নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসাকে কেন্দ্র করে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শনিবার বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী হাশেম খান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শিল্পী রফিকুননবীসহ ৮০ বিশিষ্টজনের স্বাক্ষরসহ এক বিবৃতিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ দাবি জানিয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বিবৃতিতে বলে, ‘গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের সালানা জলসা বন্ধ করতে জামায়াত-হেফাজতসহ সমমনা সকল সন্ত্রাসী দল ও সংগঠন একযোগে তাঁদের ওপর যে ন্যক্কারজনক হামলা করে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যখনই জামায়াত-হেফাজত চক্র রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়েছে তখনই তারা নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য আহমদিয়া মুসলিম জামাতসহ সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় কিংবা ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর হামলা করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যখন সারা দেশে স্বাধীনতার মাস উদ্যাপন করছি, রাজনৈতিক দলগুলো যখন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই সময়ে পঞ্চগড়ের নিরীহ আহমদিয়া জামাতের ওপর এ ধরনের নৃশংস হামলাকে আমরা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। নির্বাচনের পূর্বে সারা দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি করার জন্য জামায়াতিরা এ ধরনের হামলা করছে বলে আমরা মনে করি।’
আহমদিয়াদের ওপর হামলা ও হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে দায়ীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিত্রয় ঊষাতন তালুকদার, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও মি. নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে বলেন, অব্যাহত সাম্প্রদায়িক এসব ঘটনা বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য স্বদেশভূমিকে ক্রমশই বাসযোগ্যহীন করে তুলছে যা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে ক্ষুণ্ন করে চলেছে। পরিষদ মনে করে, উগ্রবাদ ও ধর্মান্ধতাকারীদের সঙ্গে সরকারের আপোষমুখী প্রবণতা সামগ্রিকভাবে গোটা সমাজের মননে, মানসিকতায় পশ্চাদমুখীনতা ঘটিয়েছে যা গোটা দেশ ও জাতিকে ক্রমশ বিপদাপন্ন করে তুলছে।
হামলায় আহতদের চিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক বিবৃতিতে জানান, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অন্তত ২৫টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত এই দেশ সকল ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠীর জনগণের বহু বৈচিত্র্যের দেশ। আমাদের সংবিধানেও তার নিশ্চয়তা প্রদান করা আছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা প্রতিরোধে সকল সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আরও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসাকে কেন্দ্র করে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শনিবার বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী হাশেম খান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শিল্পী রফিকুননবীসহ ৮০ বিশিষ্টজনের স্বাক্ষরসহ এক বিবৃতিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ দাবি জানিয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বিবৃতিতে বলে, ‘গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের সালানা জলসা বন্ধ করতে জামায়াত-হেফাজতসহ সমমনা সকল সন্ত্রাসী দল ও সংগঠন একযোগে তাঁদের ওপর যে ন্যক্কারজনক হামলা করে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যখনই জামায়াত-হেফাজত চক্র রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়েছে তখনই তারা নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য আহমদিয়া মুসলিম জামাতসহ সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় কিংবা ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর হামলা করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যখন সারা দেশে স্বাধীনতার মাস উদ্যাপন করছি, রাজনৈতিক দলগুলো যখন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই সময়ে পঞ্চগড়ের নিরীহ আহমদিয়া জামাতের ওপর এ ধরনের নৃশংস হামলাকে আমরা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। নির্বাচনের পূর্বে সারা দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি করার জন্য জামায়াতিরা এ ধরনের হামলা করছে বলে আমরা মনে করি।’
আহমদিয়াদের ওপর হামলা ও হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে দায়ীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিত্রয় ঊষাতন তালুকদার, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও মি. নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে বলেন, অব্যাহত সাম্প্রদায়িক এসব ঘটনা বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য স্বদেশভূমিকে ক্রমশই বাসযোগ্যহীন করে তুলছে যা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে ক্ষুণ্ন করে চলেছে। পরিষদ মনে করে, উগ্রবাদ ও ধর্মান্ধতাকারীদের সঙ্গে সরকারের আপোষমুখী প্রবণতা সামগ্রিকভাবে গোটা সমাজের মননে, মানসিকতায় পশ্চাদমুখীনতা ঘটিয়েছে যা গোটা দেশ ও জাতিকে ক্রমশ বিপদাপন্ন করে তুলছে।
হামলায় আহতদের চিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক বিবৃতিতে জানান, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অন্তত ২৫টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত এই দেশ সকল ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠীর জনগণের বহু বৈচিত্র্যের দেশ। আমাদের সংবিধানেও তার নিশ্চয়তা প্রদান করা আছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা প্রতিরোধে সকল সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়েছে, চলতি বছর ২ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২১ দিনে সারা দেশে কমপক্ষে ৯টি পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলাসহ প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদ্যাপনে ক্রমান্বয়ে আশঙ্কা ও উদ্বেগ বাড়ছে।
১৯ মিনিট আগেপ্রেস সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রতিনিধিদলের সদস্যসংখ্যা ৬২—যা টিআইবির দাবি করা ১০০-এর বেশি নয়। গত বছর প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন ৫৭ জন, তবে এতে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে ভ্রমণ করা ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেচিঠিতে বলা হয়, প্রতিবছর বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা বাংলাদেশের হজ কোটায় ভিসা নিয়ে হজ পালন করেন। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু কিছু এজেন্সি বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি হজে গমনে ইচ্ছুকদের নিবন্ধন করে বিদেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে হজ ব্যবস্থাপনার কাজে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেপাড়া-মহল্লায় সম্প্রীতি সমাবেশ ও মসজিদে সম্প্রীতির বাণী পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়ে বাসুদেব ধর বলেন, ‘পূজার মধ্যে আমরা কোনো হামলা দেখতে চাই না। এর আগে প্রতিমা বানানোর সময় হামলা হয়েছে, মন্দির ভাঙচুর হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে যে ধর্মবিদ্বেষী কার্যক্রম চলে আসছে, তা এখনো চলমান। এসব ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী...
৩ ঘণ্টা আগে