Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

পরিবর্তনের জন্য মানুষের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ফিকে হয়ে এসেছে

ফাহমিদুল হক

ফাহমিদুল হক চলচ্চিত্র সমালোচক, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও গল্পকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বার্ড কলেজের ফ্যাকাল্টি মেম্বার। একসময় ‘যোগাযোগ’ পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। তিনি জুলাই আন্দোলনের অর্জন-ব্যর্থতা, অন্তর্বর্তী সরকারের বিফলতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকরাজনীতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানার সঙ্গে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে কেন যুক্ত হয়েছিলেন?

২০১৮ সালে প্রথম যে কোটা সংস্কারের আন্দোলন হয়, তাতেও যুক্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তো আমরা দেখেছি যে, একটা দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ যে আন্দোলন চলছিল, ছাত্রলীগ-পুলিশ সেখানে হামলা করছে। আন্দোলনকারীরা আহত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, জেল খাটছে। আমরা শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ওপর এসব জুলুম দেখে বসে থাকতে পারি না। তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য হলেও তাদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছি। আমরা শিক্ষক নেটওয়ার্ক থেকে নানান কর্মসূচি পালন করেছি–বিবৃতি, পদযাত্রা, প্রতিবাদ সমাবেশ ইত্যাদি। এসব করতে গিয়ে আমাদের ওপরও নানারূপী আক্রমণ এসেছে। আমাকে একবার প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ ও শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের গুন্ডারা হেনস্তা করেছে। আমার বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন আমারই এক সহকর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আমাদের প্রমোশন ও ন্যায্য সুবিধাদির ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিবেচনা করে দেখেছি, শিক্ষার্থীদের যে দাবি, তা ন্যায্য ছিল। তিন প্রজন্ম পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ থাকার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরির মোট ৫৬ শতাংশ কোটায় যাবে, তা মানা যায় না। তাই ২০১৮ সালে ওই আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি। ২০২৪ সালের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে ২০২৪-এর আন্দোলনের জন্য শেখ হাসিনাকেই দায়ী করা যায়। ২০১৮ সালে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল কোটা সংস্কারের, কমিয়ে ১০ শতাংশের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা পুরো কোটা প্রথাই উঠিয়ে দেন। পরে মামলা হলে কোটার বিষয়টি আবার ফিরে আসে ২০২৪ সালে।

বিদেশে অবস্থান করেও এ আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। এক বছর পর জুলাই আন্দোলনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

ডিজিটাল যুগে পরিসরের ধারণা আর আগের মতো নেই। বিদেশে থেকে বহু মানুষই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দেশে মতপ্রকাশের পরিস্থিতি সংকুচিত থাকায় অনেক সাংবাদিক ও অ্যাকটিভিস্ট বিদেশে থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স বন্ধ করে দিয়ে ভালো ইমপ্যাক্ট ফেলেছিলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সৌন্দর্য ছিল, পুরো জাতি এক স্বৈরাচারী সরকার ও মাফিয়া ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। যেহেতু আওয়ামী লীগের সমর্থনকারীদেরও অনেকে ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ড সইতে না পেরে, বিলম্বে হলেও আন্দোলনে যোগ দেন। তাই একে ‘পুরো জাতির ঐক্য’ বলাই যায়। কিন্তু স্বৈরাচারের পলায়নের পর সেই ঐক্য এক দিনও অটুট থাকেনি, সেটা হলো এক হতাশাজনক বাস্তবতা। যে স্বপ্ন মানুষ দেখেছিল, গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের জন্য যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। রাজনৈতিক পক্ষগুলো, দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের অঙ্গীকার পূরণে অনেকখানি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয়ের কোনোটিই এক বছরে আংশিকভাবেও অর্জিত হয়নি। এক বছরে বোঝা গিয়েছে, রাতারাতি বদলে যাবে না বাংলাদেশ। বরং পরিবর্তনের পথটি দীর্ঘ ও ধীরগতির।

অনেক বিষয়ে কমিশন হলো, শিক্ষা বিষয়ে হলো না। শিক্ষা বিষয়ে আমাদের কোন ধরনের পরিবর্তন দরকার?

বোঝা যায় শিক্ষা বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আগ্রহ কম। অথচ শিক্ষা একটি মৌলিক চাহিদার বিষয়, অন্ন-বস্ত্রের পরেই শিক্ষার গুরুত্ব। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের বরাদ্দ ২২ বছর ধরে সর্বনিম্ন, অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটা না বাড়িয়ে আরও কমিয়ে দিয়েছে।

প্রথমত, তহবিলের জোগান দরকার। ইউনেসকোর সুপারিশ হলো, জিডিপির অন্তত ৪-৬ শতাংশ বরাদ্দ করা। সেটা বাংলাদেশ কখনোই করে না। মোটামুটি ২ শতাংশের নিচেই থাকে। শিক্ষায় বিনিয়োগ না করলে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। সম্প্রতি যেসব দেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নত হয়েছে, তারা সবাই (যেমন দক্ষিণ কোরিয়া) শিক্ষা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। এটা হলো প্রথম ও প্রধান কাজ। এটা না হলে, বাকি আলাপে ঢুকে কোনো লাভ নেই। তাই সেই আলাপে আমি যাচ্ছি না।

শিক্ষার্থীদের সরকারে নেওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়ম করার অভিযোগ আছে। শিক্ষার্থীদের সরকারে যোগদান করাটাকে কি ঠিক মনে করেছেন?

জুলাইয়ে কোনো বিপ্লব হয়নি, হয়েছে গণ-অভ্যুত্থান। বিপ্লব হলে শিক্ষার্থীরাই পুরো সরকার গঠন করতে পারত। কিন্তু বিপ্লবের পূর্বশর্ত একটি রাজনৈতিক শক্তি দীর্ঘদিন চর্চার মধ্য দিয়ে বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হয়। দেশব্যাপী তাদের জনসম্পৃক্ততা থাকবে। শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে এসে গণ-অভ্যুত্থানে যুক্ত হয়ে পড়েছে।

তারা সম্ভবত একটা জাতীয় সরকার গঠনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা শিক্ষক নেটওয়ার্ক থেকে ৪ আগস্টেই অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখায় বলেছিলাম, শিক্ষার্থীদের ছায়া সরকার গঠন করতে। তাই তাদের উচিত ছিল অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে ভূমিকা রেখে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে সমাজে সক্রিয় হওয়া এবং ছায়া সরকারের মতো করে অন্তর্বর্তী সরকারকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে বার্তা দেওয়া যে, তারা কী চায়? সরকারে যুক্ত থাকাটা তাদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি।

শেখ হাসিনা যে করাপ্ট সামাজিক-রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন, তিনি চলে গেলেও কাঠামো রেখে গেছেন। সেই কাঠামো, সরকারে যুক্ত থাকার সূত্রে তো বটেই, নতুন গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে শিক্ষার্থীদের নানান প্রলোভন দেখিয়েছে এবং তাদের অনেকেই তাতে সাড়া দিয়েছে। সরকারে না থাকলেও, ব্যাপারটা ঘটতে পারত, তবে মাত্রাগত অনেক পার্থক্য থাকত। আমরা যাঁরা তাদের সামনে রেখে, চিন্তায় বা লেখায়, সমাজ পরিবর্তনের বাজি ধরেছিলাম, তাঁদের জন্য এ এক অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাজনক পরিস্থিতি।

আপনি কি মনে করেন জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাজনীতির নতুন সম্ভাবনা ব্যর্থ হয়েছে? যদি মনে হয়ে থাকে, তাহলে কেন হয়েছে বলে মনে করেন?

অনেক কারণ। জুলাই আন্দোলনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল একই উদ্দেশ্যে। প্রথমত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে, দ্বিতীয়ত অত্যাচারী শাসকদের পতনের জন্য। বেশ দ্রুতই ব্যাপারটা ঘটে। ফলে হাসিনামুক্ত বাংলাদেশকে কেমন হতে হবে, এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের বোঝাপড়ার সুযোগ হয়নি। কারও চাওয়া ছিল, হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী প্রথার বিলোপ হতে হবে। কারও ছিল, ইসলামি শরিয়াহ কায়েমের পথে এগিয়ে যাওয়া। কেউ ভাবছে, কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফেরাই যথেষ্ট। যখন আন্দোলনের পরপর একদল ভাবছে, কী করে দ্রুত একটা সরকার গঠন করা যায়, তখন আরেক দল মূর্তি ভাঙা ও মাজার ভাঙায় ব্যস্ত হয়ে গেল। তাদের কাছে কেবল মুজিবের মূর্তি নয়, যেকোনো মূর্তিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। মেয়েরা আন্দোলনে এত বড় ভূমিকা রাখল, অথচ কেউ কেউ ভাবছে, মেয়েদের ঘরে অন্তরীণ করে ফেলতে হবে।

আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে তিনটি রাজনৈতিক পক্ষ—বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি পরস্পর বিবাদ ও বিষোদ্‌গারে ব্যস্ত এখন। আন্দোলন একসঙ্গে করলেও, একজন অন্য জনের চাওয়ার কথা ভাবেনি, সব পক্ষই নিজেদের ভাবনাতেই মশগুল থাকছে। আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে যখন অনেক ভাঙচুর হচ্ছে, একপক্ষ আরেকপক্ষকে আক্রমণ করছে, পিটিয়ে মেরে ফেলছে—এসব ক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকার যারা বেশি পেশি প্রদর্শন করেছে, তাদের দাবিই মেনেছে, সে দাবি অগণতান্ত্রিক ও আইনবিরোধী হলেও ফলেছে। সে হিসেবে গত এক বছরে ডানপন্থীদের কথাই বেশি শুনেছে সরকার। গণতান্ত্রিক চর্চা ফিরে আসেনি, বরং সরকার তার কাজের মাধ্যমে ডানপন্থীদের জয়যাত্রায় সায় দিয়েছে।

এই আন্দোলনে শিক্ষকেরা সক্রিয় ছিলেন, এখন তাঁরা নতুন সময়ে কী ধরনের অবদান রাখতে পারেন? তাঁদের কি সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে?

গোলমেলে পরিস্থিতিতে, নির্লজ্জভাবে নিজেদের কথা বলার প্রয়োজন তৈরি হয়। হাসিনা সরকারের পুরোটা সময়ে শিক্ষকদের একটি পক্ষই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতায় যুক্ত ছিল, তা হলো ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসের হাজারো অনিয়মের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখেননি। বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা কিন্তু রাজধানীতে ও গ্রামগঞ্জে নানান অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছেন, অনেক

জুলুম সয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয় শিক্ষকেরা তেমন কিছুই করেননি। এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই সাদা দলের ছিল তিন-চার শ শিক্ষক। তাঁরা সাদা প্যানেলে নিয়মিত নির্বাচন করা ছাড়া, কোনো একটা প্রতিবাদ সমাবেশও করেননি। শিক্ষক নেটওয়ার্ক মাঝে মাঝে ‘নিপীড়নবিরোধী’ ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করলে, সাদা দলের শিক্ষকেরা পেছনে এসে দাঁড়াতেন। এমনকি জুলাইয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। জুলাই আন্দোলনের একেবারে শেষের দিকে তাঁরা নিজেদের ব্যানার খুলে দাঁড়ানোর সাহস করেছেন।

কিন্তু আন্দোলন শেষ হলে, আগের সব ভিসি-প্রোভিসি পদত্যাগ করলে, তাঁরা শূন্য আসনগুলো পূরণে তৎপর হয়ে ওঠেন, ধীরে ধীরে সব দখলও করেন। আর রুদ্ধ সময়ের সক্রিয় পক্ষটিকে, নতুন সময়ে সম্মান দেখানো হয়নি। দু-চারজনকে অল্প কিছু ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্ব অর্পণ করে আবার প্রত্যাহারও করা হয়েছে। দেশের বাঁধনছাড়া ডানপন্থী অংশটি তাঁদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে ‘ইসলামবিদ্বেষী’, ‘নারীবাদী’, ‘শাহবাগি’, ‘বাকশালি’, ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ ইত্যাদি বলে গেছে। শিক্ষার্থীদের নেতারা, যাঁরা নানান সময়ে এসব শিক্ষকের কাছ থেকে সুরক্ষা পেয়েছেন, তাঁরাও এসব শিক্ষককে অসম্মান থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি।

এখন দলীয় যেসব শিক্ষক দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারেন। নেটওয়ার্কের সদস্যরা আবার পুরোনো অ্যাকটিভিজমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা সেটা চালিয়ে যেতে পারেন। সব দল-মতের শিক্ষকেরা তাঁদের (পাঠদান ও গবেষণার) পেশাগত দায়িত্বটি ঠিকমতো পালন করবেন, শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রাখবেন, আর জাতীয় পর্যায়ে গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমিকা রাখবেন—এই হলো আমার প্রত্যাশা।

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আজকের পত্রিকা ও আপনাকেও ধন্যবাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চোখের জলে বিদায় সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে

ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে সব বলে দেব: উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান

বুড়িগঙ্গা থেকে তরুণ-তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের দাবি বিএসএফের

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত