রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরোপ করা হয়েছে নানা কড়াকড়ি।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের ১৮টি কারাগার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি থেকে ২ হাজার ২০০ জনের মতো বন্দী পালিয়ে যায়। এসব বন্দীর মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফিরে আসা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২ জন। বাকি ৬০০-র কিছু বেশি এখনো পলাতক।
হামলার শিকার কারাগারগুলোর জেল সুপাররা বলছেন, হামলার পর মামলা করা হয়েছে। কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের পালানোর ঘটনার পর কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো যারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে।
হামলার করার পর বন্দী পালিয়ে যাওয়া পাঁচটি কারাগার হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার, শেরপুর জেলা কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ও সাতক্ষীরা জেলা কারাগার। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে বড় ধরনের গোলযোগ হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয়। হামলা ও লুটের কারণে কারাগারটিতে প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পলাতক বন্দীদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় জঙ্গিবাদী তৎপরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দী ছিল।
বদলে যাওয়া নরসিংদী কারাগার
ঘটনার ৬ মাস পর ১৯ জানুয়ারি কারাগারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ভবনই মেরামত করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে রং। সামনের ফটকের ভেতরে দুই পাশে দাঁড়ানো দুজন নিরাপত্তারক্ষী। ফটকের পাশেই একটি ওয়াচ টাওয়ার। তবে এ প্রতিবেদক যাওয়ার সময় সেখানে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। বাইরের গেটের পাশের ছোট একটি ঘর থেকে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছিল। ফটকের ঠিক সামনেই কারা কর্মকর্তাদের কার্যালয়। তার কাছাকাছি স্থানেই পড়ে ছিল হামলার সময় পুড়ে যাওয়া কারাগারের নিজস্ব একটি গাড়ি।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ৩৪৪ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৭৮০ জন। কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার পর বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোর পাশাপাশি ভবন মেরামত, কারাগারের ভেতরে দাঙ্গা ইউনিট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কারাগারের পাশের দোকানি মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার পর দেয়ালের ওপর কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। গেটেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন বন্দীদের আত্মীয়রা দেখা করতে কম আসে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
এ সময় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসা এক নারীকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসছি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়ায়া আছি। ঢুকতে দিবে কি না, তা জানি না।’
নরসিংদী জেলা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট শামীম ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর ৩ মাস কারাগারটিতে কোনো বন্দী ছিল না। সবকিছু মেরামত করা হয়েছে। বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোসহ কারাগারের সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা এবং রক্ষীরা সকাল ও বিকেলে দুই ভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।
হামলার শিকার অন্য কারাগারগুলোতেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নজরদারি। বন্দীদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফিরে আসা বা আবার গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের ওপর বিশেষ নজরদারি করছেন কারাগারগুলোর প্রহরীরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৫ জন বন্দীকে আবার ধরা হয়েছে। তাদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পালানো বন্দীদের জেলকোড অনুযায়ী ডাণ্ডাবেড়ি ও লাল টুপি পরিয়ে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে যাদের আটক হওয়ার তিন মাস হয়ে গেছে, তাদের আবার অন্যদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগারগুলোর ঘটনার পেছনে দুটি দুর্বলতা ছিল। একটি অবকাঠামোগত, অন্যটি বহিঃনিরাপত্তা। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে হামলা ঘটেছিল। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাও ছিল।
এখনো পলাতক বন্দীদের বিষয়ে কারা অধিদপ্তর কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দীরা পালানোর পর আমরা মামলা করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা পলাতকদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’
কারাগারের নিরাপত্তার বিষয়ে মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা যেসব কারাগারে রয়েছে, সেগুলো মেরামতের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরোপ করা হয়েছে নানা কড়াকড়ি।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের ১৮টি কারাগার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি থেকে ২ হাজার ২০০ জনের মতো বন্দী পালিয়ে যায়। এসব বন্দীর মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফিরে আসা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২ জন। বাকি ৬০০-র কিছু বেশি এখনো পলাতক।
হামলার শিকার কারাগারগুলোর জেল সুপাররা বলছেন, হামলার পর মামলা করা হয়েছে। কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের পালানোর ঘটনার পর কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো যারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে।
হামলার করার পর বন্দী পালিয়ে যাওয়া পাঁচটি কারাগার হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার, শেরপুর জেলা কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ও সাতক্ষীরা জেলা কারাগার। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে বড় ধরনের গোলযোগ হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয়। হামলা ও লুটের কারণে কারাগারটিতে প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পলাতক বন্দীদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় জঙ্গিবাদী তৎপরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দী ছিল।
বদলে যাওয়া নরসিংদী কারাগার
