নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সদ্যপ্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনা বড় বড় ধরনের সব অপরাধ করেছেন। আর তাঁকে এ সময় ভারত সমর্থন দিয়ে গেছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সঙ্গে তাঁর যে গভীর সম্পর্ক ছিল, তা কোনো নতুন ব্যাপার ছিল না। এ সম্পর্কের ভিত্তি ছিল যে, ভারতই একমাত্র রাষ্ট্র, যেটা তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ফলে পতনের পরে তিনি ভারতে পালিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া বক্তব্যে বদরুদ্দীন উমর এসব কথা বলেছেন বলে প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে গিয়ে তাঁর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মারা যান তিনি। তাঁর সাক্ষ্যের বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজ সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
লিখিত বক্তব্যে বদরুদ্দীন উমর শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে ওখানেই থাকবে। ওখানে থাকাটাই একধরনের শাস্তি—সেখানে সে জ্বলে-পুড়ে মরবে। আরেকটা শাস্তি হতে পারে—যেটা আমি মনে করি, ভারত সরকার তাকে মেরে ফেলবে, নিজেদের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে। তারা যত দিন তাকে রাখবে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে না। আর সেই সম্পর্ক ভালো করতে গেলে তার ব্যাপারে একটা ফয়সালা করতে হবে। তাকে ওখানে রাখা যায় কি যায় না—সে প্রশ্ন না। তবে যদি মেরে ফেলে নরেন্দ্র মোদি, আশ্চর্য হবেন না। তাঁরা এমনভাবে বিষয়টা সাজাবে যে মনে হবে বাংলাদেশি কেউ তাকে মেরেছে। এ রকম একটি সংগঠিত প্রচার চালাবে।’
তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া বক্তব্যে বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিলেন নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচন—এগুলো প্রতিটা তিনি ম্যানিপুলেট করেছেন। এগুলো সম্ভব হয়েছে কারণ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে পুলিশ ও আমলাতন্ত্র—সবকিছুর ওপর তিনি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথম থেকেই শেখ হাসিনা ঠিক করেছিলেন যে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করবেন। সেটি করতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা সম্ভব নয়। অথচ ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তিনি আন্দোলন করেছিলেন, সংশোধনী এনেছিলেন। কোনো নীতিবোধ বা নৈতিক লজ্জাবোধ তাঁর ছিল না। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে তিনিই সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেন। কারণ, তিনি বুঝেছিলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে পরের বার তাঁরা আর জিততে পারবেন না। সুতরাং, নির্বাচনে জিততে হলে তাঁকে সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনকে দুভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রথমত ঘুষ, টাকা-পয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। দ্বিতীয়ত হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ২০০৯ সালের মধ্যে এ নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করেন। এ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো করেছেন। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেননি। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। দিনে ভোট হলেও আসলে ভোট হয়ে গেছে আগের রাতে। ২০২৪ সালেও একই ঘটনা। এভাবে নির্বাচন করেও তিনি জয়লাভ করেছেন, যদিও জনসমর্থনের কোনো ভিত্তি ছিল না। এসব নির্বাচনে দেখা গেছে, তাঁর দল ৩০০ সিটের মধ্যে চার-পাঁচটি সিটও পাবে কি না সন্দেহ। এরপরও তিনি জয়ী হয়েছেন শুধু প্রশাসনের ওপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে। এটা গোপন কিছু নয়—সবাই জানেন। একটি সরকার যদি চায় যে তারা এভাবে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করবে, তাহলে সেটা ঠেকানো কঠিন।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছেন শেখ হাসিনা। কোনো রাজনৈতিক দল যাতে কার্যকরভাবে নড়াচড়া করতে না পারে, সে জন্যও নির্যাতন করা হয়েছে। প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। ‘আয়নাঘর’ নামে টর্চার সেল তৈরি করা হয়েছে—যেটা শেখ মুজিবের আমলেও ছিল না। শেখ মুজিব বিরোধীদের সরাসরি হত্যা করতেন; শেখ হাসিনা শুধু হত্যা করতেন না, নির্যাতনও করতেন এবং এতে একধরনের বিকৃত আনন্দ পেতেন। এভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নির্বাচনব্যবস্থাকে নিজের করায়ত্ত করেছেন এবং প্রকৃতপক্ষে জনগণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই ছিন্ন হয়ে গেছে।
গুম–খুন নিয়ে তিনি বলেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড —এ ধরনের কাজ কেবল সে ব্যক্তি করতে পারেন, যাঁর হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা রয়েছে। যাঁর অধীনে ইন্টেলিজেন্স বিভাগ, ডিজিএফআইয়ের মতো সংস্থা থাকে। ’আয়নাঘর’-এর মতো গোপন নির্যাতন সেল কিংবা গুমের মতো অপরাধ—এসব তো ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। যতগুলো অপহরণের ঘটনা দেখা যায়, এর পেছনে ডিজিএফআইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও সংঘটিত করেছে। তারা এসব করেছে বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার লক্ষ্যে। শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে বিএনপিসহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন। তাঁর বিরোধিতা যাতে না হয়, সে জন্য। প্রশাসন ও পুলিশব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং তা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় টিকে থেকেছেন।
সদ্যপ্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনা বড় বড় ধরনের সব অপরাধ করেছেন। আর তাঁকে এ সময় ভারত সমর্থন দিয়ে গেছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সঙ্গে তাঁর যে গভীর সম্পর্ক ছিল, তা কোনো নতুন ব্যাপার ছিল না। এ সম্পর্কের ভিত্তি ছিল যে, ভারতই একমাত্র রাষ্ট্র, যেটা তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ফলে পতনের পরে তিনি ভারতে পালিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া বক্তব্যে বদরুদ্দীন উমর এসব কথা বলেছেন বলে প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে গিয়ে তাঁর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মারা যান তিনি। তাঁর সাক্ষ্যের বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজ সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
লিখিত বক্তব্যে বদরুদ্দীন উমর শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে ওখানেই থাকবে। ওখানে থাকাটাই একধরনের শাস্তি—সেখানে সে জ্বলে-পুড়ে মরবে। আরেকটা শাস্তি হতে পারে—যেটা আমি মনে করি, ভারত সরকার তাকে মেরে ফেলবে, নিজেদের বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে। তারা যত দিন তাকে রাখবে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে না। আর সেই সম্পর্ক ভালো করতে গেলে তার ব্যাপারে একটা ফয়সালা করতে হবে। তাকে ওখানে রাখা যায় কি যায় না—সে প্রশ্ন না। তবে যদি মেরে ফেলে নরেন্দ্র মোদি, আশ্চর্য হবেন না। তাঁরা এমনভাবে বিষয়টা সাজাবে যে মনে হবে বাংলাদেশি কেউ তাকে মেরেছে। এ রকম একটি সংগঠিত প্রচার চালাবে।’
তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া বক্তব্যে বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিলেন নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচন—এগুলো প্রতিটা তিনি ম্যানিপুলেট করেছেন। এগুলো সম্ভব হয়েছে কারণ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে পুলিশ ও আমলাতন্ত্র—সবকিছুর ওপর তিনি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথম থেকেই শেখ হাসিনা ঠিক করেছিলেন যে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করবেন। সেটি করতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা সম্ভব নয়। অথচ ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তিনি আন্দোলন করেছিলেন, সংশোধনী এনেছিলেন। কোনো নীতিবোধ বা নৈতিক লজ্জাবোধ তাঁর ছিল না। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে তিনিই সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেন। কারণ, তিনি বুঝেছিলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে পরের বার তাঁরা আর জিততে পারবেন না। সুতরাং, নির্বাচনে জিততে হলে তাঁকে সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনকে দুভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রথমত ঘুষ, টাকা-পয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। দ্বিতীয়ত হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ২০০৯ সালের মধ্যে এ নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করেন। এ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো করেছেন। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেননি। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। দিনে ভোট হলেও আসলে ভোট হয়ে গেছে আগের রাতে। ২০২৪ সালেও একই ঘটনা। এভাবে নির্বাচন করেও তিনি জয়লাভ করেছেন, যদিও জনসমর্থনের কোনো ভিত্তি ছিল না। এসব নির্বাচনে দেখা গেছে, তাঁর দল ৩০০ সিটের মধ্যে চার-পাঁচটি সিটও পাবে কি না সন্দেহ। এরপরও তিনি জয়ী হয়েছেন শুধু প্রশাসনের ওপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে। এটা গোপন কিছু নয়—সবাই জানেন। একটি সরকার যদি চায় যে তারা এভাবে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করবে, তাহলে সেটা ঠেকানো কঠিন।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছেন শেখ হাসিনা। কোনো রাজনৈতিক দল যাতে কার্যকরভাবে নড়াচড়া করতে না পারে, সে জন্যও নির্যাতন করা হয়েছে। প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। ‘আয়নাঘর’ নামে টর্চার সেল তৈরি করা হয়েছে—যেটা শেখ মুজিবের আমলেও ছিল না। শেখ মুজিব বিরোধীদের সরাসরি হত্যা করতেন; শেখ হাসিনা শুধু হত্যা করতেন না, নির্যাতনও করতেন এবং এতে একধরনের বিকৃত আনন্দ পেতেন। এভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নির্বাচনব্যবস্থাকে নিজের করায়ত্ত করেছেন এবং প্রকৃতপক্ষে জনগণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই ছিন্ন হয়ে গেছে।
গুম–খুন নিয়ে তিনি বলেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড —এ ধরনের কাজ কেবল সে ব্যক্তি করতে পারেন, যাঁর হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা রয়েছে। যাঁর অধীনে ইন্টেলিজেন্স বিভাগ, ডিজিএফআইয়ের মতো সংস্থা থাকে। ’আয়নাঘর’-এর মতো গোপন নির্যাতন সেল কিংবা গুমের মতো অপরাধ—এসব তো ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। যতগুলো অপহরণের ঘটনা দেখা যায়, এর পেছনে ডিজিএফআইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও সংঘটিত করেছে। তারা এসব করেছে বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার লক্ষ্যে। শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে বিএনপিসহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন। তাঁর বিরোধিতা যাতে না হয়, সে জন্য। প্রশাসন ও পুলিশব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং তা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় টিকে থেকেছেন।
জুলাই জাতীয় সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাকি বিষয়গুলো তাঁরা নির্বাহী আদেশ ও অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেট্রাইব্যুনালকে শহীদ শাহারিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা খান দিপ্তী বলেন, ‘আনাস গেন্ডারিয়া আদর্শ একাডেমির ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে যখন গুলি করে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছিল। ৫ আগস্ট সকালে আনাসকে ঘরে না পেয়ে তার রুমে যাই। সেখানে পড়ার
৫ ঘণ্টা আগেবিজিবি জানিয়েছে, গত মাসে তাদের অভিযানে মোট ১৭৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে সোনা, রুপা, তৈরি পোশাক, থান কাপড়, কসমেটিকস, ইমিটেশন গয়না, আতশবাজি, কাঠ, চা-পাতা, সুপারি, সার, কয়লা, সুতা, যানবাহনের যন্ত্রাংশ, পেঁয়াজ, রসুন, চিনি, বীজ, চকলেটসহ বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ
৫ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ন্ত্রণসহ দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থার
৫ ঘণ্টা আগে