সম্পাদকীয়
একসময় লাখপতি-কোটিপতি বলে বড়লোকদের বোঝানো হতো, যারা অনেক টাকার মালিক। এখন লাখপতি শব্দটি তার আভিজাত্য হারিয়েছে। বহু চাকরিজীবীই মাসে লাখ টাকার ওপরে বেতন পান, বহু ব্যবসায়ীর মাসিক আয় কবেই তো লাখ ছাড়িয়েছে। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, বড় বড় পুকুর চুরি, সাগর চুরির কাছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা লোপাট করার ঘটনা কোনো কারণেই বড় কোনো ঘটনা নয়। তাই এ রকম একটি ঘটনা নিয়ে সংবাদই বা করা কেন, সম্পাদকীয়ই বা লেখা কেন?
আছে। কারণ আছে। এই টাকাটা চুরি করা হয়েছে এতিমদের কাছ থেকে। এতিমদের হক মেরে এই টাকা আত্মসাৎ করেছে একদল মানুষ। এতিমখানার নামে সরকারি টাকা তুলে তা নিতান্তই ভোজবাজির মতো গায়েব করে দিয়েছে তারা। সমাজসেবা কর্মকর্তা পরিদর্শনে আসেননি বহুদিন, তাই এতিমখানা কমিটি ভেবেছে–এতিমদের টাকা মেরে দেওয়া দোষের কিছু নয়।
সাতক্ষীরা সদরের চৌবাড়ীয়া মরহুম আব্দুল বারী মল্লিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির ২০ জন ছাত্রের জন্য খাদ্যবাবদ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দুবারে সেই টাকা তুলে নিয়েছে মাদ্রাসা কমিটি। টাকাটা এতিমদের খাদ্যবাবদ, কিন্তু এতিমখানার রান্নাঘরে চুলো জ্বলে না। এতিম, অসহায় ছাত্ররা এতিমখানাসংলগ্ন ধনী মানুষদের বাড়িতে খেতে যায়। তারা না থাকলে কে এদের খবর রাখত, কে জানে!
সমাজসেবা কর্মকর্তা পরিদর্শন করে যাওয়ার পর এতিমখানার চুলোয় আগুন জ্বলবে বলে মনে হচ্ছে। তাতে এই অসহায় শিশু-কিশোরদের খাওয়ার কষ্টটা যাবে। লোপাট করে দেওয়া টাকা এই বাবদ ফিরে আসবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। সেই সঙ্গে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ করেছে, সেটাও তলিয়ে দেখতে হবে। বরাদ্দের টাকা তুলতেও নাকি ঘুষ দিতে হয়। এতিমদের টাকা মেরে দেওয়ার কতই না অলিগলি আছে, ভাবলে অবাক হতে হয়। চার্লস ডিকেন্সের অলিভার টুইস্ট উপন্যাসটিতে এতিমদের প্রতি নির্দয়তার ছবি প্রগাঢ়ভাবে রয়েছে। আমাদের দেশের এতিমখানায় যা হয়, সেটা কিছুটা ধোঁয়াটে। ইদানীং এতিমখানার শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো প্রকাশ পাচ্ছে, তা ভয়ঙ্কর। ব্যাপারটি এ সময়ের নতুন আমদানি বলে মনে হচ্ছে না। আগে গোপন থাকত, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে এখন তা ওপেন সিক্রেট। ফলে এতিমখানায় আদতে কী হয়, এতিম শিশু-কিশোরেরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কোন কোন ভোগান্তির শিকার হয়—তা জানা দরকার।
আপাতত এটুকুই ভাবি, সাতক্ষীরার ওই এতিমখানার শিশুরা খেতে পারছে, খাবার জন্য আশপাশের বড়লোকদের বাড়িতে তাদের যেতে হচ্ছে না—এটাই অনেকটা শান্তি দেবে আমাদের।
একসময় লাখপতি-কোটিপতি বলে বড়লোকদের বোঝানো হতো, যারা অনেক টাকার মালিক। এখন লাখপতি শব্দটি তার আভিজাত্য হারিয়েছে। বহু চাকরিজীবীই মাসে লাখ টাকার ওপরে বেতন পান, বহু ব্যবসায়ীর মাসিক আয় কবেই তো লাখ ছাড়িয়েছে। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, বড় বড় পুকুর চুরি, সাগর চুরির কাছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা লোপাট করার ঘটনা কোনো কারণেই বড় কোনো ঘটনা নয়। তাই এ রকম একটি ঘটনা নিয়ে সংবাদই বা করা কেন, সম্পাদকীয়ই বা লেখা কেন?