ঘটনার ৬ মাস পর ১৯ জানুয়ারি কারাগারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ভবনই মেরামত করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে রং। সামনের ফটকের ভেতরে দুই পাশে দাঁড়ানো দুজন নিরাপত্তারক্ষী। ফটকের পাশেই একটি ওয়াচ টাওয়ার। তবে এ প্রতিবেদক যাওয়ার সময় সেখানে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। বাইরের গেটের পাশের ছোট একটি ঘর থেকে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছিল। ফটকের ঠিক সামনেই কারা কর্মকর্তাদের কার্যালয়। তার কাছাকাছি স্থানেই পড়ে ছিল হামলার সময় পুড়ে যাওয়া কারাগারের নিজস্ব একটি গাড়ি।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ৩৪৪ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৭৮০ জন। কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার পর বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোর পাশাপাশি ভবন মেরামত, কারাগারের ভেতরে দাঙ্গা ইউনিট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কারাগারের পাশের দোকানি মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার পর দেয়ালের ওপর কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। গেটেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন বন্দীদের আত্মীয়রা দেখা করতে কম আসে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
এ সময় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসা এক নারীকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসছি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়ায়া আছি। ঢুকতে দিবে কি না, তা জানি না।’
নরসিংদী জেলা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট শামীম ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর ৩ মাস কারাগারটিতে কোনো বন্দী ছিল না। সবকিছু মেরামত করা হয়েছে। বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোসহ কারাগারের সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা এবং রক্ষীরা সকাল ও বিকেলে দুই ভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।
হামলার শিকার অন্য কারাগারগুলোতেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নজরদারি। বন্দীদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফিরে আসা বা আবার গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের ওপর বিশেষ নজরদারি করছেন কারাগারগুলোর প্রহরীরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৫ জন বন্দীকে আবার ধরা হয়েছে। তাদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পালানো বন্দীদের জেলকোড অনুযায়ী ডাণ্ডাবেড়ি ও লাল টুপি পরিয়ে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে যাদের আটক হওয়ার তিন মাস হয়ে গেছে, তাদের আবার অন্যদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগারগুলোর ঘটনার পেছনে দুটি দুর্বলতা ছিল। একটি অবকাঠামোগত, অন্যটি বহিঃনিরাপত্তা। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে হামলা ঘটেছিল। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাও ছিল।
এখনো পলাতক বন্দীদের বিষয়ে কারা অধিদপ্তর কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দীরা পালানোর পর আমরা মামলা করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা পলাতকদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’
কারাগারের নিরাপত্তার বিষয়ে মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা যেসব কারাগারে রয়েছে, সেগুলো মেরামতের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরোপ করা হয়েছে নানা কড়াকড়ি।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের ১৮টি কারাগার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি থেকে ২ হাজার ২০০ জনের মতো বন্দী পালিয়ে যায়। এসব বন্দীর মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফিরে আসা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২ জন। বাকি ৬০০-র কিছু বেশি এখনো পলাতক।
হামলার শিকার কারাগারগুলোর জেল সুপাররা বলছেন, হামলার পর মামলা করা হয়েছে। কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের পালানোর ঘটনার পর কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো যারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে।
হামলার করার পর বন্দী পালিয়ে যাওয়া পাঁচটি কারাগার হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার, শেরপুর জেলা কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ও সাতক্ষীরা জেলা কারাগার। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে বড় ধরনের গোলযোগ হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয়। হামলা ও লুটের কারণে কারাগারটিতে প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পলাতক বন্দীদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় জঙ্গিবাদী তৎপরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দী ছিল।
বদলে যাওয়া নরসিংদী কারাগার
ঘটনার ৬ মাস পর ১৯ জানুয়ারি কারাগারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ভবনই মেরামত করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে রং। সামনের ফটকের ভেতরে দুই পাশে দাঁড়ানো দুজন নিরাপত্তারক্ষী। ফটকের পাশেই একটি ওয়াচ টাওয়ার। তবে এ প্রতিবেদক যাওয়ার সময় সেখানে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। বাইরের গেটের পাশের ছোট একটি ঘর থেকে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছিল। ফটকের ঠিক সামনেই কারা কর্মকর্তাদের কার্যালয়। তার কাছাকাছি স্থানেই পড়ে ছিল হামলার সময় পুড়ে যাওয়া কারাগারের নিজস্ব একটি গাড়ি।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ৩৪৪ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৭৮০ জন। কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার পর বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোর পাশাপাশি ভবন মেরামত, কারাগারের ভেতরে দাঙ্গা ইউনিট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কারাগারের পাশের দোকানি মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার পর দেয়ালের ওপর কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। গেটেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন বন্দীদের আত্মীয়রা দেখা করতে কম আসে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
এ সময় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসা এক নারীকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসছি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়ায়া আছি। ঢুকতে দিবে কি না, তা জানি না।’
নরসিংদী জেলা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট শামীম ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর ৩ মাস কারাগারটিতে কোনো বন্দী ছিল না। সবকিছু মেরামত করা হয়েছে। বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোসহ কারাগারের সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা এবং রক্ষীরা সকাল ও বিকেলে দুই ভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।
হামলার শিকার অন্য কারাগারগুলোতেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নজরদারি। বন্দীদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফিরে আসা বা আবার গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের ওপর বিশেষ নজরদারি করছেন কারাগারগুলোর প্রহরীরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৫ জন বন্দীকে আবার ধরা হয়েছে। তাদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পালানো বন্দীদের জেলকোড অনুযায়ী ডাণ্ডাবেড়ি ও লাল টুপি পরিয়ে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে যাদের আটক হওয়ার তিন মাস হয়ে গেছে, তাদের আবার অন্যদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগারগুলোর ঘটনার পেছনে দুটি দুর্বলতা ছিল। একটি অবকাঠামোগত, অন্যটি বহিঃনিরাপত্তা। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে হামলা ঘটেছিল। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাও ছিল।
এখনো পলাতক বন্দীদের বিষয়ে কারা অধিদপ্তর কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দীরা পালানোর পর আমরা মামলা করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা পলাতকদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’
কারাগারের নিরাপত্তার বিষয়ে মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা যেসব কারাগারে রয়েছে, সেগুলো মেরামতের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরোপ করা হয়েছে নানা কড়াকড়ি।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের ১৮টি কারাগার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি থেকে ২ হাজার ২০০ জনের মতো বন্দী পালিয়ে যায়। এসব বন্দীর মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফিরে আসা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২ জন। বাকি ৬০০-র কিছু বেশি এখনো পলাতক।
হামলার শিকার কারাগারগুলোর জেল সুপাররা বলছেন, হামলার পর মামলা করা হয়েছে। কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের পালানোর ঘটনার পর কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো যারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে।
হামলার করার পর বন্দী পালিয়ে যাওয়া পাঁচটি কারাগার হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার, শেরপুর জেলা কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ও সাতক্ষীরা জেলা কারাগার। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে বড় ধরনের গোলযোগ হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয়। হামলা ও লুটের কারণে কারাগারটিতে প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পলাতক বন্দীদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় জঙ্গিবাদী তৎপরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দী ছিল।
বদলে যাওয়া নরসিংদী কারাগার
ঘটনার ৬ মাস পর ১৯ জানুয়ারি কারাগারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ভবনই মেরামত করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে রং। সামনের ফটকের ভেতরে দুই পাশে দাঁড়ানো দুজন নিরাপত্তারক্ষী। ফটকের পাশেই একটি ওয়াচ টাওয়ার। তবে এ প্রতিবেদক যাওয়ার সময় সেখানে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। বাইরের গেটের পাশের ছোট একটি ঘর থেকে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছিল। ফটকের ঠিক সামনেই কারা কর্মকর্তাদের কার্যালয়। তার কাছাকাছি স্থানেই পড়ে ছিল হামলার সময় পুড়ে যাওয়া কারাগারের নিজস্ব একটি গাড়ি।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ৩৪৪ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৭৮০ জন। কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার পর বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোর পাশাপাশি ভবন মেরামত, কারাগারের ভেতরে দাঙ্গা ইউনিট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কারাগারের পাশের দোকানি মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার পর দেয়ালের ওপর কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। গেটেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন বন্দীদের আত্মীয়রা দেখা করতে কম আসে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
এ সময় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসা এক নারীকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসছি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়ায়া আছি। ঢুকতে দিবে কি না, তা জানি না।’
নরসিংদী জেলা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট শামীম ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর ৩ মাস কারাগারটিতে কোনো বন্দী ছিল না। সবকিছু মেরামত করা হয়েছে। বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোসহ কারাগারের সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা এবং রক্ষীরা সকাল ও বিকেলে দুই ভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।
হামলার শিকার অন্য কারাগারগুলোতেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নজরদারি। বন্দীদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফিরে আসা বা আবার গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের ওপর বিশেষ নজরদারি করছেন কারাগারগুলোর প্রহরীরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৫ জন বন্দীকে আবার ধরা হয়েছে। তাদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পালানো বন্দীদের জেলকোড অনুযায়ী ডাণ্ডাবেড়ি ও লাল টুপি পরিয়ে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে যাদের আটক হওয়ার তিন মাস হয়ে গেছে, তাদের আবার অন্যদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগারগুলোর ঘটনার পেছনে দুটি দুর্বলতা ছিল। একটি অবকাঠামোগত, অন্যটি বহিঃনিরাপত্তা। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে হামলা ঘটেছিল। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাও ছিল।
এখনো পলাতক বন্দীদের বিষয়ে কারা অধিদপ্তর কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দীরা পালানোর পর আমরা মামলা করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা পলাতকদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’
কারাগারের নিরাপত্তার বিষয়ে মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা যেসব কারাগারে রয়েছে, সেগুলো মেরামতের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগার
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগার
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগার
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগার
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে