সম্পাদকীয়
উৎপাদন ও সরবাহে ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। অজুহাত করোনাভাইরাস এবং লকডাউন। উৎপাদক কৃষক বেশি দামে তার পণ্য বিক্রি করছেন, বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। দাম বাড়ার কোনো সুফল কৃষক সরাসরি পান না। মধ্যস্বত্ত্বভোগী এবং ব্যবসায়ী-বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট কারসাজি করে দাম বাড়ায়, ক্রেতা তথা ভোক্তাদের পকেট কাটে। লকডাউনের অজুহাতে বিভিন্ন জায়গায় কাঁচাপণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অথচ লকডাউনের কারণে কোথাও পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হওয়ার খবর নেই।
যশোরের যে খবর পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কৃষকের কাছ থেকে পাইকারি ক্রেতারা যে দামে সবজি কিনছেন সেই সবজি খুচরা বাজারে গিয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি শিম বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছেন ২২ টাকা, অথচ খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা দিয়ে। ঢেঁড়শের পাইকারি দাম যেখানে ৯ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে তা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন, বরবটির দামেও একই অবস্থা।
কেন এমন হচ্ছে? ব্যবসায়ীরা বলছেন, কৃষক পর্যায়ে তাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সমস্যা করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আমাদের দোষ কী? আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই তো বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।’ সরবরাহ কম বলেও কারও কারও অভিযোগ। কিন্তু মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সরবরাহ ঠিক আছে, কৃষকও ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন; আসল লাভ করছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের অতি মুনাফার প্রবৃত্তি বাজারকে অস্থির করে তুলছে।
আমাদের দেশে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। বাজার তদারকির নিয়মিত কার্যক্রম না থাকার সুযোগ নেন একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক এবং ভোক্তারা। যারা সবজি কিনে খান, তাদের আয় বাড়ে না। কিন্তু দাম বাড়ার চাপ তাদের ঠিকই সহ্য করতে হয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকারের কাজ নয়। তবে যেকোনো অনিয়ম-অনাচার দূর করা সরকারের দায়িত্বের বাইরে নয়। ব্যবসায়ীরা মুনাফা ছাড়া ব্যবসা করবেন না, এটা ঠিক। তবে সেই মুনাফার একটি সীমা থাকা বাঞ্ছনীয়। ব্যবসার নামে গলা কাটার রীতি বন্ধ করার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও দ্বিধা করা চলবে না। স্বল্পসংখ্যক ব্যবসায়ী বেশিসংখ্যক ভোক্তাকে জিম্মি করে মুনাফার পাহাড় গড়বেন—এটা হতে পারে না। জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর এ ক্ষেত্রে সক্রিয়তা দেখাবে বলে আমরা আশা করি।
উৎপাদন ও সরবাহে ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। অজুহাত করোনাভাইরাস এবং লকডাউন। উৎপাদক কৃষক বেশি দামে তার পণ্য বিক্রি করছেন, বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। দাম বাড়ার কোনো সুফল কৃষক সরাসরি পান না। মধ্যস্বত্ত্বভোগী এবং ব্যবসায়ী-বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট কারসাজি করে দাম বাড়ায়, ক্রেতা তথা ভোক্তাদের পকেট কাটে। লকডাউনের অজুহাতে বিভিন্ন জায়গায় কাঁচাপণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অথচ লকডাউনের কারণে কোথাও পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হওয়ার খবর নেই।
যশোরের যে খবর পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কৃষকের কাছ থেকে পাইকারি ক্রেতারা যে দামে সবজি কিনছেন সেই সবজি খুচরা বাজারে গিয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি শিম বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছেন ২২ টাকা, অথচ খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা দিয়ে। ঢেঁড়শের পাইকারি দাম যেখানে ৯ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে তা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন, বরবটির দামেও একই অবস্থা।
কেন এমন হচ্ছে? ব্যবসায়ীরা বলছেন, কৃষক পর্যায়ে তাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সমস্যা করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আমাদের দোষ কী? আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই তো বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।’ সরবরাহ কম বলেও কারও কারও অভিযোগ। কিন্তু মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সরবরাহ ঠিক আছে, কৃষকও ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন; আসল লাভ করছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের অতি মুনাফার প্রবৃত্তি বাজারকে অস্থির করে তুলছে।
আমাদের দেশে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। বাজার তদারকির নিয়মিত কার্যক্রম না থাকার সুযোগ নেন একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক এবং ভোক্তারা। যারা সবজি কিনে খান, তাদের আয় বাড়ে না। কিন্তু দাম বাড়ার চাপ তাদের ঠিকই সহ্য করতে হয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকারের কাজ নয়। তবে যেকোনো অনিয়ম-অনাচার দূর করা সরকারের দায়িত্বের বাইরে নয়। ব্যবসায়ীরা মুনাফা ছাড়া ব্যবসা করবেন না, এটা ঠিক। তবে সেই মুনাফার একটি সীমা থাকা বাঞ্ছনীয়। ব্যবসার নামে গলা কাটার রীতি বন্ধ করার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও দ্বিধা করা চলবে না। স্বল্পসংখ্যক ব্যবসায়ী বেশিসংখ্যক ভোক্তাকে জিম্মি করে মুনাফার পাহাড় গড়বেন—এটা হতে পারে না। জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর এ ক্ষেত্রে সক্রিয়তা দেখাবে বলে আমরা আশা করি।
গত কয়েক দিনে তিনজন জামায়াত নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই একটা রাজনৈতিক দল, যাদের নেতাদের মধ্যে পরিমিতিবোধ অসাধারণ। প্রায়ই তাঁরা জানেন, কোথায় থামতে হয়। হাসতে হলে ঠোঁট দুটো কতটুকু প্রসারিত করতে হবে, দাঁত কটা প্রকাশিত হতে পারবে—সে হিসাবও সম্ভবত দল তাদের শিখিয়ে দেয়।
১২ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়া আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত। প্রায় ২৮ কোটি মানুষের এই বহুজাতিক ও বহু সাংস্কৃতিক দেশটি দীর্ঘ সামরিক শাসন, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি ও দুর্নীতির গভীর সংকট অতিক্রম করে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রবেশ করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেইদানীং; কেবল ইদানীং কেন, অনেক আগে থেকেই আমার মনে একটি প্রশ্ন বারবার উঁকি দিয়ে ওঠে যে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কিংবা সমাজে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব কী, তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারি? জানা আছে কিংবা জানা থেকে থাকলে মনে রাখতে পেরেছি এক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠা অথবা গড়ে তোলার প্রেক্ষাপট কী?
১২ ঘণ্টা আগেরাজনীতির মাঠটাকে যাঁরা অশ্লীল বাক্যবাণের চারণক্ষেত্র বানিয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন গ্রেপ্তার হয়েছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে। উত্তরা থেকে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাহিনি সেই আগের মতোই।
১২ ঘণ্টা আগে