Ajker Patrika

১২ জেলায় বন্যার শঙ্কা

মাহমুদ সোহেল, ঢাকা
১২ জেলায় বন্যার শঙ্কা

দেশের নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এরই মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জেলায়। গতকাল নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জসহ ১১টি জেলায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এসব এলাকার আমন চাষ। ফলে কৃষকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। সারা দেশে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো পরিবার। করোনাকালের এ বন্যা অনেক বেশি ভোগাবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর অনেক এলাকা নতুন করে বন্যাকবলিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, একদিকে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল আসছে, অন্যদিকে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়লে নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নদীর পানি আরও বাড়বে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের কারণে হাওরেও পানি বাড়ছে। ডুবে গেছে আমনের বীজতলা। রাজশাহীতে প্রতিদিন গড়ে ১০ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। নগরীর চর খিদিরপুর এলাকায় নদীভাঙন ও ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। পদ্মা নদীর প্রবেশস্থল হওয়ায় এই জেলা বেশি ঝুঁকিতে।  

এদিকে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। শুধু ছাতক উপজেলাতেই বন্যার কারণে এক সপ্তাহে প্রায় ৪০০ হেক্টর আমন বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। হাওরাঞ্চলে পানি বাড়ায় আমন ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উত্তরাঞ্চলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই তা বাড়ছে। ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তিস্তার কারণে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ-মাদ্রাসা। তিস্তায় টানা চার দিনে পানি বাড়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ১৫টি চরের পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী। 

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম আজকের পত্রিকাকে জানান, বন্যার আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরা। দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন জেলায় দিনরাত কাজ করছেন তাঁরা। কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সংস্কারের জন্য প্রকৌশলীদের বলা হয়েছে। আরও যে যে এলাকায় বন্যার আশঙ্কা আছে, সেখানকার প্রশাসনকে আগেভাগেই সতর্ক করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যৌথভাবে কাজ করবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৩৪ হাজার লিটার ঘাটতি যমুনার প্রথম পার্সেলে

চিকিৎসক হওয়ার আগেই শীর্ষ সবার শীর্ষে

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জম্মু-কাশ্মীরে ধ্বংস করা হলো ৪৪ হাজার কেজি রসগোল্লা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত