Ajker Patrika

বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে না রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত 

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১: ৪০
বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে না রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত 

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমেরিকা ও রাশিয়ার রাজধানী থেকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করে চলেছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া কোনো প্রতিযোগিতা করছে না বলে দাবি করেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি। 

আজ মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে রাশিয়ার দূতাবাসে ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর দুই সদস্য ভিটালি গুবেঙ্কো ও আলেক্সান্ডার জালতুস্কির ঢাকা সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। সোভিয়েত নৌবাহিনীর এই দুই সদস্য চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার কাজে অংশ নিয়েছিলেন। 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে মস্কোয় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা যে মন্তব্য করেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কি বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে আমরা (রাশিয়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। আমরা শুধু এটাই বলেছি যে, দেখো তারা (আমেরিকা) কী করেছে ও কী করছে।’ 

এ বিষয়ে মান্টিটস্কি আগেও কথা বলেছেন বলে জানান। 

মারিয়া জাখারোভা ১৫ ডিসেম্বর বলেন, আমেরিকা ‘আরব বসন্তের’ মতো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে।

রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দশ বছর আগে ইউক্রেনে কী হয়েছিল, মস্কোতে মুখপাত্র তাঁর বিবৃতিতে সেই তুলনা ঢাকায় এখন যা হচ্ছে, তার সঙ্গে করেছেন। পশ্চিমারা ইউক্রেনে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। এতে আমেরিকার হাত ছিল। পরে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) স্বীকার করেছে ইউক্রেনে তখন অভ্যুত্থান পরিচালনায় ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল।’

১৯৭২ সালে চট্টগ্রামে সোভিয়েত নৌবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে ম্যানতিতস্কি বলেন, কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তখন চট্টগ্রাম বন্দর চালু করার জন্য এক কোটি ডলার চেয়েছিল। কিন্তু তা তখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থায় ওই বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করেন। রাশিয়া দ্রুততার সঙ্গে রাজি হয়। ওই মাসেই চুক্তি সই হয়। 

সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তদানীন্তন সোভিয়েত নৌবাহিনী মাইন অপসারণের কাজটি করে দিয়েছিল বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। ১৯৭২ সালে মাইন আপসারণ শুরু হয়। চট্টগ্রাম বন্দর সোভিয়েত নৌবাহিনীর দুই সদস্য এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তাঁরা তাঁদের ১৯৭২ সালের স্মৃতির কথা তুলে ধরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত