Ajker Patrika

‘বায়ুদূষণের প্রধান কারণ ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নগরায়ণে সৃষ্ট ধুলা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪, ১৩: ০৩
‘বায়ুদূষণের প্রধান কারণ ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নগরায়ণে সৃষ্ট ধুলা’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বায়ুদূষণের প্রধানতম কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—ফিটনেসবিহীন যানবাহন, কলকারখানা ও ইটের ভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট ধুলোদূষণ। আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। 

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বায়ুদূষণে ল্যান্ডফিলের নির্গত মিথেন গ্যাসের প্রভাব আশঙ্কাজনক নয়। তথাপি মিথেন গ্যাস নির্গত নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনসংক্রান্ত প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’ 

সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম, ২০২২ অনুযায়ী বর্তমানে সমগ্র দেশে উন্নত স্যানিটেশন ৮৪ শতাংশ এবং সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশন ৩৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম-১১ আসনের এই এমপির প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পিত নগরায়ণ ও বসবাস উপযোগী ঢাকা নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক ভূমি উন্নয়ন, ইমারত নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ অনাপত্তিবিষয়ক প্রবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত প্রবিধানের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকায় অনিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মাণ বন্ধ ও জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে, যার ফলে পরিকল্পিত নগরায়ণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।’ 
 
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সরকারদলীয় এমপি আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধাদি বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন এলজিইডির আওতায় দেশব্যাপী পল্লি ও নগর অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ 

সরকারদলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জুলাই ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও ওএসএসের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৮৭টি শিল্প প্রকল্প নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬১টি স্থানীয়, ৬০টি যৌথ উদ্যোগে এবং ৬৬টি বিদেশি শিল্প প্রকল্প আছে। এসব নিবন্ধিত শিল্প প্রকল্পের বিপরীতে উক্ত সময়ে মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০২ মিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১ মিলিয়ন টাকা এবং বৈদেশিক ১ লাখ ৪৬১ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে।’ 

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিডা বেসরকারি খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, উন্নত সেবা প্রদান, কার্যকর সমন্বয় সাধন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। বিডা হতে দেশি-বিদেশি শিল্প প্রকল্পের নিবন্ধন প্রদান করা হয়। বিডা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৭১১টি (স্থানীয় ৪ হাজার ১৩০টি এবং বৈদেশিক ৫৮১টি) শিল্প প্রকল্পের নিবন্ধন প্রদান করেছে। এর বিপরীতে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন টাকা। ফলে মোট ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫৬ জনের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাট ডিসি অফিসের সাবেক উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাগেরহাট ডিসি অফিসের সাবেক উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হয়। পরে এসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।

তদন্তে জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগানে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মান্নান ও তাঁর পরিবারের মালিকানা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং অন্য ৫ শতাংশের মালিক ছিলেন আনিসুর রহমান।

প্রতিষ্ঠানটি সুদবিহীন ‘হালাল ব্যবসার’ নামে প্রচারণা চালিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করত। বিনিয়োগের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলা হতো। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা গোপনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় স্থানান্তর করেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা মান্নানের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প।

বাকি অর্থও বিভিন্ন নামে-বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।

সিআইডি জানিয়েছে, অর্থের পূর্ণ প্রবাহ শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসির নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ১৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনুমতি না নিয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে, উপসচিবকে তিরস্কার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
উপসচিব মো. মামুন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
উপসচিব মো. মামুন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) থাকাকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশালের করতেতৈল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দুই দফায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার তাঁকে ওই সাজা দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়ে ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানের পদবি গ্রহণ করার বিষয়টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ। এসব অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় মামলা দিয়ে মামুন মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

মামুন মিয়া লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে অভিযোগ তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তাঁকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসহ ৭ দাবি হিন্দু মহাজোটের, সিইসির আশ্বাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।

বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’

পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “এবার কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”’

হিন্দু মহাজোটের শঙ্কা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকি—দুর্গাপূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’

হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভোটের ১০ দিন আগে ও ভোটের ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত