চলমান অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ। সেখানে প্রধান মুখ ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় হট্টগোল ও ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনির মধ্যে সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই সভাস্থল ত্যাগ করতে হয় তাঁকে। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মতবিনিময় সভায় এলে অনেকে হই হুল্লোড় করে ওঠেন।
সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকে চিৎকার করে বলতে থাকেন, উনি এখানে কেন? ওনার ছেলে তো সরকারের বিরুদ্ধে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) পোস্ট দেন।
কী পোস্ট করেছিলেন আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজুয়ান শাহরিয়ার সুমিত? খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রেজুয়ান শাহরিয়ার সুমিতের একটি পোস্ট ফেসবুকে ঘুরছে। যদিও তাঁর ওয়ালে পোস্টটি এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। পোস্টটিতে বর্তমান ছাত্রলীগের সঙ্গে ১৯৭১–এর মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ছাত্রলীগের তুলনা করেন তিনি।
পোস্টটিতে তিনি লেখেন, ‘এরা (ছাত্রলীগ) বুক ফুলিয়ে যতই “জয় বাংলা” বলে চেঁচাক, ১৯৭১–এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪–এর আজকের এই ছাত্রলীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। আজ এরা চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, অর্থলোভী পঙ্গপাল ছাড়া কিছুই নয়। আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়ে এই পঙ্গপাল বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া কোনো আদর্শের রাজনীতি আমি জানি না! তবে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বা দর্শনের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই, তা ঢের বলতে পারি। এই পঙ্গপাল পুষতে পুষতে কবে গোটা জাতিই চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, ও অর্থলোভী হয়ে যায়!’
পোস্টটির শেষ অংশে তিনি কবি শামসুর রাহমানের ‘পুরাণের পাখি’ কবিতারর লাইন, ‘রাজু, তুমি মেধার রশ্মি–ঝরানো চোখ মেলে তাকাও তোমার জাগরণ আমাদের প্রাণের স্পন্দনের মতোই প্রয়োজন’–জুড়ে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন হাইকোর্ট এক রায়ের মাধ্যমে ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আদেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। এ সময় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানাতে থাকেন।
পরে চলতি জুলাই মাসের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সড়ক–মহাসড়ক অবরোধ পর্যায়ে প্রবেশ করে। যদিও শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে গত ১৫ জুলাই (সোমবার) বেপরোয়া হামলার শিকার হন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছাত্রলীগ–যুবলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা।
রেজুয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, ১৫ জুলাই ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ–যুবলীগের হামলা হয়। আর তিনি ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় নিজের প্রোফাইল ছবিটি কালো করে দেন। এরপর সবশেষ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে একটি পোস্ট দেন।
পোস্টটিতে তিনি লেখেন, ‘গত সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজপথে পুলিশের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানাই। দুইশো প্রাণ ঝরেছে। ২০০! এ সময় অনেক জাতীয় সম্পদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সংঘাত, সহিংসতার অবিলম্বে, স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। রাস্তায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যারা সরাসরি গুলি করেছেন, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘হুমকি, বুলেট, সেন্সরশিপের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় না। আমাদের প্রকৃতপক্ষে যা প্রয়োজন তা হল, পারস্পরিক সহানুভূতি, বোঝাপড়া এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুকূল পরিবেশ যেখানে সুস্থ সংলাপ সম্ভব।’
এরপর হ্যাশট্যাগ দিয়ে ইংরেজিতে লেখেন, ‘ডু দ্য রাইট থিং।’ এর ব্যাখ্যাও দেন তিনি। ব্যাখ্যায় সুমিত লেখেন—
‘ডু দ্য রাইট থিং’ অর্থ বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য যা সবচেয়ে ভালো সেটিই করা। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়, যা আমার নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া, যা আমার জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে দেয় বা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়। পোস্টটির সঙ্গে তিনি আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্দেশক স্পাইক লি পরিচালিত যুগান্তকারী আমেরিকান চলচ্চিত্র ‘ডু দ্য রাইট থিং’–এর পোস্টারও যুক্ত করে দেন। ‘ডু দ্য রাইট থিং’ চলচ্চিত্রটি পুলিশি বর্বরতা এবং জাতিগত বিভাজনের ওপর নির্মিত।
সুমিত লেখেন, ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি আজও রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক এবং প্রভাবশালী।
চলমান অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ। সেখানে প্রধান মুখ ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় হট্টগোল ও ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনির মধ্যে সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই সভাস্থল ত্যাগ করতে হয় তাঁকে। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মতবিনিময় সভায় এলে অনেকে হই হুল্লোড় করে ওঠেন।
সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকে চিৎকার করে বলতে থাকেন, উনি এখানে কেন? ওনার ছেলে তো সরকারের বিরুদ্ধে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) পোস্ট দেন।
কী পোস্ট করেছিলেন আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজুয়ান শাহরিয়ার সুমিত? খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রেজুয়ান শাহরিয়ার সুমিতের একটি পোস্ট ফেসবুকে ঘুরছে। যদিও তাঁর ওয়ালে পোস্টটি এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। পোস্টটিতে বর্তমান ছাত্রলীগের সঙ্গে ১৯৭১–এর মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ছাত্রলীগের তুলনা করেন তিনি।
পোস্টটিতে তিনি লেখেন, ‘এরা (ছাত্রলীগ) বুক ফুলিয়ে যতই “জয় বাংলা” বলে চেঁচাক, ১৯৭১–এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪–এর আজকের এই ছাত্রলীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। আজ এরা চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, অর্থলোভী পঙ্গপাল ছাড়া কিছুই নয়। আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়ে এই পঙ্গপাল বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া কোনো আদর্শের রাজনীতি আমি জানি না! তবে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বা দর্শনের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই, তা ঢের বলতে পারি। এই পঙ্গপাল পুষতে পুষতে কবে গোটা জাতিই চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, ও অর্থলোভী হয়ে যায়!’
পোস্টটির শেষ অংশে তিনি কবি শামসুর রাহমানের ‘পুরাণের পাখি’ কবিতারর লাইন, ‘রাজু, তুমি মেধার রশ্মি–ঝরানো চোখ মেলে তাকাও তোমার জাগরণ আমাদের প্রাণের স্পন্দনের মতোই প্রয়োজন’–জুড়ে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন হাইকোর্ট এক রায়ের মাধ্যমে ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আদেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। এ সময় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানাতে থাকেন।
পরে চলতি জুলাই মাসের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সড়ক–মহাসড়ক অবরোধ পর্যায়ে প্রবেশ করে। যদিও শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে গত ১৫ জুলাই (সোমবার) বেপরোয়া হামলার শিকার হন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছাত্রলীগ–যুবলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা।
রেজুয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, ১৫ জুলাই ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ–যুবলীগের হামলা হয়। আর তিনি ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় নিজের প্রোফাইল ছবিটি কালো করে দেন। এরপর সবশেষ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে একটি পোস্ট দেন।
পোস্টটিতে তিনি লেখেন, ‘গত সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজপথে পুলিশের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানাই। দুইশো প্রাণ ঝরেছে। ২০০! এ সময় অনেক জাতীয় সম্পদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সংঘাত, সহিংসতার অবিলম্বে, স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। রাস্তায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যারা সরাসরি গুলি করেছেন, তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘হুমকি, বুলেট, সেন্সরশিপের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় না। আমাদের প্রকৃতপক্ষে যা প্রয়োজন তা হল, পারস্পরিক সহানুভূতি, বোঝাপড়া এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুকূল পরিবেশ যেখানে সুস্থ সংলাপ সম্ভব।’
এরপর হ্যাশট্যাগ দিয়ে ইংরেজিতে লেখেন, ‘ডু দ্য রাইট থিং।’ এর ব্যাখ্যাও দেন তিনি। ব্যাখ্যায় সুমিত লেখেন—
‘ডু দ্য রাইট থিং’ অর্থ বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য যা সবচেয়ে ভালো সেটিই করা। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়, যা আমার নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া, যা আমার জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে দেয় বা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়। পোস্টটির সঙ্গে তিনি আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্দেশক স্পাইক লি পরিচালিত যুগান্তকারী আমেরিকান চলচ্চিত্র ‘ডু দ্য রাইট থিং’–এর পোস্টারও যুক্ত করে দেন। ‘ডু দ্য রাইট থিং’ চলচ্চিত্রটি পুলিশি বর্বরতা এবং জাতিগত বিভাজনের ওপর নির্মিত।
সুমিত লেখেন, ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি আজও রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক এবং প্রভাবশালী।
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
৩ ঘণ্টা আগেভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এখনো বাড়ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীতীরে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে আছে খেতের ফসল। কোমরপানি বসতঘরেও। মাচা পেতে চলছে রান্নার কাজ...
৪ ঘণ্টা আগে