Ajker Patrika

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লোকসান ঠেকানো অসম্ভব

জসিম উদ্দিন
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২১, ১৪: ৫২
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লোকসান ঠেকানো  অসম্ভব

গত বছরের মার্চে করোনার আঘাতের মধ্য দিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করে দেশের অর্থনীতি। তখন লকডাউনে প্রায় সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। দেশি-বিদেশি উৎপাদন ও সেবা খাত, দোকান, ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসা ইত্যাদি প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

এরপর কয়েকটি ঈদ আসে। তখনো খুচরা, পাইকারি ব্যবসা, ফ্যাশন হাউস—এদের বলতে গেলে ব্যবসাই হয়নি।

এরপর যখন করোনা কিছুটা সহনীয় হলো, তখন আবার সবাই গোছাতে শুরু করল। এ প্রক্রিয়ায় সবাই স্থিত হওয়ার আগেই আবারও করোনার আঘাত। সরকার বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছে লকডাউন। এর প্রভাবে কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন খাত। হোটেল ব্যবসা রীতিমতো বসে গেছে। কাটারিং ব্যবসা এখন নেই। ফার্মাসিউটিক্যালস, অনলাইনসহ কিছু খাত হয়তো ভালো আছে।

আবারও ঈদ এসেছে। এই ঈদেও সব ধরনের ব্যবসায় মন্দা। যদিও আট দিনের জন্য সরকার লকডাউন শিথিল করেছে, কিন্তু পরিবহন, দোকানপাট, হোটেল রেস্তোরাঁ সব লম্বা সময় বন্ধ ছিল। আট দিনের ব্যবসায় কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়া কঠিন। লোকসান ঠেকানো অসম্ভব। নতুন করে আমরা সবাই আরেকটি ঝুঁকিতে পড়ে গেলাম।

ঈদের পরপরই আবারও লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিল্প–কারখানা ১৪ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকলে উৎপাদন থেমে যাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানাগুলোকে বিধি–নিষেধের আওতামুক্ত রাখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

ক্ষুদ্র ও ছোট কারখানাগুলো বন্ধ রাখা হলে উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং কারখানাগুলো আবার চালু করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। উৎপাদন বন্ধ থাকলে আমদানি করা কাঁচামাল অব্যবহৃত হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে আমদানিকারক ও উৎপাদক উভয়ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। 

জসিম উদ্দিন, সভাপতি এফবিসিসিআই 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত