জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
২ এপ্রিল যখন ফোন করলাম, তখন মনে হচ্ছিল সন্জীদা খাতুন নিশ্বাস নিচ্ছেন টেনে টেনে। আমাকে সম্বোধন করলেন ‘তুমি’ করে। তাহলে কি আমার ওপর রাগ করেছেন? বহুদিন খোঁজ নিই না বলেই কি রাগ? নিজেই পরিষ্কার করলেন, ‘ব্যায়াম করছি। শুয়ে ব্যায়াম করলে এমন হয়।’ পরে কথা বলব বলে ছেড়ে দিলাম ফোনটা।
তার পর ফোন করলাম ৩ এপ্রিল। ব্যায়াম শুরু করার আগে। কেন আমাকে ফোন করেন না—এ রকম একটা অনুযোগ করতেই বললেন, ‘আমি আর কারও সঙ্গেই কথা বলি না এখন। লেখাপড়া করতে পারি না। চোখে ভালো করে দেখি না। এ অবস্থায় আমার জীবন বলে কিছু নেই।’ একটু থেমে বললেন, ‘ছায়ানটেই যেতে পারি না। কাল অনেক কষ্টে আমাকে নিয়ে গেল।’
কষ্টটা কোথায়, তা বোঝা কঠিন নয়। সারা জীবন কাজপাগল মানুষটার জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। সে জন্য রাগ বুঝি নিজেরই ওপর।
কথা ঘুরিয়ে বললাম, ‘ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পদ্মশ্রী দিতে এসেছিল। পত্রিকায় আপনার ছবি দেখলাম। দেখতে তো ভালো লাগছে ছবিতে।’
‘হ্যাঁ, লোকে বলছে। তুইও বললি? আমি ছবিটা দেখিনি।’
এ সময় অন্য একটা ফোন এল। এবার নববর্ষ পড়েছে রমজানে। অনুষ্ঠান হবে কি-না, তা নিয়ে বুঝি কথা বললেন। সেই ফোন ছেড়ে অন্য ফোন থেকে আমাকে বললেন, ‘আছিস? ভেবেছিলাম ছেড়ে দিয়েছিস। পয়লা বৈশাখ নিয়ে কথা হলো। এর আগেও তিনবার করা হয়েছে রমজানে। কথাগুলো কি এরা জানে না!’
টিপ পরা নিয়ে তেজগাঁও কলেজের এক নারী শিক্ষককে অকথা-কুকথা বলেছেন এক পুলিশ। সে কথা বলে বললাম, ‘আপনার টিপ বিড়ম্বনার কথা মনে পড়ে গেল।’
বড় টিপ পরতেন বলে কত জায়গায় তাঁকে নিগৃহীত হতে হয়েছে, সে কথা লেখা আছে আত্মজীবনী ‘সহজ কঠিন দ্বন্দ্ব ছন্দে’ বইটিতে।
তাঁকে প্রশ্ন করলাম, ‘কোথায় যাচ্ছি আমরা?’
‘হায় হায়। সেটা তো বুঝতে পারছি না কোথায় যাচ্ছি। শুধু মনে হয়, এখানেই যদি পৌঁছাতে হবে, তাহলে কিসের জন্য এত যুদ্ধ? কিসের জন্য এত সংগ্রাম? একটা মুসলিম রাষ্ট্র থেকে আরেকটা মুসলিম রাষ্ট্র তো আমরা গড়তে চাইনি। সবার জন্য রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলাম। দেশটা তাহলে কোনদিকে যাবে, বল তো? এখন তো কেউ প্রতিবাদ করে না। কেউ কিছু বলে না।’
‘আমরা কি হেরে গেলাম?’ ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করি।
‘কোনো সভা হলে অবশ্য আমি কত প্রশংসা করি। বলি, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। কিন্তু ভেবে দ্যাখ, কোথাও কোনো পরিষ্কার মন পাবি? সবার কোনো না কোনো স্বার্থ আছে। এটাই তো দুঃখ।’
‘কীভাবে আমরা এ রকম হয়ে গেলাম। তেলবাজি না করা হলে এখন টিকে থাকা যায় না।’
‘আমি হতাশার কথা বলি না। পরাজয়ের কথা বলি না। কারও কারও মনে তো এখনো একটু আশা আছে। মনে করতে পারছে, আমরা তো স্বাধীন। কাউকে আঘাত করতে ইচ্ছে হয় না আমার। কষ্ট হয়। কষ্ট দিতেও চাই না, কষ্ট পেতেও চাই না। এত কষ্ট আছে যে, কষ্টের কোনো তুলনা নাই।’
জাতীয় সংগীত বিকৃত করা হয়েছে, তা নিয়ে সন্জীদা খাতুনের কষ্টটা অনেক বেশি। কারণ, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ব্যাপারে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
এবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সংগীত বিকৃত করা হয়েছে, তাই তাঁর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া: ‘জাতীয় সংগীত নিয়ে খেলা চলে না। সাধারণ একটা সেন্স নেই। গান শুনে সুজেয় শ্যাম ফোন করেছিলেন। আমি আর সুজেয় শ্যাম মিলে এটা শিল্পকলাকে রেকর্ডিং করে দিয়েছিলাম। ওকে সংগীত পরিচালক করে নিয়েছিলাম। অনেক কষ্ট করেছি আমরা। সুজেয় শ্যাম ফোন করে আমাকে বলছে, ‘দিদি, এগুলো কী হচ্ছে? আপনি এত কষ্ট করলেন, তার ফল হলো এই? দুঃখ করল খুব।’
এর পর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘বলার কিছু নাই। বলার কিছু নাই। চুপ করে থাকি। জীবন তো শেষ হয়ে গেছে। কী করব আমি? সবকিছুর তো একটা সময় আছে। সারা জীবন স্ট্রাগল করেছি। আর কত করব? আসলে এখন তো জীবনের কোনো কিছুই আর আকর্ষণ করে না। কিছুই আমার আর ভালো লাগে না। শেষও হয় না জীবনটা।’
‘গান শুনতে ভালো লাগে না?’ বেঁচে থাকার একটা উপায় বের করার চেষ্টা করি।
‘গান শুনতে পারি না। এত পচা গান গায় লোকে, শুনতে পারি না। গানের অবস্থা তো খুব খারাপ। সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্ম নেওয়া এই মানুষটিকে জন্মদিনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললাম, ‘এখনো কি আপনার বাড়িতে যাওয়া নিষেধ? করোনার সতর্কতা এখনো?’
‘কেউ কেউ আসতে তো শুরু করেছে। ভারতীয় হাইকমিশন থেকে তো এল। পয়লা বৈশাখের গান শোনাতেও এল। এখন কেউ কেউ আসছে দরকারে। আগের মতো আর সতর্ক থাকা হচ্ছে না।’
‘কাল আপনার জন্মদিন।’
‘চার তারিখে। চার তারিখে যে কী হবে! কেউ কেউ বলছে আমি আসবই! কোনো বাধা মানব না।’
সুযোগ পেয়ে বললাম, ‘আমার তো লোভ হচ্ছে। আপনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে দূর থেকেই দেখে যাব। দরজার এপার থেকে।’
‘সেটাই ভালো। আসিস। আমি ছায়ানটের কর্মীদের আসতে বলেছি। ওরা এসে আগে আমার জন্মদিনে লুচি তরকারি খেত। এবার তো লুচি তরকারি হচ্ছে না। ওদের জন্য পার্থ কোনো ব্যবস্থা রাখছে। ওরা এখানে এসে দাঁড়িয়ে গান গেয়ে চলে যাবে। আমাদের কর্মীরা তো গান গায়। আমার জন্মদিনে ওদের কয়েকজনকে দিয়ে আমি গান গাইয়েছিলাম। সারওয়ার (ডা. সারওয়ার আলী) তো হা হয়ে গেছে ওদের গান শুনে। ওরা আসবে। রুচি (সন্জীদা খাতুনের ছোট মেয়ে) ভারতে গেছে চোখের চিকিৎসার জন্য। ও আসবে ৩ তারিখে। ৩ তারিখে এসে কি আর কিছু করতে পারবে?’
তাঁকে মনে করিয়ে দিলাম, ‘৩ তারিখ কিন্তু আজকেই! কাল কিন্তু ৪।’
‘বলছিস? সেটা তো আমার মাথায় আসেনি?’ (হাসি) কেন মাথায় আসেনি, তার ব্যাখ্যা করলেন, ‘বললাম তো, এখন এসবে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই। তার মানে শাড়ি বের করতে হবে একটা। একটা ভদ্রমতো শাড়ি পরে থাকব।’
সন্জীদা খাতুনের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী আজ। এই দিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।
২ এপ্রিল যখন ফোন করলাম, তখন মনে হচ্ছিল সন্জীদা খাতুন নিশ্বাস নিচ্ছেন টেনে টেনে। আমাকে সম্বোধন করলেন ‘তুমি’ করে। তাহলে কি আমার ওপর রাগ করেছেন? বহুদিন খোঁজ নিই না বলেই কি রাগ? নিজেই পরিষ্কার করলেন, ‘ব্যায়াম করছি। শুয়ে ব্যায়াম করলে এমন হয়।’ পরে কথা বলব বলে ছেড়ে দিলাম ফোনটা।
তার পর ফোন করলাম ৩ এপ্রিল। ব্যায়াম শুরু করার আগে। কেন আমাকে ফোন করেন না—এ রকম একটা অনুযোগ করতেই বললেন, ‘আমি আর কারও সঙ্গেই কথা বলি না এখন। লেখাপড়া করতে পারি না। চোখে ভালো করে দেখি না। এ অবস্থায় আমার জীবন বলে কিছু নেই।’ একটু থেমে বললেন, ‘ছায়ানটেই যেতে পারি না। কাল অনেক কষ্টে আমাকে নিয়ে গেল।’
কষ্টটা কোথায়, তা বোঝা কঠিন নয়। সারা জীবন কাজপাগল মানুষটার জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। সে জন্য রাগ বুঝি নিজেরই ওপর।
কথা ঘুরিয়ে বললাম, ‘ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পদ্মশ্রী দিতে এসেছিল। পত্রিকায় আপনার ছবি দেখলাম। দেখতে তো ভালো লাগছে ছবিতে।’
‘হ্যাঁ, লোকে বলছে। তুইও বললি? আমি ছবিটা দেখিনি।’
এ সময় অন্য একটা ফোন এল। এবার নববর্ষ পড়েছে রমজানে। অনুষ্ঠান হবে কি-না, তা নিয়ে বুঝি কথা বললেন। সেই ফোন ছেড়ে অন্য ফোন থেকে আমাকে বললেন, ‘আছিস? ভেবেছিলাম ছেড়ে দিয়েছিস। পয়লা বৈশাখ নিয়ে কথা হলো। এর আগেও তিনবার করা হয়েছে রমজানে। কথাগুলো কি এরা জানে না!’
টিপ পরা নিয়ে তেজগাঁও কলেজের এক নারী শিক্ষককে অকথা-কুকথা বলেছেন এক পুলিশ। সে কথা বলে বললাম, ‘আপনার টিপ বিড়ম্বনার কথা মনে পড়ে গেল।’
বড় টিপ পরতেন বলে কত জায়গায় তাঁকে নিগৃহীত হতে হয়েছে, সে কথা লেখা আছে আত্মজীবনী ‘সহজ কঠিন দ্বন্দ্ব ছন্দে’ বইটিতে।
তাঁকে প্রশ্ন করলাম, ‘কোথায় যাচ্ছি আমরা?’
‘হায় হায়। সেটা তো বুঝতে পারছি না কোথায় যাচ্ছি। শুধু মনে হয়, এখানেই যদি পৌঁছাতে হবে, তাহলে কিসের জন্য এত যুদ্ধ? কিসের জন্য এত সংগ্রাম? একটা মুসলিম রাষ্ট্র থেকে আরেকটা মুসলিম রাষ্ট্র তো আমরা গড়তে চাইনি। সবার জন্য রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলাম। দেশটা তাহলে কোনদিকে যাবে, বল তো? এখন তো কেউ প্রতিবাদ করে না। কেউ কিছু বলে না।’
‘আমরা কি হেরে গেলাম?’ ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করি।
‘কোনো সভা হলে অবশ্য আমি কত প্রশংসা করি। বলি, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। কিন্তু ভেবে দ্যাখ, কোথাও কোনো পরিষ্কার মন পাবি? সবার কোনো না কোনো স্বার্থ আছে। এটাই তো দুঃখ।’
‘কীভাবে আমরা এ রকম হয়ে গেলাম। তেলবাজি না করা হলে এখন টিকে থাকা যায় না।’
‘আমি হতাশার কথা বলি না। পরাজয়ের কথা বলি না। কারও কারও মনে তো এখনো একটু আশা আছে। মনে করতে পারছে, আমরা তো স্বাধীন। কাউকে আঘাত করতে ইচ্ছে হয় না আমার। কষ্ট হয়। কষ্ট দিতেও চাই না, কষ্ট পেতেও চাই না। এত কষ্ট আছে যে, কষ্টের কোনো তুলনা নাই।’
জাতীয় সংগীত বিকৃত করা হয়েছে, তা নিয়ে সন্জীদা খাতুনের কষ্টটা অনেক বেশি। কারণ, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ব্যাপারে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
এবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সংগীত বিকৃত করা হয়েছে, তাই তাঁর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া: ‘জাতীয় সংগীত নিয়ে খেলা চলে না। সাধারণ একটা সেন্স নেই। গান শুনে সুজেয় শ্যাম ফোন করেছিলেন। আমি আর সুজেয় শ্যাম মিলে এটা শিল্পকলাকে রেকর্ডিং করে দিয়েছিলাম। ওকে সংগীত পরিচালক করে নিয়েছিলাম। অনেক কষ্ট করেছি আমরা। সুজেয় শ্যাম ফোন করে আমাকে বলছে, ‘দিদি, এগুলো কী হচ্ছে? আপনি এত কষ্ট করলেন, তার ফল হলো এই? দুঃখ করল খুব।’
এর পর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘বলার কিছু নাই। বলার কিছু নাই। চুপ করে থাকি। জীবন তো শেষ হয়ে গেছে। কী করব আমি? সবকিছুর তো একটা সময় আছে। সারা জীবন স্ট্রাগল করেছি। আর কত করব? আসলে এখন তো জীবনের কোনো কিছুই আর আকর্ষণ করে না। কিছুই আমার আর ভালো লাগে না। শেষও হয় না জীবনটা।’
‘গান শুনতে ভালো লাগে না?’ বেঁচে থাকার একটা উপায় বের করার চেষ্টা করি।
‘গান শুনতে পারি না। এত পচা গান গায় লোকে, শুনতে পারি না। গানের অবস্থা তো খুব খারাপ। সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্ম নেওয়া এই মানুষটিকে জন্মদিনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললাম, ‘এখনো কি আপনার বাড়িতে যাওয়া নিষেধ? করোনার সতর্কতা এখনো?’
‘কেউ কেউ আসতে তো শুরু করেছে। ভারতীয় হাইকমিশন থেকে তো এল। পয়লা বৈশাখের গান শোনাতেও এল। এখন কেউ কেউ আসছে দরকারে। আগের মতো আর সতর্ক থাকা হচ্ছে না।’
‘কাল আপনার জন্মদিন।’
‘চার তারিখে। চার তারিখে যে কী হবে! কেউ কেউ বলছে আমি আসবই! কোনো বাধা মানব না।’
সুযোগ পেয়ে বললাম, ‘আমার তো লোভ হচ্ছে। আপনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে দূর থেকেই দেখে যাব। দরজার এপার থেকে।’
‘সেটাই ভালো। আসিস। আমি ছায়ানটের কর্মীদের আসতে বলেছি। ওরা এসে আগে আমার জন্মদিনে লুচি তরকারি খেত। এবার তো লুচি তরকারি হচ্ছে না। ওদের জন্য পার্থ কোনো ব্যবস্থা রাখছে। ওরা এখানে এসে দাঁড়িয়ে গান গেয়ে চলে যাবে। আমাদের কর্মীরা তো গান গায়। আমার জন্মদিনে ওদের কয়েকজনকে দিয়ে আমি গান গাইয়েছিলাম। সারওয়ার (ডা. সারওয়ার আলী) তো হা হয়ে গেছে ওদের গান শুনে। ওরা আসবে। রুচি (সন্জীদা খাতুনের ছোট মেয়ে) ভারতে গেছে চোখের চিকিৎসার জন্য। ও আসবে ৩ তারিখে। ৩ তারিখে এসে কি আর কিছু করতে পারবে?’
তাঁকে মনে করিয়ে দিলাম, ‘৩ তারিখ কিন্তু আজকেই! কাল কিন্তু ৪।’
‘বলছিস? সেটা তো আমার মাথায় আসেনি?’ (হাসি) কেন মাথায় আসেনি, তার ব্যাখ্যা করলেন, ‘বললাম তো, এখন এসবে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই। তার মানে শাড়ি বের করতে হবে একটা। একটা ভদ্রমতো শাড়ি পরে থাকব।’
সন্জীদা খাতুনের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী আজ। এই দিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।
যাঁর কাছে শিক্ষাব্যবস্থা সুরক্ষিত থাকার কথা, তিনি যদি দুর্নীতিকে বাড়তি আয়ের উৎস মনে করে দায়িত্বকে অবহেলা করেন, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা তিমিরে থেকে যাবে, সেটা স্পষ্ট। নৈতিকতা, মূল্যবোধ-বিবর্জিত এ ধরনের অসৎ শিক্ষা কর্মকর্তার কারণে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা রসাতলে যাচ্ছে।
১ সেকেন্ড আগেসিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্ক্সবাদী চিন্তাচেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
১ দিন আগেরাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে শুরু হওয়া ‘জাতীয় ঐকমত্য’ প্রক্রিয়া তার শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু এখনো দেখা যাচ্ছে, প্রক্রিয়ার শুরুর জায়গাটিই ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। একদিকে রয়েছে ১৬৬টি প্রস্তাব, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমতের পাহাড়।
১ দিন আগেলেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
২ দিন আগে