গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখার দোহাই দিয়ে গত আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। এরপর অক্টোবরেই প্রতি টনে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৩৫০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি কার্যকর বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এবার গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিই নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
এ কদিনে ভারতে কয়েক দফা দাম বাড়ানোর পর রপ্তানি বন্ধ, সেই সঙ্গে ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে আপত্তির প্রভাবে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল।
কয়েক মাস আগেও ৩০–৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পাওয়া যেত। আগস্টে ভারতের রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের পর থেকে দাম ঊর্ধ্বমুখী। কোনো ক্রমেই লাগাম টানতে পারেনি সরকার। তখনই দাম উঠে যায় ১০০ টাকায়। একপর্যায়ে ভারত থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি করা হলে কয়েক দিন দাম ৭০-৮০ টাকায় নেমে আসে। এরপর নভেম্বরজুড়ে দাম ৯০-১২০-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে।
এর মধ্যে ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার খবর আসার দিন থেকেই হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ৯০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই পেঁয়াজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) হয়ে যায় ২২০ থেকে ২৫০। মানে রাতারাতি দাম দ্বিগুণ! শনিবার সকাল থেকেই খুচরা দোকানগুলো থেকে পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেছে! দোকানিদের অভিযোগ, পাইকারেরা পেঁয়াজ ছাড়ছেন না।
ইদানীং এ চিত্র অবশ্য খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই একটি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হুট করে বেড়ে যায়, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই। যথেষ্ট মজুত আছে বলে কর্তৃপক্ষ গলা ফাটানোর পরও রাতারাতি কীভাবে বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের সংকট তৈরি হয়, সে এক রহস্য!
গণমাধ্যমে আসে সিন্ডিকেটের কথা। কিন্তু সরকার বাহাদুর প্রথম একটু হম্বিতম্বি করতেন। পরে মন্ত্রীরা বলেই দিয়েছেন, তাঁরা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না! আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের উপায়ও নেই। কারণ, কোনোভাবেই ডলার-সংকট কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। ফলে টিসিবি বাজারে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারছে না।
পেঁয়াজ আমাদের দেশে সবজি ও মসলা—দুইভাবেই খাওয়া হয়। মাছ-মাংসের বাজারে অনেক আগেই আগুন লেগেছে। এবার মনে হয় পেঁয়াজ দিয়ে সবজি খাওয়ার মুরোদও আর থাকবে না।
কয়েকটি উদাহরণ দিলেই পরিস্থিতিটা বোঝা যাবে: রংপুরের বাসিন্দা রুমা বেগম আজ গিয়েছিলেন পেঁয়াজ কিনতে। দাম শুনে তাঁর মনে প্রশ্ন—দ্যাশোত কি এমন হইলে যে এক রাইতোতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়া গেল? ১০০ টাকার পেঁয়াজ এ্যালা ২০০ টাকাতও দেওচে না। পেঁয়াজ এ্যালা সোনা হয়্যা গেইছে। এমন তো রাইতা রাইত জিনিসের দাম দ্বিগুণ হইলে হামরা বাঁচমো কেমন করি কন? এইগ্যালা দ্যাখার কি কেউ নাই?’
আক্ষরিক অর্থেই পেঁয়াজের অবস্থা সোনার বাজারের মতোই। আমাদের সোনার ব্যবসায়ীরা (বাজুস) হপ্তায় হপ্তায় সোনার দাম হালনাগাদ করেন। টানা কয়েক দফা বাড়িয়ে একবার দু-এক হাজার টাকা কমান। এই করতে করতে এখন ভরিতে লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সোনার দাম এখন দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ।
পেঁয়াজের মেজাজও এখন সোনার মতো। তবে পেঁয়াজের মতো চমক দেয়নি সোনা। রাতের ব্যবধানে সোনার দাম কখনো দ্বিগুণ হয়নি। কিন্তু সোনা তো মানুষ খায় না, এটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়, কিন্তু পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি—এ তো ভাবনাতীত!
কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আগুন লাগিয়ে যাঁরা দিব্যি হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা কি সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন? তাদের লাগাম কি কর্তৃপক্ষ টানতে পারবে না কখনো?
পেঁয়াজের ঝাঁজ এতই বেড়েছে যে ক্রেতা কেনা কমিয়ে দিয়েছে। যে এক কেজি কিনত সে আজ ২/৩টি কিনছে। আজ রোববার সকালে ফেসবুকে একজনের একটি পোস্ট দৃষ্টিগোচর হলো, তিনি তিনটি পেঁয়াজের ছবি দিয়ে লিখেছেন—২০ টাকায় ৩ পিস পেঁয়াজ কিনে সহিসালামতে ঘরে ফিরতে পেরেছি।
পোস্ট হাস্যকর মনে হলেও এটি দুর্দশার বাস্তব চিত্র। কয়দিন আগে আলুর দাম বাড়িয়ে এক দফা পকেট ভরিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখনো সেভাবে কমেনি আলুর দাম। এদিকে সয়াবিন তেলের দাম তো বাড়তিই। বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে কোনো প্রভাব পড়ছে না। ডিমের দাম এই একদিন কমছে তো আরেক দিন বাড়ছে।
যে পেঁয়াজ আজ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেটা কিন্তু আগের দরেই কেনা। মানে আগের দরে কেনা পেঁয়াজ এখন অস্বাভাবিক লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। মুড়িসহ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এই সময় এমনিতেই পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু দেশি পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে একই বাড়তি দামে। সুতরাং ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার অজুহাত এখানে খাটছে না।
বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে দোকানিদের জরিমানা করা হচ্ছে। দোকানে লেখা ‘পেঁয়াজ নেই’, গুদাম থেকে উদ্ধার হচ্ছে বস্তা বস্তা পেঁয়াজ। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাজারে সেই অভিযানের প্রভাব কই?
রংপুরে উমর ফারুক নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এনজিওতে চাকরি করি, কোনোরকমে সংসার চালাই। কিন্তু দিন দিন জিনিসের দাম যেভাবে নাগালের বাইরে যাচ্ছে, তাতে বেঁচে থাকা কঠিন। দুই দিন আগেই ৬০ টাকায় আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম, আজ সেই পেঁয়াজের কেজি ২৩০ টাকা। ভাবতেই মাথা ঘোরতেছে।’
এই দুর্মূল্যের বাজার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের নিত্যপণ্য কিনতেই নাভিশ্বাস উঠছে। এর মধ্যে খেয়ালখুশিমতো জিনিসের দাম বাড়ানো সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ অসহায় বোধ করছে। অভিভাবকহীন এক গুমোট অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে মানুষ। এভাবে জনগণকে অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফার বলিকাষ্ঠে ঠেলে দেওয়া আখেরে কারও জন্যই ভালো হয় না।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখার দোহাই দিয়ে গত আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। এরপর অক্টোবরেই প্রতি টনে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৩৫০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি কার্যকর বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এবার গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিই নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
এ কদিনে ভারতে কয়েক দফা দাম বাড়ানোর পর রপ্তানি বন্ধ, সেই সঙ্গে ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে আপত্তির প্রভাবে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল।
কয়েক মাস আগেও ৩০–৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পাওয়া যেত। আগস্টে ভারতের রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের পর থেকে দাম ঊর্ধ্বমুখী। কোনো ক্রমেই লাগাম টানতে পারেনি সরকার। তখনই দাম উঠে যায় ১০০ টাকায়। একপর্যায়ে ভারত থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি করা হলে কয়েক দিন দাম ৭০-৮০ টাকায় নেমে আসে। এরপর নভেম্বরজুড়ে দাম ৯০-১২০-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে।
এর মধ্যে ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার খবর আসার দিন থেকেই হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ৯০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই পেঁয়াজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) হয়ে যায় ২২০ থেকে ২৫০। মানে রাতারাতি দাম দ্বিগুণ! শনিবার সকাল থেকেই খুচরা দোকানগুলো থেকে পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেছে! দোকানিদের অভিযোগ, পাইকারেরা পেঁয়াজ ছাড়ছেন না।
ইদানীং এ চিত্র অবশ্য খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই একটি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হুট করে বেড়ে যায়, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই। যথেষ্ট মজুত আছে বলে কর্তৃপক্ষ গলা ফাটানোর পরও রাতারাতি কীভাবে বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের সংকট তৈরি হয়, সে এক রহস্য!
গণমাধ্যমে আসে সিন্ডিকেটের কথা। কিন্তু সরকার বাহাদুর প্রথম একটু হম্বিতম্বি করতেন। পরে মন্ত্রীরা বলেই দিয়েছেন, তাঁরা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না! আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের উপায়ও নেই। কারণ, কোনোভাবেই ডলার-সংকট কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। ফলে টিসিবি বাজারে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারছে না।
পেঁয়াজ আমাদের দেশে সবজি ও মসলা—দুইভাবেই খাওয়া হয়। মাছ-মাংসের বাজারে অনেক আগেই আগুন লেগেছে। এবার মনে হয় পেঁয়াজ দিয়ে সবজি খাওয়ার মুরোদও আর থাকবে না।
কয়েকটি উদাহরণ দিলেই পরিস্থিতিটা বোঝা যাবে: রংপুরের বাসিন্দা রুমা বেগম আজ গিয়েছিলেন পেঁয়াজ কিনতে। দাম শুনে তাঁর মনে প্রশ্ন—দ্যাশোত কি এমন হইলে যে এক রাইতোতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়া গেল? ১০০ টাকার পেঁয়াজ এ্যালা ২০০ টাকাতও দেওচে না। পেঁয়াজ এ্যালা সোনা হয়্যা গেইছে। এমন তো রাইতা রাইত জিনিসের দাম দ্বিগুণ হইলে হামরা বাঁচমো কেমন করি কন? এইগ্যালা দ্যাখার কি কেউ নাই?’
আক্ষরিক অর্থেই পেঁয়াজের অবস্থা সোনার বাজারের মতোই। আমাদের সোনার ব্যবসায়ীরা (বাজুস) হপ্তায় হপ্তায় সোনার দাম হালনাগাদ করেন। টানা কয়েক দফা বাড়িয়ে একবার দু-এক হাজার টাকা কমান। এই করতে করতে এখন ভরিতে লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সোনার দাম এখন দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ।
পেঁয়াজের মেজাজও এখন সোনার মতো। তবে পেঁয়াজের মতো চমক দেয়নি সোনা। রাতের ব্যবধানে সোনার দাম কখনো দ্বিগুণ হয়নি। কিন্তু সোনা তো মানুষ খায় না, এটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়, কিন্তু পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি—এ তো ভাবনাতীত!
কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আগুন লাগিয়ে যাঁরা দিব্যি হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা কি সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন? তাদের লাগাম কি কর্তৃপক্ষ টানতে পারবে না কখনো?
পেঁয়াজের ঝাঁজ এতই বেড়েছে যে ক্রেতা কেনা কমিয়ে দিয়েছে। যে এক কেজি কিনত সে আজ ২/৩টি কিনছে। আজ রোববার সকালে ফেসবুকে একজনের একটি পোস্ট দৃষ্টিগোচর হলো, তিনি তিনটি পেঁয়াজের ছবি দিয়ে লিখেছেন—২০ টাকায় ৩ পিস পেঁয়াজ কিনে সহিসালামতে ঘরে ফিরতে পেরেছি।
পোস্ট হাস্যকর মনে হলেও এটি দুর্দশার বাস্তব চিত্র। কয়দিন আগে আলুর দাম বাড়িয়ে এক দফা পকেট ভরিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখনো সেভাবে কমেনি আলুর দাম। এদিকে সয়াবিন তেলের দাম তো বাড়তিই। বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে কোনো প্রভাব পড়ছে না। ডিমের দাম এই একদিন কমছে তো আরেক দিন বাড়ছে।
যে পেঁয়াজ আজ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেটা কিন্তু আগের দরেই কেনা। মানে আগের দরে কেনা পেঁয়াজ এখন অস্বাভাবিক লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। মুড়িসহ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এই সময় এমনিতেই পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু দেশি পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে একই বাড়তি দামে। সুতরাং ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার অজুহাত এখানে খাটছে না।
বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে দোকানিদের জরিমানা করা হচ্ছে। দোকানে লেখা ‘পেঁয়াজ নেই’, গুদাম থেকে উদ্ধার হচ্ছে বস্তা বস্তা পেঁয়াজ। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাজারে সেই অভিযানের প্রভাব কই?
রংপুরে উমর ফারুক নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এনজিওতে চাকরি করি, কোনোরকমে সংসার চালাই। কিন্তু দিন দিন জিনিসের দাম যেভাবে নাগালের বাইরে যাচ্ছে, তাতে বেঁচে থাকা কঠিন। দুই দিন আগেই ৬০ টাকায় আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম, আজ সেই পেঁয়াজের কেজি ২৩০ টাকা। ভাবতেই মাথা ঘোরতেছে।’
এই দুর্মূল্যের বাজার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের নিত্যপণ্য কিনতেই নাভিশ্বাস উঠছে। এর মধ্যে খেয়ালখুশিমতো জিনিসের দাম বাড়ানো সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ অসহায় বোধ করছে। অভিভাবকহীন এক গুমোট অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে মানুষ। এভাবে জনগণকে অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফার বলিকাষ্ঠে ঠেলে দেওয়া আখেরে কারও জন্যই ভালো হয় না।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
সম্প্রতি ঢাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনে জাপানি বিনিয়োগ পরামর্শক তাকাও হিরোসে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট ভাষ্য, তাঁরা দ্রুত মুনাফার খোঁজে থাকা আগ্রাসী বিনিয়োগকারী, খামখেয়ালিও।
৩২ মিনিট আগে২২শে শ্রাবণ (৬ আগস্ট) ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ওই দিন বাংলা একাডেমি ও ছায়ানট কর্তৃক রবীন্দ্রনাথ স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠানের খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
১৩ ঘণ্টা আগেআগস্ট মাসটি আমাদের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। আমাদের ভূখণ্ডে এই আগস্টে ঘটেছে ইতিহাসের নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা। কিশোর বয়সে ১৪ আগস্টে আমরা উদ্যাপন করতাম পাকিস্তান রাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। বাড়ির ছাদে পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে এবং কাগজের পতাকা রশিতে লাগিয়ে, পতাকাদণ্ডের চারপাশে লাগিয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগেখবরটা শুনে হাসব না কাঁদব, বুঝতে পারছি না। বসুন্ধরা শপিং মলে যুথী নামে যে চোর ধরা পড়েছেন, তিনি নাকি আন্তজেলা পকেটমার চক্রের নেতৃত্বে আছেন! তার মানে পকেটমারদেরও সংগঠন রয়েছে এবং তাতে নেতা ও কর্মীও রয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে