং দুদিন অপেক্ষার পর দাফন সম্পন্ন করেছিল, তা তাঁর মায়ের। পুলিশ অবশ্য এখনো কিছু বলেনি। তারা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে।
কিন্তু এই যে অপেক্ষা, এই অপেক্ষা কিসের জন্য? মরিয়মের মা কি এই অপেক্ষার পর ফিরে আসবেন? চার কন্যার মা রহিমা বেগম কি ফিরবেন নিজের সবল পায়ে হেঁটে, যিনি পানি আনতে গিয়ে হারিয়ে গেছেন সেই কবে। কিন্তু স্যান্ডেল জোড়া তো নেই এখন তাঁর সঙ্গে। তিনি তো ফেলে গেছেন সব। কলপাড় থেকে উধাও হয়ে যাওয়া ৫২ বছরের সেই নারী নিজের প্রিয় কলসটিও ফেলে গেছেন। ফেলে গেছেন প্রিয় ওড়না। কী এমন তাড়া ছিল তাঁর? তিনি এখন কী করে ফিরবেন ঘরে।
রহিমাকে যারা নিয়ে গেল, যাদের এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ কিংবা পিবিআই, তারা কি রহিমাকে ফিরে আসার সময় কিনে দেবেন নতুন ওড়না, কিনে দেবেন এক জোড়া নতুন স্যান্ডেল? না হলে হেঁটে আসতে তো তাঁর কষ্ট হবে খুব। মরিয়ম জানেন সে কথা। সে জন্যই কি পুলিশের কথার পরও কাঁদছেন তিনি। এ কারণেই কি তাঁর মনে কু ডাকছে ভীষণ? মায়ের খালি পায়ের কথা তিনি কি তবে ভাবতেই পারছেন না?
তিনি নিশ্চিত তাঁর মা আর বেঁচে নেই, যে মা ছাড়া তাঁর পৃথিবীতে কেউ নেই বলেছিলেন। ফেসবুক পেজে মায়ের খোঁজ পেয়ে তিনি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি। লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশ আমি আমার মাকে মৃত খুঁজে পেয়েছি!’ বিস্ময় চিহ্নটি কেন দিলেন? সে মীমাংসাটি বাংলাদেশ করুক।
মরিয়ম জানিয়েছেন, তিনি ফুলপুর যাচ্ছেন। সুন্দর নামের সেই এলাকায় তিনি যাচ্ছেন তাঁর মাকে নিয়ে আসতে। তাঁকে সবাই খুব সহযোগিতা করছে। র্যাব, পুলিশ—সবাই। সেখানে যাওয়ার পথে মরিয়ম লিখেছেন, ‘আর কয়েক ঘণ্টা প্রতীক্ষার পর আমার মায়ের অর্ধগলিত দেহ আমি অফিশিয়ালি বুঝে যাব! আর যারা বলেছিলেন আমার মা আত্মগোপন করেছেন, তারা সবাই নাক ঢাকার জন্য ব্যবস্থা করুন। কারণ, আমার মা-এর পচা-গলা আর পোকায় খাওয়া লাশটা নিয়ে আমি আপনাদের কাছে সবার আগে যাব!’
মরিয়ম যদি সত্যিই আসেন এভাবে তাঁর মায়ের পচা-গলা লাশ নিয়ে আমাদের দরজায়, আমরা তা নিতে পারব তো। আমাদের পেট গুলিয়ে উঠবে না তো। গলা, মুখ কিংবা নাক দিয়ে সবকিছু বেরিয়ে আসতে চাইবে না তো। আমাদের শরীরে ও মগজে ঢুকে যাওয়া সমস্ত আবিল উগরে দিতে পারব তো, যা এত দিন পারিনি।
বছর-বছর দিনের পর দিন জাতীয় প্রেসক্লাবে কিংবা শহরের বড় কোনো সমাগমস্থলে (যতটা যা এখনো কিছুটা অবশিষ্ট আছে) দাঁড়িয়ে থাকা, কাঁদতে থাকা মানুষদের পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া আমাদের মতো সুখী মানুষেরা রহিমার পচা-গলা লাশটির দিকে তাকাতে পারব তো ঠিকঠাক। টিভিতে বা পত্রিকার পাতায় জোরপূর্বক নিখোঁজ বা গুম হওয়া মানুষদের পরিবারের সদস্যদের কান্নাভেজা মুখের ছবি, তাদের হাতে ধরা পোস্টারের ছবি তো আমাদের মনের বাড়িতে এতটুকু নাড়া আর দিতে পারে না। আহারে আলোকচিত্রী, একটি করুণ রসের ছবি তুলতে কত-না কসরত করেছেন আপনি। অথচ পুরোটাই বৃথা। মানুষ অনায়াসে পাতা উল্টে যায়। নিস্পৃহতার চশমা পরা মানুষেরা ঠিকই টিভির চ্যানেলটি পাল্টে দেয়, ঠিক উল্টে দেয় পত্রিকার পাতা।
এই সব সচল ফুসফুসঅলা লোকেরা কী দারুণভাবে এড়িয়ে যায় ‘নিখোঁজ’, ‘গুম’ ইত্যাদি শব্দের রাজনীতিকে। নির্জীবতার মঞ্চায়নে কী দারুণভাবে সে নিজেকেই মৃত ঘোষণা করে।
ফুলপুরে পাওয়া লাশ, পচা-গলা সেই নারীর লাশটি সত্যিই মরিয়মের মা রহিমার কি-না, তার মীমাংসা এখনো হয়নি। সেই নারীর পরনের কাপড়সহ অন্য সব দেখে মরিয়ম এটি নিশ্চিত করেছেন। মরিয়ম বলেছেন, ‘আমার মায়ের কপাল, আমার মায়ের হাত, আমার মায়ের শরীর—সব চেনা। এসব নিয়ে আমি কীভাবে ভুল করি!’ মরিয়ম এরপরও ভুল করতে পারেন। হতে পারে সত্যিই এই লাশ তাঁর মায়ের নয়। কিন্তু ফুসফুসে বাতাসের যাতায়াত নিয়ে মরিয়ম ও তাঁর মাসহ এই আমরা যে সেই কবেই মরে গেছি, তাতে আর সন্দেহ নেই। ফুলপুরে পাওয়া সেই নারীর লাশ মায়েরই কি-না, তা নিশ্চিতে মরিয়ম ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন। পরীক্ষার ফল এলেই শনাক্ত হবে দাবিটি সত্য কি-না। কিন্তু নিজের লাশ বহন করে চলা এই আমরা নিজেদের লাশটি শনাক্তের জন্য কার কাছে যাব, কোথায় দেব ডিএনএর নমুনা?
লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
লাশটা পাওয়া গেছে। এ বড় সুসংবাদ। কতজন তো উধাও হওয়ার পর বছরের পর বছর লাপাত্তা থাকে। তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর হারিয়ে যাওয়ার দিনটিতে আহাজারি করে। কখনো কখনো কোনো দিবস ধরে রাস্তায় সমবেত হয়ে কাঁদে। কান্নাও এ দেশে এক অনুষ্ঠানের নাম।
লাশটা পাওয়া গেছে। এ বড় সুসংবাদ। কতজন তো লাশই হতে পারল না ঠিকঠাক। কতজন তো অহেতুক হলো উধাও। কতজন প্রশ্ন করলেন, হারিয়ে যাওয়া মানুষেরা কোথায় যান? এ এক অব্যয় প্রশ্ন যেন, যার কোনো ক্ষয় নেই, নেই কোনো উত্তরও। কিন্তু মরিয়ম ঠিক বললে, তাঁর মা রহিমা তবু লাশ অন্তত হতে পারলেন। এ বড় সৌভাগ্য। এই সৌভাগ্যেই কি কাঁদছেন মরিয়ম? এ কি তবে আনন্দ অশ্রু!
এই প্রেম-অপ্রেমের নগরে ও চরাচরে মানুষেরা থাকে আজও। কিন্তু বাঁচে কি? বাঁচা মানে তো ইচ্ছাদের বেঁচে থাকা, সাধের বেঁচে থাকা, ক্ষোভ ও অভিমানের বিদ্যমানতা। বেঁচে থাকা মানে তো শুধু শ্বাসের নিশ্চয়তা নয়। ফুসফুসে বাতাসের যাতায়াতমাত্রই কি বেঁচে থাকা শুধু? মরিয়মের কান্না-মুখ ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর প্রোফাইলে অন্য অনেকের সমবেদনার বার্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে এই বার্তার তালিকা। তাঁর হারিয়ে যাওয়া মায়ের মতোই তাতে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছেন মরিয়ম।
মরিয়মের জন্য, মরিয়মের মায়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাদা পেজ খোলা হয়েছে—উই স্ট্যান্ড বিসাইড মরিয়ম মান্নান। সেখানে ফলোয়ারের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেখানে একের পর এক দাবিনামা পোস্ট হবে। নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু মরিয়ম আর আশাবাদী হবেন কি? মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি তো মনে মনে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি তো সেই মৃত্যু নিয়ে কেঁদেও ফেলেছেন। তাঁর অন্য তিন বোন কানিজ ফাতেমা, মাহফুজা আক্তার ও আদুরী আক্তারও কেঁদেছেন নিশ্চয়। কিন্তু মরিয়মকেই দেখা গেল ছবিতে ও খবরে। তিনি বলছেন, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা-পুলিশ বস্তাবন্দী যে নারীর লাশ উদ্ধার করেছিল এবং দুদিন অপেক্ষার পর দাফন সম্পন্ন করেছিল, তা তাঁর মায়ের। পুলিশ অবশ্য এখনো কিছু বলেনি। তারা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে।
কিন্তু এই যে অপেক্ষা, এই অপেক্ষা কিসের জন্য? মরিয়মের মা কি এই অপেক্ষার পর ফিরে আসবেন? চার কন্যার মা রহিমা বেগম কি ফিরবেন নিজের সবল পায়ে হেঁটে, যিনি পানি আনতে গিয়ে হারিয়ে গেছেন সেই কবে। কিন্তু স্যান্ডেল জোড়া তো নেই এখন তাঁর সঙ্গে। তিনি তো ফেলে গেছেন সব। কলপাড় থেকে উধাও হয়ে যাওয়া ৫২ বছরের সেই নারী নিজের প্রিয় কলসটিও ফেলে গেছেন। ফেলে গেছেন প্রিয় ওড়না। কী এমন তাড়া ছিল তাঁর? তিনি এখন কী করে ফিরবেন ঘরে।
রহিমাকে যারা নিয়ে গেল, যাদের এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ কিংবা পিবিআই, তারা কি রহিমাকে ফিরে আসার সময় কিনে দেবেন নতুন ওড়না, কিনে দেবেন এক জোড়া নতুন স্যান্ডেল? না হলে হেঁটে আসতে তো তাঁর কষ্ট হবে খুব। মরিয়ম জানেন সে কথা। সে জন্যই কি পুলিশের কথার পরও কাঁদছেন তিনি। এ কারণেই কি তাঁর মনে কু ডাকছে ভীষণ? মায়ের খালি পায়ের কথা তিনি কি তবে ভাবতেই পারছেন না?
তিনি নিশ্চিত তাঁর মা আর বেঁচে নেই, যে মা ছাড়া তাঁর পৃথিবীতে কেউ নেই বলেছিলেন। ফেসবুক পেজে মায়ের খোঁজ পেয়ে তিনি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি। লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশ আমি আমার মাকে মৃত খুঁজে পেয়েছি!’ বিস্ময় চিহ্নটি কেন দিলেন? সে মীমাংসাটি বাংলাদেশ করুক।
মরিয়ম জানিয়েছেন, তিনি ফুলপুর যাচ্ছেন। সুন্দর নামের সেই এলাকায় তিনি যাচ্ছেন তাঁর মাকে নিয়ে আসতে। তাঁকে সবাই খুব সহযোগিতা করছে। র্যাব, পুলিশ—সবাই। সেখানে যাওয়ার পথে মরিয়ম লিখেছেন, ‘আর কয়েক ঘণ্টা প্রতীক্ষার পর আমার মায়ের অর্ধগলিত দেহ আমি অফিশিয়ালি বুঝে যাব! আর যারা বলেছিলেন আমার মা আত্মগোপন করেছেন, তারা সবাই নাক ঢাকার জন্য ব্যবস্থা করুন। কারণ, আমার মা-এর পচা-গলা আর পোকায় খাওয়া লাশটা নিয়ে আমি আপনাদের কাছে সবার আগে যাব!’
মরিয়ম যদি সত্যিই আসেন এভাবে তাঁর মায়ের পচা-গলা লাশ নিয়ে আমাদের দরজায়, আমরা তা নিতে পারব তো। আমাদের পেট গুলিয়ে উঠবে না তো। গলা, মুখ কিংবা নাক দিয়ে সবকিছু বেরিয়ে আসতে চাইবে না তো। আমাদের শরীরে ও মগজে ঢুকে যাওয়া সমস্ত আবিল উগরে দিতে পারব তো, যা এত দিন পারিনি।
বছর-বছর দিনের পর দিন জাতীয় প্রেসক্লাবে কিংবা শহরের বড় কোনো সমাগমস্থলে (যতটা যা এখনো কিছুটা অবশিষ্ট আছে) দাঁড়িয়ে থাকা, কাঁদতে থাকা মানুষদের পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া আমাদের মতো সুখী মানুষেরা রহিমার পচা-গলা লাশটির দিকে তাকাতে পারব তো ঠিকঠাক। টিভিতে বা পত্রিকার পাতায় জোরপূর্বক নিখোঁজ বা গুম হওয়া মানুষদের পরিবারের সদস্যদের কান্নাভেজা মুখের ছবি, তাদের হাতে ধরা পোস্টারের ছবি তো আমাদের মনের বাড়িতে এতটুকু নাড়া আর দিতে পারে না। আহারে আলোকচিত্রী, একটি করুণ রসের ছবি তুলতে কত-না কসরত করেছেন আপনি। অথচ পুরোটাই বৃথা। মানুষ অনায়াসে পাতা উল্টে যায়। নিস্পৃহতার চশমা পরা মানুষেরা ঠিকই টিভির চ্যানেলটি পাল্টে দেয়, ঠিক উল্টে দেয় পত্রিকার পাতা।
এই সব সচল ফুসফুসঅলা লোকেরা কী দারুণভাবে এড়িয়ে যায় ‘নিখোঁজ’, ‘গুম’ ইত্যাদি শব্দের রাজনীতিকে। নির্জীবতার মঞ্চায়নে কী দারুণভাবে সে নিজেকেই মৃত ঘোষণা করে।
ফুলপুরে পাওয়া লাশ, পচা-গলা সেই নারীর লাশটি সত্যিই মরিয়মের মা রহিমার কি-না, তার মীমাংসা এখনো হয়নি। সেই নারীর পরনের কাপড়সহ অন্য সব দেখে মরিয়ম এটি নিশ্চিত করেছেন। মরিয়ম বলেছেন, ‘আমার মায়ের কপাল, আমার মায়ের হাত, আমার মায়ের শরীর—সব চেনা। এসব নিয়ে আমি কীভাবে ভুল করি!’ মরিয়ম এরপরও ভুল করতে পারেন। হতে পারে সত্যিই এই লাশ তাঁর মায়ের নয়। কিন্তু ফুসফুসে বাতাসের যাতায়াত নিয়ে মরিয়ম ও তাঁর মাসহ এই আমরা যে সেই কবেই মরে গেছি, তাতে আর সন্দেহ নেই। ফুলপুরে পাওয়া সেই নারীর লাশ মায়েরই কি-না, তা নিশ্চিতে মরিয়ম ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছেন। পরীক্ষার ফল এলেই শনাক্ত হবে দাবিটি সত্য কি-না। কিন্তু নিজের লাশ বহন করে চলা এই আমরা নিজেদের লাশটি শনাক্তের জন্য কার কাছে যাব, কোথায় দেব ডিএনএর নমুনা?
লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
বিতর্ক যাঁর নিত্যসঙ্গী, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যবসায়ী থেকে রাষ্ট্রনায়ক বনে যাওয়া আশি ছুঁই ছুঁই এই ব্যক্তি এমন সব কর্মকাণ্ড করছেন, যেগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টদের চর্চিত ধ্রুপদি সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান। ট্রাম্প এমন অনেক নীতি গ্রহণ করছেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র বা তাঁর ঘোষিত লক্ষ্যের
২ ঘণ্টা আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর। আয়তন ১২৬ বর্গকিলোমিটার। হাওরের অবস্থান সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলায়। এই হাওর শুধু মিঠাপানির জলাভূমিই নয়; নয়নাভিরাম এবং জীববৈচিত্র্যের অন্যতম আধার। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষের জীবিকার উৎসস্থল এই হাওর।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মাছ ধরতে জেলেরা এখন প্রাচীন পদ্ধতি আর ব্যবহার করছেন না। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের খবর। জেলেরা এক ধরনের অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এই ট্যাবলেট অত্যন্ত ক্ষতিকর। কেননা, এটি পানিতে ফেললে জলে থাকা সব মাছ তো মারা যায়ই, সঙ্গে মাটির নিচের মাছগুলোও
৩ ঘণ্টা আগেচুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা—এই প্রবাদকে সত্যে পরিণত করেছেন জনৈক চোর। মাওলানা ভাসানী সেতুর সড়কবাতির তার চুরি করার পর এবার তিনি চুরি করেছেন শতাধিক রিফ্লেক্টর লাইট। পাঠক, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ২৫ আগস্ট, সোমবার আমরা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুর তার চুরির প্রতিবেদন
৩ ঘণ্টা আগে