নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কারা হেফাজতে লালসাংময় বম এবং লালত্লেং কিম বমের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং সব নিরাপরাধ বম জনগোষ্ঠীর নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, অধিকারকর্মীসহ ২৩৫ নাগরিক। আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে বম জাতিগোষ্ঠীর যে কাউকে যখন-তখন গ্রেপ্তার বা হয়রানির নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রীয় নীতির শিকার লালসাংময় বমকে ২০২৩ সালে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী নিরপরাধ লালসাংময় বম প্রায় দুই মাস ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হলেও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ অবহেলার কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটলে গত ২৯ মে তড়িঘড়ি করে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। অবশেষে ৩১ মে চমেক থেকে ছাড়া পেয়ে নিজ গ্রামে ফেরার আগেই মৃত্যুবরণ করেন কারাবন্দী লালসাংময় বম। লালসাংময় বমের পরিবারের অভিযোগ অমূলক নয়। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আরও একজন বম তরুণ কারা হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেন। গত ১৫ মে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আদিবাসী তরুণ লালত্লেং কিম বম বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, বিনা বিচারে এক বছর ধরে লালত্লেং কিমকে বন্দী রাখা হয় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা মনে করেন, কয়েকজন ‘কেএনএফ সদস্যের সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে’র অজুহাতে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যু রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মৃত্যু রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা নিপীড়নের প্রতিচ্ছবি, বাঙালি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র এই হত্যার দায় এড়াতে পারে না।
কারা হেফাজতে মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও আটক নিরপরাধী বমদের মুক্তিসহ বিবৃতিতে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—বম জাতিগোষ্ঠীর মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা, হাটবাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসার ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা; সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে কেএনএফসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা; কেএনএফকে কেন্দ্র করে জাতিগত নিধন, হয়রানি, আটক বন্ধ করা এবং পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের সমান অধিকার, মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন—গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, অধিকারকর্মী মারজিয়া প্রভা প্রমুখ।
কারা হেফাজতে লালসাংময় বম এবং লালত্লেং কিম বমের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং সব নিরাপরাধ বম জনগোষ্ঠীর নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, অধিকারকর্মীসহ ২৩৫ নাগরিক। আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে বম জাতিগোষ্ঠীর যে কাউকে যখন-তখন গ্রেপ্তার বা হয়রানির নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রীয় নীতির শিকার লালসাংময় বমকে ২০২৩ সালে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী নিরপরাধ লালসাংময় বম প্রায় দুই মাস ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হলেও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ অবহেলার কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটলে গত ২৯ মে তড়িঘড়ি করে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। অবশেষে ৩১ মে চমেক থেকে ছাড়া পেয়ে নিজ গ্রামে ফেরার আগেই মৃত্যুবরণ করেন কারাবন্দী লালসাংময় বম। লালসাংময় বমের পরিবারের অভিযোগ অমূলক নয়। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আরও একজন বম তরুণ কারা হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেন। গত ১৫ মে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আদিবাসী তরুণ লালত্লেং কিম বম বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, বিনা বিচারে এক বছর ধরে লালত্লেং কিমকে বন্দী রাখা হয় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা মনে করেন, কয়েকজন ‘কেএনএফ সদস্যের সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে’র অজুহাতে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যু রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মৃত্যু রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা নিপীড়নের প্রতিচ্ছবি, বাঙালি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র এই হত্যার দায় এড়াতে পারে না।
কারা হেফাজতে মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও আটক নিরপরাধী বমদের মুক্তিসহ বিবৃতিতে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—বম জাতিগোষ্ঠীর মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা, হাটবাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসার ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা; সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে কেএনএফসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা; কেএনএফকে কেন্দ্র করে জাতিগত নিধন, হয়রানি, আটক বন্ধ করা এবং পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের সমান অধিকার, মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন—গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, অধিকারকর্মী মারজিয়া প্রভা প্রমুখ।
পরপর তিনটি নির্বাচনে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে মানুষ। দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসন, চাকরিতে বৈষম্য, সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক খাতে লুটপাট, বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও নির্যাতনে ক্ষুব্ধ ছিল জনগণ। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে জুলাইয়ে ছাত্র- জনতার আন্দোলনে।
৩ ঘণ্টা আগেটানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং দমনপীড়নের নির্লজ্জ রূপ প্রদর্শন করে ১৫ বছর ৭ মাস প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট স্বৈরাচারী শাসকদের কাতারে নিজের অবস্থান পাকা করেছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র ও আড়াই লাখের মতো গোলাবারুদ এক বছরেও উদ্ধার হয়নি। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের...
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে উত্তরার রবীন্দ্র সরোবরে ‘মুগ্ধ মঞ্চ’ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নির্মিত মঞ্চটি আজ সোমবার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের বীজ যেখানে
৬ ঘণ্টা আগে