আছে। কারণ আছে। এই টাকাটা চুরি করা হয়েছে এতিমদের কাছ থেকে। এতিমদের হক মেরে এই টাকা আত্মসাৎ করেছে একদল মানুষ। এতিমখানার নামে সরকারি টাকা তুলে তা নিতান্তই ভোজবাজির মতো গায়েব করে দিয়েছে তারা। সমাজসেবা কর্মকর্তা পরিদর্শনে আসেননি বহুদিন, তাই এতিমখানা কমিটি ভেবেছে–এতিমদের টাকা মেরে দেওয়া দোষের কিছু নয়।
সাতক্ষীরা সদরের চৌবাড়ীয়া মরহুম আব্দুল বারী মল্লিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির ২০ জন ছাত্রের জন্য খাদ্যবাবদ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দুবারে সেই টাকা তুলে নিয়েছে মাদ্রাসা কমিটি। টাকাটা এতিমদের খাদ্যবাবদ, কিন্তু এতিমখানার রান্নাঘরে চুলো জ্বলে না। এতিম, অসহায় ছাত্ররা এতিমখানাসংলগ্ন ধনী মানুষদের বাড়িতে খেতে যায়। তারা না থাকলে কে এদের খবর রাখত, কে জানে!
সমাজসেবা কর্মকর্তা পরিদর্শন করে যাওয়ার পর এতিমখানার চুলোয় আগুন জ্বলবে বলে মনে হচ্ছে। তাতে এই অসহায় শিশু-কিশোরদের খাওয়ার কষ্টটা যাবে। লোপাট করে দেওয়া টাকা এই বাবদ ফিরে আসবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। সেই সঙ্গে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ করেছে, সেটাও তলিয়ে দেখতে হবে। বরাদ্দের টাকা তুলতেও নাকি ঘুষ দিতে হয়। এতিমদের টাকা মেরে দেওয়ার কতই না অলিগলি আছে, ভাবলে অবাক হতে হয়। চার্লস ডিকেন্সের অলিভার টুইস্ট উপন্যাসটিতে এতিমদের প্রতি নির্দয়তার ছবি প্রগাঢ়ভাবে রয়েছে। আমাদের দেশের এতিমখানায় যা হয়, সেটা কিছুটা ধোঁয়াটে। ইদানীং এতিমখানার শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো প্রকাশ পাচ্ছে, তা ভয়ঙ্কর। ব্যাপারটি এ সময়ের নতুন আমদানি বলে মনে হচ্ছে না। আগে গোপন থাকত, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে এখন তা ওপেন সিক্রেট। ফলে এতিমখানায় আদতে কী হয়, এতিম শিশু-কিশোরেরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কোন কোন ভোগান্তির শিকার হয়—তা জানা দরকার।
আপাতত এটুকুই ভাবি, সাতক্ষীরার ওই এতিমখানার শিশুরা খেতে পারছে, খাবার জন্য আশপাশের বড়লোকদের বাড়িতে তাদের যেতে হচ্ছে না—এটাই অনেকটা শান্তি দেবে আমাদের।
গত কয়েক দিনে তিনজন জামায়াত নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই একটা রাজনৈতিক দল, যাদের নেতাদের মধ্যে পরিমিতিবোধ অসাধারণ। প্রায়ই তাঁরা জানেন, কোথায় থামতে হয়। হাসতে হলে ঠোঁট দুটো কতটুকু প্রসারিত করতে হবে, দাঁত কটা প্রকাশিত হতে পারবে—সে হিসাবও সম্ভবত দল তাদের শিখিয়ে দেয়।
১২ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়া আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত। প্রায় ২৮ কোটি মানুষের এই বহুজাতিক ও বহু সাংস্কৃতিক দেশটি দীর্ঘ সামরিক শাসন, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি ও দুর্নীতির গভীর সংকট অতিক্রম করে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রবেশ করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেইদানীং; কেবল ইদানীং কেন, অনেক আগে থেকেই আমার মনে একটি প্রশ্ন বারবার উঁকি দিয়ে ওঠে যে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কিংবা সমাজে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব কী, তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারি? জানা আছে কিংবা জানা থেকে থাকলে মনে রাখতে পেরেছি এক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠা অথবা গড়ে তোলার প্রেক্ষাপট কী?
১২ ঘণ্টা আগেরাজনীতির মাঠটাকে যাঁরা অশ্লীল বাক্যবাণের চারণক্ষেত্র বানিয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন গ্রেপ্তার হয়েছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে। উত্তরা থেকে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাহিনি সেই আগের মতোই।
১২ ঘণ্টা আগে