নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক, আইনি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রতিবেদন পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আগে অনেক বেশি সরকার নিয়ন্ত্রিত ছিল। আমরা সেই জায়গা থেকে বের হতে চাচ্ছি। যেন সবাই ইথিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে সাংবাদিকতা করতে পারে, সব করতে পারছি তেমন না, তবে অনেক কিছুই করা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টটা আমাদের মাথার ওপর একদম একটা খড়্গ হিসেবে ছিল। যেটা ব্যবহার করে একটা হিসাবে এসেছে—সাত হাজারের বেশি কেস করা হয়েছে। মেইন টার্গেট ছিল বাক্স্বাধীনতাকে ব্যাহত করা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলে মানুষ মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় কথা বলতে পারত না অনেক ক্ষেত্রেই। ফেসবুক বা ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়াকে সবার কণ্ঠস্বরকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা যন্ত্র বা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আসে। আমরা প্রথম যে কাজটা করেছি, এই পুরো আইনটাকে বাদ দিয়েছি।’
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘নতুন আইন করার ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই মতামত দিয়েছেন। আমরা মনে করি না, কেউ বলতে পারবে—এটার মাধ্যমে কারও বাক্স্বাধীনতায় আমরা আক্রমণ করেছি। শুধু এই আইন না, আরও অনেকভাবেই বাংলাদেশে মানুষের মুখ বন্ধ করা হয়েছে।’
আগে ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল মন্তব্য করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল, গোপন কোনো সংস্থাকে দিয়ে একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে আপনার মুখটাকে বন্ধ করা। আমরা এটা বন্ধ করতে পেরেছি। আমাদের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে, কোনো ধরনের কোনো সিক্রেট এজেন্সি, কোনো ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি যেন কোনো সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিককে একটা যেন ফোন না করে।’
গণমাধ্যমকর্মীদের এ নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ ভুল তথ্য দেয়, অপতথ্য দেয়, সরকারের একটা মেকানিজম আছে; সরকার সেটা দেখবে। আমরা বলব, যে এই নিউজটা ভুল আছে। আপনি এই জিনিসটা ঠিকমতো দিচ্ছেন না।’
আওয়ামী লীগ সরকার আমলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আগে পিএম অফিসের একজন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মিনিস্টার ছিলেন। ওনার জন্য এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। আমরা তো সে জায়গায় যেতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ, লিগ্যাল এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে চাপ দেওয়া—এই তিনটি জায়গায় এই সরকার ন্যূনতম কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।’
নিউজ ২৪-এর বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।’
নিউজ ২৪-এর হেড অব নিউজ শরিফুল ইসলাম জানান, গণমাধ্যম আস্থার সংকটে ভুগছে। তিনি বলেন, মূল সংস্কারের জায়গা হচ্ছে, আস্থার জায়গাটা। কেন গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হচ্ছে না। আস্থার জায়গাটা আরও পরিষ্কার করতে হবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেটুকু সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি, সেটুকু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও মানুষের মনে সংস্কার নিয়ে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।’ এ সময় তিনি প্রেস সচিব শফিকুল আলমের প্রতি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে কমিশনের কার্যক্রম, বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এনটিভির সাবেক হেড অব নিউজ খাইরুল আনোয়ার মুকুল। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আশার আলো দেখা যায়, তবে শেষ পর্যন্ত আর কিছু হয় না। মার্চের ২৪ তারিখে সংস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হয়েছে। তার তিন মাস পর একটা পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। একটা পর্যালোচনা কমিটি করতে তিন মাস সময় লাগলে এটার বাস্তবায়ন কি আদৌ হবে?’
চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক জান্নাতুল বাকি কেকা বলেন, ‘গণমাধ্যমে নারীদের পক্ষে কথা বলার মানুষ খুব একটা নেই। নারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যেতে পারে না। গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের নিয়ে আসতে প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকতে হবে।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, কমিশনের কাজে অসম্পূর্ণতা থাকতে পারে—সেগুলো আলোচনা হবে, পর্যালোচনা হবে। তারপর বাস্তবায়নের চেষ্টা হবে। আগে গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই জায়গায় যেতে যতটুকু করা প্রয়োজন, তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘গত সরকারের আমলে সরকারের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা, দলবাজির কারণে সাংবাদিকতার বর্তমান হাল তৈরি হয়েছে। কমিশনের রিপোর্টের সঙ্গে শতভাগ একমত না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে যথাযথ সাংবাদিকতা আশা করা যায় না।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক, আইনি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রতিবেদন পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আগে অনেক বেশি সরকার নিয়ন্ত্রিত ছিল। আমরা সেই জায়গা থেকে বের হতে চাচ্ছি। যেন সবাই ইথিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে সাংবাদিকতা করতে পারে, সব করতে পারছি তেমন না, তবে অনেক কিছুই করা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টটা আমাদের মাথার ওপর একদম একটা খড়্গ হিসেবে ছিল। যেটা ব্যবহার করে একটা হিসাবে এসেছে—সাত হাজারের বেশি কেস করা হয়েছে। মেইন টার্গেট ছিল বাক্স্বাধীনতাকে ব্যাহত করা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলে মানুষ মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় কথা বলতে পারত না অনেক ক্ষেত্রেই। ফেসবুক বা ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়াকে সবার কণ্ঠস্বরকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা যন্ত্র বা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আসে। আমরা প্রথম যে কাজটা করেছি, এই পুরো আইনটাকে বাদ দিয়েছি।’
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘নতুন আইন করার ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই মতামত দিয়েছেন। আমরা মনে করি না, কেউ বলতে পারবে—এটার মাধ্যমে কারও বাক্স্বাধীনতায় আমরা আক্রমণ করেছি। শুধু এই আইন না, আরও অনেকভাবেই বাংলাদেশে মানুষের মুখ বন্ধ করা হয়েছে।’
আগে ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল মন্তব্য করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল, গোপন কোনো সংস্থাকে দিয়ে একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে আপনার মুখটাকে বন্ধ করা। আমরা এটা বন্ধ করতে পেরেছি। আমাদের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে, কোনো ধরনের কোনো সিক্রেট এজেন্সি, কোনো ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি যেন কোনো সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিককে একটা যেন ফোন না করে।’
গণমাধ্যমকর্মীদের এ নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ ভুল তথ্য দেয়, অপতথ্য দেয়, সরকারের একটা মেকানিজম আছে; সরকার সেটা দেখবে। আমরা বলব, যে এই নিউজটা ভুল আছে। আপনি এই জিনিসটা ঠিকমতো দিচ্ছেন না।’
আওয়ামী লীগ সরকার আমলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আগে পিএম অফিসের একজন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মিনিস্টার ছিলেন। ওনার জন্য এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। আমরা তো সে জায়গায় যেতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ, লিগ্যাল এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে চাপ দেওয়া—এই তিনটি জায়গায় এই সরকার ন্যূনতম কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।’
নিউজ ২৪-এর বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।’
নিউজ ২৪-এর হেড অব নিউজ শরিফুল ইসলাম জানান, গণমাধ্যম আস্থার সংকটে ভুগছে। তিনি বলেন, মূল সংস্কারের জায়গা হচ্ছে, আস্থার জায়গাটা। কেন গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হচ্ছে না। আস্থার জায়গাটা আরও পরিষ্কার করতে হবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেটুকু সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি, সেটুকু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও মানুষের মনে সংস্কার নিয়ে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।’ এ সময় তিনি প্রেস সচিব শফিকুল আলমের প্রতি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে কমিশনের কার্যক্রম, বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এনটিভির সাবেক হেড অব নিউজ খাইরুল আনোয়ার মুকুল। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আশার আলো দেখা যায়, তবে শেষ পর্যন্ত আর কিছু হয় না। মার্চের ২৪ তারিখে সংস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হয়েছে। তার তিন মাস পর একটা পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। একটা পর্যালোচনা কমিটি করতে তিন মাস সময় লাগলে এটার বাস্তবায়ন কি আদৌ হবে?’
চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক জান্নাতুল বাকি কেকা বলেন, ‘গণমাধ্যমে নারীদের পক্ষে কথা বলার মানুষ খুব একটা নেই। নারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যেতে পারে না। গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের নিয়ে আসতে প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকতে হবে।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, কমিশনের কাজে অসম্পূর্ণতা থাকতে পারে—সেগুলো আলোচনা হবে, পর্যালোচনা হবে। তারপর বাস্তবায়নের চেষ্টা হবে। আগে গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই জায়গায় যেতে যতটুকু করা প্রয়োজন, তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘গত সরকারের আমলে সরকারের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা, দলবাজির কারণে সাংবাদিকতার বর্তমান হাল তৈরি হয়েছে। কমিশনের রিপোর্টের সঙ্গে শতভাগ একমত না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে যথাযথ সাংবাদিকতা আশা করা যায় না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক, আইনি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রতিবেদন পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আগে অনেক বেশি সরকার নিয়ন্ত্রিত ছিল। আমরা সেই জায়গা থেকে বের হতে চাচ্ছি। যেন সবাই ইথিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে সাংবাদিকতা করতে পারে, সব করতে পারছি তেমন না, তবে অনেক কিছুই করা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টটা আমাদের মাথার ওপর একদম একটা খড়্গ হিসেবে ছিল। যেটা ব্যবহার করে একটা হিসাবে এসেছে—সাত হাজারের বেশি কেস করা হয়েছে। মেইন টার্গেট ছিল বাক্স্বাধীনতাকে ব্যাহত করা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলে মানুষ মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় কথা বলতে পারত না অনেক ক্ষেত্রেই। ফেসবুক বা ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়াকে সবার কণ্ঠস্বরকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা যন্ত্র বা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আসে। আমরা প্রথম যে কাজটা করেছি, এই পুরো আইনটাকে বাদ দিয়েছি।’
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘নতুন আইন করার ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই মতামত দিয়েছেন। আমরা মনে করি না, কেউ বলতে পারবে—এটার মাধ্যমে কারও বাক্স্বাধীনতায় আমরা আক্রমণ করেছি। শুধু এই আইন না, আরও অনেকভাবেই বাংলাদেশে মানুষের মুখ বন্ধ করা হয়েছে।’
আগে ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল মন্তব্য করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল, গোপন কোনো সংস্থাকে দিয়ে একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে আপনার মুখটাকে বন্ধ করা। আমরা এটা বন্ধ করতে পেরেছি। আমাদের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে, কোনো ধরনের কোনো সিক্রেট এজেন্সি, কোনো ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি যেন কোনো সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিককে একটা যেন ফোন না করে।’
গণমাধ্যমকর্মীদের এ নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ ভুল তথ্য দেয়, অপতথ্য দেয়, সরকারের একটা মেকানিজম আছে; সরকার সেটা দেখবে। আমরা বলব, যে এই নিউজটা ভুল আছে। আপনি এই জিনিসটা ঠিকমতো দিচ্ছেন না।’
আওয়ামী লীগ সরকার আমলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আগে পিএম অফিসের একজন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মিনিস্টার ছিলেন। ওনার জন্য এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। আমরা তো সে জায়গায় যেতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ, লিগ্যাল এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে চাপ দেওয়া—এই তিনটি জায়গায় এই সরকার ন্যূনতম কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।’
নিউজ ২৪-এর বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।’
নিউজ ২৪-এর হেড অব নিউজ শরিফুল ইসলাম জানান, গণমাধ্যম আস্থার সংকটে ভুগছে। তিনি বলেন, মূল সংস্কারের জায়গা হচ্ছে, আস্থার জায়গাটা। কেন গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হচ্ছে না। আস্থার জায়গাটা আরও পরিষ্কার করতে হবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেটুকু সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি, সেটুকু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও মানুষের মনে সংস্কার নিয়ে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।’ এ সময় তিনি প্রেস সচিব শফিকুল আলমের প্রতি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে কমিশনের কার্যক্রম, বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এনটিভির সাবেক হেড অব নিউজ খাইরুল আনোয়ার মুকুল। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আশার আলো দেখা যায়, তবে শেষ পর্যন্ত আর কিছু হয় না। মার্চের ২৪ তারিখে সংস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হয়েছে। তার তিন মাস পর একটা পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। একটা পর্যালোচনা কমিটি করতে তিন মাস সময় লাগলে এটার বাস্তবায়ন কি আদৌ হবে?’
চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক জান্নাতুল বাকি কেকা বলেন, ‘গণমাধ্যমে নারীদের পক্ষে কথা বলার মানুষ খুব একটা নেই। নারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যেতে পারে না। গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের নিয়ে আসতে প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকতে হবে।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, কমিশনের কাজে অসম্পূর্ণতা থাকতে পারে—সেগুলো আলোচনা হবে, পর্যালোচনা হবে। তারপর বাস্তবায়নের চেষ্টা হবে। আগে গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই জায়গায় যেতে যতটুকু করা প্রয়োজন, তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘গত সরকারের আমলে সরকারের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা, দলবাজির কারণে সাংবাদিকতার বর্তমান হাল তৈরি হয়েছে। কমিশনের রিপোর্টের সঙ্গে শতভাগ একমত না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে যথাযথ সাংবাদিকতা আশা করা যায় না।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক, আইনি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রতিবেদন পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আগে অনেক বেশি সরকার নিয়ন্ত্রিত ছিল। আমরা সেই জায়গা থেকে বের হতে চাচ্ছি। যেন সবাই ইথিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে সাংবাদিকতা করতে পারে, সব করতে পারছি তেমন না, তবে অনেক কিছুই করা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টটা আমাদের মাথার ওপর একদম একটা খড়্গ হিসেবে ছিল। যেটা ব্যবহার করে একটা হিসাবে এসেছে—সাত হাজারের বেশি কেস করা হয়েছে। মেইন টার্গেট ছিল বাক্স্বাধীনতাকে ব্যাহত করা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলে মানুষ মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় কথা বলতে পারত না অনেক ক্ষেত্রেই। ফেসবুক বা ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়াকে সবার কণ্ঠস্বরকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা যন্ত্র বা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আসে। আমরা প্রথম যে কাজটা করেছি, এই পুরো আইনটাকে বাদ দিয়েছি।’
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘নতুন আইন করার ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই মতামত দিয়েছেন। আমরা মনে করি না, কেউ বলতে পারবে—এটার মাধ্যমে কারও বাক্স্বাধীনতায় আমরা আক্রমণ করেছি। শুধু এই আইন না, আরও অনেকভাবেই বাংলাদেশে মানুষের মুখ বন্ধ করা হয়েছে।’
আগে ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল মন্তব্য করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল, গোপন কোনো সংস্থাকে দিয়ে একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে আপনার মুখটাকে বন্ধ করা। আমরা এটা বন্ধ করতে পেরেছি। আমাদের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে, কোনো ধরনের কোনো সিক্রেট এজেন্সি, কোনো ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি যেন কোনো সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিককে একটা যেন ফোন না করে।’
গণমাধ্যমকর্মীদের এ নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ ভুল তথ্য দেয়, অপতথ্য দেয়, সরকারের একটা মেকানিজম আছে; সরকার সেটা দেখবে। আমরা বলব, যে এই নিউজটা ভুল আছে। আপনি এই জিনিসটা ঠিকমতো দিচ্ছেন না।’
আওয়ামী লীগ সরকার আমলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আগে পিএম অফিসের একজন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মিনিস্টার ছিলেন। ওনার জন্য এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। আমরা তো সে জায়গায় যেতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ, লিগ্যাল এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে চাপ দেওয়া—এই তিনটি জায়গায় এই সরকার ন্যূনতম কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।’
নিউজ ২৪-এর বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।’
নিউজ ২৪-এর হেড অব নিউজ শরিফুল ইসলাম জানান, গণমাধ্যম আস্থার সংকটে ভুগছে। তিনি বলেন, মূল সংস্কারের জায়গা হচ্ছে, আস্থার জায়গাটা। কেন গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হচ্ছে না। আস্থার জায়গাটা আরও পরিষ্কার করতে হবে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেটুকু সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি, সেটুকু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও মানুষের মনে সংস্কার নিয়ে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।’ এ সময় তিনি প্রেস সচিব শফিকুল আলমের প্রতি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে কমিশনের কার্যক্রম, বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এনটিভির সাবেক হেড অব নিউজ খাইরুল আনোয়ার মুকুল। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আশার আলো দেখা যায়, তবে শেষ পর্যন্ত আর কিছু হয় না। মার্চের ২৪ তারিখে সংস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হয়েছে। তার তিন মাস পর একটা পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। একটা পর্যালোচনা কমিটি করতে তিন মাস সময় লাগলে এটার বাস্তবায়ন কি আদৌ হবে?’
চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক জান্নাতুল বাকি কেকা বলেন, ‘গণমাধ্যমে নারীদের পক্ষে কথা বলার মানুষ খুব একটা নেই। নারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যেতে পারে না। গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের নিয়ে আসতে প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকতে হবে।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, কমিশনের কাজে অসম্পূর্ণতা থাকতে পারে—সেগুলো আলোচনা হবে, পর্যালোচনা হবে। তারপর বাস্তবায়নের চেষ্টা হবে। আগে গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই জায়গায় যেতে যতটুকু করা প্রয়োজন, তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, ‘গত সরকারের আমলে সরকারের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা, দলবাজির কারণে সাংবাদিকতার বর্তমান হাল তৈরি হয়েছে। কমিশনের রিপোর্টের সঙ্গে শতভাগ একমত না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে যথাযথ সাংবাদিকতা আশা করা যায় না।’

উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক, আইনি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘গণমাধ
০৫ জুলাই ২০২৫
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক, আইনি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘গণমাধ
০৫ জুলাই ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক, আইনি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘গণমাধ
০৫ জুলাই ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনিক, আইনি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এসব বিষয়ে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘গণমাধ
০৫ জুলাই ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে