রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরোপ করা হয়েছে নানা কড়াকড়ি।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের ১৮টি কারাগার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি থেকে ২ হাজার ২০০ জনের মতো বন্দী পালিয়ে যায়। এসব বন্দীর মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফিরে আসা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২ জন। বাকি ৬০০-র কিছু বেশি এখনো পলাতক।
হামলার শিকার কারাগারগুলোর জেল সুপাররা বলছেন, হামলার পর মামলা করা হয়েছে। কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের পালানোর ঘটনার পর কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো যারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে।
হামলার করার পর বন্দী পালিয়ে যাওয়া পাঁচটি কারাগার হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার, শেরপুর জেলা কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ও সাতক্ষীরা জেলা কারাগার। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে বড় ধরনের গোলযোগ হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয়। হামলা ও লুটের কারণে কারাগারটিতে প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পলাতক বন্দীদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় জঙ্গিবাদী তৎপরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দী ছিল।
বদলে যাওয়া নরসিংদী কারাগার
ঘটনার ৬ মাস পর ১৯ জানুয়ারি কারাগারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ভবনই মেরামত করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে রং। সামনের ফটকের ভেতরে দুই পাশে দাঁড়ানো দুজন নিরাপত্তারক্ষী। ফটকের পাশেই একটি ওয়াচ টাওয়ার। তবে এ প্রতিবেদক যাওয়ার সময় সেখানে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। বাইরের গেটের পাশের ছোট একটি ঘর থেকে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছিল। ফটকের ঠিক সামনেই কারা কর্মকর্তাদের কার্যালয়। তার কাছাকাছি স্থানেই পড়ে ছিল হামলার সময় পুড়ে যাওয়া কারাগারের নিজস্ব একটি গাড়ি।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ৩৪৪ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৭৮০ জন। কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার পর বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোর পাশাপাশি ভবন মেরামত, কারাগারের ভেতরে দাঙ্গা ইউনিট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কারাগারের পাশের দোকানি মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার পর দেয়ালের ওপর কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। গেটেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন বন্দীদের আত্মীয়রা দেখা করতে কম আসে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
এ সময় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসা এক নারীকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসছি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়ায়া আছি। ঢুকতে দিবে কি না, তা জানি না।’
নরসিংদী জেলা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট শামীম ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর ৩ মাস কারাগারটিতে কোনো বন্দী ছিল না। সবকিছু মেরামত করা হয়েছে। বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোসহ কারাগারের সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা এবং রক্ষীরা সকাল ও বিকেলে দুই ভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।
হামলার শিকার অন্য কারাগারগুলোতেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নজরদারি। বন্দীদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফিরে আসা বা আবার গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের ওপর বিশেষ নজরদারি করছেন কারাগারগুলোর প্রহরীরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৫ জন বন্দীকে আবার ধরা হয়েছে। তাদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পালানো বন্দীদের জেলকোড অনুযায়ী ডাণ্ডাবেড়ি ও লাল টুপি পরিয়ে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে যাদের আটক হওয়ার তিন মাস হয়ে গেছে, তাদের আবার অন্যদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগারগুলোর ঘটনার পেছনে দুটি দুর্বলতা ছিল। একটি অবকাঠামোগত, অন্যটি বহিঃনিরাপত্তা। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে হামলা ঘটেছিল। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাও ছিল।
এখনো পলাতক বন্দীদের বিষয়ে কারা অধিদপ্তর কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দীরা পালানোর পর আমরা মামলা করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা পলাতকদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’
কারাগারের নিরাপত্তার বিষয়ে মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা যেসব কারাগারে রয়েছে, সেগুলো মেরামতের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরোপ করা হয়েছে নানা কড়াকড়ি।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের ১৮টি কারাগার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি থেকে ২ হাজার ২০০ জনের মতো বন্দী পালিয়ে যায়। এসব বন্দীর মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফিরে আসা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২ জন। বাকি ৬০০-র কিছু বেশি এখনো পলাতক।
হামলার শিকার কারাগারগুলোর জেল সুপাররা বলছেন, হামলার পর মামলা করা হয়েছে। কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের পালানোর ঘটনার পর কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো যারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে।
হামলার করার পর বন্দী পালিয়ে যাওয়া পাঁচটি কারাগার হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার, শেরপুর জেলা কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ও সাতক্ষীরা জেলা কারাগার। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে বড় ধরনের গোলযোগ হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয়। হামলা ও লুটের কারণে কারাগারটিতে প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পলাতক বন্দীদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় জঙ্গিবাদী তৎপরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দী ছিল।
বদলে যাওয়া নরসিংদী কারাগার
ঘটনার ৬ মাস পর ১৯ জানুয়ারি কারাগারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ভবনই মেরামত করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে রং। সামনের ফটকের ভেতরে দুই পাশে দাঁড়ানো দুজন নিরাপত্তারক্ষী। ফটকের পাশেই একটি ওয়াচ টাওয়ার। তবে এ প্রতিবেদক যাওয়ার সময় সেখানে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। বাইরের গেটের পাশের ছোট একটি ঘর থেকে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছিল। ফটকের ঠিক সামনেই কারা কর্মকর্তাদের কার্যালয়। তার কাছাকাছি স্থানেই পড়ে ছিল হামলার সময় পুড়ে যাওয়া কারাগারের নিজস্ব একটি গাড়ি।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ৩৪৪ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৭৮০ জন। কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার পর বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোর পাশাপাশি ভবন মেরামত, কারাগারের ভেতরে দাঙ্গা ইউনিট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কারাগারের পাশের দোকানি মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার পর দেয়ালের ওপর কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। গেটেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন বন্দীদের আত্মীয়রা দেখা করতে কম আসে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
এ সময় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসা এক নারীকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসছি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়ায়া আছি। ঢুকতে দিবে কি না, তা জানি না।’
নরসিংদী জেলা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট শামীম ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর ৩ মাস কারাগারটিতে কোনো বন্দী ছিল না। সবকিছু মেরামত করা হয়েছে। বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোসহ কারাগারের সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা এবং রক্ষীরা সকাল ও বিকেলে দুই ভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।
হামলার শিকার অন্য কারাগারগুলোতেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নজরদারি। বন্দীদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফিরে আসা বা আবার গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের ওপর বিশেষ নজরদারি করছেন কারাগারগুলোর প্রহরীরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৫ জন বন্দীকে আবার ধরা হয়েছে। তাদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পালানো বন্দীদের জেলকোড অনুযায়ী ডাণ্ডাবেড়ি ও লাল টুপি পরিয়ে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে যাদের আটক হওয়ার তিন মাস হয়ে গেছে, তাদের আবার অন্যদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগারগুলোর ঘটনার পেছনে দুটি দুর্বলতা ছিল। একটি অবকাঠামোগত, অন্যটি বহিঃনিরাপত্তা। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে হামলা ঘটেছিল। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাও ছিল।
এখনো পলাতক বন্দীদের বিষয়ে কারা অধিদপ্তর কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দীরা পালানোর পর আমরা মামলা করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা পলাতকদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’
কারাগারের নিরাপত্তার বিষয়ে মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা যেসব কারাগারে রয়েছে, সেগুলো মেরামতের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
২ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৩ ঘণ্টা আগে