শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন আন্দোলনের সময় দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই–আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ আশরাফুল ছাড়াও সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ হাসান এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ। এ মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩৯ জন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল।
সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাঁদের জেরা করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ পুলিশের এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ৬০-৬৫ জন পুলিশ এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম স্যার, এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর মো. আরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিউটিতে পৌঁছাই। সেখানে পৌঁছে এসি ইমরুল স্যারসহ কয়েকজন কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ওই সময় এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে প্রিজন ভ্যানে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার, ১৫-২০ জন এপিবিএন সদস্য, ডিএমপির ১০-১৫ জন সদস্যের সঙ্গে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল পিয়াস, আসিফ, আকাশ ও নাসিরুল পায়ে হেঁটে সাড়ে ১০টার দিকে চানখাঁরপুলে পৌঁছাই।’
আশরাফুল বলেন, ‘চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে এডিসি আখতারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে কোনো প্রয়োজন ছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাস গান ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এই গুলি করা হয় চানখাঁরপুল মোড়ে। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘তখন আমিসহ আরও কয়েকজন এই অবৈধ আদেশ পালন না করলে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। তিনি আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘তোরা সরকারের বেতন–রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে দেব।’’ তারপরও আমি আমার পিস্তল দিয়ে ফায়ার করা থেকে বিরত থাকি। এরপর কনস্টেবল মো. নাসিরুল ইসলাম এডিসি আখতারুলের সরবরাহ করা অতিরিক্ত গুলি ব্যবহার করে রাস্তায় বসে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে বারবার ফায়ার করতে থাকে। এ সময় এডিসি আখতারুল ইসলাম এপিবিএন পুলিশের একজন কনস্টেবলের হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নিয়ে এপিবিএন পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের হাতে দেয়। যার হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নেওয়া হয়, সে গুলি করা থেকে বিরত ছিল।’
আশরাফুল বলেন, ‘কনস্টেবল সুজন হোসেন চানখাঁরপুল মোড়ে কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে, কখনো হাঁটু গেড়ে বসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। তা ছাড়া এপিবিএনের কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন তার নামে ইস্যু করা চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমি দেখতে পাই, গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে অন্য আন্দোলনকারীরা তাদের ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার এপিবিএনের পাঁচ-সাতজন সদস্য নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন গলিতে গুলি করতে করতে প্রবেশ করলে আমরা চায়নিজ রাইফেলের গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন শুনতে পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে চানখাঁরপুল এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে টিএসসি মোড় হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে শাহবাগ থানার পেছন দিক দিয়ে থানায় প্রবেশ করি।’
আন্দোলনে গুলিতে আহত চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর শরীরে শটগানের ১১টি গুলি লাগে। তিনটি এখনো ভেতরে রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় যুবলীগ নেতা নুরুল আযিম রনির নেতৃত্বে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, শৈবাল দাস, সুমন, সাবেক মেয়র আজম নাছিরসহ আরও অনেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। রনির হাতে পিস্তল, বাবরের হাতে শটগান ও অন্যদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। ওই ঘটনায় আন্দোলনকারী ফয়সাল আহমেদ শান্ত নিহত হন। পরে জানতে পারেন, সন্ত্রাসীরা ওয়াসীম আকরাম নামের একজন আন্দোলনকারীকে মুরাদপুর এলাকায় কুপিয়ে এবং ফারুক নামের একজন কাঠমিস্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
হাসান আরও বলেন, ‘১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেখানে ওই সময় প্রায় ২ হাজার আন্দোলনকারী অবস্থান করছিল। আমাদের সামনে বাকুলিয়া ও কর্ণফুলী থানার পুলিশ এবং তাদের পেছনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিল। পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল ছুড়লে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে গুলি করলে আমি পিঠে গুলিবিদ্ধ হই। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় গেটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ প্রবেশে বাধা দেয়। পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। সেখানে ডাক্তারেরা আটটি গুলি বের করেন এবং এখনো তিনটি শরীরে আছে (এ সময় সাক্ষী গুলিবিদ্ধ ক্ষতস্থান ট্রাইব্যুনালকে দেখান)।’ তিনি হত্যা ও নির্যাতনের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
এ ছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমি ৫ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে শরীফ মেডিকেলের সামনে যাই। সে সময় কারফিউ ও মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি চলছিল। সেখানে গিয়ে দেখি, হাজার হাজার লোক বিজয় মিছিল নিয়ে শরীফ মেডিকেলের দিকে আসছে। মিছিলকে লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমিসহ কিছু লোক আমার বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির ছাদে উঠে দেখতে পাই, কয়েকজন পুলিশ গ্যারেজ থেকে একজনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে আমার বাড়ির সামনের কবরস্থানের কাছে নিয়ে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ লাশটিকে থানার দিকে নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ওসি আশরাফ ও ডিবির এসি ছিল। পরে জানতে পারি, যে গুলি করেছে, তার নাম কনস্টেবল আকরাম। আর যাকে গুলি করেছে, তার নাম হৃদয়। পরদিন সকালে জানতে পারি, পুলিশ লাশ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং স্থানীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দায়ী। আমি ট্রাইব্যুনালের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন আন্দোলনের সময় দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই–আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ আশরাফুল ছাড়াও সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ হাসান এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ। এ মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩৯ জন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল।
সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাঁদের জেরা করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ পুলিশের এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ৬০-৬৫ জন পুলিশ এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম স্যার, এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর মো. আরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিউটিতে পৌঁছাই। সেখানে পৌঁছে এসি ইমরুল স্যারসহ কয়েকজন কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ওই সময় এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে প্রিজন ভ্যানে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার, ১৫-২০ জন এপিবিএন সদস্য, ডিএমপির ১০-১৫ জন সদস্যের সঙ্গে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল পিয়াস, আসিফ, আকাশ ও নাসিরুল পায়ে হেঁটে সাড়ে ১০টার দিকে চানখাঁরপুলে পৌঁছাই।’
আশরাফুল বলেন, ‘চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে এডিসি আখতারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে কোনো প্রয়োজন ছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাস গান ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এই গুলি করা হয় চানখাঁরপুল মোড়ে। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘তখন আমিসহ আরও কয়েকজন এই অবৈধ আদেশ পালন না করলে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। তিনি আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘তোরা সরকারের বেতন–রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে দেব।’’ তারপরও আমি আমার পিস্তল দিয়ে ফায়ার করা থেকে বিরত থাকি। এরপর কনস্টেবল মো. নাসিরুল ইসলাম এডিসি আখতারুলের সরবরাহ করা অতিরিক্ত গুলি ব্যবহার করে রাস্তায় বসে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে বারবার ফায়ার করতে থাকে। এ সময় এডিসি আখতারুল ইসলাম এপিবিএন পুলিশের একজন কনস্টেবলের হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নিয়ে এপিবিএন পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের হাতে দেয়। যার হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নেওয়া হয়, সে গুলি করা থেকে বিরত ছিল।’
আশরাফুল বলেন, ‘কনস্টেবল সুজন হোসেন চানখাঁরপুল মোড়ে কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে, কখনো হাঁটু গেড়ে বসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। তা ছাড়া এপিবিএনের কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন তার নামে ইস্যু করা চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমি দেখতে পাই, গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে অন্য আন্দোলনকারীরা তাদের ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার এপিবিএনের পাঁচ-সাতজন সদস্য নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন গলিতে গুলি করতে করতে প্রবেশ করলে আমরা চায়নিজ রাইফেলের গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন শুনতে পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে চানখাঁরপুল এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে টিএসসি মোড় হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে শাহবাগ থানার পেছন দিক দিয়ে থানায় প্রবেশ করি।’
আন্দোলনে গুলিতে আহত চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর শরীরে শটগানের ১১টি গুলি লাগে। তিনটি এখনো ভেতরে রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় যুবলীগ নেতা নুরুল আযিম রনির নেতৃত্বে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, শৈবাল দাস, সুমন, সাবেক মেয়র আজম নাছিরসহ আরও অনেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। রনির হাতে পিস্তল, বাবরের হাতে শটগান ও অন্যদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। ওই ঘটনায় আন্দোলনকারী ফয়সাল আহমেদ শান্ত নিহত হন। পরে জানতে পারেন, সন্ত্রাসীরা ওয়াসীম আকরাম নামের একজন আন্দোলনকারীকে মুরাদপুর এলাকায় কুপিয়ে এবং ফারুক নামের একজন কাঠমিস্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
হাসান আরও বলেন, ‘১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেখানে ওই সময় প্রায় ২ হাজার আন্দোলনকারী অবস্থান করছিল। আমাদের সামনে বাকুলিয়া ও কর্ণফুলী থানার পুলিশ এবং তাদের পেছনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিল। পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল ছুড়লে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে গুলি করলে আমি পিঠে গুলিবিদ্ধ হই। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় গেটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ প্রবেশে বাধা দেয়। পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। সেখানে ডাক্তারেরা আটটি গুলি বের করেন এবং এখনো তিনটি শরীরে আছে (এ সময় সাক্ষী গুলিবিদ্ধ ক্ষতস্থান ট্রাইব্যুনালকে দেখান)।’ তিনি হত্যা ও নির্যাতনের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
এ ছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমি ৫ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে শরীফ মেডিকেলের সামনে যাই। সে সময় কারফিউ ও মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি চলছিল। সেখানে গিয়ে দেখি, হাজার হাজার লোক বিজয় মিছিল নিয়ে শরীফ মেডিকেলের দিকে আসছে। মিছিলকে লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমিসহ কিছু লোক আমার বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির ছাদে উঠে দেখতে পাই, কয়েকজন পুলিশ গ্যারেজ থেকে একজনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে আমার বাড়ির সামনের কবরস্থানের কাছে নিয়ে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ লাশটিকে থানার দিকে নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ওসি আশরাফ ও ডিবির এসি ছিল। পরে জানতে পারি, যে গুলি করেছে, তার নাম কনস্টেবল আকরাম। আর যাকে গুলি করেছে, তার নাম হৃদয়। পরদিন সকালে জানতে পারি, পুলিশ লাশ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং স্থানীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দায়ী। আমি ট্রাইব্যুনালের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৩ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সিলেট

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার এবং বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গেট এবং সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনসহ তিন-চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে।’
আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সিপিবির প্রতিবাদ
সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েক শ্রমিকনেতাসহ বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে ২২ জনকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণগ্রেপ্তার চালিয়ে ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনের এই হীন কাণ্ডের উপযুক্ত জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে।

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার এবং বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গেট এবং সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনসহ তিন-চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে।’
আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সিপিবির প্রতিবাদ
সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েক শ্রমিকনেতাসহ বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে ২২ জনকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণগ্রেপ্তার চালিয়ে ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনের এই হীন কাণ্ডের উপযুক্ত জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে।

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৩ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৩ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে