সম্পাদকীয়
হাতিরঝিল যে যানজটের এই ঢাকা মহানগরের জন্য এক আশীর্বাদ, সে কথা স্বীকার করে নেওয়া ভালো। যে কোনো পথ ধরে এই সড়কে পৌঁছাতে পারলেই ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করা সহজ হয়। নয়নাভিরাম পথ ও প্রকৃতি চোখ ও মন—দুইই জুড়িয়ে দেয়।
কেউ যদি শখ করে হাতিরঝিলে বেড়াতে যান, তাহলে সেখানে নৌভ্রমণ বা রেস্তোরাঁয় বসে গল্প করার মতো সুযোগ আছে। পায়ে চলা পথ কিংবা বেঞ্চিগুলোও অবকাশের ভালো ব্যবস্থা। রাতের বেলায় ফোয়ারা, সেতুতে আলো–ছায়ার খেলাও নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করে। এককথায়, হাতিরঝিল যেন দূষিত নগরীর মধ্যে খোলা হাওয়া।
কিন্তু তারপরও কিছু ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেই নয়। যারা এই পথে চলাচল করেন যন্ত্রযানে, তারা দেখতে পান, গতিসীমা দেওয়া আছে কোথাও ঘণ্টায় ৪০, কোথাও ৩০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, এই পথটি পাড়ি দেওয়ার সময় এই গতিসীমার মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু সেটা মানা হয় না। যানজটের শহর থেকে এই খোলা রাস্তায় এসে চালকের মনে বয়ে যায় ফূর্তির ঢেউ, আর সেই ঢেউসাগরে ভাসতে ভাসতে তিনি গাড়ি, মোটর সাইকেলের গতি বাড়াতেই থাকেন। কাউকে যদি মনের আনন্দে ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাতে দেখেন, তাহলে অবাক হবেন না। কারণ, গতিসীমা মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখভাল করার কেউ নেই সেখানে।
দুটো উপায়ে এই ঝোড়ো গতির রাশ টেনে ধরা যায়। এক. দেখভালকারীদের মাধ্যমে জরিমানার ব্যবস্থা করে। দুই. গতিসীমা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে। ৪০ কিলোমিটারের জায়গায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার করলেও সম্ভবত খারাপ কিছু হবে না।
আরেকটি ভয়ানক সমস্যায় পড়েন চালকেরা। শুধু শিশুই নয়, বড়রাও হঠাৎ করে বলা নেই, কওয়া নেই, রাস্তা পার হওয়ার জন্য হুট করে নেমে আসেন ধাবমান যন্ত্রযানের সামনে। যে কোনো উপায়ে ঠিক সে মুহূর্তে রাস্তা পার হওয়াটা যেন একমাত্র পবিত্র কাজ হয়ে ওঠে তার জন্য। চালকের জন্য তা সত্যিই মাথাব্যথার কারণ।
পথ চলার নিয়ম–কানুন থাকে, সেগুলো মেনে চলতে হয়। যতদিন পর্যন্ত ‘সিভিক–সেন্স’ গড়ে না ওঠে, ততদিন একটু কড়াকড়ি করা অসঙ্গত নয়। আমাদের যে অলিখিত ‘ঐতিহ্য’ গড়ে উঠেছে সবকিছু অগ্রাহ্য করার, তা থেকে মুক্ত না হলে এ ধরনের বিপদ কাটিয়ে ওঠা যাবে না।
হাতিরঝিল যে যানজটের এই ঢাকা মহানগরের জন্য এক আশীর্বাদ, সে কথা স্বীকার করে নেওয়া ভালো। যে কোনো পথ ধরে এই সড়কে পৌঁছাতে পারলেই ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করা সহজ হয়। নয়নাভিরাম পথ ও প্রকৃতি চোখ ও মন—দুইই জুড়িয়ে দেয়।
কেউ যদি শখ করে হাতিরঝিলে বেড়াতে যান, তাহলে সেখানে নৌভ্রমণ বা রেস্তোরাঁয় বসে গল্প করার মতো সুযোগ আছে। পায়ে চলা পথ কিংবা বেঞ্চিগুলোও অবকাশের ভালো ব্যবস্থা। রাতের বেলায় ফোয়ারা, সেতুতে আলো–ছায়ার খেলাও নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করে। এককথায়, হাতিরঝিল যেন দূষিত নগরীর মধ্যে খোলা হাওয়া।
কিন্তু তারপরও কিছু ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেই নয়। যারা এই পথে চলাচল করেন যন্ত্রযানে, তারা দেখতে পান, গতিসীমা দেওয়া আছে কোথাও ঘণ্টায় ৪০, কোথাও ৩০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, এই পথটি পাড়ি দেওয়ার সময় এই গতিসীমার মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু সেটা মানা হয় না। যানজটের শহর থেকে এই খোলা রাস্তায় এসে চালকের মনে বয়ে যায় ফূর্তির ঢেউ, আর সেই ঢেউসাগরে ভাসতে ভাসতে তিনি গাড়ি, মোটর সাইকেলের গতি বাড়াতেই থাকেন। কাউকে যদি মনের আনন্দে ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাতে দেখেন, তাহলে অবাক হবেন না। কারণ, গতিসীমা মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখভাল করার কেউ নেই সেখানে।
দুটো উপায়ে এই ঝোড়ো গতির রাশ টেনে ধরা যায়। এক. দেখভালকারীদের মাধ্যমে জরিমানার ব্যবস্থা করে। দুই. গতিসীমা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে। ৪০ কিলোমিটারের জায়গায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার করলেও সম্ভবত খারাপ কিছু হবে না।
আরেকটি ভয়ানক সমস্যায় পড়েন চালকেরা। শুধু শিশুই নয়, বড়রাও হঠাৎ করে বলা নেই, কওয়া নেই, রাস্তা পার হওয়ার জন্য হুট করে নেমে আসেন ধাবমান যন্ত্রযানের সামনে। যে কোনো উপায়ে ঠিক সে মুহূর্তে রাস্তা পার হওয়াটা যেন একমাত্র পবিত্র কাজ হয়ে ওঠে তার জন্য। চালকের জন্য তা সত্যিই মাথাব্যথার কারণ।
পথ চলার নিয়ম–কানুন থাকে, সেগুলো মেনে চলতে হয়। যতদিন পর্যন্ত ‘সিভিক–সেন্স’ গড়ে না ওঠে, ততদিন একটু কড়াকড়ি করা অসঙ্গত নয়। আমাদের যে অলিখিত ‘ঐতিহ্য’ গড়ে উঠেছে সবকিছু অগ্রাহ্য করার, তা থেকে মুক্ত না হলে এ ধরনের বিপদ কাটিয়ে ওঠা যাবে না।
গত কয়েক দিনে তিনজন জামায়াত নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই একটা রাজনৈতিক দল, যাদের নেতাদের মধ্যে পরিমিতিবোধ অসাধারণ। প্রায়ই তাঁরা জানেন, কোথায় থামতে হয়। হাসতে হলে ঠোঁট দুটো কতটুকু প্রসারিত করতে হবে, দাঁত কটা প্রকাশিত হতে পারবে—সে হিসাবও সম্ভবত দল তাদের শিখিয়ে দেয়।
১৪ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়া আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত। প্রায় ২৮ কোটি মানুষের এই বহুজাতিক ও বহু সাংস্কৃতিক দেশটি দীর্ঘ সামরিক শাসন, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি ও দুর্নীতির গভীর সংকট অতিক্রম করে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রবেশ করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেইদানীং; কেবল ইদানীং কেন, অনেক আগে থেকেই আমার মনে একটি প্রশ্ন বারবার উঁকি দিয়ে ওঠে যে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কিংবা সমাজে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব কী, তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারি? জানা আছে কিংবা জানা থেকে থাকলে মনে রাখতে পেরেছি এক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠা অথবা গড়ে তোলার প্রেক্ষাপট কী?
১৪ ঘণ্টা আগেরাজনীতির মাঠটাকে যাঁরা অশ্লীল বাক্যবাণের চারণক্ষেত্র বানিয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন গ্রেপ্তার হয়েছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে। উত্তরা থেকে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাহিনি সেই আগের মতোই।
১৪ ঘণ্টা আগে