Ajker Patrika

অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ৪৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি, ১২ জেলায় নতুন এসপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৪১
অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ৪৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি, ১২ জেলায় নতুন এসপি

পুলিশের সর্বস্তরে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এবার অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৪৫ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এসব বদলির আদেশ জারি করা হয়। বদলি করে তাঁদের নতুন দায়িত্বে যুক্ত করা হয়েছে।

নেত্রকোনা, বরিশাল, জামালপুর, পঞ্চগড়, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, বান্দরবান, রাঙামাটি, লক্ষ্মীপুর ও নীলফামারীর পুলিশ সুপারকে সরিয়ে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেহেরপুর ও চাঁদপুরে নতুন পুলিশ সুপারকে যুক্ত করা হয়েছে।

বদলিকৃত অতিরিক্ত ডিআইজিরা হলেন—
 
র‍্যাবের পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খানকে চট্টগ্রামের আরআরএফে, র‍্যাব অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেনকে নোয়াখালীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে, র‍্যাব পরিচালক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানকে ঢাকার অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটে, র‍্যাব-১০–এর অধিনায়ক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনকে ডিআইজি এপিবিএন (পার্বত্য জেলাসমূহের কার্যালয়ে), হাইওয়ে পুলিশের মো. আতিকুর রহমান মিয়াকে পরিচালক র‍্যাব, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নয়মুল হাসানকে পরিচালক র‍্যাব, সিআইডির মো. খালিদুল হক হাওলাদারকে পরিচালক র‍্যাব, নৌ পুলিশের মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে পরিচালক র‍্যাব, শিল্পাঞ্চল পুলিশের মো. রওশনুজ্জামান সিদ্দিকীকে পরিচালক র‍্যাব, ঢাকার অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের কানিজ ফাতেমাকে পুলিশ অধিদপ্তরে, ঢাকা রেঞ্জের মো. মারুফ হোসেন সরদারকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া হাইওয়ে পুলিশের মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকা রেঞ্জে, এসবির মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলমকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে ও আয়েশা সিদ্দিকাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনকে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।

১২ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার—

সিআইডির মাকসুদা আকতার খানমকে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার, রাজশাহী মহানগরীর মুহম্মদ আব্দুর রকিবকে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়ার ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের ড. এস এম ফরহাদ হোসেনকে রাঙামাটির পুলিশ সুপার করা হয়েছে। এ ছাড়া মির্জা সায়েম মাহমুদকে নেত্রকোনার পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমানকে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সীকে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার, সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে জামালপুরের পুলিশ সুপার, মো. নজরুল ইসলামকে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার, মো. শহিদুল্লাহ কাওছারকে বান্দরবানের পুলিশ সুপার, মো. আকতার হোসেনকে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার এবং মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে নীলফামারীর পুলিশ সুপার করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বদলিকৃত পুলিশ সুপাররা হলেন—

রাজারবাগ পুলিশ টেলিকমের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে পুলিশ অধিদপ্তরে, আরএমপির মো. মাসুদ আলমকে ডিএমপিতে, ডিএমপির মোস্তাক আহমেদকে সিরাজগঞ্জের ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ডিএমপির মো. শহীদুল ইসলামকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ডিএমপির তারেক আহমেদকে নওগাঁ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ডিএমপির মো. ফারুক হোসেনকে কুমিল্লা ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে এবং গাইবান্ধার মো. ইবনে মিজানকে ডিএমপিতে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলামকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে ঢাকার পুলিশ টেলিকমে, পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদাকে গাজীপুর ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে এবং গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেবী আফিফাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলমকে ঢাকার পুলিশ স্টাফ কলেজে, বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনকে কুষ্টিয়ার ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদকে নোয়াখালীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে, লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদকে রাজশাহী সারদার বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এবং নীলফামারীর পুলিশ সুপার মো. মোকবুল হোসেনকে সাতক্ষীরা ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাট ডিসি অফিসের সাবেক উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাগেরহাট ডিসি অফিসের সাবেক উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হয়। পরে এসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।

তদন্তে জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগানে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মান্নান ও তাঁর পরিবারের মালিকানা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং অন্য ৫ শতাংশের মালিক ছিলেন আনিসুর রহমান।

প্রতিষ্ঠানটি সুদবিহীন ‘হালাল ব্যবসার’ নামে প্রচারণা চালিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করত। বিনিয়োগের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলা হতো। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা গোপনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় স্থানান্তর করেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা মান্নানের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প।

বাকি অর্থও বিভিন্ন নামে-বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।

সিআইডি জানিয়েছে, অর্থের পূর্ণ প্রবাহ শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসির নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনুমতি না নিয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে, উপসচিবকে তিরস্কার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
উপসচিব মো. মামুন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
উপসচিব মো. মামুন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) থাকাকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশালের করতেতৈল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দুই দফায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার তাঁকে ওই সাজা দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়ে ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানের পদবি গ্রহণ করার বিষয়টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ। এসব অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় মামলা দিয়ে মামুন মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

মামুন মিয়া লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে অভিযোগ তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তাঁকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসহ ৭ দাবি হিন্দু মহাজোটের, সিইসির আশ্বাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।

বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’

পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “এবার কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”’

হিন্দু মহাজোটের শঙ্কা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকি—দুর্গাপূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’

হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভোটের ১০ দিন আগে ও ভোটের ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত